গুণের বিপরীত প্রক্রিয়া কি: এই টপিকের মাধ্যমে একটি শব্দের অর্থাৎ কোন একটি শব্দ যদি নির্দেশ করে তাহলে এর বিপরীত শব্দটি অবশ্যই নাবোধক কোন না কোন কিছু নির্দেশ করবে, এরকম হয়ে থাকে।
গুণের বিপরীত প্রক্রিয়া কি
গণিতের বাসায় গণের বিপরীত প্রক্রিয়াটি হল ভাগ। কেননা দুটি সংখ্যাকে গুণফল করলে যে গুন ফল পাওয়া যায় ওই গুণফল কি যেকোনো একটি সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে অন্য একটি সংখ্যা পাওয়া যায়।
- এজন্য গুণ এর বিপরীত প্রক্রিয়াকে ভাগ বলা হয়ে থাকে।
- দুটি সংখ্যার একটি যদি ৪ এবং অন্যটি যদি ৫ হয়ে থাকে তাহলে এদের গুণফল হবে ২০.
- আবার গুণফল ২০ কে ৪/৫ দ্বারা বা কোলে যে কোন একটি সংখ্যা পাওয়া যায়।
- ২০ কে ৫ দ্বারা ভাগ করলে একটি সংখ্যা 4 পাওয়া যায়।
- এজন্য গুণের বিপরীত প্রক্রিয়াকে ভাগ বলা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: আয়তক্ষেত্রের নির্ণয়ের সূত্র
গুণের বিপরীত প্রক্রিয়া কোনটি
গালি দিয়ে প্রক্রিয়ায় অংক সমাধান করার জন্য চারটি প্রক্রিয়ার যুগ প্রিয় গুণ এবং ভাগ করা হয়ে থাকে।
পরিমাপ করার ক্ষেত্রে অথবা গুণ করার ক্ষেত্রে যেকোনো দুটি সংখ্যাকে গুণ করলে একটি গুণফল বা বৃহৎ সংখ্যা পাওয়া যায়।
আবার যদি যেকোনো দুটি সংখ্যা থেকে একটি সংখ্যা দ্বারা বড় আকারের গুণফলটি কে ভাগ করি তাহলে একটি সংখ্যা পাওয়া যায়।
অর্থাৎ প্রক্রিয়াগতভাবে ভাগ এবং গুন একে অন্যের বিপরীত প্রক্রিয়া হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
যেমন,:-
- ৬×৪= ২৪,,,,
- ২৪÷৪= ৬,,,
- ২৪÷৬= ৪ পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে গুণ এবং ভাগ পরস্পরের বিপরীত প্রক্রিয়া।
অর্থাৎ ইহার কারণে বলা হয় যে গুণের বিপরীত প্রক্রিয়াটি হল ভাগ প্রক্রিয়া।
আরো পড়ুন: যৌগিক একক কাকে বলে?
গুণের বিপরীত রাশির নাম কী
বিভিন্ন অংক বা গাণিতিক সমস্যার সমাধান করার জন্য যোগ বিয়োগ গুন এবং ভাগ এই চারটি প্রক্রিয়া করা হয়।
গাড়ি কি ভাবে এ প্রক্রিয়া গুণ এর বিপরীত রাশি হল ভাগ করা।
আবার ভাগ করা এর বিপরীত রাশি হিসেবে গুণ করাকে বলা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন ধরনের তথ্য অথবা বাংলার বিভিন্ন তথ্যভাণ্ডার বিপরীত রাশির সমাহার রয়েছে।
সেটা কোন গাণিতিক যুক্তি কাজ বা সমস্যা নয় তবে বাংলার বিপরীত রাশির তুলনা হিসেবে অনুযায়ী গুণ এই শব্দটির বিপরীত রাশি।
গুন করলে কোন সংখ্যার গুণফল অথবা মানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়,,
অপরদিকে ভাগ করলে অর্থাৎ কোন সংখ্যাকে বা বড় সংখ্যা কে অন্য একটি সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে ক্ষুদ্র মান পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়ায় সংখ্যা অথবা মান অথবা গাণিতিক মান সমান নয় বরং বৃদ্ধি পায় এবং অপর একটি অংশে হ্রাস পায়। তাই এদেরকে একে অপরের বিপরীত বলা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র
গুণ বিপরীত শব্দ
বিপরীত শব্দ হলো বাংলা ব্যাকরণের একটি অন্যতম টপিক।
এই টপিকের মাধ্যমে একটি শব্দের অর্থাৎ কোন একটি শব্দ যদি নির্দেশ করে তাহলে এর বিপরীত শব্দটি অবশ্যই নাবোধক কোন না কোন কিছু নির্দেশ করবে, এরকম হয়ে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাহ হিসেবে বিশ্লেষণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বিপরীত শব্দের সমাহার বা বান্দার রয়েছে।
ওই সকল সমাধান গুলোতে অথবা বিপরীত শব্দগুলোতে আমরা অবশ্য গুণ নামক শব্দটি খুঁজে পেয়ে থাকি।
এক্ষেত্রে অবশ্যই গুণ এই শব্দটির বিপরীত শব্দ হবে ভাগ।
কারণ গুণ এবং ভাগ একে অপরের পরিপন্থী অথবা বিপরীত শব্দ।
একটি দ্বারা যেমন সংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ বোঝায় ঠিক তেমনি অন্যটি দ্বারা সংখ্যা হ্রাসের পরিমাণকে বুঝাই।
এজন্যই গাণিতিক প্রক্রিয়া বা হিসাব বিশ্লেষণ অনুযায়ী অথবা বিপরীত বা তথা আলাদা আলাদা বা একেবারে গণিতের হিসেবের নয়
বরং বাংলা ব্যাকরণ এর সাহিত্যিক অনুযায়ী, না বোধক শব্দ ব্যবহার করলে এক্ষেত্রে তাকে বিপরীত শব্দ বলা হয়। তাই, বাংলা সাধারণ রিতির নিয়ম অনুযায়ী গুণ এর বিপরীত শব্দ হবে ভাগ।