আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা দিলেন ট্রাম্প, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ছায়া বাড়ল

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যখন দায়িত্বভার নেন, তখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি নেতাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আমেরিকা তাদের পাশে থাকবে এটাই ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাথমিক বক্তব্য। তবে ১৫০ দিনের কম সময়ে দেখা গেছে, ট্রাম্পও তার পূর্বসূরিদের মতো একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।

ইসরায়েল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণ দেখে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন নেতানিয়াহুর কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে ইরানের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি জটিল ও উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের ঠিক আগে তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফ গাজা ও হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা করানোর জন্য নেতানিয়াহুর কাছে গিয়েছিলেন। তখন মনে হচ্ছিল, ট্রাম্প কিছুটা মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখতে পারেন, কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখিয়ে দিল যে, ইসরায়েলি নেতৃত্ব মার্কিন প্রশাসনকে তাদের সামরিক পরিকল্পনায় একেবারে পাশে নিয়ে গেছে।

বিশেষ করে মার্কিন বি-২ বোমারু বিমানগুলোর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো এই নতুন যুদ্ধনীতি প্রকাশ করেছে। ট্রাম্পের একসময় বিদেশি সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ার অঙ্গীকার এখন পাল্টে গিয়েছে। ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস বদলে দিতে পারে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিচ্ছেন, ইরান যদি পাল্টা হামলা চালায়, তা সীমিত হলেও সামগ্রিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় ধরনের সংঘাতে রূপ নিতে পারে। ট্রাম্প নিজেও বলছেন, তিনি চাচ্ছেন এই উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবেন, যেন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ না শুরু হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে এই নয়া পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতো দেশের সাধারণ মানুষের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বশান্তি রক্ষার দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রগুলো কিভাবে এই সংঘাত ঠেকাবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button