
সংবাদ প্রতিবেদন:
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার এক সপ্তাহ না যেতেই ইরানের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইরানের আরাক, ইসফাহান, নাতাঞ্জ এবং রাজধানী তেহরানের আশপাশের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব স্থাপনা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল ভিত্তি হিসেবে পরিচিত। আরাক ও নাতাঞ্জে পারমাণবিক গবেষণা ও সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প চলছিল বহু বছর ধরে। হামলার ফলে এসব কার্যক্রমে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মহলে এ ইস্যু ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়তে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তাদের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র ডেভিড ল্যামি জেনেভায় এক বৈঠকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দেশের দীর্ঘমেয়াদী উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করবেন। তিনি সেখানে একটি কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার ওপর জোর দেবেন বলেও জানান ব্রিটিশ মন্ত্রণালয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার অর্থ শুধু সামরিক হামলা নয় এটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যখন বিশ্বের বড় শক্তিগুলো মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে দ্বিধা ও দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
এর আগে, ইসরায়েলের একাধিক ড্রোন হামলায় তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরান প্রথমে হামলার কথা অস্বীকার করলেও পরে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ধীরে ধীরে স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক পদক্ষেপ এখন বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।