ইরানে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ, প্রেসিডেন্টও যোগ দিলেন প্রতিবাদে

ইরানের রাজধানী তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। রোববার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিতে তেহরানে সমবেত হয়।
বিক্ষোভকারীরা ‘আমেরিকার আগ্রাসন রুখে দাও’, ‘আমেরিকা চিরদিন হেরে যাবে’, ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’—এর মতো নানা শ্লোগান দেন। তাদের হাতে ছিল ইরানি জাতীয় পতাকা, নিহত পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের ছবি এবং মার্কিন ও ইসরায়েলি নেতাদের কুশপুতুল। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ব্যানারে লিখেছিল, ‘আমরা আত্মসমর্পণ করব না’, ‘হামলার জবাব আসবেই’ এবং ‘পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের রক্ত বৃথা যাবে না’।
একজন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী বলেন, “এই হামলা শুধু ইরানের নয়, পুরো মুসলিম বিশ্বের ওপর আঘাত। আমেরিকা বুঝতে পারছে না, ইরান কখনো মাথা নত করে না।”
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ বিক্ষোভ সম্প্রচার করেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা জনগণকে আরও সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
তেহরানের আজাদি স্কয়ার, ফার্দৌসি স্কয়ার, ইমাম হোমেইনি মসজিদ ও পার্লামেন্ট ভবনের সামনে প্রধানত বিক্ষোভগুলো হয়। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতার পাশে দাঁড়ান। এছাড়াও দেশের অন্যান্য শহর ও শহরতলিতেও ছোটখাটো বিক্ষোভ চলে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রতিবাদ শুধু সরকারের পক্ষ থেকে নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও জাতীয় একতা ও ক্ষোভ স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে সামরিক অভিযানে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনাটি ইরানের জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও প্রতিরোধের সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশটির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।