জিএসএলের সঙ্গে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের সংঘাত- রংপুর রাইডার্সের দলে কে আছেন কে নেই
স্পোর্টস ডেস্ক
গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) দ্বিতীয় আসর সামনে রেখে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। আগামী ১০ জুলাই থেকে গায়ানার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত এই আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত।
রংপুর রাইডার্সের নেতৃত্বে থাকছেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান । গত আসরেও তাঁর অধিনায়কত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর। এবারও তিনি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করছেন দলের সমর্থকেরা।
সৌম্য সরকারের প্রত্যাবর্তন, নেই মেহেদী হাসান
দলে রাখা হয়েছে আগের আসরের অন্যতম সেরা পারফরমার সৌম্য সরকার কে। বাঁহাতি এই ওপেনার প্রথম আসরে ৫ ম্যাচে ১৮৮ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। তাঁর দুইটি অর্ধশতক ছিল প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি।
তবে স্কোয়াডে নেই স্পিনার মেহেদী হাসান। তিনি গত আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছিলেন। এবারের স্কোয়াডে না থাকায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের আসন্ন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। একই তারিখে শুরু হওয়া এই আন্তর্জাতিক সিরিজে সৌম্য সরকারও ডাক পেতে পারেন, যদিও গত দুই সিরিজে তিনি ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি।
বিদেশি তারকায় জ্বলছে রংপুরের স্কোয়াড
বিদেশি কোটায় রংপুর রাইডার্স দলে ভিড়িয়েছে কয়েকজন হাই-প্রোফাইল ক্রিকেটার। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স, দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ লেগস্পিনার তাব্রেইজ শামসি, এবং আফগানিস্তানের প্রতিভাবান ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান তাঁরা রংপুরের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন।
বিশেষ করে শামসির মতো একজন অভিজ্ঞ স্পিনার দলে থাকায় রংপুরের বোলিং আক্রমণ আরও বৈচিত্র্যময় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি শক্তি: তিন তারকার প্রত্যাবর্তন
দলে রয়েছে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার, যাঁরা বিপিএলের সর্বশেষ মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন।
ইফতিখার আহমেদ: বিপিএলে রংপুরের হয়ে খেলেছেন, রান করেছিলেন ৩০৫। মিডল অর্ডারে আস্থার প্রতীক।
আকিফ জাভেদ: গত আসরে ছিলেন সবচেয়ে সফল পেসারদের একজন। ২০ উইকেট নিয়ে ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
খাজা নাফা: চট্টগ্রামের হয়ে ৫ ম্যাচে করেছিলেন ২০১ রান। এবারে রংপুরের হয়ে খেলবেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এই তিনজনের পারফরম্যান্স আগেই নজর কেড়েছে। এবারও তাঁরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন বলে বিশ্বাস করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
রংপুরের শিরোপা ধরে রাখার লড়াই
চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নামার চ্যালেঞ্জটা সবসময়ই একটু বাড়তি। রংপুর রাইডার্স সে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। অভিজ্ঞতা, প্রতিভা, এবং ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াডের মিশেলে দলটি আবারও ট্রফির দাবিদার।
টুর্নামেন্ট শুরুর আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ থাকবে সোহানদের দিকেই দেখা যাক, রংপুর আবারও গ্লোবাল সুপার লিগে শিরোপা ছিনিয়ে নিতে পারে কিনা।