চলক কাকে বলে? চলক কত প্রকার ও কি কি?
চলক কাকে বলে: সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আমাদের ওয়েবসাইটের উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা – চলক কাকে বলে,, সংখ্যাবাচক চলক কাকে বলে,, চলক কত প্রকার,, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গণিতের বিভিন্ন শাখার এবং সংখ্যা সমূহ ব্যবহার করে চলকের মান নির্ণয় বা চলক নির্ণয় করা হয়। এক্ষেত্রে গণিতের সংখ্যা সূচক বা সংখ্যাকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চলকের বিভিন্ন প্রকারভেদ এবং চলক নির্ণয়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য।
তবে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে বা সংখ্যাবাচক বিভিন্ন শব্দ সম্পর্কে ভালোভাবে জানার ক্ষেত্রে চলক সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কেননা চলক হল গণিতের অন্যতম শাখার একটি আলোচ্য বিষয়।
চলক কাকে বলে?
যে সকল রাশির মান পরিবর্তন করা যায় সে সকল রাশির প্রতীককে চলক বলে। অর্থাৎ গণিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাশি যেগুলোর মান পরিবর্তন হতে পারে সেগুলোকে চলক বলা হয়। যে পরিমাপ অথবা বৈশিষ্ট্যের কারণে বিভিন্ন পরিসংখ্যান বা শ্রেণী থাকে তাকে চলক বলি।
সাধারণত চলকের মান পরিবর্তনশীল তাই সংখ্যা দিয়ে চল ওকে প্রকাশ করা যায় না। এজন্য চলো কে প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন প্রতীক দিয়ে।
যেমন:-
A,B,C,D……..
X, Y,Z…….. ইত্যাদি।
সংখ্যাবাচক চলক কাকে বলে?
যে সকল চলক সমূহ শ্রেণীগতভাবে অথবা সংখ্যা কত ভাবে পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে এবং যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক হিসেবে লিঙ্গ, সিরিয়ালের ব্র্যান্ড, উচ্চতা, ওজন, প্রতি ঘন্টায় মাইল, সংখ্যা সূচক বিভিন্ন বিষয়, রংধনুর রং ইত্যাদি বোঝায় তাকে সংখ্যাবাচক চলক বলে।
যেমন :
১,২,৩,…. ইত্যাদি
চলক কত প্রকার?
সাধারণত চলককে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হয়ে থাকে। নিম্নে চলকের প্রকারভেদ দেওয়া হল :-
→ চলককে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো হলো :-
১. গুণবাচক চলক,,
২. সংখ্যাবাচক চলক,,,
১. গুণবাচক চলক:-
যে চলক কে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না তাকে গুণবাচক বৈশিষ্ট্য দিয়ে প্রকাশ করা যায় সে সকল চরকসমূহ কে গুণবাচক চলক বলে। যেমন : ভালোলাগা, খারাপ লাগা, অনুভূতি ইত্যাদি।
→ এছাড়াও গুণবাচক চলক দুই প্রকারের। সেগুলো হলো :-
১) বিচ্ছিন্ন চলক।
২) অবিচ্ছিন্ন চলক।
১) বিচ্ছিন্ন চলক:-
যে সকল চলক সমূহ কে পূর্ণ সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয় সেগুলোকে বিচ্ছিন্ন চলক বলে। অর্থাৎ জনসংখ্যা কি উপাত্তে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে পূর্ণ সংখ্যা ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এটি একটি বিচ্ছিন্ন চলক।
যেমন : ৫০,৬০,৮০,,,,,, ইত্যাদি।
২) অবিচ্ছিন্ন চলক:-
যে সকল চলকসমূহ কে বাস্তব সংখ্যার মান হিসেবে প্রকাশ করা যায় না সেগুলোকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলে। অর্থাৎ তাপমাত্রা বা উপাত্তে ব্যবহৃত বিভিন্ন সংখ্যা পাশাপাশি উচ্চতার ক্ষেত্রে বাস্তব সংখ্যার মান হিসেবে অবিচ্ছিন্ন আকারে যে চলক সমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলোকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলে।
যেমন :- তার উচ্চতা হলো ৫.৮ ইঞ্চি, আজকের তাপমাত্রা হলো ২৬.৯ ° ইত্যাদি।
২. সংখ্যাবাচক চলক :-
যে সকল চরক সম্মুখে সংখ্যার বৈশিষ্ট্য হিসেবে প্রাধান্য দেয়া হয় এবং তার মানকে প্রকাশ করে তাকে বলা হয় সংখ্যা বাচক চলক।
যেমন :- যে কোন কিছুর পরিমাপ, ওজন এবং নম্বর ইত্যাদি।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে চলো কাকে বলে এবং চলকের বিভিন্ন প্রকারভেদ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি চলক সম্পর্কিত যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।