গনিত

অংক কাকে বলে? অংক কত প্রকার ও কী কী?

অংক কাকে বলে :-আসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ। আপনারা আমাদের উক্ত পোস্টে পড়ার মাধ্যমে – অংক কাকে বলে,,অংক কত প্রকার ও কী কী,,,সহকারী অংক কাকে বলে,,,স্বাভাবিক অংক কাকে বলে,,, ইত্যাদি সম্পর্কে যত্রতভাবে জানতে পারবেন। 

হিসাব করার ক্ষেত্রে বা সংখ্যা গণনা করার ক্ষেত্রে অংক একটি অন্যতম মাধ্যম। কেননা যে কোন অংক ব্যবহার করে বা গণনা না করে সর্বদা সংখ্যা পদ্ধতির বা হিসেবের কাজ করা যায় না। 

এজন্য গণনা করার জন্য, হিসাব-নিকাশ করার জন্য বা সংখ্যা পদ্ধতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার ক্ষেত্রে অংকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। 

ফলে, শিক্ষার্থীদের অংক সম্পর্কে ধারনা পাওয়ার জন্য এবং গাণিতিক বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে যে অংক গুলো মুখ্য সেগুলো জানার মাধ্যমে অংকের প্রতি জ্ঞান অর্জনে ভূমিকা উল্লেখ যোগ্য।

অংক কাকে বলে? 

গণনা করার জন্য যে সকল সংখ্যা গঠনের মাধ্যমে সংখ্যা সমূহকে প্রতিবার চিন্তা দ্বারা ব্যবহার করা হয় তাকে অংক বলে।অর্থাৎ শূন্য থেকে নয় পর্যন্ত যে সকল প্রতীক রয়েছে সে সকল প্রতীকগুলোকে অংক বলা হয়। গণিতের শাখায় মোট অংকের প্রতীক রয়েছে দশটি। 

অংকের প্রতীকসমূহ যথাক্রমে :- ০, ১,২,৩,৪,৫;৬,৭,৮,৯,,,,,

অর্থাৎ গননা করার সুবিধার্থে সংখ্যাগুলোকে প্রতীক আকারে ব্যবহার করার মাধ্যম বা ব্যবহার করাকে অংক বলা হয়। 

অংক কাকে বলে অংক কত প্রকার ও কী কী
অংক কাকে বলে অংক কত প্রকার ও কী কী

অংক কত প্রকার ও কী কী?

অংককে সাধারণভাবে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যেতে পারে।  এবং সেটা তাদের পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। তবে জনপ্রিয় যে সকল পদ্ধতি রয়েছে সেই সংখ্যা পদ্ধতিতে অংক কে চার ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো যথাক্রমে হলো :-

১. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি,,,

২. বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতি,,, 

৩. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি,,, 

৪. হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি,,,

এছাড়াও দশমিক পদ্ধতির অংক কে আবার দুই প্রকারে ভাগ করা যেতে পারে। সেগুলো হলো :- 

১. সার্থক বা স্বাভাবিক  অংক।

২.সহকারী অংক।

সহকারী অংক কাকে বলে?

যে সকল অঙ্গসমূহ একটি বড় সংখ্যা লেখার ক্ষেত্রে শেষে এবং মাঝখানে বসে বিভিন্নভাবে সংখ্যার মান পরিবর্তন করতে পারলেও, অংক গুলো প্রথমে বসে মানুষ তেমন কোন পরিবর্তন করতে পারে না সে সকল অংকগুলোকে সহকারী অংক বলা হয়। 

যেমন :-

সংখ্যা পদ্ধতির অংকের মধ্যে সরকারি অংক হলো ০ এবং ১,,,,,,,

যেমনঃ 

৫৬৭ একটি সংখ্যা। এই সংখ্যাটির শেষে যদি  ০ যোগ করা হয় তাহলে  নতুন আরেকটি সংখ্যা ৫৬৭০  হয়। কিন্ত ৫৬৭  সংখ্যাটির পূর্বে যদি ০ বসানো হয় তাহলে,  সংখাটির মানের কোন পরিবর্তন হয় না। 

স্বাভাবিক অংক কাকে বলে?

গণিতের যে সকল অংক সমূহ নিজস্ব মান বিদ্যমান থাকে সেগুলোকে স্বাভাবিক অংক বলা হয়। অর্থাৎ যে সকল অংক গুলো মূলত কোন সংখ্যার সামনে বা পিছনে অথবা যদি মাঝখানে বসে সংখ্যার গঠন করে তাহলে উক্ত সংখ্যা সমূহকে স্বাভাবিক অংক বা সার্থক অংক বলা হয়। 

 ১,২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯,,,,, অংক গুলো হলো স্বাভাবিক অংক। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে অংক কাকে বলে,, অংক কত প্রকার ও কি কি,, অংকের বিভিন্ন প্রকারভেদ,,, স্বাভাবিক অংক কাকে বলে,,, সহকারি অংক কাকে বলে,,, ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনারা অংক সম্পর্কিত যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button