
ইরানে মার্কিন হামলা: সংঘর্ষে নতুন অধ্যায়, চাপে বিশ্ব
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের ভেতরে তিনটি সামরিক স্থাপনায় ‘সফল ও নির্ভুল’ বোমা হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই হামলার প্রকৃত ফলাফল ও এর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনাকে সরাসরি সংঘাতে রূপ দিতে পারে। ট্রাম্প নিজেও স্বীকার করেছেন, পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
আইনি ও কূটনৈতিক প্রশ্ন
এ হামলার আগে কংগ্রেস বা জাতিসংঘের কোনো সম্মতি ছিল না, ফলে এটিকে কতটা বৈধ বা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলা যায়, তা নিয়েও বিতর্ক চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এই হামলা কি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ ডেকে আনবে?
ইরানের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে?
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যদি আমেরিকা যুদ্ধের পথে হাঁটে, তাদের যে ক্ষতি হবে তা কখনও পূরণ করা সম্ভব হবে না।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের সামনে প্রতিক্রিয়া জানানোর বহু পথ খোলা রয়েছে
যেমন:
1.ইরাক বা বাহরাইনের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা
2.সাইবার যুদ্ধ
3.কূটনৈতিক ভবনে হামলা
4.অথবা মধ্যপ্রাচ্যের সহযোগী গোষ্ঠীগুলো দিয়ে পাল্টা প্রতিশোধ
বৈশ্বিক উদ্বেগ
এই ঘটনার জেরে তেলবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, শেয়ারবাজারে পতন ঘটেছে এবং বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা বেড়েছে। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য আবারও এক অনিশ্চয়তা ও বিপদের মুখোমুখি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান দুই পক্ষই এখন এমন এক পথে পা দিয়েছে, যেখানে একটিমাত্র ভুল পদক্ষেপ গোটা অঞ্চলকে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে ঠেলে দিতে পারে।