গনিতশিক্ষা

বিচ্ছিন্ন চলক কাকে বলে

বিচ্ছিন্ন চলক কাকে বলে: গণিতের বিভিন্ন সংখ্যা সমূহ কে চলক আকারে ভাগ করা হয় অথবা সাজানো হয়। তবে তবে চলক আকারে সাজানো বা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চলকের দুটি স্তরভিত্তিকভাবে তা করা হয়। এক্ষেত্রে চলকের দুটি স্তরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন চলক রয়েছে এবং অবিচ্ছিন্ন চলক রয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন এবং অবিচ্ছিন্ন চলক সম্পর্কে যথাযথভাবে জানার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম চলক রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য এবং সংখ্যাগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। জন্য উঠতে পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে চলক সম্পর্কিত এবং বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন চলক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

গণিতের অন্যতম শাখা, পরিসংখ্যানে বিভিন্ন চলক,  উপাত্ত বা তথ্য হিসেবে ধরে গণসংখ্যার সারণি ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়। এজন্য গণিতের চলক সম্পর্কে এবং পরিসংখ্যান সম্পর্কে যথাযথভাবে জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন চলক

এবং অবিচ্ছিন্ন চলক সম্পর্কে জানার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছন্ন চলক সম্পর্কে জানার মাধ্যমে তা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও অন্যান্য বিষয়ে অবগত হওয়া জরুরি। 

বিচ্ছিন্ন চলক কাকে বলে? bicchinno cholok kake bole

যে চলকের মান শুধুমাত্র পূর্ণ সংখ্যা হয় সে চলকে বিচ্ছিন্ন চলক বলা হয়। অর্থাৎ যে সকল ব্যবহার করা হয় অথবা জনসংখ্যা নির্দেশক হিসেবে পূর্ণ সংখ্যা ব্যবহার করা হয় তাকে বিচ্ছিন্নচালক বলা হয়। 

এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চলকে চলকের মান সমূহ নির্দিষ্ট হয় এবং প্রতিটি মান পূর্ণ সংখ্যা হয়। 

যেমন :- ১০,২০,৫০,৬০,৯০,৩০ ইত্যাদি বিভিন্ন সংখ্যা। 

বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন চলকের উদাহরণ

বিচ্ছিন্ন চলকের উদাহরণ :-

৯০, ৮০, ৭০, ৬০, ৫০, ৪০, ৩০, ২০, ১০, ১২,১৪,১৫,১৮, ২২,২৪, ২৬,  ২৮, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪২, ৪৪, ৪৬, ৪৮, ৫২, ৫৪, ৫৬, ৫৮, ৬২, ৬৪, ৬৬, ৬৮, ৭২, ৭৪, ৭৮, ৯২, ৯৪, ৯৬, ৯৮, ২০০, ৬০০, ৫০০,  ৮০০, ৭০০, ৯০০, ইত্যাদি বিভিন্ন সংখ্যা। 

অবিচ্ছিন্ন জনক এর উদাহরণ :-

১.৮,,  ৫.৯,, ৭.৫,, ৩.৯,, ২.৭,, ২.৯,, ৩.৯,, ৩.৮,, ৩.৬,, ৩.৫,, ৩.৪,, ৩.২,, ৩.১,, ৫.৯,, ৫.৮,, ৫.৭,, ৫.৬,, ৫.৫,, ৫.৪,, ৫.৩,, ৫.২,, ৫.১,, ৯.৯,, ৯.৮,, ৯.৭,, ৯.৬,, ৯.৫,, ৯.৪,, ৯.৩,, ৯.২,, ৯.১,, ৮.৯,, ৮.৭,, ৮.৭,, ৮.৬,, ৮.৫,, ৮.৪,, ৮.৩,, ৮.২,, ৮.১ ইত্যাদি বিভিন্ন সংখ্যা। 

বিচ্ছিন্ন চলক কাকে বলে
বিচ্ছিন্ন চলক কাকে বলে

বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে পার্থক্য

চলকের দুইটি প্রকারভেদ হল বিচ্ছিন্ন চলক এবং অবিচ্ছিন্ন চলক। নিম্নে বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো :-

১. বিচ্ছিন্ন চলক কে নির্দিষ্ট মান্দারা প্রকাশ করা যায় তবে অবিচ্ছিন্ন চলচ্চিত্রে নির্দিষ্ট সীমা মান দ্বারা প্রকাশ করা হয়। 

২. বিচ্ছিন্ন চলকের মান সমূহ কে গণনা করা যায় অন্যদিকে অবিচ্ছিন্নতার লোকের যে মানসমূহ রয়েছে তা গণনা করা যায় না কিন্তু পরিমাপ করা যায়। 

৩. যে চলক গুলো গোটা গোটা মনের রাশি অথবা পূর্ণবর্গ সেগুলোকে বিচ্ছিন্ন চলক বলে। তবে যে চলকগুলো বিভিন্ন পরিসরে মান হিসেবে ব্যবহার করা হয় বা উচ্চতা হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলে। 

৪. বিচ্ছিন্ন চলকের মান সমূহ সাধারণ ভগ্নাংশ হয় না তবে অবিচ্ছিন্ন চলকের মান গুলো সাধারণ ভগ্নাংশের হয়ে থাকে। 

৫. বিচ্ছিন্ন চলক সমূহ অসীম হতে পারে এবং সসীম হতে পারে। তবে অবিচ্ছিন্ন চলক সমূহ শুধুমাত্র চলকের মানসমূহ সর্বদাই অসীম হয়। 

৬. বিচ্ছিন্ন চলকে বহির্ভূক্তি নিবেশন বিন্যস্ত করা যায় এবং অন্তর্ভুক্তি নিবেশনে বিন্যস্ত করা যায়।  তবে অবেচনা চলকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বহির্ভূক্তি নিবেশনে বিনষ্ট করা হয়ে থাকে। 

৭. বিভিন্ন চলক সমূহ বিচ্ছিন্ন অথবা বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন গণসংখ্যা নিবেশন এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় বিচ্ছিন্ন চড়ক সমূহকে।তবে অবিচ্ছিনা চলকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গণসংখ্যা নিবেশন এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। 

৮. চলকের মান গুলো একটি সাথে অন্যটি পৃথক করা যায়। তবে অবিচ্ছিন্ন চলকের মান সমূহ একটি থেকে অন্যটি পৃথক করা যায় না। 

বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন কাকে বলে, উদাহরণ

বিচ্ছিন্ন চলক :-

যে চলকের মান শুধুমাত্র পূর্ণ সংখ্যা হয় সে চলকে বিচ্ছিন্ন চলক বলা হয়। অর্থাৎ যে সকল ব্যবহার করা হয় অথবা জনসংখ্যা নির্দেশক হিসেবে পূর্ণ সংখ্যা ব্যবহার করা হয় তাকে বিচ্ছিন্নচালক বলা হয়। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চলকে চলকের মান সমূহ নির্দিষ্ট হয় এবং প্রতিটি মান পূর্ণ সংখ্যা হয়। 

আরো পড়ুন: শীর্ষ বিন্দু কাকে বলে

উদাহরণ :- ১০,২০,৫০,৬০,৯০,৩০ ইত্যাদি বিভিন্ন সংখ্যা। 

অবিচ্ছিন্ন সংখ্যা :-

যে সকল চলকের মান যেকোনো বাস্তব সংখ্যা তবে পূর্ণবর্গ বা পূর্ণ সংখ্যা নাও হতে পারে সে সকল চলক সমূহকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাপমাত্রা নির্ণয় অথবা তাপমাত্রা নির্দেশ করতে অবিচ্ছিন্ন চলক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও উচ্চতা, ওজন ও বয়সের ক্ষেত্রে অবিচ্ছিন্ন ও বাস্তব সংখ্যাগুলো ব্যবহার করা হয়। 

উদাহরণ : ১.৮,,  ৫.৯,, ৭.৫,, ৩.৯,, ২.৭,, ২.৯,, ৩.৯,, ৩.৮,, ৩.৬,, ৩.৫,, ৩.৪,,ইত্যাদি বিভিন্ন সংখ্যা। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন চলক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন জনক সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button