বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা
বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা: একটি শিশুর বেড়ে ওঠা পর্যন্ত পুষ্টির জন্য সঠিক মাত্রা যেসব সুষম খাদ্য গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু সদ্য জন্ম নেওয়া যে সব নবজাতক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের দৈহিক বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা এবং খাদ্য তালিকা ও এক নয়। যেমন বয়স অনুযায়ী তৈরি করতে হবে শিশুদের সঠিক খাদ্য তালিকা
বয়স অনুযায়ী শিশুর খাদ্য তালিকা যেমন হওয়া উচিত:
2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা
আমরা চেষ্টা করব যে দুই বছরের বাচ্চাকে সব সময় মিনিমাম ৫ থেকে ৮ মিলি যেন প্রোভাইড করা হয়। অর্থাৎ সে small small পাবে আমাদের বড় দের মত হয় তো এক বারে এত সব করতে পারবে না। তাহলে ব্রেকফাস্ট টাকে ১,২, ৩ ভাগে ভাগ করে দেই।
দুই বছরের শিশু খাদ্য সম্পর্কে কথাগুলো জেনে রাখুন। Things to remember about the food. 🥝🥑
দুই বছরে আপনার বেবিকে আশাকরি মোটামুটি আকারে ইঙ্গিতে বা মাথা নেড়ে বোঝাতে পারে যে সে আর খাবে না। সে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে সে আর খাবে না।
দুই বছরের বাচ্চারা একটু খেলেই পেট ভরে যায় এবং তারা খুব একটা খাইতে চায় না। তাই তার ঈদের দিকে খেয়াল রাখুন। বাচ্চা খাইতে না চাইলে তাকে জোর করে একসাথে অনেকটা খাবেন।
এই বয়সে বাচ্চার পেট ভরে গেলে আর খাইতে চাই না। এর কারণে মারা যে কাজগুলো করেন জোর করে বাচ্চাকে খাওয়ার জোর করে বাচ্চাকে না খাওয়ানোর ভালো এতে তার ক্ষতি হতে পারে।
এখন ডাক্তাররা নতুন রিচার্জে দেখা গেছে যে বেশি মাত্রায় চিনি ও নুন ও উচ্চ ফেটে যুক্ত খাবার দিলে বাচ্চার া প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেলতে পারে অর্থাৎ (over-eat) হতে পারে। যা আপনার ছোট কোমলমতি বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। দুই বছরের শিশুর খাবার তালিকা।
ডেয়ারি প্রোডাক্ট: দই, দুধ পনির ইত্যাদি ক্যালসিয়াম থাকে যা শিশুরা হার দাত নখ এর গঠন মজবুত করে।
চিকেন: নন ভেজ ডায়েটের চিকেন এর মাধ্যমে প্রোটিন আয়রন থাকে যেগুলো শিশু সহজে গ্রহণ করতে পারে। এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বাড়ে এবং এনিমিয়ার প্রকোপ থেকে রক্ষা দেয়।
সোয়াবিন: সোয়াবিন থেকে আমরা হেলদি অয়েল পাওয়া যায় যা শিশুদের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য খুবই দরকারি।
মাছ: মাসের মধ্যে এসেনশীল ফ্যাটি এবং এসিড থাকে যা ইমুনিটি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। তাই বাচ্চারা সহজে জ্বর সর্দি কাশিতে ভগে না এবং ভেতর থেকে তরতাজা থাকে।
ড্রাই ফরুটস: আমন্ড, ওয়ালনাট, কাজু, হ্যাজেলনাট, কিশমিশ, খেজুর কাডিওভাসকুলার সিস্টেম এর দক্ষতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
৩ বছরের শিশুর খাবার তালিকা
৩ বছরের শিশুদের জন্য তৈরি স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট। আপনার শিশু সুস্থ এবং শক্তিশালী হোক অবশ্যই আপনি চান প্রত্যেকটা মা-বাবার এটাই চাওয়া।তাই শিশুদের খাবারের সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখা খুবই জরুরী একটি বিষয় আপনার শিশুকে দিন পুষ্টিকর খাবার।
ভোরের দিকের খাওয়ার- ড্রাই এবং মধু সঙ্গে দুধ
সকালের স্ন্যাক দেবেন- একটি পুষ্টিকর ফল।
দুপুরের খাবারের দেবেন- ডাল ও ভাত এর সঙ্গে ডিম বা মুরগির মাংস বা আপনার সাধ্য অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার।
সন্ধ্যাবেলার স্ন্যাক দেবেন- স্যান্ডউইচ
রাতের খাবারে দেবেন- ডাল অথবা মুরগির মাংসের সাথে হালকা পরোটা বা রুটি এবং আপনার সাধ্য অনুযায়ী আপনার বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবেন।
৪ বছরের শিশুর খাবার তালিকা
বাচ্চাদের বুদ্ধি ও বৃদ্ধির বিকাশের জন্য শিশুকে প্রতিনিয়ত সময়মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো খুবই জরুরী। শিশুরা বাড়ন্ত বয়সে সময়মতো সুষম খাবার না খেলে নানান সমস্যায় ভুগতে পারে।
শিশুদের খাওয়ার খাওয়ানো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভোগেন মায়েরা। এ বয়স শিশুকে কি কি খাবার দেবে? কতটুকু খাবার দেবেন কতবার খাওয়াবেন এরকম অনেক প্রশ্ন থাকে।
শিশুদের বয়স ৪ বছরে পৌঁছার পর তার খাবার রুটিনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। এই সময়ে শিশুদের খাবারের প্রতিদিন অবশ্যই প্রাণিজ আমিষ এবং পুষ্টিকর খাবার থাকতেই হবে।পর্যন্ত এই রুটিন অনুসরণ করলে শিশুর সঠিক মানসিক ও শারীরিক সঠিক বিকাশ ঘটতে সাহায্য করবে।
৪ চার বছরের বাচ্চাকে দিনে কতবার খাবার দিতে হবে: বড়দের মতো এই চার বছরে বয়স শিশুদের ও দিনে তিনবার খাবার খাওয়াতে হবে সকাল দুপুর ও রাতে খাবার দিতে হবে।
চেষ্টা করতে হবে প্রতিবেলায় কমপক্ষে ভিন্ন ধরনের খাওয়ার খাওয়ানো। যেমন: মাছ ভাত ও মাংস ডিম শাকসবজি ও ডাল।
এবং তিন বেলা এসব পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত খেলাধুলা করাতে হবে যাতে সে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে।
৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
পাঁচ বছরের বয়সী শিশুর খাদ্য তালিকা:
খাবারের সময়— খাবারের বিকল্প
মধ্যাহ্নভোজ — যেসহ একটি চা পাতি, আধা বাটি মসুর এক বাটি চাল আধা বাটি সবজি আমের জাতীয় খাবার (ঐচ্ছিক)
সন্ধ্যার স্ন্যাকস— এক গ্লাস মিল্কশেক (আম আপেল কলা ইত্যাদ) স্পউট, ফল
রাতের খাবার— মসুর ডাল, দুটি চা পাতি,দিন, চিকেন এবং এক গ্লাস দুধ।
৮ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
আপনার বাচ্চাকে ৮ মাস থেকে মাছ ডিম মাংস থাকুক শিশুর খাবার তালিকায়। আপনার ছোট সোনা এখন 8 মাসের বাচ্চা। এখন সে সারাঘর ময় আমাগো দিয়ে বেড়ায় আর নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে ব্যস্ত থাকে।
খাওয়াতে গেলে হাত দিয়ে হয়তো খাবার খাচ্ছে নয়তো ছড়িয়ে দিতে চারিদিকে। খাওয়ানোর কষ্ট হয়ে উঠেছে কারণ সে হামাগুড়ি দিচ্ছে আর আপনি তার পিছন পিছন দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এটা বাচ্চাদের সাথে খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয় সব বাচ্চারাই এমন করে থাকে।
এই সময় বেশিরভাগ শিশুদের দুই একটা দাঁত উঠে যায়। শিশুর হাতে কোন কিছু আঁকড়ে ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। এই সময় শিশুকে হাত ধরে খাওয়ানোর শেখানোর উপযুক্ত একটি সময় যেহেতু খেয়ে দিন দিন বড় হচ্ছে আর তার বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেছে তাই তার খাবারের অনেক নতুন আইটেম যোগ করতে হবে।
৮ মাস বয়সী শিশুর বাঙালি খাবারের তালিকা:
ফল ও শাকসবজি
- ব্রকলি
- বাঁধাকপি
- ডাবের পানি
- কিউই
- বেদনা
- মোসাম্বি লেবু
- আনারস
ডাল ও দানা শস্য
- দালিয়া
- ছোলা
- আটা
- চিড়ে
দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য
- ফোনের
- দই
আমিষ
- ডিমের কুসুম
- মাছ
মসলা
- ধনেপাতা
- কারি পাতা
- পুদিনা পাতা
- সর্ষে
- মেথি
- আদা
- পেঁয়াজ
১২ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
দেখতে দেখতে আপনার পুচকিটি ১২ মাসে পা দিল শুয়ে শুয়ে হাত পা ছড়ার দিনটা কবেই চলে গেছে এখন সে এদিকে ওদিকে আকড়ে ধরে নিজের দু পায়ে ভর দিয়ে হাটি হাটি করার ইচ্ছেটা তার নেহাত কম নয়।
তাই এখন তার খাবারের যোগ হবে ভারী খাবার এবং ভালো পুষ্টিকর খাবার। আর সে কথা রেখে আজকের ১২ মাসের বাচ্চার জন্য খাবার তালিকা।
আপনার বারো মাসের বাচ্চাকে সিদ্ধ ডিমের কুসুম কাতলা মাছ আর মুরগির মাংস স্টক খাওয়ানোর শুরু করে দিন আপনার ছোট্ট সোনাটাকে।
এবার ওর খাবারে যোগ করুন শিং, মাগুর ও জিওল মাছের পদ। মাংসের স্ট্রোকের সাথে ছোট মাংসের টুকরো ডিমের সাদা ওর পাতে দেবেন ১২ মাস হয়ে গেলেই এই খাবারগুলো ওর খাবারের+ দেবেন।এবং একটা কথা মনে রাখবেন আপনার বাচ্চাকে নিজ হাতে খাওয়ানো শেখাবেন খাবারের উপর আগ্রহ জন্মাবে এভাবে।
এবং আপনার ১২ মাস বাচ্চাটিকে অবশ্যই দুধ খাওয়াবেন এবং আপনার বাচ্চাটিকে খাওয়াবেন দুধ দই মাংস মিষ্টি আপেল কমলা বেদেনা।এবং আপনার শিশুকে আপনার সাধ্য অনুযায়ী যতটুকু পারেন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুন: আঁশযুক্ত খাবার কি কি
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি আপনার বাচ্চাকে খেলাধুলাতেও রাখবেন কারণ 12 মাসের বাচ্চাকে যদি আপনি ছোট ছোট খেলাখেলান তাহলে ওর মানসিক বিকাশ ঘটবে
(ধন্যবাদ)