
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সামরিক হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তার এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আব্বাস আরাঘচি বলেন, “যখন আমাদের মুসলিম ভাই-বোনেরা নিরপরাধভাবে হামলার শিকার হচ্ছে, তখন আলোচনা নয়, প্রতিরোধই ইরানের অগ্রাধিকার।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইরান শান্তি চায়, তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরব থাকা তাদের নীতির পরিপন্থী।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য এক আন্তর্জাতিক বৈঠকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করবেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেবেন বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা টানাপোড়েনের মূল কারণ পারমাণবিক কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার। ফিলিস্তিনে চলমান সহিংসতা সেই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ফলত, এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ঘোলাটে ও সংবেদনশীল। বিশ্বমহল তাকিয়ে আছে, পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয় ইরান এবং কীভাবে পশ্চিমারা তার জবাব দেয়।