শিক্ষাসাধারণ জ্ঞান

সড়ক দুর্ঘটনা কাকে বলে? সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়

সড়ক দুর্ঘটনা কাকে বলে:বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা সৃষ্টি করছে। যে কারণে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সকলে সচেতন হওয়া খুবই জরুরী। এজন্য সড়ক দুর্ঘটনা কাকে বলে এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।

সড়ক দুর্ঘটনা হলো সামাজিক সমস্যা মূলক একটি সমস্যা।  সড়ক দুর্ঘটনা একটি মারাত্মক সমস্যা যা মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।  সড়ক দুর্ঘটনাকে এড়িয়ে চলার জন্য এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে  সকলকে সচেতন হওয়ার জরুরী। 

সড়ক দুর্ঘটনা কাকে বলে এবং এর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন ও সকলের এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার দরকার। 

সড়ক দুর্ঘটনা কি

সাধারণভাবে রাস্তায় যানবাহনের বিভিন্ন ত্রুটি মূলক সমস্যা বাচালকদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে যে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তা হলো সড়ক দুর্ঘটনা। 

দুর্ঘটনা হলো তাৎক্ষণিক একটি সমস্যা যে সমস্যার মুখোমুখি যাত্রীসহ বিভিন্ন চালকদের হতে হয়। তবে এক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চালকেরা দায়ী থাকে। 

সড়ক দুর্ঘটনা কাকে বলে

সাধারণভাবে বিভিন্ন ধরনের রাস্তায় যে ধরনের দুর্ঘটনা গঠিত হয়ে থাকে সে দুর্ঘটনা সমূহকে সড়ক দুর্ঘটনা বলা হয়। 

সড়ক দুর্ঘটনা সাধারণত যানবাহনের সাথে সম্পর্কিত। যানবাহন চলাচলের জন্য বিভিন্নভাবে যদি অসচেতন সে ক্ষেত্রে রাস্তায় যে ধরনের দুর্ঘটনা পতিত হয়ে থাকে তাকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে। 

সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমান সময়ে একটি মারাত্মক সমস্যা। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ এই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে। 

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিরোধের উপায় গুলো হলো :-

১. ট্রাফিক আইন লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা। 

২. গাড়ি ছাড়ার পূর্বে গাড়ির ইঞ্জিন পরীক্ষা করে নেওয়া। 

৩. পথচারীদের পথ পাড়াপাড়ি বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা। যেমন:- প্রথমে ডানে ও পরে বামে এবং পরে আবার ডানে তাকিয়ে রাস্তা পার হতে হবে। 

৪. পথচারীদের চলাচলের জন্য সড়কের পাশ দিয়ে ফুটপাত নির্মাণ। 

৫. জনকীর্ণ স্থানে খুব প্রশস্ত রাস্তা ও রাস্তার মাঝে ছোট দেয়াল বসানো,, যাতে গাড়ি এক পাশে রাস্তা দিয়ে শুধুমাত্র যাওয়া এবং অন্যপাশে রাস্তা দিয়ে শুধু আসার ব্যবস্থা থাকে। 

৬.ট্রাক চালকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ সতর্কবাণী আরোপ করা। 

৭.লাইসেন্স প্রদানের আগে চালকের দক্ষতা ও যোগ্যতা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। 

৮.লাইসেন্সবিহীন চালক যাতে গাড়ি চালাতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

৯. গাড়ি রাস্তায় বের হওয়ার আগে তা যান্ত্রিক ত্রুটিমুক্ত কিনা তা দেখতে হবে। 

১০. ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এমনকি পথচারী কেউ এ আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। 

১১. অনেক সময় চালক নেশাগ্রস্ত থাকে। এজন্য পরিবহন মালিকদের সদ ও ভদ্রচালক নিয়োগ করতে হবে। 

১২. বড় বড় শহরগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। 

সড়ক দুর্ঘটনা রচনা

 

°°°°রচনা°°°°

^^^^^^ সড়ক দুর্ঘটনা ^^^^^^^^

ভূমিকা : 

বর্তমানে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোরের আলোয় পৃথিবী আলোকিত হতে না হতেই শুরু হয় মানুষের কর্মব্যস্ততা।

আর এই ব্যস্ততার মধ্যে ঘটে যায় নানান দুর্ঘটনা। আর এই নানান দুর্ঘটনার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অন্যতম। আপন আপন নিত্যনৈমিতিক কাজে যখন সকালে বেরিয়ে পড়ে তখন শুরু হয় রাস্তাঘাটে এলোপাতাড়ি গাড়ির ছোটাছুটি । সেই সাথে পিঁপড়ের শাড়ির মতো জোনাকীর্ণ হয় পথঘাট। 

সড়ক দুর্ঘটনার ধরন : 

সকাল বেলা ঘুমের আলশ্যতার মধ্য দিয়ে পত্রিকার পাতায় চোখ খুললেই দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন খবর। আজকাল সড়ক দুর্ঘটনার খবর যেন দৈনিক পত্রিকাগুলোতে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

আমাদের দেশে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে নির্মমভাবে।  যেমন বাস ও মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অথবা বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে, ট্রাক অথবা বাস- মিনি বাসের সাথে বেবি – ট্যাক্সির ধাক্কায়,

বাস- মিনিবাস ওট্রাক পিছন দিক থেকে রিক্সা কে ধাক্কা দিয়ে, গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে; এমনকি পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হবার সময় অনেক পথচারী দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় না। এসব দুর্ঘটনা দেখে মনে হয় মৃত্যু যেন ওত পেতে বসে আছে রাস্তার অলিতে গলিতে। 

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ :

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে কয়েকটি প্রধান বিষয়কে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সেগুলো হলো অপ্রসস্ত রাস্তা, যান-বাহনের প্রচুরতা, ট্রাফিক ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণতা, ভাঙ্গা রাস্তা, গাড়ির ত্রুটিপূর্ণ  ইঞ্জিন, চালকের অমনোযোগিতা ইত্যাদি। 

বর্তমানের লোকসংখ্যা বেড়ে চলছে। কিন্তু মানুষের চলার জন্য রাস্তাঘাট সীমাবদ্ধ ও অপ্রস্ত রয়ে গেছে। এই অপ্রশস্ত রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই দুর্ঘটনা অতি স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে। আমাদের দেশে ট্রাফিক আইন পরিকল্পিত এবং সময়ানুযায়ী নয়। চালকেভুট্টার রা অনেক সময় ট্রাফিক আইন লংঘন করে গাড়ি চালায়। 

যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা ঘটাটা স্বাভাবিক। এদেশের সবচেয়ে বেশি যানবাহন চলাচল গাড়ি রাস্তাগুলোতে দেখা যায় রাস্তা ভাঙ্গা বা রাস্তার উপর গর্ত। এই ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ ভাঙা জায়গায় গাড়ির চাকা পড়লে গাড়ি উল্টে গিয়ে অথবা খাদে পড়ে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে। 

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে গাড়িচালকদের অযোগ্যতা ও অবহেলাকে অনেকাংশে দায়ী করা যেতে পারে। বিশেষ করে আমাদের দেশের গাড়ির ড্রাইভারেরা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না নিয়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামে।

অনেক সময় বদলি ড্রাইভার এর পরিবর্তে হেলপারকে দিয়েও গাড়ি চালানো হয়। আবার অনেক ড্রাইভার মদ খেয়ে অবহেলার সাথে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় গাড়ি চালায়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। 

আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে ট্রাক চালকদের কারণে। তারা রাস্তাঘাটে বেপরোয়া গাড়ি চালাই। যার কারণে হঠাৎ করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। অনেক সময় পথচারীদের বাঁচাতে গিয়ে চালকেরা দুর্ঘটনা ঘটায়।

পথচারীদের যানবাহন চলাচলকারী রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। এছাড়াও গাড়িতে অতিরিক্ত মাল ও যাত্রী বহন, গাড়ির হেলপারদের অসতর্কতা, ইঞ্জিনে গোলযেগ ইত্যাদির কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে । 

সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যু ও স্বাভাবিক মৃত্যু। এই দুর্ঘটনার কবলে পড়লে অকালে জীবন ঝরে যায়। সেই সুখ গোটা পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের বুকে শেয়ালের মতো বেঁধে থাকে। এই দুর্ঘটনা আবার অনেককে চিরদিনের মত পঙ্গু করে দেয়।

আর তার সেই পঙ্গুত্বের যন্ত্রণা নিয়ে আজীবন বেঁচে থাকতে হয়। সে পরিবারে একটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সড়ক দুর্ঘটনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারানো ব্যক্তি শুধু পরিবারের বোঝা নয় জাতীয় জীবনেও বোঝা স্বরূপ। কারণ, এমনও দেখা যায় যে, ওই ব্যক্তিটি চিরদিনের জন্য পথে পথে ভিক্ষা করে খেতে হয়। 

প্রতিকার :

সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন :-

ট্রাফিক আইন আধুনিকীকরণ : ক্রমা বর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে প্রথমে ট্রাফিক আইনের আধুনিকীকরণ করতে হবে।

যেকোনো গাড়ির সড়কে চলাচলের মেয়াদ ১৫ বছর নির্ধারিত করতে হবে। বেআইনিভাবে গাড়ির অতিরিক্ত আসন সংযোজন যাত্রী বা মালামাল পরিবহনের জন্য শাস্তি ও জরিমানা বৃদ্ধি করতে হবে এবং কার্যকর করতে হবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

আইন প্রয়োগে আন্তরিক প্রয়াস : প্রচলিত ট্রাফিক আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। ট্রাফিক পুলিশ আকণ্ঠ দুর্নীতে নিমজ্জিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট প্রদান প্রকৃতি ক্ষেত্রে বিআরটিএকে প্রদর্শন করতে হবে। 

সড়ক সংস্কার : আমাদের দেশের রাজপথ ও মহাসড়কগুলো সংকীর্ণ, আঁকাবাঁকা ও ভারী যান চলাচলের অনুপযোগী, চাপা রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়।

সড়কগুলো প্রশস্ত করার পাশাপাশি ডিভাইডার এর ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তায় প্রায় মুখোমুখি সংঘর্ষের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ধরনের রাস্তায় ওভারটেকিং করতে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। রাস্তা কি সোজা করে প্রশস্ত করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা যেতে পারে। 

চালকদের প্রশিক্ষণ :- প্রশিক্খন বিহীন চালকরা অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের ব্যাপারে তাদেরকে সজাগ করে দিতে হবে।

তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তারা মানুষের জীবনের মূল্য সম্পর্কে উদাসীন। ফলে তারা প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালায়। জ্ঞান বৃদ্ধি ও জান চালানোর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। 

ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ :- উন্নত বিশ্বের ট্রাফিক ব্যবস্থা কম্পিউটারাইজড। ফলে সকল ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজন হয় না।

গভীর রাতে নির্জন পথেও যদি কোন চালক ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে তা কম্পিউটারে ধরা পড়ে। এজন্য তাকে যথাযথ শাস্তি ভোগ করতে হয়। আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের। সনাতন ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিবর্তন করে আধুনিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। 

উপসংহার :-

সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে একটি আতঙ্কের নাম। এর কবলে পড়ে মানুষের জীবন অকালে ঝরে পড়ে। পথ হয়ে উঠে মানুষের শত্রু। কারণ পথ চলতে মানুষের দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু তবু মানুষকে পথ চলতে হয়।

মানুষের পথ চলা যতদিন থাকবে, দুর্ঘটনাও ততদিন থাকবে। এটাৎক্ষণিক মৃত্যুর হাতে কে কখন পড়বে, তা নির্ধারণ করা কঠিন। এ মৃত্যু বড় বেদনাদায়ক ও বড় ভয়ংকর। অবসান নেই। তাই এর প্রতিকার করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। কারণ পৃথিবীতে কে চায় অকালে ঝরে যেতে? 

সড়ক দুর্ঘটনা কাকে বলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়
সড়ক দুর্ঘটনা কাকে বলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন

প্রতিবেদন : সড়ক দুর্ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি ও দুরবস্থা 

নিজস্ব প্রতিবেদক //যাত্রাবাড়ী //২৩ শে নভেম্বর ২০২৩ 

বর্তমানে রাস্তাঘাটের দুরবস্থার প্রকৃত উদাহরণ যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান রাস্তাটির কথা উল্লেখ করতে হয়। রাস্তাটির দুরবস্থার দরুন যাত্রীরা নাজেহাল হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সড়কটির বর্তমানে ভাঙাচোরা অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করছেন ভোগান্তির শিকার হয়ে। কেননা ঢাকার সাথে দেশের পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই রাস্তা। দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা, যাতায়াত, মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অপেক্ষায় থাকলেও তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। বরং বর্তমানের যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলার কারণে রাস্তার পরিস্থিতি আরো অবনত হচ্ছে।

বৃদ্ধি পেয়েছে জনগণের ভোগান্তি। যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকার পূর্বাঞ্চলের আশেপাশের এলাকার পৌঁচাতে যে সময় লাগে, তার চেয়ে অন্তত দুজন সময় লাগে যাত্রাবাড়ী থেকে একই দূরত্বে অবস্থিত গুলিস্তান পৌঁছাতে। ঘর থেকে সময় ধরে বেরোলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো হয়ে পড়ে অসম্ভব।

ভাঙাচোরা এবং অপ্রশস্ত্র রাস্তার ধরুন অধিকাংশ সময়ে যানজটের কবলে পড়তে হয়। শিকার হতে হয় প্রচন্ড ধুলাবালির। তাছাড়া মাত্র আরেকতো জাকনের ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে কর্ম হারিয়ে ফেলে অনেকে। পরিবহন মালিকদের অভিযোগের শেষ নেই।

রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে তাদের লোকশান গুনতে হয় প্রতিনিয়ত। রাস্তা খারাপের ধরুন এবং সুষ্ঠু যানজটে তাদের সংখ্যা যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি গাড়িও নষ্ট হচ্ছে প্রায়শ। বড় অংকের আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে হচ্ছে মালিকদের।

ফলে ক্রমশ সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।  এ অবস্থায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এই রাস্তায় যাতায়াতকারী মানুষেরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিষয়টির উপর নজর দেবে, এ প্রত্যাশা সকলের। 

প্রতিবেদনের শিরোনাম সড়ক দুর্ঘটনা 

সরেজমিনের তদন্তের স্থান : যাত্রাবাড়ী 

প্রতিবেদকের নাম : ‘ক’

ঠিকানা : যাত্রাবাড়ি, ঢাকা 

প্রতিবেদন তৈরীর সময় : সকাল পাঁচটা 

তারিখ : ২৩ শে নভেম্বর ২০২৩ 

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ

বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা এত বেশি হয় যে প্রতিদিন এতে প্রায় গড়ে  ৫ জন লোক মারা যায়। মাঝে মাঝে এর ভয়াবহতা এত বেশি হয় যে অনেক লোক একসাথে মারা যায়।

টাঙ্গাইল জেলার ইছাপুরে এমনই এক দুর্ঘটনায় ১৯৯৮ সালের ৭৯ জন যাত্রী নিহত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় সড়ক দুর্ঘটনা। বাংলাদেশের তিন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান। সড়ক পথ, কোনো পথ এবং আকাশ পথ। 

বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। এছাড়াও রেলপথ আছে।। বাংলাদেশের রেলপথ ব্রডগেজ, মিটার গেজগেছে এবং ডাবলগেজ এই তিন ধরনের আছে।

সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় এবং দেশের উন্নয়নে এগুলোর ভূমিকা ও জোরালো। বাংলাদেশের নৌপথ খুব জনপ্রিয়। অভ্যন্তরীণ এলাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে নৌযানের ব্যবহার  ব্যাপকভাবে চোখে পড়ে।

বিমান পথে যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যয় ভুল হলেও এ পথের ব্যবহার ও ক্রমশ বাড়ছে। তবে সার্বিক বিবেচনায় দেশের সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে। ফলে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। 

বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার হার ক্রমেই বাড়ছে। স্বাধীনতার পর জনসংখ্যার হার যে হারে বেড়েছে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হারে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার ধরন নিম্নরূপ :

শহর অঞ্চলে : ঢাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জেলা এবং বিভাগীয় শহরেও মাঝে মাঝে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

ঢাকাই সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগ হয় বাসের সাথে রিক্সার, বাসের বাসের সাথে বাসের, প্রাইভেট কারের সাথে রিক্সার, ট্রেনের সাথে বাসের সংঘর্ষ ইত্যাদি।অপরিকল্পিতভাবে  নগরায়ন ব্যবস্থায় এর জন্য অধিকারের দায়ী।

দূরপাল্লার রাস্তা : বাংলাদেশের বৃহৎ সড়ক দুর্ঘটনা গুলো এখন হয় দূরপাল্লার ভ্রমণে। ঢাকা -আরিচা, সড়কে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়। প্রতিবছরের ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা এ রাস্তায় হত। তবে যমুনা সেতু নির্মাণের পর এই রাস্তায় গাড়ির চাপ কমায় দুর্ঘটনার হার কমেছে।

ইদানিং ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল সড়কে ব্যাপক হারি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। দূরপাল্লার বাস, ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অনেক সময় ফেরিতে উঠতে গিয়ে এবং প্রতিযোগিতামূলক কোন গাড়িতে ওভারটেক করতে গিয়ে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। 

সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে এখন নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বে এত অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। সরকারি হিসেবে এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বছরে প্রায় ২০০। যা,এক সময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।তাই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। 

সকলকে সম্মিলিতভাবে এ সমস্যার সমাধানে কাজ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা যাতে আর কোন মায়ের কুল খালি করতে না পারে তার জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য সকলের স্লোগান এরকম হোক যে -নিরাপদ সড়ক চাই “”””।

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সড়ক দুর্ঘটনা এবং সড়ক দুর্ঘটনার প্রতি উৎস সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি উক্ত পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে যে সকল তথ্য অথবা রচনার ও অনুচ্ছেদ সম্পর্কে পাশাপাশি প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চান তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button