শিক্ষা

পরমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে

পরমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে: মানবাধিকারের পাশাপাশি প্রতিটি মানুষকে মতামতের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। মতামত প্রকাশের এবং সকলকে সমানভাবে মর্যাদা প্রদান করার একটি অন্যতম মাধ্যম হলো পরমতসহিষ্ণুতা।

এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা পরমতসহিষ্ণুতা সম্পর্কে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উক্ত পুস্টের মাধ্যমে  আমরা এ সম্পর্কে যথাযথভাবে আলোচনা করে আপনাদেরকে তা জানাচ্ছি। 

পরমতসহিষ্ণুতা অর্থ কি

পরমতসহিষ্ণুতা শব্দটির অর্থ হলো অন্যের মতামতকে সম্মান করা, প্রাধান্য দেয়া। সামাজিক যেকোনো কাজ থেকে শুরু করে ধর্মের ব্যাপারে প্রধান মূলনীতি বা প্রধান বাক্য হিসেবে অহিংসা পরম ধর্মের মাধ্যমে সকলের মতামতকে সমান আকারে গুরুত্ব দেওয়া এবং মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়া হলো পরমতসহিষ্ণুতা।

পরমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে

সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে তোর উপরে দুর্নীতি কর্মকান্ড সকলের মতামত সমানভাবে পাধান না দেওয়া যাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া, এবং অধিকাংশ মতামত কে প্রাধান্য দেওয়া কে পরমতসহিষ্ণুতা বলে।

এছাড়াও অন্যভাবে বলা যায় যে, অন্যের মতামত কে কোন ভাবে অবজ্ঞা না করে বরং তা যথাযথভাবে সম্মান করা এবং অন্যের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদান করাকে  পরমতসহিষ্ণুতা  বলে।

পরমতসহিষ্ণুতা উদাহরণ

পরমতসহিষ্ণুতা উদাহরণ নিয়ে তুলে ধরা হলো :-

১. এলাকার বাৎসরিক উৎসব নিয়ে আলোচনা সভায় প্রত্যেককে সমানভাবে মতামত দেয়ার সুযোগ দেয়া। 

২. বাৎসরিক খাজনা সকলের মতামত অথবা অধিকাংশের মতামত প্রাধান্য অনুযায়ী নেওয়া। 

৩. নতুন কোন প্রতিষ্ঠান কোন একটি গ্রামে অথবা উপজেলাভিত্তিকভাবে তৈরি করার ক্ষেত্রে সকলের মতামত সমান ভাবে প্রাধান্য দেয়া। 

৪. বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে যারা শিক্ষাগ্রমে বিভিন্ন অংশগ্রহণ করে তাদের সকলকে সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে সুযোগ করে দেয়া। 

৫. আইন সবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আপিল করার ক্ষেত্রে বড় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সমান আইনের আওতায় আনা। 

পরমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে
পরমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে

পরমতসহিষ্ণুতা কোন ধরনের মূল্যবোধ

পরমতসহিষ্ণুতা একজন মানুষকে সুচিন্তা ও বুদ্ধিমত্তা সাহায্যে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে এবং চিন্তাধারাকে স্মরণীয় পর্যায়ে উত্তোলিত করে। যার মাধ্যমে  পরমতসহিষ্ণুতা সামাজিক পারস্পরিক একটি শিক্ষামূলক মূল্যবোধ। 

এছাড়াও যে সকল মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করা এবং সকলকে সমান অধিকারের আহতভুক্ত আনার মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠার ধাপ উন্মোচিত হয় তা হল  পরমতসহিষ্ণুতা। সুতরাং পরমতসহিষ্ণুতা হলো মানবিক সামাজিক এবং বুদ্ধিমত্তামূলক  মূল্যবোধ।

সহিষ্ণুতা কেন প্রয়োজন

সকলে পারস্পরিকভাবে সহযোগিতামূলক সমৃদ্ধি তৈরি করার মাধ্যমে বেঁচে থাকার জন্য  সহিষ্ণুতা প্রয়োজন। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সকল শিক্ষার্থীরা রয়েছে তারাবো

একে অপরের সাথে বন্ধুত্বমূলক আচরণের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে যে সাম্প্রদায়িকতা বা সম্পর্ক গড়ে তুলে তা হল  সহিষ্ণুতা।অর্থাৎ নিজেদের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অধিকারবোধ না দেখিয়ে  বরং সকলকে  সমানভাবে মর্যাদা দেওয়া।

আরো পড়ুন: মাঝারি শিল্প কাকে বলে

পরমতসহিষ্ণুতার সুফল

১. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্ক তৈরি হয়।

২. সমাজে উচুঁ – নিচু ব্যবধান এড়িয়ে সকলকে সম্মান দেওয়া হয়।

৩. মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নয় বরং সম্পৃতি মূলক সম্পর্ক তৈরি হয়। 

৪. একে অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সদয় হওয়া যায়। 

৫. জীবন শৃঙ্খলা ও কল্যাণকর কাজের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। 

৬. সমাজের যেকোন স্তরের সকলের মতামত সমান ভাবে গ্রাহ্য করার ফলে ঐ কবুত সৃষ্টি হয়। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পরমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি উক্ত পোস্টটি পড়ে আপনারা পরমতসহিষ্ণুতা সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button