তাওহিদ কি? তাওহিদ কাকে বলে
তাওহিদ কাকে বলে: ইসলামী শরীয়তের বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের মধ্যে তাওহীদ হলো অন্যতম একটি বিষয়। মহান আল্লাহতালা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী-রাসূলগণকে প্রেরণের মাধ্যমে তাওহীদ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছেন। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তাওহিদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
সমগ্র পৃথিবীর মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি এমনকি সমগ্র সৃষ্টিকুল মহান আল্লাহতালার সৃষ্টি। মহান আল্লাহতালার একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করার মূল উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে বিভিন্ন নবী-রাসূলগণ মানুষকে ইসলামের প্রচার করেছেন।
এজন্য প্রতিটি মুমিনকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে তাওহীদ সম্পর্কে জানতে হবে। পাশাপাশি তাবিদ মেরে মহান আল্লাহতালার একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।
তাওহিদ কি
শরীয়তের বিধি নিষেধ অনুযায়ী মহান আল্লাহ তাআলার এক ও এক অদ্বিতীয় এই হিসেবে স্ত্রীকে স্বীকার করা এবং বিশ্বাস করা হলো তাওহীদ।
অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় এই অস্থায়ী বিশ্বাস রাখা এবং মহান আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করা ও ইবাদতের একমাত্র মালিক হিসেবে বিশেষ স্থাপন করা হলো তাওহীদ।
তাওহীদ অর্থ কি
তাওহীদ শব্দটির অর্থ হলো একত্ববাদ। অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালাকে একত্ববাদ হিসেবে বিশ্বাস করা এবং মহান আল্লাহ তায়ালাকে এক এবং অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে স্বীকার করা। মূলত তাওহী শব্দের অর্থ হলো মহান আল্লাহতালার একত্ববাদী বিশ্বাস করা।
তাওহীদের মূল কথা কি
ঈমানের সর্বপ্রথম সর্ব প্রধান বিষয় হল তাওহীদ।অর্থাৎ মোমেন বা মুসলিম হতে হলে একজন মানুষের সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস করতে হবে।
তাওহীদের বিশ্বাস ব্যতীত কোন ব্যক্তি ঈমান বা ইসলামে প্রবেশ করতে পারে না। ইসলামের সকল শিক্ষা ও আদর্শ তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত। দুনিয়াতে যত নবী রাসুল এসেছেন সকলেই তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন।
সকলের দাওয়াতের মূল কথা ছিল –
”’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বা আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ””
তাওহীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠার জন্য নবী রাসূলগণ আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী (সা:) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছেন। বস্তুত তাওহীদ হলো ঈমানের মূল। ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
তাওহিদ কাকে বলে
শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া কে তাওহীদ বলা হয়। মহান আল্লাহ তা’আলা এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি তার সত্তা ও গুণাবলীতে অদ্বিতীয়। তিনি ই প্রশংসা ও ইবাদতের একমাত্র মালিক। তার তুলনীয় কেউ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তার রিজিকদাতা পালনকর্তা ও ইবাদতের যোগ্য হিসেবে এক এবং অদ্বিতীয় সাথে হিসেবে বিশ্বাস করাকে তাওহিদ বলে।
তাওহীদ নাম রাখা যাবে কি
ইসলামিক দিক বিবেচনায় তাওহীদ নামটি একটি সুন্দর নাম। তাছাড়া এ নামটি হচ্ছে ছেলেদের একটি নাম। আবিদ নামটি পবিত্রতা অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এজন্য কোন ব্যক্তি যদি তার ছেলে অথবা কোন একটি ছেলের নাম হিসেবে তাওহীদ নামটিকে প্রযোজ্য মনে করে তাহলে সে নামটি রাখা যাবে।
এমন কিছু নাম রয়েছে যে নাম গুলো অর্থের গুনবাচক না হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এমনকি গুনাহ হতে পারে এজন্য অর্থগত দিক বিবেচনায় তাওহীদ হচ্ছে একটি ভালো ও গুনবাচক নাম।
তাওহীদ দিয়ে এরকম কিছু নামও রয়েছে :-
১.তাওহিদ হাসিব,,,
২.তাওহিদ আদিল,,,
৩.তাওহিদ রাশিদ,,,
৪.তাওহিদ ফারুক,,
৫.তাওহিদ হাসান,,,
৬.তাওহিদ ইমরান,,
৭.তাওহিদ ইসলাম,,,,
৮.তাওহিদ আরিফ,,,,
৯.তাওহিদ ভাই,,,
১০.তাওহিদ জাহান,,,,ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: ইসলামিক সাধারণ জ্ঞান
তাওহীদ নামের অর্থ কি
তাওহিদ এই শব্দটি একটি আরবি শব্দ। তাওহিদ নামের আরবি অর্থ হলো একাকী, আল্লাহ এক ইত্যাদি। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে তাওহীদ নামের অর্থ হিসেবে আদর্শ, পবিত্রতা, পবিত্র ইত্যাদি বর্ণনা করে বোঝানো হয়।
এছাড়াও অর্থগত দিক দিয়ে তাওহীদ নামটি আরবি বাংলা ইত্যাদি দিক দিয়ে একটি ভালো নাম। ইসলামী দিক বিবেচনায় ইসলামিক আরবি নামটি হিসেবে তাওহীদ নামটি খুব সুন্দর একটি নাম।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তাওহিদ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি আমাদের পোষ্টের পড়ার মাধ্যমে তাওহিদ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং তাওহীদ সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা জেনে যথাযথভাবে উপকৃত হতে পারবেন।