শিক্ষা

জলোচ্ছ্বাস কী? জলোচ্ছ্বাস কাকে বলে

জলোচ্ছ্বাস কাকে বলে: বিভিন্ন ঋতু বেদে অথবা প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ আঘাত হানে। এ সকল দুর্যোগের মধ্যে জলোচ্ছ্বাস একটি অন্যতম দুর্যোগ যা প্রতি বছর অথবা প্রায় ঘটে থাকে। 

এজন্য জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে যথাযথভাবে জানা প্রয়োজন এবং কি কি কারণে এটি হতে পারে বা কাকে বলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা উক্ত পুত্রের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাচ্ছি। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে। জলোচ্ছ্বাস একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা প্রতি বছর বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশে আঘাত হানে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে। 

ফলে প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগের পাশাপাশি জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে যথাযথভাবে জানা প্রয়োজন এবং এ সম্পর্কে শিক্ষার্থী সহ অন্যান্যদের জ্ঞান অর্জন জরুরী। 

জলোচ্ছ্বাস কী

জলোচ্ছ্বাস,  যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সমুদ্র পানি উঁচু হয়ে ফুলে উপকূলে আঘাত হানে, ফলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জলোচ্ছ্বাস বলা হয়। 

ঘূর্ণিঝড় অথবা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। মোহনায় প্রবল জোয়ারের কারণে সৃষ্ট তরঙ্গের বিপরীতে অগ্রসর হয় এবং জলোচ্ছ্বাস  সৃষ্টি হয়। 

এক্ষেত্রে সাধারণত জুয়ার জলোচ্ছ্বাস অথবা মোহনায় দৌলত চাষের কারণে পানি উপকূলীয় অঞ্চলে চলে আসে এবং পানির উচ্চতা প্রায় ৬৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে যায়। 

জলোচ্ছ্বাস কাকে বলে

জলোচ্ছ্বাস  হলো বৃহৎ পরিসরে  জোয়ারের পরিসীমা ব্যাট করে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সমুদ্রের জল যখন ফুলে উঁচু হয়ে উপকূলে আঘাত হানে তখন এই দুর্যোগকে জলোচ্ছ্বাস  বলা হয়।

বিভিন্ন কারণে জলোচ্ছ্বাস  হতে পারে। সাধারণত সুনামির কারণে অথবা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পানি সর্বোচ্চ ৬৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে উপকূলে আঘাত হানে। 

তাছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে বায়ুর চাপের কারণে গনিত হয়ে তা উপরে দিকে উঠে ফলে পানি অর্থাৎ সমুদ্রের পানি ফুলে উপকূলে আছড়ে পড়ে। 

জলোচ্ছ্বাস কেন হয়

সাধারণভাবে সমুদ্রের পানি যখন ফুলে উঁচু হয় এবং তা উপকূলে আছড়ে পড়ে তখন সেটিকে জলোচ্ছ্বাস  বলে।এছাড়া জলোচ্ছ্বাস  বিভিন্ন আকারের  হতে পারে। 

সমুদ্রের নিচে ছোটো ঢেউয়ের মতো, তরঙ্গের গতিপথের সম্মুখ অংশ  বা  তরঙ্গমুখ ধীরে ধীরে উচ্চতা হারাতে থাকে। এমনকি হাইড্রোলিক জাম্পের মতো হতে পারে।

সমুদ্রের নিচের অংশে বায়ুর চাপ কমে যাওয়ায় অথবা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বায়ু তার নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাইরে আসতে চায় ফলে নিচের অংশ থেকে বায়ুর চাপ উপরের দিকে প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে।

ফলে বায়ুর চাপে অথবা বেগে সমুদ্রের নিচের পানি উপরের দিকেও ফুলে উঠে আসে এবং তা অধিক উচ্চতা পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে উপকূলের আঁচড়ে পড়ে। 

জলোচ্ছ্বাস কী জলোচ্ছ্বাস কাকে বলে
জলোচ্ছ্বাস কী জলোচ্ছ্বাস কাকে বলে

সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস কে কি বলে

সমুদ্রতল এর প্রায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরেভূমিকম্প প্রবণ অনুভূত হলে তার সেখানে সাধারণের তুলনায় অন্যরকম পরিচিতি তৈরি হয় ফলে পানি নাড়তে শুরু হয়। 

এই কম্পনের ফলে অথবা সঞ্চালিত হওয়ার ফলে পানি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয় ফলে সুনামির উৎপত্তি গুলো সেখান থেকে হতে পারে। 

পরবর্তীতে কার্বন চক্রের প্রভাবে অনেক সময় এই ভূ-অভ্যন্তরের টেকনিক প্লেট গুলো নানাভাবে নড়াচড়া করার মাধ্যমে পানি সঞ্চালিত হয় এবং প্লেট গুলোর নানা ধরনের অনবরত হারে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলে সামুদ্রিক জলচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়। 

পরবর্তীতে নিজ থেকে উপরের দিকে প্রতিটি বিন্দু বা কণা সমূহ একে অপরের সাথে ধাক্কা লাগার পরে উপরের দিকে উঠতে থাকে এবং একপর্যায়ে তা উপকূলে আঁচড়ে পড়ে।  সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস  ঘটে থাকে। 

আরো পড়ুন: অগ্নিকাণ্ড কাকে বলে

এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে প্রাকৃতিক অন্যতম দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button