ইলেকট্রন আসক্তি কী? ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে
ইলেকট্রন আসক্তি কী: পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন ধরনের মৌল রয়েছে তবে মূল গুলোর অবস্থা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে ইলেকট্রন বিন্যাস জরুরী।
মৌরসুমহার ইলেকট্রন বিন্যাস করার ক্ষেত্রে ইলেকট্রন আসক্তির মান বিদ্যমান। তবে এক্ষেত্রে ইলেকট্রন আসক্তি মৌলসমূহের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ইলেকট্রন আসক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
পর্যায়ার মধ্যে মোট ১১৮ টি মৌল রয়েছে যে মৌলসমূহ ইলেকট্রন বিন্যাসের মান অথবা ইলেকট্রন আসক্তি আলাদা আলাদা ভাবে মনে রাখা যায় না। তোদের সহজ ভাবে মনে রাখার জন্য পরিচালনার বাম থেকে ডানের দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইলেকট্রন আসক্তির মান নির্ভর করে।
এজন্য ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে,ইলেকট্রন আসক্তির মান অথবা কোন মৌলসমূহ ইলেকট্রন আসক্তি বেশি রয়েছে ইত্যাদি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ইলেকট্রন আসক্তি কী
মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস করলে গ্যাসের অবস্থায় মৌলের এক মোল পরিমান পরমাণু তার সর্ববহিস্তরে অসীম দূরত্ব থেকে ক্রমান্বয়ে ১ দিয়ে একটি করে এক মূল ইলেকট্রন গ্রহন করে ফলে প্রতিটি একক ঋণাত্মক চার্জ বিশিষ্ট এক মোল গ্যাসীয়
ঋণাত্মক আয়ন বা অ্যানায়নে পরিণত হয়। ঋণাত্মক আয়ন অথবা অ্যানয়নে পরিণত হতে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তা হলো ঐ মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি।
ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে
কোন একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস করলে গ্যাসের অবস্থায় মৌলের এক মোল পরিমান পরমাণু তার সর্ববহিস্তরে অসীম দূরত্ব থেকে ক্রমান্বয়ে ১ দিয়ে একটি করে এক মূল ইলেকট্রন গ্রহন করে
ফলে প্রতিটি একক ঋণাত্মক চার্জ বিশিষ্ট এক মোল গ্যাসীয় ঋণাত্মক আয়ন বা অ্যানায়নে পরিণত হয়। ঋণাত্মক আয়ন অথবা অ্যানয়নে পরিণত হতে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তাকে ঐ মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বলা হয়।
অর্থাৎ কোন একটি মৌলের সর্ববৃস্থ ইলেকট্রন বা কক্ষপথে ইলেকট্রনের কাটতে থাকলে তা অন্য কারো কাছ থেকে ইলেকট্রন নেওয়ার ক্ষমতা কে ইলেকট্রন আসক্তি বলা হয়।
ইলেকট্রন আসক্তি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ব্যাখ্যা কর
সাধারণত গেছে অবস্থায় কোন একটি মৌলের এক মূল গ্যাসীয় পরমাণুতে এক মোল পরিমান ইলেকট্রন প্রবেশ করিয়ার ঋণাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তাকে ওই মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বলা হয়।
এক্ষেত্রে মৌলটি ইলেকট্রন আসক্তি ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে। হযরত মৌলটি অষ্টক পূর্ণ হওয়ার জন্য যদি ৮ টি মৌলের প্রয়োজন হয় সেখানে যদি মৌলটির ইলেকট্রনের পরিমাণ ৮ টি এরকম থাকে সে ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে এক প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন
আসক্তিকে ব্যবহার করে অষ্টক পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ইলেকট্রন নেয়ার অর্থাৎ গ্রহণ করার চেষ্টা করবে। এভাবে ক্রমান্বয়ে ইলেকট্রন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে ইলেকট্রন আসক্তি একটি পর্যায়বিত ধর্ম হিসেবে বলা হয়।
ইলেকট্রন আসক্তি কার বেশি
পর্যায় সারণীতে মোট ১১৮ টি মৌল রয়েছে। প্রতিটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস করা যায় তবে প্রতিটি মৌলের আলাদা আলাদা ভাবে ইলেকট্রন আসক্তি বেশি অথবা কম সেটি ক্রমান্বয়ে বের করা সম্ভব নয়। তবে এদের আরো সহজ নিয়মে জানা যায়।
পর্যায় সারণির যদি একই পর্যায়ের বামের মৌল থেকে শুরু করে ডান দিকে যা হয় তাহলে বামের মৌল গুলোর আকার তুলনামূলক ভাবে দানের মূল গুলো আকারের তুলনায় বড় থাকে। ফলে বামের মৌল গুলোর পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বেশি থাকে।
আবার কোন মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ যদি কমে যায় তাহলে ইলেকট্রন আসক্তির মান বৃদ্ধি পায়, পক্ষান্তরে পারমানবিক ব্যাসার্ধ যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে ইলেকট্রন আসক্তির মান কমে যায়। ফলে একই পর্যায়ে যদি বাম থেকে ডানে যা হয় তাহলে ইলেকট্রন আসক্তির মান বাড়ে।
ইলেকট্রন আসক্তি ক্রম
পর্যায় সারণির মৌল সমূহ কে যদি ইলেকট্রন আসক্তির ক্রমা অনুযায়ী সাজানো যায় তাহলে পর্যায় সারণীতে বামের অংশে যে মৌলগুলো রয়েছে সেগুলোর আকার বড় হবে।
অর্থাৎ পর্যায় সারণিতে বাম থেকে ডানে গেলে ইলেকট্রন আসক্তির মান বৃদ্ধি পায়। কেননা ইলেক্ট্রন আসক্তির সাধারণত একটি নিরপেক্ষ বড় মানুষ শক্তির পরিবর্তন বা বায়বীয় পর্যায়ের যে পরিবর্তন ঘটে তা বোঝায়, যেখানে একটি ইলেকট্রন
এক আয়ন তৈরি করার জন্য পরমাণুতে ইলেকট্রন গ্রহণ করে। অর্থাৎ পর্যায় সারণির ১১৮ টি মৌলের মধ্যে বাম অংশে যে মৌলগুলো রয়েছে সেগুলোর ইলেকট্রন আসক্তি বেশি।
কোন মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি সবচেয়ে বেশি
পর্যায় সারণির ১৫৮ টি মৌলের মধ্যে ক্লোরিনের সর্বোচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মকতা রয়েছে। ক্লোরিনের সর্বোচ্চ ইলেকট্রনসম্মত রয়েছে এর কারণ হলো ক্লোরিনের ইলেকট্রন ধরে রাখার জন্য তার 2P সাব শেলে উল্লেখযোগ্য বিকর্ষণ রয়েছে।
পর্যায় সারণির গ্রুপ ১৮ এর বিভিন্ন মৌল গুলোর মধ্যে ক্লোরিন এর তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান সর্বোচ্চ হওয়ার কারণে ক্লোরিন এর ইলেকট্রন আসক্তি সবচেয়ে বেশি।
কারণ পর্যায় সারণির বাম থেকে ডানে গেলে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান নির্ণয় করার ক্ষেত্রে বামের মৌল গুলো তৈরি করার মান বৃদ্ধি পায়। তবে তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে ইলেকট্রন আসক্তি ক্লোরিনের সবচেয়ে বেশি কারণ পর্যায় সারণিতে যে সকল মৌল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ক্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি সবচেয়ে বেশি।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ইলেকট্রন আসক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি, আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনি ইলেকট্রন আসক্তি সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।