তাকওয়া শব্দের অর্থ কি: ইসলামিক ভাবে জীবন পরিধিতে তাকওয়া ও হলো একটি মুখ এবং অন্যতম বিষয়। এজন্য প্রতিটি মুসলমানের জীবনে তাকো অর্জন করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। পাশাপাশি তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে মন আল্লাহ তালার প্রতি শ্রদ্ধা এবং মহান আল্লাহ তাকে একক সত্য হিসেবে মানার মাধ্যমে তার ইবাদত করা হয়।
তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তা আকর শব্দের অর্থ থেকে শুরু করে তাকওয়া এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে জানাচ্ছি।
মানব জীবনে তাকওয়া এই শব্দটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। কেননা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে একজন মুসলমান ব্যক্তি মহান আল্লাহতালার প্রতি অনুসারী হবেন। পাশাপাশি মহান আল্লাহ তাআলার আদেশ ও নিষেধ অনুযায়ী খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন এবং ভালো কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখবে।
ফলে একজন আদর্শ মুসলিম হওয়ার জন্য মানব জীবনে তাকওয়াকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা এবং তাকওয়া মানার গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে।
তাকওয়া শব্দের অর্থ কি
তাকওয়া একটি আরবি শব্দ। তাকওয়া শব্দটির অর্থ হলো :-
বিরত থাকা,,,,
বেঁচে থাকা,,,
নিষ্কৃতি লাভ করা,,,
ভয় করা,,,
নিজেকে রক্ষা করা,,ইত্যাদি।
তবে ব্যবহার করতে তাকে শব্দের অর্থ অন্যরকম বোঝায়। সেগুলো হলো :-
দ্বীনদারি,,,
ধার্মিকতা,,,
পরহেজগারি,,,
আল্লাহ ভীতি,,,
খোদা ভীতি,,,
আত্মশুদ্ধি ,,,
আল্লাহ ও সত্যের প্রতি সচেতন,,
পরিজ্ঞাত হওয়া,,,,
ধর্মপরায়ণতা,,,
আল্লাহর ভয়,,
ইত্যাদিকে তাকওয়া শব্দের অর্থ স্বরূপ বোঝায়।
তাকওয়া কত প্রকার
মানবজীবনে মহান আল্লাহ তায়ালাকে সত্যের প্রতি সচেতন হওয়া, ভয় করা, ধর্মপরায়ণতা এবং পরিজ্ঞান হওয়া পাশাপাশি পরহেকগারি এবং ধার্মীকতা ও দ্বীনদারি গ্রহণ এবং আল্লাহ ভীতি হওয়াকে তা করা বলা হয়।
তাকুয়ার প্রকারভেদ অনুযায়ী তাকওয়া সাধারণত তিন প্রকার। সেগুলো হলো;
১. তাকওয়ার সর্বনিম্নস্তর,,,
২. তাকওয়ার দ্বিতীয় স্তর,,,
৩. তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তর,,,
তাকওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
তাকওয়া ধারা সাধারণত মহৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলী কে বোঝায়। এজন্য ইহকালিন এবং পরকালীন উভয় জীবনকে সম্মান এবং মর্যাদা পাশাপাশি সফলতা দান করার জন্য তাকওয়া মানুষকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে।
ফলে ইসলামিক জীবন দর্শনে মানুষের মধ্যে মর্যাদাবান ব্যক্তিত্ব হওয়ার জন্য যে সকল মুত্তাকীবন হয়েছেন তাদের জীবনে তাকওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে পালন করেছে।
এ ছাড়ো মন আল্লাহ তায়ালার নিকট তাকওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, শুধুমাত্র ধন-সম্পদ বা বাড়ি গাড়ি থাকলে মানুষ আল্লাহতালার নিকট মর্যাদা লাভ করতে পারে না
আল্লাহ তায়ালার নিকট তাকওয়ার মূল্য অত্যধিক। ধন – সম্পদ, শক্তি ক্ষমতা, গাড়ি – বাড়ি থাকলেই মানুষ আল্লাহ তায়ালার নিকট মর্যাদা লাভ করতে পারে না।
অর্থাৎ পার্থিবভাবে জীবনে যে সকল মুত্তাকীগণ নিজেদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালার বহু নিয়ামত এবং তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে সর্ব যার সহযোগিতা করেছেন তাদের জীবনে বিপদ আপদ এবং উদ্ধার করার জন্য বরকতময় রিজিক দান করেন মহান আল্লাহতালা।
মানব জীবনের নৈতিক জীবন গঠনের ক্ষেত্রে এবং নৈতিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে তাকওয়ার প্রভাব অপরিসীম। ছাড়ো তা হল সকলের সর্বস্পষ্ট গুণের মূল। এছাড়া তাকওয়া মানুষকে নৈতিক গুণাবলী এবং মানবিক গুণাবলীতে উদ্বুদ্ধ করে।
হলে মানব জীবনে মানুষ হারাম জিনিসকে বর্জন করতে এবং হালাল জিনিসকে গ্রহণ করার জন্য প্রেরণা পায়। এছাড়ো মহান আল্লাহতালা বিভিন্ন ধরনের মুত্তাকীগণ এবং সদা সর্বদা আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে থাকেন।
কারণ মহান আল্লাহতালা সব কিছু জানেন শুনে দেখেন এ বিষয়ে পোষণ করার মাধ্যমে অধ্যায় এবং অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি অশ্লীল এবং অশালীন কোথাকার চিন্তা ধারণা করতে বিরত থাকে। বলে মানবজীবনে তাকওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম।
তাকওয়ার সোপান কয়টি ও কি কি
তাকওয়ার সোপান সংখ্যা হলো তিনটি। এছাড়া বলা যায় তাকওয়া এর স্তর রয়েছে তিনটি।
১. সর্বনিম্নস্তর → ও شرك থেকে বেচে থাকা।অর্থাৎ প্রতিটি মুসলমানকে আল্লাহ বিরু বলা যায় এবং যদিও কোন ব্যক্তি গুনাহার কাজে লিপ্ত থাকে তথাপি কুরআনুল কারীমে এর খোদভীরুতা শব্দের অর্থে ব্যবহার করা হয়।
২. দ্বিতীয় স্তর → যা আসলে কাম্য তাহলে এমন কোন বিষয় নিয়ে বেঁচে থাকার যেগুলো মহান আল্লাহতালা এবং রাসূল সাল্লাহু সালামের পছন্দ নয়। পাশাপাশি হাদিস অনুযায়ী এবং কুরআন এর ফজিলত ও তাকওয়ার কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এস ধরের ব্যক্তিদের বা এ ধরনের তাক্য অর্জনকারীদের দ্বিতীয় স্তরের তাকওয়া অর্জনকারী বলা হয়।
৩. সর্বোচ্চ স্তর→ আম্বিয়া আলাইহিমুছ ছালাম এবং তাদের বিশেষ যে ধরনের অলিগণ বা উত্তরাধিকারগন রয়েছে তাদের স্তরের তাকওয়া অর্জনকে সর্বোচ্চ স্তরের তাকওয়া অর্জন বলা হয়।
অর্থাৎ এর স্তরে সাধারণত মহান আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত সবকিছু থেকে বাঁচিয়ে রাখা এবং অন্তরকে আল্লাহতালা সন্তুষ্টি এবং স্মরণ হিসেবে কামনায় দ্বারা পরিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ রাখাকে বোঝায়। ফলে মহান আল্লাহ তায়ালা ওই স্থর বা অর্জন করাকে বোঝানো হয় যেখানে তাকওয়ার হক সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন: তাওহিদ কাকে বলে
এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তাকওয়া সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি, আপনি তাকওয়া সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চেয়েছেন অথবা তাকওয়া শব্দের অর্থ গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্য পাশাপাশি প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।