শিক্ষা

ব দ্বীপ কাকে বলে? ব দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০

ব দ্বীপ কাকে বলে: বিভিন্ন ধরনের দ্বীপ রয়েছে তবে ওই সকল বিভিন্ন ধরনের দিকগুলো তৈরি হওয়ার পেছনে বিভিন্ন সমস্যা বা বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে। 

তবে তাদের মধ্যে বদ্বীপ যখন তৈরি করা হয় তখন তাপ নদীর সাথে এবং পলি সাথে সম্পর্কিত রয়েছে। এজন্য সকলকে বদ্বীপ কাকে বলে ব দ্বীপ পরিকল্পনা 21 ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানা প্রয়োজন

এবং এটি জানার মাধ্যমে বদ্বীপ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বদ্বীপ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানাচ্ছি। 

নদীর প্লাবনভূমি বা চরের জন্য অথবা চরের উপকূলে যে সকল ভূমি তৈরি করা হয় সেগুলোকে বনভূমি বলা হয় অথবা এগুলোকে দ্বীপ বলা হয়। 

প্রতিটি নদীর তীরে বা আশেপাশে এরকম কিছু স্থান রয়েছে যে স্থানগুলোতে নদীর সমূহের অথবা নদীর পল্লীসমূহ ধীরে ধীরে জমাট বাঁধে। 

এভাবে নদীর পলিসমূহ জমাট বাঁধতে বাধতে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যেতা একটি বিশাল দ্বীপের ন্যায় হয়ে যায়।ফলুস্মৃতিতে একটি দেব তথা একটি ব দ্বীপ তৈরি হয়। 

এজন্য বৌদির সম্পর্কে জানা প্রয়োজন যেহেতু বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ এজন্য এ সম্পর্কে তথ্য জানা ও অবগত হওয়া জরুরী। 

ব দ্বীপ কি

গ্রিক শব্দ ডালটা থেকে ব দ্বীপে নামটি এসেছে। এছাড়াও ইংরেজিতে Delta কে ব দ্বীপ বলা হয়। প্রকৃত অর্থে দেয়ালটা এর সঙ্গে বদ্বীপের নামকরণের বা মিল থাকার কারণে বদ্বীপ নামকরণটি এসেছে। 

আকৃতি কত দিক দিয়ে ব্যাখ্যা এবং প্রকারভেদ অনুযায়ী বদ্বীপ বলা হয় সাধারণত এরকম একটি দ্বীপকে যে দ্বীপকে সাধারণত নদীর পলির জমাট বেঁধে তৈরি করা হয়েছে। 

ব দ্বীপ কাকে বলে ব দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ব দ্বীপ কাকে বলে ব দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০

ব দ্বীপ কাকে বলে

নদীতে যে সকল পলি রয়েছে সেই সকল পলিসমূহ জমাট বেঁধে যে প্রাকৃতিক বনভূমি তৈরি হয় বা প্রাকৃতিক ভূমি তৈরি হয় তাকে ব দ্বীপ বলে। 

একটি নদীর জলধারা যখন চলতে চলতে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বেয়ে যেতে যেতে কোন একটি স্থানে নদীর যে সকল পলি রয়েছে সেগুলো জমাট বাদে এরকম জমাট বাঁধতে বাড়তে একপর্যায়ে একটি বিশাল আকারের ভূমিতে পরিণত হয় তখন ওই স্থানকে বা ওই জমাট বাধা ভূমিকে ব দ্বীপ বলে। 

এছাড়াও বদ্বীপ সাধারণত একটি বৃহত্তম বনভূমি বা ভূমি হিসেবে পরবর্তীতে স্থান পেয়ে থাকি। তবে বনভূমি অথবা কোন একটি নদী বা নদী প্রবণ বিভিন্ন অঞ্চলের নদীগুলোর পরিসমূহ জমাট বাদে। 

এবং এগুলো জমাট বাঁধতে বাড়তে একপর্যায়ে একটি স্তম্ভ বা বড় আকার তৈরি হয় এবং এটি বড় ভূমি  হিসেবে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে এ ভূমিকে ব দ্বীপ বলে। 

পৃথিবীর বৃহত্তম ব দ্বীপ কোনটি

পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের বৃহত্তম বা ক্ষুদ্রতম দ্বীপ রয়েছে। যে সকল দ্বীপগুলো অর্থাৎ বদলে সাধারণত তৈরি হয় সেগুলো সাধারণত নির্ভর করে নদীসমূহের পলির উপর। 

কারণ পলিসমূহ একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা ভাবতে বাত্তি নদীর যে সকল পলি রয়েছে সেগুলো স্রোতের দ্বারায় ওই স্থানে গিয়ে অনেক বছর জমে থাকার ফলে তা বড় একটি অংশ হিসেবে বা ভূমি হিসেবে পরিচিতি পায়। 

ঠিক তেমনি বাংলাদেশ ও তৈরি হয়েছে তাই বাংলাদেশকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থাৎ বৃহত্তম ব দ্বীপ বলা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ হলো বাংলাদেশ। 

ব দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০

বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে ব্যাপক উন্নয়ন এবং পরিকল্পনার স্বার্থে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ পরিকল্পনা করেছেন। ফলে এটি পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিধি ইত্যাদি সম্পর্কে জানানোর মাধ্যমে বদ্বীপ সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করি ইহার অর্থনৈতিকভাবে এবং সামাজিকভাবে উন্নয়নের ত্বরান্বিত করেছে। 

তবে এ ডেল্টা প্ল্যান তৈরি করার পিছনে অনেক ঘর কাহিনী বা ঘটানো রয়েছে। সাধারণত এই ডেল্টা প্ল্যান তৈরি করা বা পরিকল্পনা করার মাধ্যমে ছয়টি বিষয়কে নিশ্চিত ও সমাধান করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। 

দেয়ালটা প্লেনের এই ছয়টি বিষয় হলো নিম্নরুপ:-

নদী ভাঙন,,,,

নদী ব্যবস্থাপনা,,,,,, 

নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ,,,,

 বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,,,,, 

 বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন।

বাংলাদেশকে কেন ব দ্বীপ বলা হয়

গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ,,ঠিকই বদ্বীপ নামটি এসেছে। 

বঙ্গীয় ব-দ্বীপ হলে সুন্দরবন ব-দ্বীপ,,, 

ইংরেজি: Ganges Delta

অথবা,,,,

 Bengal Delta,,যা, 

দক্ষিণ এশিয়ায় যে সমস্ত দ্বীপ রয়েছে বাজে সমস্ত ব দ্বীপ রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ। 

এছাড়াও এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নিয়ে গঠন করা হয়েছে তাই এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ভিত্তিকভাবে গড়ে ওঠে একটি ব দ্বীপ হিসেবে পরিচিত হলো বাংলাদেশ। 

এছাড়াও বাংলাদেশকে ব দ্বীপ বলা হয়ে থাকে। সাধারণভাবে নদীর জল দ্বারা যেখানে গিয়ে থেমে যায় অথবা যেখানে পুলিশ সমূহ গিয়ে জমাট বাদে সেখানে জমাট বাঁধতে বাড়তে একটি বিস্তীর্ণভূমির তৈরি হয় এরকমভাবে সুন্দরবনটি অনেক বছর আগে তৈরি হয়েছিল। 

পরবর্তীতে সুন্দরবনকে ঘিরে বৃহত্তম ভূমি নিয়ে বাংলাদেশ নামক একটি ভূখণ্ড তৈরি হয়েছে। এর জন্যই বাংলাদেশকে বৃহত্তম ব-দ্বীপ হিসেবে বলা হয়। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বদ্বীপ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি বদ্বীপ সম্পর্কে আপনার যে সকল তথ্য জানার অথবা আপনি যে সকল তথ্য জানতে চান তা যথাযথভাবে আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। 

এবং বদ্বীপ সম্পর্কে আপনারা যে সকল প্রশ্ন আছে বা প্রশ্ন ছিল তা উক্ত পোস্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

আরো পড়ুন: যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত

আমাদের পোস্টের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এরকম কিছু প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর নিম্নে দেয়া হলো :-

 ১.ব দ্বীপ কাকে  বলে? 

= নদীর সুতো তারার মধ্যে যে সকল পলি রয়েছে সেগুলো একটি স্থানে জমা হওয়ার মাধ্যমে যে দ্বীপ তৈরি হয় তাকে  বদ্বীপ বলা হয়। 

২.ব দ্বীপ কিভাবে সৃষ্টি হয়

= নদী বা সাগরের যে সকল বলি রয়েছে সেগুলো জমাট বাধার ফলে যে দ্বীপ তৈরি হয় তাকে ব-দীপ তৈরি হওয়া বলে আর এভাবে ব দ্বীপের উৎপত্তি বা সৃষ্টি হয়। 

৩.ব দ্বীপ বলতে কি বুঝায়

= সমুদ্রের জলরাশিতে যে সকল দ্বীপসমূহ তৈরি হয় অর্থাৎ সাগর বা সমুদ্রের পল্লীসমূহ জমাট বাঁধা হওয়ার মাধ্যমে জমাট বাড়তে বাড়তে এক সময় যে বিশাল আকারের এক বমি তৈরি হয় তা মূলত ব দ্বীপ। 

৪.বাংলাদেশের ব দ্বীপ

= বাংলাদেশ হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম ব দ্বীপ। 

৫. সক্রিয় বদ্বীপ কাকে বলে

= নিয়মিত প্লাবন এবং চড় উপকূলীয় যে সকল দ্বীপ রয়েছে সেগুলোকে সক্রিয় ব দ্বীপ বলে। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button