ব্যবসা কাকে বলে: অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবসায় একটা এমন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড (বিজ্ঞান) যেখানে কিছু নির্দিষ্ট সৃষ্টিশীল ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে এমন ভাবে সামনে
রেখে বৈধভাবে সম্পদ গুলো উপার্জন বা লাভের উদ্দেশ্যে লোকজনকে এই ভাবে সংগঠিত করা হয় ।তাদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড নানা ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
আইনানুসারে, ব্যবসা বলতে আমরা সেই সংগঠনকে বুঝায়, এবং যা অর্থের বিনিময়ে ভোক্তাকে এই পণ্য বা সেবা কিংবা, আবার দুটো সুবিধাই প্রদান করে। পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে এই ব্যবসায় লক্ষণীয়ভাবে নানা ভাবে বিদ্যমান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও রেখেছে।
ব্যবসা কাকে বলে
ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় এমন পণ্যদ্রব্য এবং সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ গুলো সৃষ্টি এবং আবার মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে আবার সেগুলো বণ্টন ও এর সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিবহুল এবং ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসা বলে।
বাণিজ্য কাকে বলে
বাণিজ্য (ব্যবস্থা) – কোনও কিছু অর্থনীতিতে কাঁচামাল থেকে নানা ভাবে উৎপাদিত চূড়ান্ত বা অচূড়ান্ত পণ্য আমদানি করে উৎপাদকদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রণালীতে নানা ভাবে অন্তিম ক্রেতা পর্যন্ত এইটা পৌঁছানোর ব্যবস্থা।
বাণিজ্য (ক্রয়বিক্রয়) – হলো এই বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রধান এমন কিছু কর্মকাণ্ড, যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা বাজারে পণ্য আবার সেবা অর্থের বিনিময়ে এমন ক্রয়-বিক্রয় করে।
ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি
মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় মূলত হলো পাঁচ ধরনের হয়। যথা:
১.একমালিকানার ব্যবসায়;
২.অংশীদারির ব্যবসায়;
৩.যৌথ মূলধনী বা কোম্পানির ব্যবসায়;
৪.সমবায় সমিতির; ও
৫.রাষ্ট্রীয় এর ব্যবসায় ।
ব্যবসা করার টিপস
একটি স্বাধীনভাবে কিছু ব্যবসা শুরু করা আর যুদ্ধের সময় ময়দানে দাঁড়ানো দুটো প্রায়ই এমন সমান। আর এই দুটোই ক্ষেত্রেই বিবেচিত সঠিক সময়ের সাথে সঠিক মনোভাব পরিকল্পনা নেওয়া হল আসল কাজ।।
যেরকম একটি এমন কথা প্রচলিত আছে যে কোন একটি পুরুষের সাফল্যের পেছনে এমন কোন মহিলার হাত থাকে,এবং সেরকমই যে কোন ব্যবসার এই ভাবে সাফল্যের পিছনে থাকে এমন ভাবে সুচিন্তিত পরিকল্পনা এবং তার সঠিক প্রয়োগ করা।
ব্যবসা বাণিজ্য
১৬ কোটি জনসংখ্যার প্রায় দৃঢ়ভাবে বর্ধনশীল অর্থনীতির ওপর বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম এমন কিছু জনবহুল দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত কারণে গুরুত্বের দেশ।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য প্রতিশ্রুতিশীল নানা ভাবে সুযোগ সৃষ্টি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কিছু বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রায় বাংলাদেশে সফলভাবে কাজ করছে আবার এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
ব্যবসায় পরিবেশ কাকে বলে
ব্যবসায়ের পরিবেশ হলো এক একটি ব্যবসায়কে প্রভাবিত নানা ভাবে করে এমন সমস্ত বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কারণগুলির সমষ্টি। যেমন হলো: কর্মচারী, এবং গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রত্যাশা আবার পরিচালনা, ক্লায়েন্ট, সরবরাহকারী,
এবং মালিক, সরকার কর্তৃক কার্যক্রম, আবার প্রযুক্তির উদ্ভাবন, সামাজিক প্রবণতা, এবং বাজারের প্রবণতা,আবার অর্থনৈতিক সমষ্টি, এই ভাবে প্রাকৃতিক অবস্থা ও ইত্যাদি।
ক্ষুদ্র ব্যবসা কাকে বলে
ক্ষুদ্র ব্যবসা হচ্ছে একটা এমন এক ধরণের ব্যবসা, এবং যেখানে অল্প পুঁজি ও শ্রমিক নিয়ে এই সব ব্যবসা গঠন ও পরিচালনা গুলো করা হয়।
আধুনিক ব্যবসা জগতের অন্যতম দিকে তাকালে দেখা যায় যে, বৃহৎ পুঁজির ব্যবসা শুরু করতে থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসাতেই অনেক লাভ আবার অনেক সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া ক্ষুদ্র এই ব্যবসাতে লাভের পাশপাশি সাফল্যেরও আবার অনেক কারণ রয়েছে।
অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে
অংশীদারি ব্যবসায় হলো এমন কিছু চুক্তির দ্বারা দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে বৈধ উপায়ে বিস্তারিত অর্থ উপার্জনের নিমিত্তে যে ব্যবসায় লাভবান গড়ে উঠে। ১৯৩২ সালের অংশীদারি ব্যবসায় আইন অনুসারে, সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়ের
এই ক্ষেত্রে সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন মূল্য ২জন ও সর্বোচ্চ ২০জন হবে আবার এবং ব্যাংকিং অংশীদারি ছাড়া ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ২জন থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১০জন হবে।
চুক্তিই অংশীদারি এই ব্যবসায়ের মূল এমন কিছু ভিত্তি রয়েছে ।প্রাচীন বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের এমন কিছু গতিপ্রকৃতি সমগ্র উপমহাদেশের প্রাচীন এই বাণিজ্যের সামগ্রিক পটভূমিতে নানা ভাবে বুঝতে হবে। সমগ্র উপমহাদেশের মতো এই প্রাচীন বাংলার অর্থনৈতিক জীবন কৃষি অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে নানা ভাবে গড়ে উঠেছিল।
আরো পড়ুন: সামাজিক কাঠামো কি
খুচরা ব্যবসা কাকে বলে
উৎস হতে এই সব পণ্য সংগ্রহ করে তা চূড়ান্ত ভোক্তাদের নিকট নানা ভাবে সরবরাহ করা হয় তাকে খুচরা ব্যবসায় বলে।
পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে
যে ব্যবসায় সকল ধরনের এমন পণ্য পাইকারি মূল্যে বিক্রিত হয় তাই তাকে পাইকারি ব্যবসা বলে।
প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবসার সুবিধা
প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবসার হলো আরেকটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায় ক্রেতাদের সাথে কিছু কিছু বিক্রেতার সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
মানুষের বস্তুগত এবং অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং এর মধ্যে সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিবহুল এবং ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসা মূল বৈশিষ্ট্য।
ব্যবসার ধরন
১:ব্যবসায়ের এর ধরন;
২:একমালিকানা এর ব্যবসায়;
৩:অংশীদারি এর ব্যবসায়;
৪:যৌথ মূলধনী অথবা কোম্পানি এর ব্যবসায়;
৫:সমবায় এর সমিতি;
৬:রাষ্ট্রীয় এর ব্যবসায়।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসা কাকে বলে
এক কথায় বলতে গেলে এই রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ব্যবসায়ই হলো রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বা সংগঠন।
সামাজিক ব্যবসা কাকে বলে
সমাজে প্রচলিত যেকোনো ব্যবসাগুলো মানুষ করে থাকে তাই তাকে সামাজিক ব্যবসা বলে।
ব্যবসা কত প্রকার কি কি?
ব্যবসার ধরন নিয়ে অনুযায়ী ব্যবসা প্রায় ৩ প্রকারঃ
১:শিল্প;
২:বাণিজ্য; ও
৩: সেবা ।
ব্যবসায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
এই মুনাফা লাভ করা হলো ব্যবসায়ের একটি এমন প্রধান বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে।
ব্যবসায়ের ধারণা কি
অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন আবার এর সহায়ক সবরকম বৈধ,এবং ঝুঁকিবহুল আবার ধারাবাহিক কার্যকে এই ব্যবসা বলে।
একটি সফল কোম্পানির কারণ কি
ব্যবসার ধারণা গুলো বাস্তবায়নের জন্য আবেগ অনুভূতি লাভজনক কি না তা যাচাইয়ের একটি এমন উপায় হলো ন্যূনতম এই ভাবে কার্যকর পণ্য ।
ব্যবসায়ের মূল চালিকা শক্তি কী?
ব্যবসায়ের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে এই অর্থায়ন।