শিক্ষা

সন্নিহিত কোণ কাকে বলে চিত্র সহ | সন্নিহিত কোণ এর বৈশিষ্ট্য, কত ডিগ্রী

সন্নিহিত কোণ কাকে বলে: যদি দুইটি কোণের একটি সাধারণ এই শীর্ষবিন্দু আবার একটি সাধারন বাহু থাকে তাহলে এই কোণ দুটিকে একটি আবার অপরটির সন্নিহিত কোণ বলে। 

সন্নিহিত কোণের বেশ কিছু কিছু উদাহরন আমাদের এমন একটি বাস্তব জীবনে লক্ষ্য করা যায়। উদাহরনস্বরুপ- এই ঘড়ির তিন কাটা ,আবার পিৎজা বক্সে রাখা পিৎজা স্লাইম এবং, গাড়ির ইস্টিয়ারিং এর হুইলে ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ভাবে সন্নিহিত কোণ দেখা যায় । 

সন্নিহিত কোণ কাকে বলে

একই সমতলে অবস্থিত আবার যদি দুইটি কোণের একটি সাধারন শীর্ষবিন্দু এক একটি সাধারন বাহু থাকে তাই যেখানে সাধারন বাহুর বিপরীত পাশে এই কোণ দুটি অবস্থিত তখন এমন কিছু কোণ দুটি কে পরস্পরের এই সন্নিহিত কোণ বলা হয়।

একই সমতলে নানা ভাবে অবস্থিত একই শীর্ষবিন্দু গুলো বিশিষ্ট দুইটি কোণের যদি এক একটি সাধারণ বাহু থাকে ।

সন্নিহিত কোণ কাকে বলে চিত্র সহ

কোণ দুইটি, এমন একটি সাধারণ বাহুর বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত হয়,এবং তাহলে কোণদ্বয়কে পরস্পর এই সন্নিহিত কোণ বলে। 

সাধারণ বাহু এমন ভাবে বলতে কোণ দুইটির এক একটি সাধারণ রশ্মিকে বুঝায় যেকোনো রশ্মির সাথে উভয় কোণ উৎপন্ন হয়। 

পূরক কোণ কাকে বলে

দুটি কোণের সমষ্টি প্রায় 90° বা সমকোণ হলে এক একটিকে অপরটির পূরক কোণ বলে ।

আবার,এই পূরক কোণ দুইটির সাধারণ বাহু হলো এই OL. কোণদ্বয়ের অপর বাহু দুইটি এমন OM এবং ON, সাধারণ বিন্দু এমন ভাবে O তে মিলিত হয়েছে।

বিপ্রতীপ কোণ কাকে বলে

দুইটি সরলরেখা গুলো নানা ভাবে পরস্পর ছেদ করলে ছেদ বিন্দুতে যে চারটি যেকোণ উৎপন্ন হয়, তাই হলো তাদের যেকোনো একটিকে তার বিপরীত কোণের এই বিপ্রতীপ কোণ বলে। 

একই শীর্ষবিন্দুতে যেভাবে কোণ উৎপন্ন করে তাকে পূর্বের আবার কোণের বিপ্রতীপ কোণ বলে।

সন্নিহিত কোণ এর বৈশিষ্ট্য, কত ডিগ্রী

সন্নিহিত কোণের বৈশিষ্ট্য সমুহ গুলো হলো:

  • সন্নিহিত কোণ গুলো সর্বদা এমন ভাবে একটি সাধারন বাহু ভাগ করে । 
  • কোণগুলো একটি এমন সাধারন শীর্ষবিন্দু গুলো দ্বারা বিভক্ত। 
  • কোণদ্বয় পরস্পরকে নানা ভাবে ওভারলেপ করে না । 
  • তাদের সাধারন বাহুর দৈর্ঘ্য উভয় পাশে অন্য আরেকটি করে এই বাহু থাকে। 

সন্নিহিত কোণ দুটির প্রায় যোগফলের ওপর ভিত্তি করে কোণগুলো পরস্পরের পূরক অথবা সম্পূরক কোণ বলা ও হয়ে থাকে। 

সন্নিহিত কোণ কাকে বলে চিত্র সহ সন্নিহিত কোণ এর বৈশিষ্ট্য, কত ডিগ্রী
সন্নিহিত কোণ কাকে বলে চিত্র সহ সন্নিহিত কোণ এর বৈশিষ্ট্য, কত ডিগ্রী

সন্নিহিত কোণ কত ডিগ্রী

যদি দুটি কোণের এমন একটি পরিমাণ ৯০° কোণের সমান হয় তবে একটি কোণকে এই ভাবে অপর কোণের এই পূরক কোণ বলে। 

যদি দুটি কোণের একটি এমন ভাবে সাধারণ বাহু থাকে তবে একটি এমন কোণকে অপর কোণের এই সন্নিহিত কোণ বলে।

সন্নিহিত কোণ চিত্র

সন্নিহিত কোণ দুইটি এমন ভাবে সাধারণ রশ্মি দ্বারা বিভক্ত হয়। আবার তাছাড়া, সন্নিহিত কোণদ্বয়ের এক একটি কোণের কোনো প্রকার অংশ অপর কোণের অংশ হতে পারেও না ।

উদাহরনস্বরুপ- এই ঘড়ির তিন কাটা , এবং পিৎজা বক্সে রাখা পিৎজা স্লাইম, আবার গাড়ির ইস্টিয়ারিং এর হুইলে এই সব ইত্যাদি ক্ষেত্রে সন্নিহিত কোণ দেখা যায় । 

সমকোণ কাকে বলে

যে কোণের পরিমাপ প্রায় ৯০° তাকে সমকোণ বলে। অতএব,এই ৯০° পরিমাপের কোণই হলো এই সমকোণ।

এভাবে ডিগ্রির এমন সাহায্যে সমকোণকে সংজ্ঞায়িত ভাবে করা যায়। তবে সমকোণকে এভাবে এই গুলো সংজ্ঞায়িত করার জন্য ডিগ্রি এমন সম্বন্ধে পূর্বজ্ঞান থাকা অনেক আবশ্যক। 

আরো পড়ুন: সন্নিহিত কোণ এর বৈশিষ্ট্য

সামান্তরিকের সন্নিহিত কোণ কাকে বলে

  • সামন্তরিকের দুটি সন্নিহিত কোণের এমন সমষ্টি হলো = ১৮০০
  • সুতরাং,আবার ১১৫০ + নির্ণেয় কোণ = ১৮০০
  • নির্ণেয় কোণ গুলো হলো = ১৮০০ – ১১৫০ = ৬৫০
  • সনসন্নিহিত কোন যদি যেকোন দলে দুইটি কোণের একই শীর্ষবিন্দু হয় ।

এভাবে সামান্তরিকের এই সব সংজ্ঞা দেওয়া যায়, চতুর্ভূজের এমন কিছু বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান এবং সমান্তরাল হলে তাকে সামান্তরিক বলে ।

সন্নিহিত কোণ বলতে কি বুঝায়?

শুধুমাত্র এক একটি শীর্ষবিন্দু থাকে তবে একটি কোণকে আবার অন্য কোণের এই সংলগ্ন কোণ বলে।

কোন কত প্রকার কি কি?

০° মাপ বিশিষ্ট যে কোন কোণকে শুন্য কোণ বলা হয়।

এক সমকোণ বা প্রায় ৯০° অপেক্ষা ছোট কোণকে এই সূক্ষ্মকোণ বলে।

একটি বৃত্তের এমন কিছু 14 অংশকে অথবা ৯০° কোণকে এই সমকোণ বলে। …

দুটি সন্নিহিত কোণের যোগফল কত?

দুইটি সরলরেখা গুলো পরস্পরকে ছেদ করলে সন্নিহিত এমন কোণগুলির যোগফল হবে প্রায় 180 ডিগ্রি। 

সন্নিহিত কোণ সমান কত ডিগ্রি?

সন্নিহিত কোণ হলো দুটির সমষ্টি দুই সমকোণ অথবা একটি সরলকোণ বা 180 ডিগ্রি হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button