তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে: এমন একটি ঘটনা যে ঘটনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পদার্থ নির্গত হয়।তবে পদার্থ বিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা বা আলোচনার বিষয় হচ্ছে নিউক্লিয়াস বা নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞান। নিউক্লিয়ার পদার্থ বিজ্ঞানের একটি অন্যতম আলোচনার বিষয় হলো তেজস্ক্রিয়তা।
নতুন প্রজন্মের যে সকল বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রী রয়েছে তাদেরকে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ বা বৈজ্ঞানিক কার্যক্ষেত্রের সাথে জড়িত হওয়ার জন্য তাদেরকে তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন।
এজন্য আমরা উক্ত পোস্টের মাধ্যমে তেজস্ক্রিয় থাকি তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে এবং তেজস্ক্রিয় আইস্রুপ কাকে বলে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদেরকে জানাচ্ছি।
পদার্থ বিজ্ঞানের একে অন্যতম উপাদান হলো তেজস্ক্রিয়তা। পাশাপাশি রয়েছে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সমূহ।
তাই তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে তাদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন এবং পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন।
এবং এর মূল কারণ হলো নিউক্লিয়ার পদার্থ বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিভাশ সম্পর্কিত আলোচনার করার মাধ্যমে এ সম্পর্কে জ্ঞান অবগত হওয়া প্রয়োজন।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য তেজস্ক্রিয়তার যে একটি নিউক্লিয়ার ঘটনা এ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বা কার্যসমূহ সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য তেজস্ক্রিয়তার গুরুত্ব রয়েছে।
তেজস্ক্রিয়তা কি
ফরাসি বিজ্ঞানী হেন্ড্রি ব্যাকের তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন। ১৮৯৬ সালে তিনি দেখতে পান যে ইউরেনিয়াম যৌগের নিকটের আঁকা ফটোগ্রাফি প্লেট কুয়াশাচ্ছন্ন বা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
তিনি অনুধাবন করেন যে ইউরেনিয়াম থেকে নির্গত বিকিরণের দরুন ফটোগ্রাফিকেট ধাপ হয়ে যাচ্ছে। তেজস্ক্রিয়তা বা তেজস্ক্রিয় ক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ফরাসি বিজ্ঞানী হেনরি ব্যাকরণ এর এই ধারণা মূলত তেজস্ক্রিয়তা। তবে এর উপর নির্ভর করে বেশ কিছু তেজস্ক্রিয় মৌল রয়েছে।
যে সকল মৌলসমূহ সাধারণত ফটোগ্রাফি প্লেটে কুয়াশাচ্ছন্ন বা ঝাপসা হয়ে যায় এবং তা অনুধাবন করার ফলে ইউরেনিয়ামের মাধ্যমে দেখা যায় যে সত্যিই ঝাপসা হয়ে যায় এবং এর ঘটনাকে তেজস্ক্রিয়তা বলে।
তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে
ইউরেনিয়াম নিউক্লিয়াস থেকে শত শত ভাবে অবিরত হওয়ার মাধ্যমে এক ধরনের শতশ্রুত বিকিরণ নির্গত হয় এবং এই বিকিরণ কি তেজস্ক্রিয়তা বলে।
তবে এর মধ্যে রয়েছে বিকিরণ অর্থাৎ অতি উচ্চ বেদন ক্ষমতা সম্পন্ন সাধারণত। সাধারণত আদি মৌলটি সম্পূর্ণরূপে নতুন মৌলের রূপান্তরিত হয়।
এবং পরবর্তীতে যতক্ষণ না পর্যন্ত একটি স্থায়ী মৌলের রূপান্তরিত হয় ততক্ষণ এই রূপান্তর প্রক্রিয়া চলতে থাকেসার্বিক ভাবেই রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে তেজস্ক্রিয়তা বলে।
- যে সকল তেজস্ক্রিয় মৌল রয়েছে ওই সকল তেজস্ক্রিয় মূল হতে একটি ঘটনা বলা হয়।
তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একক কী
তেজস্ক্রিয় থেকে পরিমাপের একক হিসেবে বলা হয় ব্যাকরেল।
অর্থাৎ বলা হয়।
মূলত তেজস্ক্রিয়তার এস আই একক হল বেকরেল।
1 Bq=1 decay/s
তবে আগে কুরি এবং রাদারফোর্ড তেজস্ক্রিয়তার দুটি একক ব্যবহার করতো।
1 Ci = 3.7×10^10 Bq এবং 1 Bq= 2.7×10^-10 Ci
1 Rd= 10^6 decay/s
= 10^6 Bq
এবং
1 Bq= 10^-6 Rd
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে
পর্যায় সারণির বিভিন্ন ধরনের পারমাণবিক সংখ্যা রয়েছে এবং এই সকল পারমাণবিক সংখ্যাগুলোর মধ্যে পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা যেগুলো সমান এবং ওই পরমাণু বা মৌলসমূহের ভর সংখ্যা যদি বিন হয় তাহলে তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়ে থাকে।
তবে যে সকল উপদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অর্থাৎ যে সকল আইসোডোপ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় রশ্মী সময় যেমন আলফা বিটা এবং গামা রশ্মিতে নির্গত হয় তাদেরকে সরাসরি তেজস্ক্রিয় আসরূপ বলা হয়ে থাকে। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যেতেও আইসিটিভ সময় সাধারণত আলফা কণা এবং ঘামা কণা নির্গত করে থাকে।
পরমানুর যে সকল মৌলসমূহ থেকে অথবা যে সকল বিকিরণ ঘটালে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলফা কণায় এবং গামা কণা নির্গত হয় তাদেরকে তেজস্ক্রিয় আইস্রুপ বলা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম,থোরিয়াম ইত্যাদি
তেজস্ক্রিয় রশ্মি কাকে বলে
যে সকল রশ্নি তেজস্ক্রিয় ঘটনা ঘটে তাদেরকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বলা হয়। তেজস্ক্রিয় রশ্মি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে বিগিনরা ৩ রকম তেজস্ক্রিয় কণা ও রসে আবিষ্কার করেছেন।
এর মধ্যে 899 সালের রাদারফোর্ড এবং ১৯০০ সালে ব্লাডের পরীক্ষা থেকে এসব কোন সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আলফা কণা, পিটা কণা এবং গা মা রশ্মি।
চুম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখ কনা গুলোর গতির পারম্ভিক অভিমুখ এবং বিচ্যুতির অভিমুখ থেকে সোজা সহজে অনেক বোঝা যায় যে প্রথম রশ্মীটি ধনাত্মক আলফা কণা দ্বিতীয় ঋণাত্মক বিটা কণা এবং তৃতীয় রশ্মি টি নিরপেক্ষ গামা কনা। তবে নিঃসরণ থেকে আরো সহজে বুঝা যায় যে আলফা কোন বিটা গোনার তুলনায় অধিক ভারি।
- যে সকল কণা থেকেও অথবা রশি থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটে সেই সকল কণাগুলোকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বা কনা বলা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে আলফা কনা, বিটা কনা এবং গামা রশ্মি।
তেজস্ক্রিয় পদার্থ কাকে বলে
সাধারণত যে সকল পদার্থ থেকে তেজস্ক্রিয় ঘটনা ঘটে সেগুলোকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। এছাড়াও শুয়ে পদার্থ সাধারণ আলফা এবং বিটা এই দুই প্রকারের তেজস্ক্রিয় কণা এবং গা আমার রশি নিঃসরণ করে।
তেজস্ক্রিয়তা একটি সম্পূর্ণ নিউক্লিয়ার গঠন এবং এর মাধ্যমে নিউক্লিয়াসের বাগানে ফলে একটি মৌল আর একটি নতুন মৌল রূপান্তরিত হয়।
তেজস্ক্রিয়তার মাধ্যমে এ প্রক্রিয়াটি সাধারণ উদ্দেশ্য বিন ঘটনা এবং বিদ্যুৎ ও চুম্বক ক্ষেত্রে নেয়ার বাইরের কোন প্রক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয় না। তবে তেজস্ক্রিয় পদার্থ সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে।
কোন প্রাকৃতিক পদার্থ হতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নিয়ে গমন ঘটনা ঘটলে সেইসব পদার্থকে তেজস্ক্রিয় অর্থাৎ প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলা হয়।
প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় পদার্থের পারমাণবিক সংখ্যা ৮২ ১ থেকে বেশি হয়ে থাকে। আবার কোন মৌলকে কৃত্রিম উপায়ে তেজস্ক্রিয় মৌলের পরিণত করলে যেসব মৌলকে কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় মৌল বলে।
কোন মৌলকে নিউক্লিয় বিক্রিয়া বিক্রিয়ার মাধ্যমে বাইরে থেকে উচ্চ ব্যায়াম সম্পন্ন কোন কণা দ্বারা আঘাত করলে সেটি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরিণত হয় এবং এদেরকে কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় মৌল বা রেডিও বলা হয়।
- দারুন ভাবে যে সকল পদার্থ হতে অর্থাৎ যে সকল কৃত্রিম পদার্থ অথবা প্রাকৃতিক পদার্থ থেকে তেজস্ক্রিয় ঘটনা ঘটে তাদেরকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলা হয়ে থাকে।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বিভিন্ন তথ্য তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে যেমন তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে,তেজস্ক্রিয় আইসুরূপ কাকে বলে এবং তেজস্ক্রিয়তার বিভিন্ন সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর জন্য চেষ্টা করেছি।
ছাড়াও যদি তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে যেকোন তথ্য আপনার জানা থাকে তাহলে তো আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর উক্ত পুষ্টির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এবং তা যদি আপনার প্রয়োজন বলে আপনি জানতে পারেন এবং তা উপকৃত হতে পারেন তাহলে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।
আমাদের পোষ্টের সাথে সম্পর্কিত এরকম কিছু প্রশ্নের উত্তরই নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
১.কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় মৌল উদাহরণ
= কার্বন এবং অক্সিজেন।
২. তেজস্ক্রিয় দূষণ কাকে বলে
= যখন বিক্রিত হয় বা আয়োজিত হয় তখন আলফা কণা বা বিটা কোন নির্গত হয় এবং তার পাশাপাশি জীবজগতের জন্য অপ্রয়োজনীয় কিছু ভোগ তৈরি হয়, উৎপন্ন হয় এই দুচোখ বা দুজনকে তেজস্ক্রিয় দূষণ বলে।
৩.তেজস্ক্রিয়তার si একক কি
= বেকরেল।
৪তেজস্ক্রিয়তার কারণ কি
= পরমানুতে যে সকল নিউক্লিয়াস রয়েছে ভাবমূলও রয়েছে সেগুলো ইলেকট্রন ও নিউট্রন ও প্রোটন সংঘের ভিত্তিতে যদি উত্তেজনা করা যায় তাহলে নিউটন ও প্রোটন সংখ্যা অনুপাতের মান 1.5 থেকে কম হলে সে ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পায় বিকর্শন ধর্মী বলগুলো। ফলে প্রথম ও নিউটন গুলো কি একত্রে ধরে রাখার জন্য তেজস্ক্রিয়তা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুন: নবায়নযোগ্য সম্পদ কাকে বলে
৫.দুটি তেজস্ক্রিয় পদার্থের নাম
= রেডিয়াম এবং ইউরেনিয়াম।
৬.তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একক কী?
= বেকরেল।
৭.তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে
= ইউরেনিয়াম নিউক্লিয়াস থেকে শত শত ভাবে অবিরত হওয়ার মাধ্যমে এক ধরনের শতশ্রুত বিকিরণ নির্গত হয় এবং এই বিকিরণ কি তেজস্ক্রিয়তা বলে।
৮. সর্ব শেষ তেজস্ক্রিয় মৌল কোনটি?
= সীসা।