তাজবিদ শব্দের অর্থ কি? তাজবিদ কাকে বলে
তাজবিদ কাকে বলে: প্রতিটি মানুষের জীবনে ইসলাম এবং পবিত্র কোরআনের গুরুত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি প্রতিটি মুসলমানের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সীমা শেষ নেই। তবে প্রতিটি মুসলমান যখন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করবে তখন তার শরীরে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে হবে।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করতে গেলে তাজবীদ সম্পর্কে জানতে হবে। তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তাজবিদ শব্দের অর্থ কি এটা আসবে কাকে বলে তাজবিদের গুরুত্ব ইত্যাদি
সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে ইসলামিক পবিত্র গ্রন্থ কোরআন তেলাওয়াত করার জন্য তাহাজ্জুদ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাদি নিয়ে আলোচনা করে জানাচ্ছি।
পবিত্র কুরআন হলো মহান আল্লাহতালার এমন একটি বাণী যেটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য সর্বোচ্চ ও সর্বাধিক। প্রকৃত মুমিন তথা একজন মুমিনকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা এবং পবিত্র কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করার জন্য মহান আল্লাহতালা নির্দেশ দিয়েছেন।
তাই প্রতিটি মুসলমানকে প্রতিদিন যথাযথভাবে এই নিয়মগুলো পালন করতে হবে তবে, যখন পবিত্র কুরআন মজিদ তেলাওয়াত করা হবে তখন কোন জায়গায় কতটুকু পরিমানে থামতে হবে বাতাস দিবে বিভিন্ন নিয়ম কানুন এর মাধ্যমে কিভাবে পবিত্র কোরআনকে শুদ্ধভাবে আদায় করা যায় তা জানতে হবে।
এজন্য তাজবীদ কাকে বলে তাজবিদের অর্থ তাজবিদ কে কিভাবে পবিত্র কোরআনে ব্যবহার করতে হবে এ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা খুবই প্রয়োজন এবং তা প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: ইসলাম শব্দের অর্থ কি
তাজবিদ শব্দের অর্থ
তাজবীদ এই শব্দটির অর্থ হলো সৌন্দর্যমন্ডিত করা অথবা যথাযথভাবে সম্পন্ন করা। অর্থাৎ পবিত্র কোরআন মাজীদ যখন তেলাওয়াত করা হয় তখন উচ্চারণের যে সকল নিয়মসমূহ রয়েছে তাকে তাজবিদ বলা হয়।
এছাড়াও সঠিকভাবে উচ্চারণ করার ক্ষেত্রে উচ্চারণের উপর অধিক পরিমাণে রয়েছে শ্রীপাদসমূহ এবং মাকরার সমূহ কুরআন মাজীদদের প্রত্যেকটি হরফকে জড়াজত ভাবে পড়ার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা, পবিত্র কোরআনের একটি হরফকে পড়ার ক্ষেত্রে ১০ নেকি বা দশটি সওয়াব পাওয়া যায় এরকম উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া পবিত্র কোরআন পড়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে –
- গুন্না,,
- পুর,,,,
- বারিক,,,
- মাদ্দ,,,,
- ইত্তেকাউস সাকিনাইন,,,,
- ওয়াকফ,,,
ইত্যাদি সকল বিষয়ের উপর নির্ভর করে যখন তেলাওয়াত করা হয় তখন সঠিকভাবে তেলাওয়াত করার মাধ্যমে এগুলো ছাড়ো আরো কিছু অতিরিক্ত গুন না বা অন্যান্য বিষয়াদি রয়েছে। অর্থাৎ মূলত এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম-কানুন রয়েছে অর্থাৎ তাজবীদ রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআন পড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো হলো মূলত তাজবীদ। তাজবীদ শব্দের অর্থ হলো পবিত্র কোরআনকে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা বা সৌন্দর্য মন্ডিল করে তোলা।
তাজবিদ কাকে বলে
- কুরআন মজিদের ভাষা হল আরবি। তাই আমাদেরকে আরবি ভাষা শিখতে হবে।
- আমরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ শিখব।
- সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তেলাওয়াত করা প্রয়োজন। এতে অর্থ ঠিক থাকে। সালাত শুদ্ধ হয়। আল্লাহপাক খুশি হন।
- আর সঠিক উচ্চারণের তেলাওয়াত না করে অর্থ ঠিক থাকে না এবং সালাত ও শুদ্ধ হয় না।
- প্রকৃত অর্থে কুরআন মজিদে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াতের জন্য যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে ওই সকল নিয়ম কানুন গুলোকে তাজবিদ বলে।
- যেকোনো কাজ থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সবকিছু নিয়মকানুন বা নিয়মের উপর ভিত্তি করে চলে থাকে।
- ঠিক তেমনি পবিত্র কুরআনকে সহিহ ও শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহতালা করতে কিছু নির্ধারিত নিয়ম কানুন রয়েছে।
- কোরআন মজিব পরার ক্ষেত্রে যে নির্ধারিত নিয়ম কানুন রয়েছে ওই নির্ধারিত নিয়ম কানুন সমূহকে তাজবিদ বলা হয়।
- পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন যখন পড়া হয় তখন আল কুরআনকে পড়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে এবং সেই নিয়ম কানুন সমূহকে তাজবিদ বলে।
ইলমে তাজবীদ
যখন কেউ কুরআন মজিদ তেলাওয়াত করে তখন কোরআন মসজিদ তেলাওয়াতে যে সকল ভুল ভ্রান্তি হয় তা থেকে জবানকে রক্ষা করা হচ্ছে আর এটিকে ইলমে তাজবীদ বলা হয়।
প্রতিটি মুসলমানের উপর মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত ফরজ করেছেন। কুরআন মাজীদ পাঠ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ভুল ভ্রান্তি হয়। তবে কুরআন মজিব পাঠ করার বিশুদ্ধ ও সুন্দরতম নিয়ম রয়েছে যাকে তাজবিদ বলা হয়।
তবে ইলমে তাজবিদ বলতে মূলত আমরাও অথবা একজন মুসলমান যখন কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করে সে ক্ষেত্রে যে সকল ভুল হতে পারে ওই সকল ভুলভ্রান্তি থেকে নিজের জবানকে অর্থাৎ মুখ মিশ্রিতভাবে ওই সকল ভুলগুলো রক্ষা করতে পা রাখে বলা হয় ইলমে তাজবিদ।
অর্থাৎ ইলমে তাজবিদ বলতে মূলত কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে সকল প্রান্তে রয়েছে অর্থাৎ যেগুলো মন আল্লাহ তারা নিজে নিজে দিয়েছেন যে কুরআন মাজীদ পড়ার সময় সেগুলো বলার জন্য যেমন মাদ্দ সহ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের তথ্যাদি।
কোন ব্যক্তি যদি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করি এবং সে ক্ষেত্রে সকল নিয়ম কানুন না মানে তাহলে আল্লাহ মহান আল্লাহতালা সেই কুরআনকে কবুল করবেন না।
আরে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ভুল এক্ষেত্রে এিকজন মূল একজন মুসলিম ব্যক্তি যখন কুরআন তেলাওয়াত করবে তখন যে সকল ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওই সকল ভ্রান্তি যদি সে এড়িয়ে চলতে পারে অর্থাৎ সেগুলো থেকে নিজের জবান দিয়ে রক্ষা করার মাধ্যমে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে তখন সে পদ্ধতিকে ইলমে তাজবীদ বলা হয়ে থাকে।
- এলমে তাজবীদ হল পবিত্র কুরআন যখন পড়া হয় তখন পড়ার ক্ষেত্রে যে সকল ভুল ভ্রান্তি সমূহ হতে পারে সেগুলো থেকে নিজে জবানকে প্রকৃত অর্থে রক্ষা করা।
গুন্নাহ কাকে বলে
পবিত্র কুরআন মজিদ ও শুদ্ধভাবে যখন তিলাওয়াত করা হয় তখন ওই তিলাওয়াতের নিয়ম হলো গুনাহ।
এছাড়াও অন্যভাবে বলা যায় যে কেউ যদি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা ক্ষেত্রে নাক ব্যবহার করে উচ্চারণ করে তাহলে তাকে গুন্নাহ বলে।
আরবি হরফ রয়েছে মোট ২৯ টি এবং এর মধ্যে মাত্র গুন্যার হরফ রয়েছে দুইটি। গুন না এর যে দুইটি হরফ রয়েছে সেগুলো হলো: ن ও م
তবে কেউ যদি ভুলা সহকারে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করে তাহলে তার জন্য ওয়াজিব। তবে যখন গুন্না এই হরফটি আসবে কোরআন মজিদ তেলাওয়াতের সময় তখন সে ক্ষেত্রে গুন্নাহ হওয়ার কারণে ওই জায়গাতেও কম হলেও এক আলিফ পরিমান লম্বা করে তেলাওয়াত করতে হয়।
এছাড়াও পবিত্র কুরআনে গুন্নাহ এর গুরুত্ব তেলাওয়াতের দিক দিয়ে অপরিসীম। এজন্য প্রতিটি মুসলমান যখন কুরআন তেলাওয়াত করবে তখন ওয়াজিবের জন্য এবং গুরুত্বের জন্য যথাস্থানে গুন্নাহ করবে।
পবিত্র কুরআন মজিদ যখন তেলাওয়াত করা হয় নাক দিয়ে উচ্চারণ করা হয় বা গুন্নাহ করা হয়েছে সেই তেলাওয়াত কে গুন্নাহ বলা হয়।
আরো পড়ুন: শবল শব্দের অর্থ কি
তাজবীদ শিক্ষা
প্রতিটি মুসলমানের কুরআন মাজিদ তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে তাজবীদ এর শিক্ষা খুবই প্রয়োজন। কেননা একজন একজন মুমিন ব্যক্তি তাজবীদ এর শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে জানতে পারবে কুকুর আন মসজিদ তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে কোন জায়গায় কত সেকেন্ড কিভাবে পড়তে হবে বা টেনে পড়তে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে ইসলামিক বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের দ্বারা তাজবিদ শিক্ষার বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অথবা মুমিন ব্যক্তি তার সম্পর্কে যথেষ্ট শিক্ষা অর্জন করতে পারবে।
তবে মূল কথা হলো তাজবীদ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কারণ একজন যদি শিক্ষা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারে তাহলে কুরআন মজিদ যখন তেলাওয়াত করবে তখন তার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে।
পবিত্র কুরআন মজিব সহি ভাবে এবং শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে হয়। মহান আল্লাহতালা পবিত্র কুরআন মজিদকে সহিহ ও শুদ্ধভাবে পালন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে মহান আল্লাহতালা যে সকল কাজকর্ম বা যে প্রক্রিয়াতে কুরআন মজিব তিলাওয়াত করতে বলেছেন সে প্রক্রিয়াতে কোরআন মজিব তেলাওয়াত করতে হবে।
তাছাড়া কুরআন মজিদ তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে তেলাওয়াত কিভাবে করতে হবে কিভাবে পড়লে কোন গোল-প্রান্তে থাকবে না ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও তথ্য দেয়া থাকে।ফলে পবিত্র কুরআন কে সহিহ ও শুদ্ধভাবে পড়ার ক্ষেত্রে তাজবীদ এর গুরুত্ব ও অপরিসীম।
পবিত্র কুরআন মজিদ যখন তিলাওয়াত করা হয় তখন পবিত্র কোরান মসজিদ তেলাওয়াতের জন্য মহান আল্লাহতালা যে সকল নিয়ম কানুন দিয়েছে সে সকল নিয়ম কানুন সমূহকে তাজবিদ বলা হয়
এছাড়াও সঠিকভাবে কুরআন মজিদ তেলাওয়াত করার ক্ষেত্রে এবং শুদ্ধতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাজবীদ শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরী।
তাজবীদের গুরুত্ব
তাজবীদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। আজবীদ সম্পর্কে যদি কোন মুসলমান জানতে না পারে তাহলে সে কখনোই সহিহ শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করে কোরআন মসজিদ তেলাওয়াত করতে পারে না।
এজন্যই মহান আল্লাহতালা প্রতিটি মুসলমানকে তাজবীদ সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য বলেছেন। মহান আল্লাহতালা অধিক মর্যাদা সম্পর্কে একটি গ্রন্থ হচ্ছে পবিত্র কোরআন এবং সেটি ভাবে তেলাওয়াত করার ক্ষেত্রে তার সম্পর্কে জানার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান আল্লাহতালা সূরা মুজাম্মিল এর ৪ নং আয়াতে বলেছেন যে, তোমরা তারতির সহকারে পবিত্র কুরআন মজিদ তেলাওয়াত কর। এছাড়া উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মজিদ তেলাওয়াত কে ফরজে আইন হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন পবিত্র কুরআন যখন তেলাওয়াত করা হয় তখন বিভিন্ন সিফাত অনুসারে অথবা মাখরাজ অনুসারে যথাযথভাবে পবিত্র কোরান আদায় করা হচ্ছে পরিপূর্ণ উচ্চারণ ভাবে আদায় করার একটি অন্যতম প্রক্রিয়া।
তাছাড়া পবিত্র কোরআনে যে অক্ষর গুলো রয়েছে সেগুলো সুন্দরতমভাবে আদায় করা এবং সঠিক উচ্চারণ অনুযায়ী প্রতিটি আয়াতের সর্বস্থান অর্থাৎ সবশেষে সেখানে শ্বাস ফেলে ইতালি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে বলেছেন।
এছাড়াও পবিত্র কুরআন মজিদ তেলাওয়াত করার জন্য তিনটি স্থানকে ভাগ করে দিয়েছেন এবং সেগুলো হল :-
- তার তিল, হদর এবং হদর এবং তাদবীর।
এজন্য মহান আল্লাহতালার নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি মুসলমানকে তাজবীদ সম্পর্কে জানতে হবে তাজবিদের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হবে এবং যথাস্থানে কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তাজবীদ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করে জানানোর চেষ্টা করেছি। এছাড়াও তাজবিদ কাকে বলে তাজবিদ শব্দের অর্থ কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
আজবীদ সম্পর্কে আপনারা যদি কোন তথ্য জানার থাকে এবং তা আমাদের প্রশ্নের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পেরে থাকেন অর্থাৎ উপকৃত হতে পারেন তাহলে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাবেন। এছাড়াও তাজবিদ সম্পর্কে আরো যেকোন প্রশ্ন থেকে থাকলে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন।
আমাদের পোস্ট রিলেটেড এরকম কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে তুলে ধরা হয়েছে :-
১.তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন পড়া কী
= ওয়াজিব।
২.তাজবিদ কি
= সহীহ সুন্দর ও শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করার পদ্ধতি হলো তাজবীদ।
৩.তাজবিদ বলতে কি বুঝায
= পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলোকে তাজবিদ বলে।
৪. তাজবিদ শিক্ষা
= তাজবীদ শিক্ষা হলো মূলত কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া অথবা নিয়মকানুন সমূহ, যে শিক্ষা অর্জন করার মাধ্যমে একজন মুসলমান প্রকৃতভাবে এবং শুদ্ধ ও সুখী ওভাবে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবে।
৫. তাজবীদ বই
- = তাসহীলুত তাজবিদ,
- মা’আরিফুল তাজবিদ,
- আহসানুত তাজবিদ।
৬.তারতীল কাকে বলে
= মাখরাজ ও সিফাত অনুযায়ী কুরআন মজিদে যে সকল হরণগুলো রয়েছে সেগুলো ধীরে ধীরে উচ্চারণ করে পড়া কে তারতীল বলে।
৭.তাজবিদ এর অর্থ কি?
- = সৌন্দর্যমন্ডিত করা,,,
- যথাযথভাবে সম্পন্ন করা।
৮. ইলমে তাজভিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনটি?
= পবিত্র কুরআন দিয়ে যথাযথভাবে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা।
৯.তাজবীদের শিক্ষা কি?
= তাজবীদ শিক্ষা হলো যে শিক্ষার মাধ্যমে কুরআন মজিদ তেলাওয়াতের যথাযথ জ্ঞান বা কিভাবে তেলাওয়াত করতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করা।
১০. গুন্নাহ কত প্রকার কি কি?
- = গুন্নাহ হলো তিন প্রকার।
- * ওয়াজিব গুন্নাহ
- *নুন এ গুন্নাহ ও
- *মীম এ তাশদীদ।