তৃণভূমি কি? তৃণভূমি কাকে বলে
তৃণভূমি কাকে বলে: তৃণভূমি, পৃথিবীর এই পৃষ্ঠের ৩১-৪৩% অংশ ও জুড়ে রয়েছে। এগুলি আমাদের গ্রহের এক অন্যতম উৎপাদনশীল হলো ভূদৃশ্য । বিভিন্ন এমন কিছু কিছু ধরনের তৃণভূমি রয়েছে: প্রাকৃতিক তৃণভূমি, এবং আধা-প্রাকৃতিক তৃণভূমি আবার এই কৃষিজ তৃণভূমি।
কুমেরু বাদে সমস্ত এমন কিছু মহাদেশে তৃণভূমি আবার প্রাকৃতিকভাবে দেখা যায় ও পৃথিবীর বেশিরভাগ পরিবেশ এবং অঞ্চল-এ পাওয়া ও যায়। তার উপরে এমন ভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম কিছু বায়োমসমূহের মধ্যে একটি হ’ল এই তৃণভূমি। বলতে গেলে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ভূদৃশ্য অধিকার করে আছে এই তৃণভূমি ।
তৃণভূমি কি
তৃণভূমি এমন অঞ্চল আছে যেখানে এই সব গাছপালার মধ্যে ঘাসের (পোয়াসি) ও আধিপত্য থাকে। তবে শর (সাইপারেসি) আবার এই সব নলখাগড়া (জুঙ্গাকেসি)-ও নানা ভাবে দেখা যায়।
- সঙ্গে নানা রকম অনুপাতে ক্লোভার (ত্রিপত্রবিশেষ) এমন কিছু মতো শিম্ব জাতীয় গুল্ম এবং অন্যান্য অনেক ভেষজ পাওয়া যায়।
তৃণভূমি কাকে বলে
যে কোনও কিছু রকমের ফসল কাটা এই সব চারা সহ যেখানে ঘাস এবং/অথবা শুঁটি প্রাধান্যযুক্ত হলো উদ্ভিজ উৎপাদিতও হয়।
“…লতা এবং গুল্ম প্রভাবিত করে স্থলজ পরিবেশতন্ত্র আবার আগুন, চারণ, খরা এবং/ তাই জন্যে হিমায়িত তাপমাত্রায় নানা ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়।” আবার এই (পাইলট অ্যাসেসমেন্ট অফ ও গ্লোবাল ইকোসিস্টেমস, ২০০০) ।
ভূমি কাকে বলে
সাধারণতঃ পৃথিবীর এই উপরিভাগকে ভূমি বলা হয়। কিন্তু আবার অর্থনীতিতে ভূমি বলতে হয় শুধু ভূ-পৃষ্ঠকেই বুঝায় না, আবার বরং প্রাকৃতিক সকল সম্পদকেও বুঝায়।
অর্থাৎ মাটির উর্বরাশক্তি,এবং আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত, ও তাপ, জল, বাতাস, সূর্যের আলো, আবার এই খনিজ সম্পদ, বন, এবং মৎসক্ষেত্র, খাল-বিল, নদ-নদী, এবং সমুদ্র প্রভৃতি যাবতীয় প্রাকৃতিক সম্পদ গুলো ভূমির অন্তর্ভূক্ত।
প্রেইরি তৃণভূমি কাকে বলে
প্রেইরি তৃণভূমি এমন কিছু eঅঞ্চলের প্রধান মাটি হল এই চারননাজেম। এটি একপ্রকার গুলো হলো আঞ্চলিক মাটি। প্রায় শুষ্ক এবং নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু পরিবর্তন অঞ্চলে চারনাজেম মৃত্তিকা গড়ে ও ওঠে।
প্রায় 75 সেমি থেকে 125 সেমি বৃষ্টিপাতযুক্ত এই নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি অঞ্চলে এরূপ মৃত্তিকার গুলো উৎপত্তি এবং নানা ভাবে বিকাশ ঘটেছে।
অবস্থান হলো : ইউক্রেনের স্তেপ, এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেইরি,আবার এই মধ্য চিনের সমভূমি, এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়ার তৃণভূমিতে নানা ভাবে চারনােজেম মৃত্তিকা দেখা যায়।
সাভানা তৃণভূমি কাকে বলে
সাভানা হচ্ছে ঘাস-বৃক্ষ জাতীয় এমন কিছু উদ্ভিদের মিশ্রণে তৈরি এটি হলো বাস্তুতন্ত্র। এখানে অসংখ্য কিছু বৃক্ষ পাশাপাশি ভাবে অবস্থান করে কিন্তু খুব বেশি হলে কাছাকাছি থাকেনা। এর ফলে যে কোনো ভাবে এই চাঁদোয়া সৃষ্টি হয় তা খুব ঘন ঘন হয় না। চাঁদোয়ার এর মধ্য দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে এমন ভাবে সূর্যের আলো মাটিতে ও পড়ে।
ফলে সহজেই এ সব ঘাস জন্মাতে পারে।সাভানাতে অনেক সময় বৃক্ষ পাশাপাশি এমন ভাবে অবস্থান করলেও আবার এই চাঁদোয়া খোলামেলা হয়।
সাভানা তৃণভূমি কোথায় অবস্থিত
দক্ষিণ আমেরিকার এই সাভানায় বৃক্ষের ঘনত্ব, আবার গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চল থেকেও অনেক বেশি হয়।এক্ষেত্রে বৃক্ষরাজির মাঝে মাঝে ঘনত্ব থাকে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৮০০-৩৩০০। বনের সাথে লাগোয়া এমন ভাবে সাভানায় এ সংখ্যা থাকে আবার ৮০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে।
আবার অন্যদিকে গুনিয়ান সাভানায় এ মন কিছু সংখ্যা প্রতি হেক্টরে ১২৯। রিপারিয়ান বনে প্রায় প্রতি হেক্টরে ১০৩।] আবার এই অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এ সংখ্যা প্রায় প্রতি হেক্টরে ১০০।
আরো পড়ুন: পরিকেন্দ্র কাকে বলে
স্টেপ তৃণভূমি কোথায় অবস্থিত
নাতিশীতোষ্ণ মধ্য-অক্ষাংশের এমন কিছু তৃণভূমির মধ্যে রয়েছে, যা হলো প্রেইরি, উত্তর আমেরিকার এমন কিছু প্রশান্ত মহাসাগরীয় তৃণভূমি,এবং আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল আবার উরুগুয়ে-এর পম্পাস, আবার এই চুনযুক্ত নিম্নভূমি, এবং ইউরোপ আবার এমন কিছু স্টেপ তৃণভূমি।
- এগুলিকে নানা ভাবে নাতশীতোষ্ণ তৃণভূমি, সাভানা ও গুল্মভূমির বায়োমও হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
- আধা-প্রাকৃতিক তৃণভূমি,এমন একটি ক্ষুদ্র পরিসরে বিশ্বের এক অন্যতম জীববৈচিত্র্যময় হলো আবাসস্থল।
- আধা-প্রাকৃতিক এমন কিছু তৃণভূমি বিশ্বের সর্বাধিক এই প্রজাতি সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত ।
- বহু শতাব্দী জুড়ে এমন কিছু বিস্তৃত চারণ এবং ছাঁটাইয়ের নানা ভাবে (মোইং) মাধ্যমে তৈরি ও হয়েছে ।
- আধুনিক কালের এই সব কীটনাশক বা সার ব্যবহার করাও ছাড়াই জন্মেছে ।
তৃণভূমি মানে কি?
তৃণভূমি এমন একটা অঞ্চল যেখানে গাছপালার গুলো মধ্যে ঘাসের (পোয়াসি) আধিপত্যও থাকে। তবে শর (সাইপারেসি) ও নলখাগড়া (জুঙ্গাকেসি) দেখা যায়।
তৃণভূমি বাস্তুতন্ত্র কি?
এই বাস্তুতন্ত্রের গাছপালা ঘাস ও ভেষজ দ্বারা প্রভাবিতও হয়। যেমন হলো সাভানা তৃণভূমির জন্য ।
স্তেপ তৃণভূমি কোথায় অবস্থিত?
এর মধ্যে প্যাননোনিয়ান এমন স্তেপের অধিকাংশ কিছু কিছু অঞ্চল হাঙ্গেরিতে অবস্থিত।