সুরবালা কোন গল্পের চরিত্র
সুরবালা কোন গল্পের চরিত্র :-বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন রচনাবলী এবং গল্প রয়েছে। বাংলা সাহিত্য উপন্যাস এবং ছোটগল্পের আকৃতি মাধুর্জতা নিয়ে টিকে রয়েছে। তবে বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য ব্যক্তি হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তিনি বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন রচনা এবং অসংখ্য ছোট গল্পের মধ্যে বেশ কিছু অন্যতম ছোট গল্প রচনা করেছে। তার মধ্যে সুরবালা হলো অন্যতম এক চরিত্র এবং ছোট গল্প।
এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা সুরবালা নামক প্রধান চরিত্রের একরাত্রি গল্প সম্পর্কে এবং গল্পের চরিত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আপনাদেরকে আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
সুর বালা হলো বাংলা সাহিত্যের অসংখ্য ছোট গল্পের মধ্যে একটি অন্যতম ছোট গল্প। এবং সুরবালা একটি ছোট গল্প নয় বরং এটি একরাত্রি গল্পের একটি অন্যতম প্রধান চরিত্র। এক রাত্রি গল্পের প্রধান চরিত্র হলো গল্পকথক বা নায়ক তবে নায়িকার দিক দিয়ে গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে সুরবালা কে বলা হয়।
এজন্য বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধরনের গল্প উপন্যাস সম্পর্কে জানার পাশাপাশি কিছু ছোট গল্প যেমন এক রাত্রি ছোট গল্প ইত্যাদি সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য।
একরাত্রি গল্পের ছোট প্রশ্ন
১. ‘একরাত্রি’ উক্ত গল্পটি কত বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়?
= ১২৯৯ বঙ্গাব্দে।
২. ‘একরাত্রি ‘ গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
=” সাধনা” পত্রিকায়।
৩. আহা দুটিতে বেশ মানায়,, উক্তিটি কার?
= সুরবালার মায়ের।
৪. আহা দুটিতে বেশ মানায়,, উক্তিটির কাদের দুজন সম্পর্কে বলা হয়েছে?
= গল্প কথক আর সুরবালাকে বর – বধূ রূপের কথা বলা হয়েছে।
৫. গল্পকথক এর পিতার পেশা কি ছিল?
= চৌধুরী জমিদারের নায়েবগীরি ।
৬. গল্পগঠকের ভবিষ্যতের অভিপ্রায় কি ছিল?
= পাড়ার নীলরতনের মতো।
৭. পাড়ার নীলরতনের ভবিষ্যতের অভিপ্রায় কি ছিল?
= কলকাতায় গিয়ে পড়ালেখা করবে এবং কালেক্টরের নাজির কিংবা জর্জ আদালতের হেড ক্লাক হওয়া।
৮. গল্পগত কার দেখানো পথে কলকাতায় গেল?
= নীল রতনের।
৯. গল্পকথা কত বছর বয়সে কলকাতায় যান?
= ১৫ বছর বয়সে।
১০. গল্পকথক যখন পালিয়ে কলকাতায় যান তখন সুরবেলার বয়স কত?
= ৮ বছর।
১১. সুর বালার সঙ্গে গল্পকতকের বিবাহ হল না কেন?
= কারণ গল্পগত নিজে ভেবেছিলেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যে আজীবন বিবাহ না করে তিনি দেশের জন্য মরবেন, এবং এটি হলো বিবাহ না করার কারণ।
১২. একরাত্রি গল্পের গল্পকথা কোথায় চাকরি পান?
= নোয়াখালী বিভাগের একটি ছোট শহরে।
১৩. গল্পকথা কিসে চাকরি পান?
= অন্ট্রেশ স্কুলের সেকেন্ড মাস্টারি পদে।
১৪. সুর বালার সঙ্গে কার বিবাহ হয়েছিল?
= রামলোচন বাবুর
১৫. সুরবালার স্বামীর পেশা কি ছিল?
= ওকালতি।
একরাত্রি গল্পের নায়কের নাম কি
সাহিত্যিকদের মধ্যে সাহিত্যের প্রথম নোবেলপ্রাপ্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম গল্পের মধ্যে একটি অসাধারণ ছোট গল্প হল একরাত্রি।
একরাত্রে গল্পের গল্প কতক হলো সেই গল্পের নায়ক। অর্থাৎ একরাত্রি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বা প্রধান চরিত্র হিসেবে নায়ক কে বলা হয়ে থাকে। এবং প্রায়শে গল্পের নায়ক হয়ে উঠেছেন কথা কাব্যের মাধ্যমে।
এ গল্পে নায়কের নাম সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। সে কারণে একরাত্রি গল্পটি উত্তম পুরুষের জবানিতে তৈরি একটি ছোট গল্প। এক্ষেত্রে গল্প কত খলেন গল্পের নায়ক যার নাম গল্পে কখনো উল্লেখ করা হয়নি।
একরাত্রি গল্পের বিষয়বস্তু
সাধারণত বিভিন্ন ছোটগল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশের নায়ক ও নায়িকাদের মিলনের গানটা ধনী হিসেবে বেজে ওঠে। তেমনি একরাত্রি গল্পের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে হৃদয়ের তাগিদে নয়ন নায়ক জলমগ্ন পুকুর পাড়ে এসে দাঁড়ায় দেখে যে অপর প্রান্তে একজন দাঁড়িয়ে আছে। আর তখন মোহ মোহ বজ্র আঘাত পড়েছিল এভাবেই রাস্তার কোনো লোক নেই।
পথ পথঘাট শূন্য চিকেন মাঝখানে দুজন ব্যক্তি পুকুরে দুই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দুজন দুজনের দিকে কোন কথা না বলে তাকিয়ে রইল। তাদের পদতলে গার কৃষ্ণবর্ণ মৃত্যু স্রোতে গর্জন করতে লাগলো।
এবং তাদের এই ভয়ংকর দুর্যোগের দিনে নায়ক আর সুর বালা ছাড়া কেউ নেই। তবে তাদের জন্মান্তরের পথ পেরিয়ে কুলুপ পূর্ণ পরিবেশে তার জীবনের সঙ্গে সুর বালা সংলগ্ন হয়ে যায়। তবে কিছুদিন পরে সেই আলোকময় লোকাল হয়েছে রে সুর বালা ভয়ংকর একজন শূন্য প্রলয় অন্ধকারের মধ্যে তার পাশে এসে দাঁড়ায়।
আর এভাবে একটি ডেউ এলেও পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে বিচ্ছেদের ওই এক প্রান্ত পর্যন্ত কোষে আবার দুজনে এক হয়ে যাবে।
এভাবে রাত্রির মধ্যে দুজনের মিলন বা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা এবং রাত্রি শেষ হলে প্রলয়ন কর দুর্যোগেরও শেষ হলো ঝড়থেমে গেল, জল ও নেমে গেল। ঘরে ফিরে গেলেও নায়ক ফেরলো তার চালা করে। তবে কেউ কখনো কোন কথা বলল না তাই নায়কের মনে আর যন্ত্রণা নেই এবং শূন্যতার অনুভূতি ও নেই।
হলে এক প্রান্তিতে তার সমস্ত মন আনছো না হয় এবং এই দুর্যোগপূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি না থাকতো তাহলে নায়ক ও সুর বলার মধ্যে একটি আকাঙ্ক্ষা থাকতো যা বাস্তবে পরিণত হতে দেয়নি এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মূলক পরিবেশটি।
তাই সেই এক রাত্রিকে নায়ক অনুভূতির প্রাণ এবং আচ্ছন্ন হয়ে বলেছি আমার সমস্ত ইহজীবন কেবল একটি ক্ষণিকের জন্য যা অনন্ত রাত্রি উদয় হইয়াও ছিল।
আর এভাবেই নাকের পরমাণুর সমস্ত দিন রাত্রির মধ্যে সেই একটিমাত্র রাত্রি নায়কের তথ্য জীবনের একমাত্র চরম সার্থকতা। আর সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ব্যঙ্গ উপন্যাস কোনটি
বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃত বা কবি সত্তাকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাহিত্যিকের অনন্য উপন্যাস গুলো উল্লেখযোগ্য। সাহিত্যিকগণ বিভিন্ন উপন্যাস রচনা ও প্রনয়ণ করার মাধ্যমে বা লেখার মাধ্যমে সাহিত্যকে অতীত কাল থেকে শুরু করে বর্তমান কাল পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছে।
বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস, ছড়া, কবিতা বিদ্যমান রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে উপন্যাস সর্বজনীন গ্রাহ্য বা সবচেয়ে বেশি হারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে।
তেমনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ব্যঙ্গ উপন্যাস হলো :
ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের →কল্পতরু,,,,,
সুরবালার স্বামীর নাম কি
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসংখ্য ছোট গল্পের মধ্যে একরাত্রি হলো একটি অন্যতম ছোট গল্প।
একরাত্রি গল্পের নায়িকা হল সুর বালা। গল্প কথকের কথা হবে অনুযায়ী গল্পের নায়ক অন্য একজন হলেও গল্পের নায়িকা সুর্বলার স্বামী হলেন রামলোচন।
অর্থাৎ এক রাত রাত্রে গল্পের সুরবেলার স্বামীর নাম হলো → রামলোচন।
এবং তিনি পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য ছোট গল্প একরাত্রি এর সুরবালা চরিত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি, আমাদেরকে পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য গল্প একরাত্রি সম্পর্কে যথাযথ ভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।
আমাদের পোস্টের সাথে মিল রয়েছে এরকম কয়েকটি প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
১. একরাত্রি গল্পের সুরবালার পরিচয় দাও
= এক রাত্রে গল্পের নায়িকা হল সুরবালা
২. রায়রাহতেয়া গল্পের প্রধান চরিত্র কে
= গল্পকথক, নায়ক এবং এডওয়ার্ড ক্রিমসওয়ার্থ।
৩. একরাত্রি গল্পের মূল বক্তব্য কী?
= দেশের সামাজিক সমস্যা মূলক বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা।