বাজেট রেখা কাকে বলে? বাজেট রেখার ঢাল ও সমীকরণ
বাজেট রেখা কাকে বলে:গত এপ্রিলে আইএমএফ জোরালোভাবে এমন একটি বিষয় জানিয়েছিল আগামী অর্থ বছরে বাংলাদেশের এই জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে ও (এজন্য করোনা বিলীন হওয়া, তাই বেসরকারি
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে এমন ভাবে অর্থনীতি দ্রুত সচল হওয়ার পূর্বশর্তও ছিল)। একজন রিয়েলটর হিসেবে আমার কাছে আবার এই প্রবৃদ্ধির অংকগুলো খুবই এমন ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
গত পাঁচ বছরে যখন এ দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি টেকসই অনেক ছিল, তখন আবাসন খাত রক্ষায় মন্দা কাটিয়ে বেশ খুব ভালোভাবেই ঘুরেও দাঁড়িয়েছিল। যদিও নানা রকমের সমস্যা সবসময়ই ছিল ও দায়িত্বশীল মহলের অনেক কিছুই বিমাতাসুলভ আচরণের অধিকারী মুখে পড়তে হয়েছে এমন খাতকে।
যদিও দেশের জিডিপিতে করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আবার প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখছে এমন আবাসন খাত। এরসঙ্গে জড়িয়ে এবার আছে ২৬০ টি (মতান্তরে প্রায় ২১১ টি) সংযুক্ত এমন খাত।
আমি ছোট একটা উদাহরণ দেই আবার বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আবাসন এবং নির্মাণ খাতের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে থাকায় ইস্পাত এই কারখানার উৎপাদন করতে ৩০ শতাংশে নেমেছে।
আরো পড়ুন: রেখাংশ কাকে বলে?
বাজেট রেখা কাকে বলে
আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে বড় অঙ্কের ভ্যাট সহ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় এক লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের নির্ধারণ হয়েছে।
পাশাপাশি আবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও এমন কিছু ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। দেশে প্রায় প্রতি বছর গড়ে এই ১০ হাজার ইউনিট ফ্ল্যাট হস্তান্তর ও করা হয়।
কিন্তু, চড়া নিবন্ধন খরচের পরিমাণ মতো জন্য অধিকাংশ ক্রেতা তেমন ফ্ল্যাট বুঝে নিয়েও বছরের পর আবার বছর ধরে নিবন্ধন করছেনও না।
এতে সরকার রাজস্ব নানা কারণে হারাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ঝুঁকিমুক্ত ও চাঙ্গা করার এমন যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হয় হচ্ছে তাতে ফ্ল্যাট নিবন্ধন জাতীয় ফি যদি ৫/৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়,এবং তবে অন্তত ৮০ শতাংশ ভোট অনিবন্ধিত ফ্ল্যাট নিবন্ধনের আওতায়ও চলে আসব।
নিরপেক্ষ রেখা ও বাজেট রেখার সাহায্যে ভোক্তার ভারসাম্য
একইসঙ্গে আমাদের দেশে একটি এমন কিছু সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির হস্তান্তর ফি এক একটি নতুন গাড়ির নিবন্ধন ফি স্থগিত থেকে অনেক কম। অথচ এই সব সেকেন্ডারি ফ্ল্যাট নিবন্ধনে অনেক সময় সমপরিমাণ অর্থ খরচ করতেও হয়।
এই বৈষম্য দূর করা নানা ভাবে প্রয়োজন। ব্যবহৃত ফ্ল্যাট বিক্রির সময় এর পর তার পুনরায় নিবন্ধনে প্রায় ৩ শতাংশের বেশি নিবন্ধন জাতীয় ফি হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য যৌক্তিক নয়।
এই বিষয়টি এমন একটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখলে এই আমাদের রিয়েল এস্টেটের এক একটা সেকেন্ডারি বাজার ও তৈরি হবে। যা মূলত প্রাইমারি বাজারকে এমন ভাবে ভ্যালু এড করবে।
প্রাসঙ্গিকভাবেই আবার উল্লেখ করতে চাই, সরকারি এই সব কর্মচারীদের আবাসন নিশ্চিতে মাত্র প্রায় ৫ শতাংশ হারে গৃহঋণ দেওয়াও হচ্ছে, এটা যদি সর্বোচ্চ প্রায় ১২০০ বর্গফুট মাপের যে কোনো কিছুই ফ্ল্যাট ক্রেতার জন্যও দেওয়া কি আবার হয় তাহলে সাধারণ সম্পাদক মানুষ উপকৃত হবে এবং মাথা রেখে গোঁজার ঠাঁই পাবে।
নিরপেক্ষ রেখা কাকে বলে
এবারের বাজেটটি বিশ্লেষণ করতে হবে আবার গিয়ে লক্ষ্য করলাম, আমাদের নির্মাণ খাতের নানা প্রধান কাঁচামাল রড তৈরির উদ্দেশ্যে কিছু রাসায়নিক যেমন- এই ফ্যারো ম্যাঙ্গানেজ, ও ফ্যারো সিলিকো ম্যাঙ্গানেজ এবং ফ্যারো সিলিকন এবার ওপর রেগুলেটরি ডিউটি প্রায় ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আরো ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।
এমনিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাজারে রড তৈরির উদ্দেশ্যে কাঁচামালের দাম বাড়ছে এই অবস্থায় এই সব রাসায়নিকের আরডি ৫ শতাংশ এবং বৃদ্ধি না করে বরং অনেক ৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া আবার প্রয়োজন।
রড শিল্পের কৌশলগত কারণে পার্টনার হিসেবে আমরা প্রায় তাই মনে করি। নয়তো এমন কিছু মূল্যবৃদ্ধি আবাসনের মূল্যকে নানা ভাবে প্রভাবিত করবে।
সবমিলিয়ে এই বাজেটটি যথেষ্ট ভালো আশাবাদী হওয়ার মতো এই বাজেট মনে হয়েছে। এজন্য প্রতিটি অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন: উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা কাকে বলে
বাজেট রেখার বৈশিষ্ট্য
গত ৩১ মে অফিস খোলার পর আমরা এই সব ‘কর্মী এবং গ্রাহকদের সুরক্ষাই প্রথম অগ্রাধিকার’ এমন কিছু নীতিতে এগোচ্ছি। প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মীদের তাই এমন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া ও হয়েছে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নানা ভাবে করা হচ্ছে। নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি এমন ভাবে মেনে আমাদের অফিস এর জন্য বিশেষ করে প্রকল্প সাইটগুলো ঢেলে সাজাতে ও হচ্ছে।
এতে ব্যয় বাড়ছে, তবু আমরা কিছুদিন এটাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি আবার আমাদের কর্মী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে এমন কিছু অগ্রাধিকার দিয়ে। আমরা প্রায় লকডাউনে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিশ্চিত করতে চেয়েছি ছুটির দিনে পর আমাদের কর্মীরা যেন ফিট থাকে।
এক্ষেত্রে আমরা ৯৮ শতাংশই সফলতা পেয়েছি। কর্মীরা সুস্থ আছে, এবং ফিট আছে। বর্তমানে আমরা অনেক সময় স্বল্পমেয়াদি সমস্যার পরিবর্তে অন্য দিকে দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনাকেই প্রাধান্য দিয়ে নানা ভাবে এগুচ্ছি।
বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের এই জন্য তহবিল গঠন আবার ফ্ল্যাট নিবন্ধন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে এমন কিছু নামিয়ে আনাসহ সাম্প্রতিক মন্তব্য সময়ে যে প্রণোদনা প্যাকেজ একটিভ ঘোষণা করা হয়েছে তার ওপর থেকে দ্রুত বাস্তবায়ন করা। তা এই সব কিছু শিল্পকে সংকট থেকে নানা ভাবে উত্তোরণে কার্যকর এমন কিছু ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
করোনা পরিস্থিতি আমাদের বাংলাদেশ সামনে যে অপ্রত্যাশিত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সিরিজ তৈরি করেছে তা কারো কিন্তু একার পক্ষে মোকাবিলা করা এইটা সম্ভব নয়। এই সমস্যা থেকে নানা ভাবে পরিত্রাণ পেতে দরকার ছিল সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। নীতি নির্ধারণী ম্যাচে মহল এখানে টর্চ হাতে আলো আর ফেলার সেই কাজটি করবেন তাই বলে আমরা আশাবাদী।
আরো পড়ুন: কর্কটক্রান্তি রেখা কাকে বলে
বাজেট ভারসাম্য কি?
যে বিনিময় হারে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা এবং আবার এই যোগান পরস্পর সমান হয় ঐ সময়ে বিনিময় হারকে ভারসাম্য এমন বিনিময় হার বলে।
বাজেট লাইন কাকে বলে?
বাজেট রেখা নিদিষ্ট আয়ে আরো কিছু দুটি পণ্যের সর্বোচ্চ ক্রয় করার ক্ষমতা নির্দেশ করে।
একটি উদাসীনতা বক্ররেখা কি?
একটি উদাসীন বক্ররেখা হল এক একটি লেখচিত্র যা আবার দুটি পণ্যের সংমিশ্রণ দেখায়, যা ভোক্তাকে কিছু সমান সন্তুষ্টি লাভের উপযোগিতা দেয়।
বাজেট রেখা ও মূল্য রেখা কি?
ভোক্তা ভারসাম্যের মধ্যে থাকে যখন সে এমন ভাবে তার উপযোগিতা সর্বাধিক করে, তার আয় করতে বাজারের মূল্য অস্বাভাবিক বিবেচনা করে।
একটি বাজেট নিয়ে রেখা হল দুটি পণ্যের মূল্য বিভিন্ন সংমিশ্রণের একটি লেখচিত্র দ্বারা আক্রান্ত উপস্থাপনা যা একজন এমন ভোক্তা একটি নির্দিষ্ট আয়ের স্তরে প্রবেশ পণ্যের নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে সামর্থ্য দর্শাতে ও পারে।