শিক্ষা

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা | ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য

ধর্ম এবং নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব: নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে যেসব কারণে বিষয় সরাসরি সম্পর্কিত সেগুলো হলো সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, ও দুর্নীতি দমন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন,

প্রবৃদ্ধি, শান্তিশৃঙ্খলা ও রক্ষা ইত্যাদি।তাই এমন  আচরণে অভীষ্ট ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনের জন্য এই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞান দান করাকেও শিক্ষা বলেআচরণে (আমলে ও কর্মে) ইতিবাচক পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সাধনই শিক্ষার উদ্দেশ্য।

নৈতিক শিক্ষা ইসলামের এই মৌলিক বিষয়াবলির নানা ভাবে অন্তর্গত। ইসলামি দর্শনে আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আমাদের মহান আল্লাহ তাআলা। তাই ফেরেশতারা ও বলেছিলেন: ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের এই কোনোই জ্ঞান নেই; নিশ্চয় আপনি মহাজ্ঞানী এবং কৌশলী।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৩২)।

আমাদের প্রিয় নবী( সা.)  উনার প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল: ‘পড়ো তোমার রবের এই নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন এই মানব ‘আলাক’ হতে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, এই যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর ও মাধ্যমে।

এই শিখিয়েছেন মানুষকে যা তারা জানত না।’ (সুরা আলাক, আয়াত: ১-৫)। ‘দয়াময় এই রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে আমাদের মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণও শেখালেন।’ (সুরা রহমান, আয়াত ১-৪)।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

আচরণে (আমলে বা কর্মে) ইতিবাচক পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সাধনই শিক্ষার উদ্দেশ্য। নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে যেসব কারণে বিষয় সরাসরি সম্পর্কিত সেগুলো হলো সুশাসন এই, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, দুর্নীতি দমন,

এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ও প্রবৃদ্ধি, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি। আচরণে অভীষ্ট ইতিবাচক পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সাধনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান অথবা জ্ঞান দান করাকে শিক্ষা বলে।

আবার খলিফা হজরত উমর (রা.)-এর এ প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন যে,এই ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়—এই আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন), ও প্রতিষ্ঠিত সুন্নত (হাদিস) এবং ন্যায় বিধান (ফিকাহ)।’ (তিরমিজি)।

হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন যে, ‘(শিক্ষিত তিনি) যিনি শিক্ষা অনুযায়ী কর্ম করেন এই (অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা থাকে)।’ (সহিহ তিরমিজি এবং সুনানে আবু দাউদ)।

ইলম বা জ্ঞান হলো মালুমাত অথবা ইত্তিলাআত তথা তথ্যাবলি। এ দুভাবে অর্জিত হতে পারে: (ক) পঞ্চেন্দ্রিয় দ্বারা। যথা (১) চক্ষু, ও (২) কর্ণ, (৩) নাসিকা, (৪) জিহ্বা এবং (৫) ত্বক।

এ প্রকার ইলমকে ইলমে এই কাছবি বা অর্জিত জ্ঞান ও বলে। (খ) ওয়াহি। যথা (১) কোরআন এবং (২) হাদিস। এ প্রকার ইলমকে ইলমুল ওয়াহি অথবা ওয়াহির জ্ঞান বলে।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা কাকে বলে?

হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করলেন: যে, ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে পাঠান এই এমন রাসুল, যিনি আপনার আয়াত উপস্থাপন করবেন যে, কিতাব এবং হেকমত শিক্ষা দেবেন ও তাদের পবিত্র করবেন।

নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল এবং কৌশলী।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৯)। মানুষ এর দোষে-গুণে সৃষ্টি। আল্লাহ তাআলা বলেন যে, ‘অতঃপর তাতে ঢেলে দিলেন এই অপরাধপ্রবণতা এবং তাকওয়া।তাই অবশ্যই সফল হলো সে যে তা করে পবিত্র করল; আর বিপদগ্রস্ত হলো সে যে তা ছেড়ে ও দিল।’

(সুরা শামছ, আয়াত ৮-১০)।তাই ‘নিশ্চয় যারা অকৃতজ্ঞ, হোক সেই কিতাবধারী ও অংশীবাদী, সেই জাহান্নামের আগুনে চিরকাল দগ্ধ হবে; ও তারাই সৃষ্টির এই নিকৃষ্টতম। আবার আর যারা বিশ্বাসী এবং সৎ কর্ম করে, তারাই সৃষ্টির এই সেরা।’ (সুরা বাইয়িনা, আয়াত: ৬-৭)।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন যে, ‘জেনে রাখো, এই শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা (মুদগাহ) ও আছে, তাই যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা এই শরীর তখন ঠিক হয়ে যায়। তাই আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন খারাপ ও হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরাটি হলো এই কলব।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস: ৫০)।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য

আত্মিক এবং মানবিক উন্নতির জন্য প্রয়োজন সদ্‌গুণাবলি অর্জন এবং ষড়্‌রিপু নিয়ন্ত্রণ। সদ্‌গুণাবলির মধ্যে এমন আছে কৌমার্য, সতীত্ব, শক্তিমত্তা,

সত্যবাদিতা, ন্যায়বোধ, ও দয়া, মহানুভবতা, পরোপকারিতা, ধৈর্য-সহনশীলতা এবং মিতাচার বা সংযম ইত্যাদি। এমন ধর্মীয় সদ্‌গুণ তিনটি; যথা (১) বিশ্বাস, ও (২) আশা এবং (৩) ভালোবাসা।

বিদ্যা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে এই আচরণে পরিবর্তন। সব শিক্ষা এই বিদ্যা কিন্তু সব বিদ্যা শিক্ষা নয়; এই যদি তা কার্যকর বা বাস্তবায়ন করা না হয়। জ্ঞান ও যেকোনো মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, এমন অধ্যয়ন জ্ঞানার্জনের এক একটি পন্থা মাত্র।

আবার অধ্যয়ন মানে পঠন বা পাঠ করা বা পাঠ গ্রহণ করা; তাই অধ্যাপনা মানে পাঠন অথবা পাঠদান ও পাঠ প্রদান করা। অধ্যয়ন সব সময় এই সব জ্ঞানার্জনের সমার্থক নয়;

জ্ঞানার্জন সর্বদা এমন অধ্যয়নের সমার্থক হয়। তাই বর্তমানে বস্তুবাদী শিক্ষা ও আর্থসামাজিক মূল্যবোধের এমন অবক্ষয় আমাদের সমাজকে করেছে কলুষিত, জাতিকে করেছে ও কলঙ্কিত, এই দেশকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।

অভিভাবকের যা করণীয়

শিশুর অথবা সন্তানের নৈতিক শিক্ষার প্রথম এবং প্রধান উৎস হলেন তার পিতা, মাতা বা অভিভাবকেরা। এই তাঁদের জীবন এবং কর্ম পৌষ্য বা সন্তানের জীবনে সরাসরি অনেক প্রতিফলিত হয়।

এই তাঁরা যদি সৎ ও সুন্দর পরিশীলিত চরিত্র এবং মার্জিত আচরণের অধিকারী হন, এই সন্তানেরা দেখে দেখে তা আয়ত্ত করবে। সন্তানেরা ও তাঁদের প্রতিবিম্ব।

নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষকের যা করণীয়

শিক্ষক হলেন এই শিক্ষার্থীর জীবনের প্রধান প্রভাবক।তাই শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষক হলেন হিরো (নায়ক) অথবা আইকন (মডেল)। তাই এই  শিক্ষককে হতে হবে শিক্ষার্থীর রোলও মডেল অথবা আদর্শের বাস্তব নমুনা।

নৈতিক শিক্ষায় সমাজের যা করণীয়

মানুষ সামাজিক এই জীব। পরিবেশ এবং প্রতিবেশের প্রভাব সমাজজীবনে নানা প্রকট। সুতরাং তাই আমাদের সমাজজীবনের প্রতিচ্ছায়া ও শিক্ষার্থীর মন, মানস এবং শিক্ষাকে প্রভাবিত করে। তাই সুশিক্ষার এই জন্য চাই সহায়ক পরিবেশ; অনেক ন্যায়বিচার, সুশাসন, স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক ও সহনশীলতা।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা english meaning

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার ইংরেজি হলো  Islam and moral education।

বিশেষ এক শ্রেণীর চাপে পড়ে বর্তমানে এই NCTB প্রণীত ধর্ম বইগুলো নাম হয়ে গেছে ‘ইসলাম এবং নৈতিক শিক্ষা’, ‘হিন্দু ধর্ম এবং নৈতিক শিক্ষা’, ‘খ্রিষ্টান ধর্ম এবং নৈতিক শিক্ষা’, ‘বৌদ্ধ ধর্ম এবং নৈতিক শিক্ষা’।

কেন করা হয়েছে তা খুবই অনেক সময় স্পষ্ট। আবার নাস্তিকতা এখনো আমাদের সমাজে প্রচলিত স্বীকৃত নয়। তাই অনলাইনে ব্যাপক প্রচারের পরও এই সব ‘নাস্তিক’ একটা গালি।

এই  মুসলিম, হিন্দু ও অন্যান্য পরিবারের নাস্তিক এর সন্তানেরা বাধ্য হয়ে এই সব ধর্ম বই পড়ে। তাই তাদের কাছে সাবজেক্টটাকে ও আপন বানানোর জন্য চারটা বইয়ের নামের ফাঁকে ‘এবং  নৈতিক’ যোগ করা।

যাই হোক, এখানেও ‘ইসলামে’র সাথে ‘এই ধর্ম’ কথাটা নেই। অন্য তিনটি এর ক্ষেত্রে আছে। এমনকি ‘ধর্ম’ লিখে ও বাংলা উইকিপিডিয়া সার্চও করলাম। সেখানেও খ্রিষ্টান ধর্ম, ও ইহুদি ধর্ম, বাহাই ধর্ম, শিখ ধর্ম, এবং বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দু ধর্ম, জৈন ধর্ম,

তাও ধর্ম অনেকেই , কনফুসিয়াস ধর্মের সাথে এক লিস্টে আছে এই ‘ইসলাম’।তাই আগে পরে ধর্ম-অধর্ম কিছু নেই!ধর্ম’ কথাটার অর্থ খুঁজতেও গেলে অনেক এই বিপত্তি হয়। তাই এর ইংরেজি প্রতিশব্দ দেখতে গিয়ে প্রায় কয়েকরকম অর্থ পেলাম।

একদম সরলীকৃত অর্থ কোনোকিছুর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য (practice, property, attribute, nature, ও disposition)। আবার যেমন পানির ধর্ম প্রবাহিত হওয়া, আগুনের ধর্ম এই প্রজ্জ্বলিত হওয়া ও পোড়ানো।

র্মের আরেকটা অর্থ দায়িত্ব (duty, law) বা নৈতিকতা (virtue, morality, justice)। তাই সংস্কৃত ভাষায় dharma বলতে এরকম নৈতিকতা, ও দায়িত্ব ইত্যাদিই বোঝাতো। আবার ধর্মের আরেকটা অর্থ হলো প্রচলিতভাবে এই আমরা যা বুঝি-Religion

আরো পড়ুন: ইবাদত কাকে বলে? 

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা mcq

১০০% কমন পাওয়া যাবে এই HSC-2023 MODEL TEST HSC 2023 সাজেশন ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম শ্রেণিও অষ্টম শ্রেণি নবম এবং দশম শ্রেণি একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি ভর্তি ও পরীক্ষা ডিগ্রি অনার্স মাস্টার্সও ইঞ্জিনিয়ারিং মেডিকেল উচ্চ শিক্ষা স্কলারশিপ

  • SSC তে এই ইসলাম শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা (MCQ) ২য় অধ্যায়
  • কোর্সটিকা লিখেছেন এই কোর্সটিকা in SSC – ইসলাম শিক্ষা

A A

বিষয়: ssc ইসলাম শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা mcq

ssc ইসলাম শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা mcq

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই “শ” লেখা অপশনগুলো সঠিক উত্তর চিহ্নিত করা হয়েছে:

২৭৭. ইসলাম কোন ধরন এর জীবনব্যবস্থা?

ক. সংক্ষিপ্ত,

খ. আংশিক,

শ. পূর্ণাঙ্গ,

ঘ. কঠোর,

২৭৮. ইসলাম এর বিধিবিধান কেমন?

ক. জাতিগত,

শ. সার্বজনীন এবং সর্বকালীন,

গ. প্রাচীন,

ঘ. আধুনিক,

২৭৯. শরিয়ত হলো কোন ভাষার শব্দ?

শ. আরবি,

খ. ফারসি,

গ. বাংলা,

ঘ. মান্দারিন,

২৮০. শরিয়ত এর অর্থ কী?

শ. পথ,

খ. আদর্শ,

গ. সুস্পষ্ট,

ঘ. বাণী,

২৮১. শাশ্বত এই জীবনব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?

ক. কুরআন,

শ. ইসলাম,

গ. ইমান,

ঘ. হাদিস,

২৮২. ইসলাম এর বিধায়ক কে?

শ. আল্লাহ,

খ. রাসুল (স.),

গ. আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (স.),

ঘ. নবি-রাসুলগণ,

২৮৩. ইসলাম এর  শেষ প্রচারক কে?

ক. হযরত আদম (আ.),

খ. হযরত ইবরাহিম (আ.),

শ. হযরত মুহাম্মদ (স.),

ঘ. হযরত ইসমাইল (আ.),

২৮৪. “আমি আপনাকে শরিয়ত এর  ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছি।”এইটা  কোন সূরায় বলা হয়েছে?

ক. সূরা আল-মায়িদা,

খ. সূরা মূল্ক,

শ. সূরা জাসিয়া,

ঘ. সূরা হাশর,

২৮৫. আল্লাহ কোন সূরায় শরিয়তের একটা পূর্ণতার ঘোষণা প্রদান করেছেন?

ক. সূরা ইব্রাহীম,

খ. সূরা মূল্ক,

গ. সূরা হাশর,

শ. সূরা মায়িদা,

২৮৬. “আজ আমি তোমাদের জন্য এই তোমাদের দীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম ও তোমাদের জন্য ইসলামি জীবনব্যবস্থাকে ও মনোনীত করলাম।” – আয়াত কোন সূরার অন্তর্গত?

ক. সূরা আল-বাকারা,

খ. সূরা আন-নিসা,

শ. সূরা মায়িদা,

ঘ. সূরা আল-আনফাল,

২৮৭. শরিয়ত কে না মানা কাকে এই ভাবে  না মানার নামান্তর?

ক. রাসুল (স.)-

খ. ফেরেশতা

শ. আল্লাহ ও তাঁর রাসুল

ঘ. রাষ্ট্রীয় আইন

২৮৮. কিসের এই বিধিবিধান অবিভাজ্য?

ক. ইমান

খ. ইসলাম

শ. শরিয়ত 

ঘ. ইজমা

২৮৯. শরিয়তের প্রতিটি এমন হুকুম সামগ্রিকভাবে পালন করা কী?

ক. ফরযে কিফায়া,

খ. ওয়াজিব,

শ. অবশ্য কর্তব্য,

ঘ. মুস্তাহাব,

২৯০. শরিয়তের কোন বিধানের বিরোধিতা অথবা লঙ্ঘন করা একই সঙ্গে কয়টি মারাত্মক পরিণতির ও কারণ?

ক. তিনটি,

খ. পাঁচটি,

গ. চারটি,

শ. দুটি,

২৯১. ইসলামি শরিয়ত এর উৎস কয়টি?

শ. চারটি,

খ. পাঁচটি,

গ. তিনটি,

ঘ. দুটি,

২৯২. শরিয়তের প্রথম এবং প্রধান উৎস কী?

ক. সুন্নাহ,

খ. ইজমা,

শ. কুরআন মজিদ,

ঘ. কিয়াস,

২৯৩. শরিয়তের এই মূল উৎস কোনটি?

শ. কুরআন মজিদ,

খ. বুখারি শরীফ,

গ. ইজতিহাদ,

ঘ. কিয়াস,

২৯৪. ইসলামি শরিয়ত এর অকাট্য দলিল কোনটি?

শ. কুরআন,

খ. হাদিস,

গ. ইজমা,

ঘ. কিয়াস,

২৯৫. শরিয়তের মূল এমন কাঠামো দণ্ডায়মান কিসের ওপর?

ক. হাদিসের ওপর,

খ. ইজমা ও কিয়াসের ওপর,

শ. কুরআন মজিদের ওপর,

ঘ. ফিকহ্-এর ওপর,

২৯৬. “আমি আপনার a ওপর এই কিতাব নাযিল করেছি, e যা প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্টও ব্যাখ্যাস্বরূপ।”x – কোন সূরার অন্তর্গত?

শ. সূরা আন-নাহল,

খ. সূরা আল-বাকারা,

গ. সূরা আল-ইমরান,

ঘ. সূরা আল-মায়িদা,

২৯৭. মানবজাতির জন্য জীবন পরিচালনার কী রয়েছে কুরআন মজিদে?

শ. সুস্পষ্ট মূলনীতি,

খ. জটিল সমাধান,

গ. অস্পষ্ট নির্দেশনা,

ঘ. অবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা,

২৯৮. কুরআন মজিদ এর ভাষা কেমন?

ক. জটিল,

খ. অস্পষ্ট,

শ. সাবলীল,

ঘ. পেঁচানো,

২৯৯. লাওহে মাহফুজ থেকে প্রথম কুরআন কোথায় নাযিল করা হয়?

ক. হেরা গুহায়,

খ. প্রথম আসমানে,

শ. বায়তুল ইযযাহে,

ঘ. সপ্তম আসমানে,

৩০০. কোন আসমানি কিতাব কে খণ্ডখণ্ডভাবে নাযিল হয়েছে?

ক. যাবুর,

খ. তাওরাত,

গ. ইঞ্জিল,

শ. কুরআন,

৩০১. কোন আসমানি কিতাব নাযিল প্রক্রিয়াও অন্যান্য কিতাবের চেয়ে ব্যতিক্রম?

ক. তাওরাত,

খ. যাবুর,

গ. ইঞ্জিল,

শ. কুরআন,

আরো পড়ুন: সালাত কাকে বলে? 

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা কি
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা কি

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা কি

ধর্মীয় এই নৈতিক শিক্ষাগুলো বলে দেয় কোনটা এই ভাবে ঠিক আর কোনটা ভুল। আর কীভাবে সে ঠিক পথে পৌঁছানো যায়, আবার কীভাবে ভুলটা এড়ানো যায় এসব কিছু ঠিক করে দেয় রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মতবাদগুলো।

আবার অন্যান্য ধর্মগুলো নীতিকথা কপচানোর পর রাজনীতির এই মাঠে কিছু বলতে পারে না। তাই জন্যে গণ-তন্ত্র, সমাজ-তন্ত্র কিছু এই একটাকে বেছে নেয়।তাই  অর্থনীতির ক্ষেত্রেও পুঁজি-বাদ, সমাজ-বাদ কিছু কিছু একটা মেনে নেয়।

আবার সেখানে ইসলাম যখন এমন নিজস্ব অর্থনীতি, বিচারনীতি ও সমরনীতি নিয়ে সেক্যুলার মতবাদগুলো এর নানা ভাবে মুখোমুখি দাঁড়ায়, মানুষ অবাক হয়ে ও যায়। ‘তাই Islam-ism’, ‘Islam-ist’ এসব শব্দ ব্যবহার করে মূলধারার এই ইসলাম থেকে আলাদা করতে চায়। আবার অথচ কাউকে নামাজ-রোজা করতে ও দেখলে কিন্তু ঠিকই ‘Muslim’ বলে, ‘Islamist’ বলেও না।

তাহলে দেখা যাচ্ছে এই ইসলামকে অন্যান্য নানা রকম ধর্মের সাথে এক কাতারে বসানোটা ভুল। তাই তার উপরে নাস্তিকদেরকে খুশি করতে সব ধর্ম বইয়ের শেষে ‘এবং নৈতিক শিক্ষা’ কথাটা যোগ করে  একে একে আরো নিচে নামানো হচ্ছে।

তাই এভাবে ‘নৈতিক শিক্ষা’ কথাটা যোগ করাও কেবল শুরু। আস্তে  শুধু ‘নৈতিক শিক্ষা’এমন  শিরোনামে সব ধর্মের পাঠ্যপুস্তককে নানা ভাবে একীভূত করা হবে। আবার দেখানো হবে যে ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মগুলো কেবল কিছু Moral philosophical মতবাদ। মানুষ এর মস্তিষ্কপ্রসূত concept, যে উদ্দেশ্য ছিল সমাজে শৃঙ্খলা আনয়ন। প্রায় অতিপ্রাকৃতিক শক্তিধর কোনো আল্লাহর কাছে অস্তিত্ব নেই (না’উযুবিল্লাহ)।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : সানজিদা মনে করে যে পৃথিবীতে অসংখ্য ধর্মের প্রচলন থাকলে এই জীবন পরিচালনার জন্য মানুষের জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধিই যথেষ্ট। তার এক বন্ধু শাকিলা তার সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলে যে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার জন্য এই  ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। কেননা এই ইসলামই হলো একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।

ক. তাওহিদ কাকে বলা হয় ?

খ. কেন মহানবি (স.) কে খাতামুন্ নাবিয়্যীন বলা হয়?

গ. সানজিদার এমন ধারণাটি ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

ঘ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত এই শাকিলার বক্তব্যের যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : রাকিব এবং তারিখ দুই সহপাঠী বন্ধু। রাকিব মনে করে যে,নবি-রাসুলগণ ছিলেন এমন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। দয়া, ক্ষমাও, ধৈর্য ইত্যাদি সব কিছু এই ধরনের মানবিক গুণাবলি তাদের চরিত্রে বিদ্যমান ও ছিল। তারিখের মতে এই মানুষের হিদায়াতের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত এই নবি-রাসুলগণের আগমন অব্যাহত থাকবে।

ক. রিসালাত কাকে বলা হয় ?

খ. নবি-রাসুল প্রেরণ এর প্রয়োজনীয়তা কী?

গ. রাকিবের মনোভাব পবিত্র কুরআন এবং হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

ঘ. তারিখের মনোভাব এর সাথে তুমি কি একমত? তোমার মত এর সপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করে নানা ভাবে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : কুতুব সাহেব জীবনের প্রতি মুহূর্তকে মূল্যবান মনে করেন। একদা তার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগে সবকিছু এমন ভষ্মীভূত হলেও তিনি ধৈর্যহারা হননি ।

যথা সময়ে মহান আল্লাহর এই  ইবাদতে আত্মনিয়োগ করেন। তাই কুতুব সাহেব তার ছেলেকে এমন বিপদের সময় ধৈর্যধারণ ও করার পরামর্শ দেন। কেননা এই মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ও সাথে আছেন।”

ক. ইমাম আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ঈসা (র.) কর্তৃক এমন সংকলিত হাদিস গ্রন্থটির নাম কী?

খ.এই হাদিসে কুদসি বলতে কী বোঝ?

গ. কুতুব সাহেবের এমন আচরণ কোন সূরার বিষয়বস্তুর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।

ঘ. কুতুব সাহেবের উপদেশটি এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত বাণী এবং সংশ্লিষ্ট হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : একদা বিদ্যালয় এর টিফিনের ফাঁকে কয়েকজন বন্ধু শরিয়তের বিভিন্ন এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করছিল। আবার একজন বলল, সঠিক পথ অনুসরণ এর জন্য আল কুরআনই যথেষ্ট।

আবার অপরজন বলল, কুরআনের সাথে সুনড়বাহ,এই  ইজমা ও কিয়াস অনুসরণও জরুরি।আবার কারণ এগুলো অনুসরণ এর  জন্য পবিত্র কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী রয়েছে।

ক. কিয়াস কাকে বলা হয় ?

খ. ইসলামি শরিয়ত এর  তৃতীয় উৎসটি ব্যাখ্যা কর।

গ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত প্রমজনের উক্তিটি এই শরিয়তের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

ঘ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত দ্বিতীয়জনের এমন  বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : জনাব ইরফান সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের দোষ ও খুঁজে বেড়ান। তাই তাদের অগোচরে তাদের সম্পর্কে এমন কথা বলেন যা আপনার শুনলে তারা মনে কষ্ট পাবে।

অন্যদিকে জনাব এই ইমরান অন্যদের ভালো কিছু সহ্য করতে পারেন না। তিনি তাদের অমঙ্গল কামনা ও করেন। তিনি চান যেন এই তাদের সকল নিয়ামত দূর হয়ে যায় ও তিনি তার মালিক হয়ে যান।

ক. গিবত কাকে বলা হয় ?

খ. ফিতনা হত্যার চেয়েও এমন জঘন্য কেন? বুঝিয়ে লেখ।

গ. জনাব ইরফানের স্বভাব এমন পরিবর্তনে তুমি কী পরামর্শ প্রদান করতে পার? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. জনাব ইমরানের মধ্যে বিদ্যমান এই দোষটির কুফল – কুরআন এবং হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : ‘ক’ ও ‘খ’ এক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। উভয়ের বাবা সচিবালয়ের বড় বড় কর্মকর্তা। ‘ক’ এর এই বাবা অফিসের গাড়ি ব্যবহার করে নিজের এবং পারিবারিক বিভিন্ন কাজ করেন।

আবার তিনি ন্যায়-অন্যায় এবং হালাল-হারামের তোয়াক্কা করেন না।তাই  ‘খ’ এর বাবা সরকারি কার্যক্রম ছাড়া এই অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেন না। তাই কারণ তিনি জানেন ইহা রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং জনগণের আমানত।

ক. তাকওয়া কাকে বলে ?

খ. আখলাকে এই যামিমা বর্জনীয় কেন?

গ. ‘ক’ এর বাবার কার্যাবলি ইসলাম এর দৃষ্টিতে কীরূপ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘খ’ এর বাবার কাজটি পবিত্র কুরআন এবং হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : ইহসানুল হক সীমান্ত এমন এলাকায় পাহারায় নিয়োজিত। প্রায় বিদেশি পণ্য অবৈধ পথে অগ্রসর বাংলাদেশে আসে। এতে তিনি ও বাধা দেন।তাই  কিন্তু তার সহকর্মী নিয়াজ মোর্শেদ এতে আপত্তি করে বলেন যে, অবৈধ পথে কোনো মাল দেশে আসলে এই আমাদের অসুবিধা কী?তাই তখন ইহসানুল হক বলেন যে,দেশকে ভালোবেসে ঐক্যের ভিত্তিতে এমন কাজ করলে দেশের উনড়বয়ন সম্ভব। কেননা দেশপ্রেম ইমান এর অঙ্গ।

ক. দেশপ্রেম কাকে বলা হয় ?

খ. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্যের এমন প্রয়োজন কেন?

গ. নিয়াজ মোর্শেদ এর কাজটি শরিয়তের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ইহসানুল হকের শেষ বক্তব্যটির এই পক্ষে যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : সামসুদ্দীন আহমেদ কুকুয়া ইউনিয়ন এর একজন চেয়ারম্যান। তিনি সরকারি সাহায্য করে যথাযথভাবে বিতরণের জন্য গভীর রাতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে আসতে ইউনিয়নবাসীদের অবস্থা দেখে তালিকা প্রস্তুত করেন এবং বিতরণ করেন।তাই তার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইমুনাত একজন এমন জনপ্রিয় প্রতিনিধি। তিনি এলাকার পানিকষ্ট দূর করার জন্য নিজ নিজ খরচে নলকূপ বসিয়ে দেন।তাই  লোক সংকুলন না হওয়ায় এই এলাকায় মসজিদটিও নিজ খরচে সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থা করেন।

ক. খোলাফায়ে রাশেদিন কাকে বলা হয় ?

খ. ইসলামের ১ম খলিফাকে কেন এই  ইলামের ত্রাণকর্তা বলে?

গ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত ১ম চেয়ারম্যান কোন খলিফাকে এমন অনুসরণ করেছেন – ব্যাখ্যা কর।

ঘ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত ২য় চেয়ারম্যানের জনসেবায় এই হযরত ওসমান (রা.) এর জনসেবা লক্ষণীয় – বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : বাংলাদেশের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভাসানচর গ্রামে মারামারি, চুরি, ডাকাতি, ওরমেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ যাবতীয় অন্যায় বেড়ে চলছে। যার ফলে এই সব গ্রামের মানুষগুলো উদ্বিগড়ব হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পরিত্রাণের জন্য শক্তিশালী যুবকদের নিয়ে এই একটি ‘যুবসংঘ’ গড়ে ও তোলা হয়।তাই  যুবসংঘের সংগঠকগণ সিদ্ধান্ত নিলেন তাদের এমন কার্যক্রম পরিচালিত হবে হলো হিলফুল ফুযুলের আদলে। আর এই বড়রা সব রকম সাহায্য সহযোগিতা ও করবে নবগঠিত যুবসংঘকে।

ক. কাদের মধ্যে ফিজার এই যুদ্ধ হয়েছিল?

খ. মহানবি (স.) কেন এই হিলফুল ফুযুল গঠন করেছিলেন?

গ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রামে শান্তি স্থাপনে এই  যুবসংঘ কতটুকু সফল হতে পারে বলে তুমি মনে করো।

ঘ. হিলফুল ফুযুলের আদলে গঠিত সংঘের এমন তাৎপর্য ও প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : রাশেদের বিশ্বাস যে,এই সব  মানুষের জš§ ও মৃত্যু একটি প্রাকৃতিক এই নিয়ম। তাই তো তিনি দায়িত্বশীল জীবনযাপন না করে মনগড়া নিজের মতো জীবনযাপন করেন।আবার  এতে তার বড় ভাই রিয়াজ সাহেব তাকে বললেন যে, এই বিশ্বাস ও কর্মের সংশোধন করে ইসলামের এমন অনুশাসন মেনে চল। তা নইলে আখিরাতের প্রতিটি স্তরে কঠিন এমন পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।

ক. ‘কুফর’ অর্থ কি বলা হয় ?

খ. এই আখিরাতের স্তর বলতে কী বোঝায়?

গ. জন্ম এবং মৃত্যু সম্পর্কে রাশেদের বিশ্বাসটি কীরূপ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. রাশেদের প্রতি এই বড় ভাই রিয়াজ সাহেবের উপদেশের গুরুত্ব কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : ফাহাদ এই শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে জানে না। সে একজন এই ক্বারী সাহেবের কাছে কুরআন শিখছে। আবার ক্বারী সাহেব তাকে কুরআন সংকলন এর ইতিহাস শুনিয়েছেন এবং আরও বলেছেন যে সব এমন, “মুখস্ত তিলাওয়াতের চেয়ে কুরআন দেখে তিলাওয়াত ও করা উত্তম।” তাই সে ক্বারী সাহেবের কাছ থেকে আরও জানতে পারল যে, হাদিস হলো এই কুরআনের ব্যাখ্যা। তা কুরআন বোঝার জন্য হাদিস পাঠ অনেক অত্যাবশ্যক।

ক. ইসলামের চার এই খলিফা কে কে?

খ. হযরত উসমান (রা.)-কে এই ‘জামিউল কুরআন’ বলা হয় কেন?

গ. ফাহাদ মুখস্ত তিলাওয়াতের চেয়ে কুরআন দেখে দেখে তিলাওয়াতের মাধ্যমে কীভাবে বেশিও উপকৃত হতে পারে?

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শরিয়ত এর  উৎস দুটির মধ্যে যে এমন  পার্থক্য তা আলোচনা কর।

আরো পড়ুন: ইসলাম কাকে বলে ? ইসলাম শব্দের অর্থ কি

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ১০ম শ্রেণি

ইসলাম : ইসলাম আরবি শব্দ এর আভিধানিক অর্থ হলোÑ আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা, ও শান্তির পথে চলা ইত্যাদি। আবার ব্যবহারিক অর্থে আল্লাহ তায়ালা এবং  রাসুল (স)-এর আনুগত্য করাকে ও ইসলাম বলে।

 ইমান : ইমান শব্দটি আমনুন মূল এই ধাতু থেকে নির্গত। যার অর্থ : বিশ্বাস করা, আস্থা স্থাপন, ও স্বীকৃতি দেওয়া, নির্ভর করা, এবং মেনে নেওয়া ইত্যাদি। তাই ইসলামি পরিভাষায়, শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা, ও মুখে স্বীকার করা ও তদনুযায়ী আমল করাকে ইমান বলে।

 তাওহিদ : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ।এই  ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক এবং অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে এই তাওহিদ বলে। তাওহিদের মূল কথা হলো- এই আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর সত্তা এবং গুণাবলিতে অদ্বিতীয়।

আল্লাহ তায়ালার পরিচয় :আমাদের আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বজগতের অধিপতি এবং মালিক। তিনি একক এবং অদ্বিতীয় সত্তা। তাঁর কোনো শরিক ও নেই। তিনি অনন্য এবং অতুলনীয়।

কুফর : এই কুফর শব্দের আভিধানিক অর্থ অস্বীকার করা,অনেক অবিশ্বাস করা, ঢেকে রাখা, ও গোপন করা, এই অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, অবাধ্য এই হওয়া ইত্যাদি। তাই ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দীন এই  ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর কোনো কোনো একটির প্রতি প্রায় অবিশ্বাস করাকে কুফর বলা হয়। যে ব্যক্তি এই কুফরে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় এই কাফির।

শিরক : শিরক অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা অথবা উপাস্যে বিশ্বাস করা।এই ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে এই শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকেও শিরক বলা হয়। যে কোনো ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।

নিফাক: নিফাক শব্দের এই আভিধানিক অর্থ ভণ্ডামি, কপটতা, দ্বিমুখীভাব, ধোঁকাবাজি, ও প্রতারণা ইত্যাদি। এ ব্যবহারিক অর্থ হলো অন্তরে এই একরকম ভাব রেখে বাইরে এ বিপরীত অবস্থা প্রকাশ করা। ইসলামি শরিয়ত এর পরিভাষায়, এই অন্তরে কুফর এবং অবাধ্যতা গোপন করে মুখে ইসলাম এর স্বীকার করার নাম হলো নিফাক। যে এরূপ এমন কাজ করে তাকে বলা হয় এই মুনাফিক।

রিসালাত: রিসালাত শব্দের আভিধানিক এই অর্থ বার্তা, চিঠি পৌঁছানো, পয়গাম, সংবাদ এবং কোনো ভালো কাজের দায়িত্ব বহন করা। ইসলামি পরিভাষায়,এই মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী মানুষের নিকট এই পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বকে রিসালাত বলা হয়। যিনি এই দায়িত্ব পালন করেন ও তাঁকে বলা হয় রাসুল।

আসমানি কিতাব: কিতাব  অর্থ লিপিবদ্ধ বা লিখিত বস্তু। এর এই প্রতিশব্দ হলো গ্রন্থ, পুস্তক, ও বই ইত্যাদি।এই  আসমানি কিতাব হলো এমন গ্রন্থ যা আল্লাহ তায়ালার থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। এই আল্লাহ তায়ালা ১০৪ খানা আসমানি কিতাবও নাজিল করেছেন। এ মধ্যে ৪ খানা বড় প্রায় ১০০ খানা ছোট।

আসমানি কিতাব: এই কিতাব শব্দের অর্থ লিপিবদ্ধ বা লিখিত বস্তু। এর প্রতিশব্দ গ্রন্থ, পুস্তক, বই ইত্যাদি।এই আসমানি কিতাব হলো এমন গ্রন্থ যা মহান  আল্লাহ তায়ালা থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা ১০৪ খানা আসমানি কিতাবও নাজিল করেছেন। এ মধ্যে ৪ খানা বড় ১০০ খানা ছোট।

আখিরাত: আখিরাত অর্থ হলো পরকাল। এই মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আখিরাতও বলা হয়। মানবজীবন এর  দুটি পর্যায় রয়েছে। ইহকাল এবং পরকাল। ইহকাল হলো এই দুনিয়ার জীবন। আর মৃত্যুর পরে মানুষ এর  যে নতুন জীবন শুরু হয় তাই তার নাম পরকাল বা আখিরাত। এই আখিরাত জীবনের কয়েকটি স্তর রয়েছে। যেমন : মৃত্যু, কবর, কিয়ামত, হাশর, ও মিযান, সিরাত, শাফাআত, জান্নাত এবং, জাহান্নাম প্রভৃতি।

ইসলামে নৈতিক শিক্ষা কি

ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার এই গুরুত্ব

নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে যেসব এই বিষয় সরাসরি সম্পর্কিত সেগুলো হলো সুশাসন, ন্যায়বিচার, ও মানবাধিকার, দুর্নীতি দমন এবং , অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, এই শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি। আচরণে অভীষ্ট ইতিবাচক পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সাধনের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞান দানও করাকে শিক্ষা বলে ।

ইসলামে নৈতিক মূল্যবোধের গুরুত্ব

একটি দেশের টেকসই উন্নয়ন এই তখনই নিশ্চিত হয়, যখন সে দেশে সঠিক মাত্রায় নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের চর্চা হয়। নীতির প্রতি মূল্যায়ন, সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও থেকেই আসে নীতিবোধ আর এই নীতিবোধ থেকে নৈতিকতা। 

আমরা কি করে আল্লাহর শোকর আদায় করব?

ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ এই জীবনব্যবস্থা। মানবজীবনের সব বিষয় ও সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান এর  দিকনির্দেশনা এতে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন: আমরা কী বলে এই আল্লাহর শোকর আদায় করব? উত্তর: আমরা ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন যে’ বলে আল্লাহর শোকর আদায়ও করব।

ইসলামী শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?

ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো এই আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয়ও দান করে, মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে এবং পরোপকারী,এবং কল্যাণকামী ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে, থাকে সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে থাকে , অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে।

ইসলামী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি ?

ইসলামে শিক্ষার উদ্দেশ্য এই আদম সন্তানকে মানুষরূপে গড়ে তোলা। যে শিক্ষা আত্মপরিচয় দান করে যে, মানুষকে সৎ এবং সুনাগরিক হিসেবে গঠন করে ও পরোপকারী, কল্যাণকামী এবং আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে সাহায্য করে থাকে সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষা মানুষ এর  অন্তরকে আলোকিত করে থাকে এই  অন্তর্দৃষ্টি উন্মোচিত করে, দূরদর্শিতা সৃষ্টি করে।

ইসলামের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনটি?

ফলে তারা মক্কার একটি পাহাড়ে এই নামাজ আদায়রত মুসলিমদের উপর হামলা করে। এ ঘটনার পর  এই হজরত মুহাম্মদ (স.) তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকে ধর্মীয় শিক্ষা ও নামাজ আদায়ের স্থান হিসেবে আরকাম ইবনে আবিল এই আরকামের বাড়িকে নির্ধারণ করেন। এটিই ইসলামের প্রথম এই মাদ্রাসা বা প্রথম আনুষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button