বাংলাসাধারণ জ্ঞান

সমবায়ের মূলনীতি কি – সমিতির সুবিধা ও অসুবিধা

সমবায়ের মূলনীতি কি: তাদের সমবায় এমন ভাবে পরিচিতি নির্দেশিকাতে সমবায়ের এমন সংজ্ঞা দিয়েছে এই ভাবে যে, কোনো সমবায় হল সমমনা মানুষের এমন স্বেচ্ছাসেবামূলক একটি এই স্বশাসিত সংগঠন যা কিছু নিজেদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য এমন কাজ করে এবং এ জন্যে লক্ষ্যে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এমন কিছু গণতান্ত্রিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ও ব্যবসা পরিচালনা করে।

উন্নয়নের বিস্তারিত আলোচনা ব্যবহারিক নীতিমালা এবং  কর্মকৌশল । উল্লেখ্য যে, এ বিষয় এমন কিছু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে সর্বাত্নক সমর্থন এবং অংগীকার ।

বলা আবশ্যক যে, কোনো এক ধরনের জাতীয়-ভিক্তিক এমন কিছু কর্মতৎপরতা মধ্যে অনেক দারিদ্র্য সীশার হার অর্ধেকে নেমেছে নামিয়ে আনা এবং এই সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যেই আবার সীমিত বা সমাপ্ত হবে না তাই বরং তা সম্প্রসারিত ও বহুমুখী রূপ দিতে পরিগ্রহ করবে সমবায়ের এক পরবর্তী এক শতক পর্যন্ত ।

সমবায় হল একটি ব্যবসায়িক এমন এক প্রতিষ্ঠান যেটি একদল সদস্য তাদের সম্মিলিত কল্যাণের জন্য অনেক পরিচালনা করেন।[১] আন্তর্জাতিক সমবায় মৈত্রী আবার (International Co-operative Alliance) 

[২] একটি সমবায় এক প্রতিষ্ঠান এমনও হতে পারে যেখানে ব্যবসাটি এর সুবিধাভোগী এই জন্যে এ সকলে সমভাবে নিয়ন্ত্রণ করে অথবা তারাই এমন কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। সমবায় কার্যালয় ভিত্তিক ব্যবসা নিয়ে শিক্ষার যে ধারায় এমন ভাবে পড়ানো হয় তা ‘সমবায় অর্থনীতি’ নামেও পরিচিত।

সমবায় আন্দোলনের এমন কিছু প্রারম্ভ থেকে রচডেল এই সব সমবায়ীদের অনুসৃত প্রায় 08টি সমবায় রীতিনীতিই এমন একটি পৃথিবীর সর্বত্র অনুসৃত হতেও থাকে । ক্রমে পরিবর্তনশীল এই বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিবর্তনের এমন প্রেক্ষাপটে রচডেল অনুসৃত নীতিসমূহের নানা ভাবে সংস্কার ও সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা ও দেখা দেয়।

সমবায়ের মূলনীতি কি

সমবায়ের প্রধান নীতিই হচ্ছে সমমনা, অনেক সমপেশা আবার অর্থনৈতিক দিক থেকে এমন ভাবে সমশ্রেণির লোকদের এক এমন একতা। মূলত একতাই বল ফেলার (Unity is strength) নীতির ভিত্তিতে এ ব্যবসায়ের এমন উৎপত্তি হয়েছে।

২. সমবায়ের আরেকটি এমন গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো সাম্য অথবা সকলের সমান অবস্থান এবং অংশগ্রহণ। এর সদস্যগণ একটা  অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং ধর্মীয়ভাবে যেমনই হোক না কেন সবাই তাই সমান মর্যাদার ও অধিকারী।

৩. সমবায়ের আরেকটি নীতি এবং মূল্যবোধ হলো সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা কিছুদিন পরের তরে অর্থাৎ এই পারস্পরিক সহযোগিতা। সদস্যদের এমন ভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার এই মনোভাব ও সহানুভূতি সমবায়ের আবার  উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পারস্পরিক তাই সহযোগিতা ও সহমর্মিতা সমবায়ের এমন সাফল্যের চাবিকাঠি।

৪. সদস্যদের পারস্পরিক আস্থা এবং বিশ্বাস সমবায়ের সাফল্যের আরেককটি  এমন ভাবে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে ও বিবেচিত হয়। সদস্যদের পারস্পরিক আস্থা এবং বিশ্বাস তাদেরকে উদ্যমী, আবার আগ্রহী ও আত্মবিশ্বাসী ও করে তোলে।

সমবায় সমিতি কি

সদস্যদের পারস্পরিক আস্থা এবং বিশ্বাস সমবায়ের সাফল্যের অন্যতম আরেককটি গুরুত্বপূর্ণ হলো এই নীতি হিসেবে বিবেচিতও হয়।এই সদস্যদের পারস্পরিক এমন আস্থা ও বিশ্বাস তাদেরকে উদ্যমী এবং, আগ্রহী ও আত্মবিশ্বাসী করেও তোলে।

৫. সমবায়ের আরেকটি মৌলিক একটা আদর্শ হলো এর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং চেতনা। সমবায় সমিতিতে সকলের এমন ভোট প্রয়োগের অধিকার আছে এবং প্রত্যেকের এক একটি ভোট থাকে। শেয়ার আবার  মূলধনের পরিমাণ সদস্যদের সঙ্গে মধ্যে কম-বেশি থাকলেও এমন ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং এই মতামত প্রকাশে সকলের সমান ও সুযোগ আছে।

 এ প্রেক্ষিতে মাদ্রাজ প্রাদেশিক এই সব সরকারের উর্দ্ধতন ও কর্মকর্তা স্যার ফ্রেডারিক নিকলসন এই জার্মানী সহ ইউরোপের আবার কয়েকটি দেশের কৃষি এবং ভূমি-ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এমন শেষে দু খন্ডের এক একটা  রিপোর্ট (1895/98)

এই উপমহাদেশের প্রত্যেক এমন গ্রামে সকল দরিদ্র অধিবাসীর আবার প্রধান প্রধান সমস্যার প্রতিকার কল্পে ও  তাদের যাবতীয় উন্নয়ন এমন কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র নানা হিসেবে “সমবায় গ্রাম-ব্যাংক’ এই স্থাপনের সুপারিশও করেন ।

তাই অতঃপর 1901 সালে, ইন্ডিয়ান ফেমিন এই কমিশনের সুপারিশ মতে ও তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন এমন কর্তৃক গঠিত তিন নম্বর সদস্য বিশিষ্ট ( লর্ড এডওয়ার্ড ল; স্যার নিকলসন এবং ডুপারনিক্স) কমিটির এই সুপারিশ অনুসারে 1904 সালের সেরা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটিজ এমন এ্যাক্ট জারি করা হয় ।

এ ভাবে এই আইনের লক্ষ্য ছিল, গ্রামীন দরিদ্রদের মাঝে  মধ্যে সঞ্চয়, এবং আত্ননির্ভরতা ও পারস্পরিক সম্পর্ক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের এই জীবন এবং জীবিকার উন্নয়ন ঘটানো ।

সমবায় সমিতির ইতিহাস

ভারতীয় উপমহাদেশে আবার  (বর্তমান বাংলাদেশ, ও ভারত এবং  পাকিস্তান ) এই ১৯04 সালে সমবায়ের হয় যে আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত ঘটে, তার মূলে আবার ছিল কৃষি ও কৃষকদের অনেক বহুবিধ সমস্যা, যেমন : কৃষি-ঋণের অভাব,আবার মহাজনী

ঋণের অনেক চক্রবৃদ্ধি সুদের দরুন নিঃস্বতা আবার এই মান্ধাতা আমলের আলোচিত অলাভজনক কৃষি পদ্ধতিতে কৃষকদের অনেক ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য । তাই এসব সমস্যার দরুন ইতোপূর্বে এই 1875 সালে ভারতের আবার দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন জায়গায় কৃষক মাঠ ও বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ।

তাই মহাজনী প্রথা নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষকদেরকে ঋণ এবং এই  রলিফ বাবত সহায়তা ও প্রদানের লক্ষ্যে কয়েকটি এমন কিছু কিছু আইন ও প্রণয়ন করা হয় । কিন্তু প্রত্যাশিত সুফল ভাবে সেইটা অর্জিত হয়নি ।

এ মন প্রেক্ষিতে মাদ্রাজ প্রাদেশিক এই সব সরকারের উর্দ্ধতন এমন কিছু কর্মকর্তা স্যার ফ্রেডারিক নিকলসন ছিল জার্মানী সহ ইউরোপের ও কয়েকটি দেশের কৃষি ও ভূমি-ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে শেষে দু খন্ডের এক রিপোর্ট (1895/98) এই

উপমহাদেশের প্রত্যেক গ্রামে এ সকল দরিদ্র অধিবাসীর প্রধান প্রধান এমন কিছু সমস্যার প্রতিকার কল্পে এবং তাই তাদের যাবতীয় উন্নয়ন নানা ভাবে কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র নানা হিসেবে “সমবায় গ্রাম-ব্যাংক’ স্থাপনের ও সুপারিশ করেন ।

 তাই অতঃপর 1901 সালে,এই  ইন্ডিয়ান ফেমিন এমন কমিশনের সুপারিশ মতেও এবং তৎকালীন ভাইসরয় এই লর্ড কার্জন কর্তৃক এমন ভাবে গঠিত তিন সদস্য ও বিশিষ্ট ছিল ।

সমবায় সমিতির নীতিমালা

উক্ত আইনের আওতায় এই 1912 সালের জুন মাসের মধ্যে সারা উপমহাদেশে প্রায় আট হাজারের অধিক সমিতিও গড়ে উঠে । কিন্তু এ আইনে একটি অকৃষি সমবায় সমিতি ভবনের স্থাপনের যথোচিত গুরুত্ব না থাকায় এই থানা/মহকুমা বা

জেলা ও পর্যায় সমবায়ের কাজকর্ম সমন্বয়কারী নানা হিসেবে কেন্দ্রীয় সমবায় এই ব্যাংক বা ফেডারেশন গঠনের ব্যবস্থাগুলো না থাকায় ঐ সময় আইনের পরিবর্তে এই 1912 সালে কো-অপারেটিভ হয় ক্রেডিট সোসাইটিজ আবার এ্যাক্ট জারি করা হয় ।

ফলে কৃষি-ঋণ সমবায়ের এমন পাশাপাশি তন্তুবায়ী ও, মৎস্যজীবী, দুগ্ধ উৎপাদনকারী, এবং আখচাষী, ম্যালেরিয়া নিবরণ, আবার ভোগ্য পণ্য সরবরাহ, ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এমন কিছু প্রাথমিক, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সমবায় এমন একটি সমিতি গঠন পরিচালনার তৎপরতা শুরু ও হয় ।

এই 1915 সালের জুন মাসে, এবং বঙ্গদেশ-সহ বিভিন্ন প্রদেশে বাড়ছে সমবায় সমিতির সংখ্যা প্রায় এই পনের হাজারে পৌছে । সদস্য আবার এই  অসদস্যদের সঞ্চয় এবং আমানতের মাধ্যমে সৃষ্ট তহবিল দ্বারা এই সরকারের অতি সামান্য ভাবে  (কার্যকরী তহবিলের মাত্রা শতকরা তিনও ভাগে) নিয়ে এ সমিতিগুলো হলো তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনাও করেছে । এখানে একটি বিষয়ের করে উল্লেখ অত্যাবশ্যক ।

সমবায়ের মূলনীতি কি সমিতির সুবিধা ও অসুবিধা
সমবায়ের মূলনীতি কি সমিতির সুবিধা ও অসুবিধা

সমবায় সমিতির বৈশিষ্ট্য

এখানে একটি বিষয়ের উল্লেখ করেন অত্যাবশ্যক । গ্রামের সকল উপজেলা শ্রেনীর  দরিদ্রের যাবতীয় এমন একটি উন্নয়নের একমাত্র কেন্দ্রস্থল হিসেবে স্যার অথবা এই  নিকলসন যে “সমবায় গ্রাম ব্যাংক” স্থাপনের সুপারিশ করেছিলেন,যে

1904 সালের ও 1912 সালের সমবায় আইনে স্যার নিকলসনের আবার সেই সুপারিশ এবং স্বপ্ন বহুলাংশে প্রতিপালিত হয়নি ।এই জন্যে আরো উল্লেখ্য যে, এই 1904 সালের কো-অপারেটিভ এমন  ক্রেডিট সোসাইটিস ও এ্যাক্ট প্রণীত হয়েছিল 1793 সালের ইংলিশ ফ্রেন্ডলী এবং সোসাইটিজ এ্যাক্ট অনুসরণে ।

সংখ্যা বৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্র আবার এমন প্রসারের ফলে সমবায় সমিতি গুলোর ব্যবস্থাপনায় নানা রকম অযোগ্যতা, তহবিলের স্বল্পতা, শিক্ষামূলক তদারকীর অভাব, ও বেসরকারি নেতৃত্বে সংকট আবার সদস্যবর্গের এই জনগনের মধ্যে সমবায় এমন কিছু সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব প্রকট হয়েও দেখা দেয় । এর পরিপ্রেক্ষিতে, বিচারপতি স্যার এডওয়ার্ড ম্যাকলেগানকে হয় ন 1914 সালে গঠিত ।

স্যার এডওয়ার্ড আবার ম্যাকলেগানকে নিয়ে এই 1914 সালে গঠিত “ইমপেরিয়াল কমিটি এমন কো-অপরেটিভ ইন ইন্ডিয়া” এমন সমবায় সমিতি গুলোর উক্ত এমন কিছু সমস্যার নিরসন ও উন্নয়নকল্পে 1915 সালে এক একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তাই যাকে পরবর্তী কালে ভারতের জন্য  এমন “সমবায়ের বাইবেল” হিসাবে ও বিবেচনা করা হয়েছে ।

সমবায় সমিতির মূলনীতি কি

ইতোমধ্যে, বিভিন্ন 1929-34 সালের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অর্থনৈতিক মন্দার পলে, কৃষিপণ্যের এমন মূল্য অস্বাভাবিক হ্রাসও পেলে অধিকাংশ ঋণ গ্রহিতা করে কৃষি সমবায়ী ঋণ এমন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় ।

এজন্য আমানতকারীগণ আবার সমবায় থেকে তাদের এমন আমনত ফেরৎ পেতে সমস্যার সমাধান সম্মূখীন হয় । ফলে এই জনমনে সমবয়ের উপর গবীর অনাস্থাও সৃষ্টি হয় ।

পরবর্তীতে এই 1935 সালের বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল নানা ভাবে ডেটরস এ্যাক্ট এবং আবার গঠিত ঋণ-শালিসী বোর্ডের সেরা আওতায় সমবয়ের করে ঋণকে অন্তর্ভূক্ত করায় ঋণদান এই সমবায় সমিতি গুলোর, মধ্যে বিশেষতঃ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পক্ষে বিপুল অংকের টাকা বকেয়া ঋণ আদায় করা হয়েছিল ও অসম্ভব হয়ে পড়ে ।

ফলে এই সমবায় সমিতি গুলোর গোটা অস্তিত্ব আবার কার্যক্রম বিপন্ন হয়ে পড়ে । কিন্তু এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (1939-43) ও বাংলার দুর্ভিক্ষের (1943) অর্থ্যাৎ পঞ্চাশের মন্বন্তরের সময়, এবং বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান) সমবায়ের কর্মোদ্যম নানা ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে ।

এই 1947 সালের আগস্ট দেশ-বিভাগের সময়,এবং এই বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান) সমবায় সমিতির সাধারণ সংখ্যা ছিল 32,418 এবং আবার তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল ।

সমিতিগুলোর এই জন্যে কর্মতৎপরতা সম্পর্কে কোন রোল্যান্ড কমিটি (1945) বলেছেন, যে “এদের অধিকাংশই জীবন্মৃত”কোনো ভাবে এবং পাকিস্তন ঋণ তদন্ত কমিশন গঠন (1950) বলেছেন, এগুলো যেন “ আত্মাহীন এক একটি দেহ” 

সমবায় সমিতির সুবিধা ও অসুবিধা

1947 থেকে 1970 পর্যন্ত প্রায়  24 বছরে, বাংলাদেশের এমন (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) এমন একটি সমবায় ব্যবস্থা পুর্নগঠনের করে লক্ষ্যে 1953-58 সালে গ্রাম ও ভিক্তিক অসীম দায়িত্ব নানা ভাবে বিশিষ্ট মৃতপ্রায় গ্রাম সমবায়

সমিতিগুলোকে এমন কিছু রাতারাতি একচেটিয়া ভাবে লিকুইডেশন দেয়া হয় আবার এই তদস্থলে ইউনিয়ন ভিক্তিকও বহুমুখী সমবায় সমিতি স্থাপনও করা হয় ।

এমন কিছু পূর্ণগঠন ব্যবস্থায় দেমের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক এর মধ্যে গুলো দ্বিতীয় বারের মতো চরম অবস্থা আর্থিক বিপর্যয়ে পতিত হয় ।

কারণ আবার লিকুইডেশন ভূক্ত করে গ্রাম সমবায় সমিতিগুলোতে হয় আবার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক গুলোর নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ থেকে দাদনকৃত খেলাপী প্রায় 290 লক্ষ টাকার অনুকূলে তৎকালীন এই সরকার কেন্দ্রীয় সমবায় ও ব্যাংক গুলোকে ক্ষতিপুরণ দান ও করেনি ।

তাই লিকুইডেশন প্রক্রিয়ার ফলে, যে দেশে মোট সমিতির সংখ্যা প্রায় 32,481 থেকে 1960 সালের এই জুন মাসে 5589-তে হ্রাস পায় ।

এমন কিছু প্রক্রিয়ার সময়, দেশে আরো কয়েকটি বৃহদাকার সমবায় এমন প্রতিষ্ঠান ( যেমন প্রাদেশিক সমবায় ও ব্যাংক, সমবায় জুট মিল, এবং জাতীয় শিল্প সমিতি, আবার জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি, আখচাষী ফেডারেশন, এবং পরিবহন

সমবায়, জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন ইত্যাদি) ও স্থাপিত হয় । এই 1955 সালে স্টেট ব্যাংক হলো এদেশের সমবায় গুলোকে এমন কৃষি ঋণ দেয়া শুরু করে ।

1960 সালে সমবায় এই অধিদপ্তর থেকে মাসিক ‘সমবায়’ও এবং ইংরেজি ষান্মাসিক এই কো-অপারেশন পত্রিকাদ্বয়ের নানা ভাবে প্রকাশনা শুরু হয় ।

17-02-1962 আবার এই তারিখে সর্বপ্রথম “জাতীয় সমবায় নীতি”এই  গৃহীত ও প্রচারিত হয় । তাই 1961 সালে বাংলাদেশ জাতীয় (তৎকালীন সরকার পূর্ব পাকিস্তান) সমবায় এমন ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক সমবায় হলে মৈত্রী সংস্থার মাধ্যমে সদস্যভূক্ত হয় যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিমন্ডলে বাংলাদেশের এমন সমবায় সমিতি গুলোর পরিচিতি এবং

সহযোগিতা প্রাপ্তির অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিলাভ করে । এই জন্যে 1960 সালে ঢাকায় গ্রীন রোডে সাংবাদিক স্থাপিত বাংলাদেশ খবর সমবায় কলেজ 1962 সালে এই কুমিল্লার কোটবাড়িতে স্থানান্তরিত হয় ও পরবর্তীতে এর অধিনে 10টি এমন আঞ্চলিক সমবায় শিক্ষায়তন ভাবে স্থাপিত হয় ।

সরকারি এমন সিদ্ধান্ত ক্রমে বাংলাদেশ সমবায় কিছু কলেজ 1998 সালে এই বাংলাদেশ সমবায় একাডেমীতে এমন রূপান্তরিত হয় ।

সমবায়ের মূলনীতি হলো
সমবায়ের মূলনীতি হলো

সমবায়ের মূলনীতি হলো

স্বাধীনতা সংগ্রামকালে এই দেশের অধিকাংশ সমবায় সমিতি কিছু  কম-বেশী আর্থিক এবং বস্তুগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে । তা এমন একটি সত্ত্বেও স্বাধীনতার কথা পরবর্তী বছর থেকেই এমন একটি সমবায় গুলো তাদের আর্থ-সামাজিক এই সব

কিছু কর্মসূচি রূপায়নে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং তাদের অতীতের সমাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে উন্নয়নে ধারা সুসংহত করে সমবায় হলো গুলোর কর্মতৎপরতাকে নানা ভাবে যথাসাধ্য উৎসাহিত করে ।

এখানে আরো অনেক বেশি উল্লেখযোগ্য যে, স্বাধীনতার পর (1971-76) এই জন্যে এমন একটি গঠিত ও পরিচালিত কতিপয় সমিতির সভাপতি ( যেমন মহিলা সমিতি, পরিবহন সমিতি, ও দুগ্ধ সমিতি/ মিল্ক-ভিটা আবার বীমা সমিতির) কার্যক্রম এমন

কিছু সময়ে একদিকে সমবায়ের পরিমন্ডলে করে নতুন দিগন্তের সূচনাও করেছে, অপরদিকে এদেশের এই দারিদ্র্য-বিমোচনে এবং অর্থনীতি উন্নয়নে সমবায়ের অবদান এবং প্রতিশ্রুতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে ।

দেশের সমবায় এই সব সমিতিগুলো যাতে সমবায়ের করে নীতিমালা অনুসারে এবং যথাযথ মূল্যায়ন শৃংখলা ও যোগ্যতার সাথে পরামর্শ স্ব-উদ্যোগে দরিদ্রদের জন্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে করতে পারে, সেই লক্ষ্যে উপযোগী 1940

সালের সমবায় আইন অনুযায়ী 1942 সালের সমবায় নীতিমালা অনুসারে সংশোধন করে 1984 সালে সমবায় করে অধ্যাদেশ ও 1987 সালে সমবায় মধ্যম আয়ের নিয়মাবলী প্রবর্তন করা হয় । কিন্তু এই সমবায় অধ্যাদেশ অনুযায়ী ও সমবায় নিয়মাবলী

যুগপযোগী না হওয়ায় তা সংস্কারের এক একটি বিষয়টি সাধারণ সমবায়ীদের দীর্ঘদিনের এমন ভাবে দাবি ছিল । 15 জুলাই 2001 তারিখে সরকার এর সমবায় সমিতি আইন এই, 2001 জারি করে । 

১৮৪৪ সালে স্থাপিত ইংল্যান্ডের এর রচডেল সমতাবাদী এমন কিছু অগ্রনীদের সমবায় সমিতিই এই পৃথিবীর প্রথম সফল করার সমবায় প্রচেষ্ট । অগ্রণীদের সাফাল্যের এমন একটি মূলে ছিল ইতি পূর্বে বর্ণিত তাদের অনুসৃত এই আটটি রীতিনীতি।

সমবায়ের এমন কিছু রীতিনীতিগুলোর উপর ভিত্তি করে নানা ভাবে ক্রমে ইউরোপের জার্মানী, ফ্রান্স, ইটালীসহ অনেক আরো অন্যান্য দেশে সমবায়ের এমন কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে । পরবর্তী কয়েক এমন কিছু মধক আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার এই বিভিন্ন দেশে সমবায় এমন কিছু আন্দোলণ বিস্তার লাভ করে ।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমবায় এমন কিছু আন্দোলণ বিস্তার লাভ করার সাথে সাথে এর এই ভাবে কর্মক্ষেত্রের ব্যাপকতা অনেক জটিলতা বাড়তে থাকে । একই সাথে বিভিন্ন দেশে আবার অনেক আন্ত-সমবায় সম্পর্ক স্থাপন এবং পরস্পর বিরোধী কার্যপদ্ধতির সমন্বয় সাধনের এমন একটি আবশ্যকতা অনুভূত হয় ।

সমবায় নীতি কাকে বলে উদাহরণ দাও

সমবায় হল একটি ব্যবসায়িক এক একটা প্রতিষ্ঠান যেটি একদল সদস্য তাদের সম্মিলিত কল্যাণের ও জন্য পরিচালনা করেন।

সমবায় অধিদপ্তর এর কাজ কি?

সমবায় অধিদপ্তর বাংলাদেশে এমন কিছু সমবায়ভিত্তিক দারিদ্র‍্য নিরসনের দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয় এই সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সমিতির মন্ত্রণালয়ের অধীন এক একটি অধিদপ্তর। 

সমবায় সমিতির মূল নীতি কি?

আন্তর্জাতিক সমবায় মৈত্রী এবং  (International Co-operative Alliance) তাদের সমবায় কার্যালয় পরিচিতি নির্দেশিকাতে সমবায়ের সংজ্ঞা দিয়েছে এমন কিছু ভাবে যে, সমবায় হল সমমনা দলগুলোর মানুষের স্বেচ্ছাসেবামূলক এক একটি স্বশাসিত সংগঠন 

সমবায় নীতির গুরুত্ব

সমবায়ের সুবিধাগুলো হলো: ১. সমবায়ের মাধ্যমে সহজে এই নিজেদের উন্নতিসহ এলাকার একটি উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়, আবার ২. আর্থিক সচ্ছলতা আনয়ন ও করা যায়, তাই ৩. শ্রমজীবী মানুষ একজনের পক্ষে যে কাজ সেটা সম্ভব নয়, এবং সমবায়ের মাধ্যমে ১০ জনের পক্ষে সেকাজ সম্পূর্ণ ভাবে করা সম্ভব হয় ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button