শিক্ষাসাধারণ জ্ঞান

খাদ্য কাকে বলে? খাদ্য কি? খাদ্য উপাদান কয়টি ও কি কি?

সাধারণভাবে বেঁচে থাকার জন্য হলেও প্রতিটি মানুষের জীবনের খাদ্য প্রয়োজন। কারণ খাদ্য ছাড়া কেউ বাঁচতে পারে না। একই কারণে সকলকে খাদ্য গ্রহণের নিয়ম অনুসারে জানা প্রয়োজন, খাদ্য কাকে বলে খাদ্য কি এবং খাদ্য উপাদান কয়টি ও কি কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত। 

তাই আমরা আপনাদেরকে এ সম্পর্কে জানানোর জন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে খাদ্য কাকে বলে খাদ্য কি খাদ্যের বিভিন্ন উপাদান ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাদি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছি। 

মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি মৌলিক উপাদানের মধ্যে একটি এবং প্রধান ও অন্যতম মৌলিক উপাদান হিসেবে খাদ্য পরিচিত। 

তাই খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং পরিমিত পরিমাণে প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

সুস্থ দেহ সুন্দর মন অর্থাৎ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলো সঠিক  কিনা সেই সম্পর্কে যাচাই করতে হবে।

খাদ্যের পরিমিত পরিমাণ এবং খাদ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিতে জানার জন্য বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে খাদ্যের পিরামিড এর সাহায্যে মানুষকে খাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। 

তবুও কিছু মানুষের প্রশ্ন এমন থেকে থাকে খাদ্য কি খাদ্য কত প্রকার ও কি কি খাদ্য কেন প্রয়োজন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত। 

কারণ মানুষ হিসেবে যে কোন খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে ওই খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে খেতে হবে, এছাড়াও স্বাস্থ্যের জন্য ওই খাবারটি ঠিক কতটুকু উপযুক্ত বা ভালো তা জেনে খেতে হবে। 

পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে স্বাস্থ্যের উপকারী দিক বিবেচনা করে। তাই সর্বপ্রথম খাদ্য কি খাদ্য কত প্রকার ও কি কি খাদ্যের গুনাগুন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। 

আরো পড়ুন: সুষম খাদ্য কাকে বলে?

খাদ্য কাকে বলে এবং তা কত প্রকার ও কি কি

বস্তু অর্থাৎ আহার্য বস্তু হজম হিসেবে বিশ্বজিত হয় এবং যে সকল বস্তু অথবা খাদ্য আহার করা হয় সে সকল বস্তু বা আহারিত দ্রব্য কে খাদ্য বলা হয়। 

রক্ত প্রবাহের সময় শরীরে প্রয়োজন মত কাজে লাগাতে যে সকল বিশোষণের পুষ্টি হিসেবে কার্যকারিতা বহন করে তা হল মূলত খাদ্য। 

  1. খাদ্য সাধারণত, 
  2. দেহের বৃদ্ধি, 
  3. ক্ষয়পূরণ, 
  4. রক্ষণাবেক্ষণ, 
  5. তাপ এবং শক্তি উৎপাদন করে, 
  6. শরীরকে সুস্থ, 
  7. সবল ও কর্মক্ষম রাখতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। 

বিশেষ কয়েকটি খাদ্য হলো :

  1.  চাল, 
  2. ডাল, 
  3. মাছ, 
  4. মাংস, 
  5. শাক,
  6.  সবজি, 
  7. ফলমূল, 
  8. দুধ, 
  9. চিনি, 
  10. পানি  সহ ইত্যাদি।

পুষ্টিগুণের উপর ভিত্তি করে খাবারকে সাধারণভাবে ছয় ভাগে ভাগ করা যায়। 

এগুলো হলো যথাক্রমে :-

  • শর্করা জাতীয় খাবার, যেমন : (ভাত, ভুট্টা, আলু)।
  • আমিষ জাতীয় খাবার, (যেমন : মাছ, মাংস)।
  • চর্বি জাতীয় খাবার,  (কেমন :ঘি, বাদাম)।
  • ভিটামিন জাতীয় খাবার, (যেমন :-লেবু, পেয়ারা, ডিমের কুসুম)।
  • খনিজ লবণ মিশ্রিত খাবার,  (যেমন: মলা মাছ, খাবার লবণ, কচু শাক)।
  • এবং  জল অথবা পানি।

অর্থাৎ, মানুষের শরীরের পুষ্টি উপাদান তৈরির জন্য এবং আহারের প্রয়োজনীয় যে সকল দ্রববাদি ব্যবহার করা হয় অথবা গ্রহণ করে ওই সকল কিছুকে খাবার বলা হয়। 

মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় খাবারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। তবে খাবারের প্রকারভেদ দ্বিতীয় অনুযায়ী খাবারের পুষ্টিগুণ নির্মিত হয়। 

কোন খাবার গুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং কোন খাবার খেলে স্বাস্থ্যের কোন দিক দিয়ে উন্নতি হয় সেই সকল দিকগুলো বিবেচনা করে খাদ্যের প্রকারভেদের উপর নির্ভর করে খাদ্য গ্রহণ করা হয়। 

যে সকল দ্রববাদী আহারের ফলে তা হজম হয়ে যায় এবং তা থেকে উৎপন্ন হয় শক্তির রক্ত এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপাদান সমূহ ঐ সকল দ্রব্যগুলোকে খাবার বলা হয়। 

সাধারণভাবে পুষ্টিগুণ এর উপর বিবেচনা করে খাবার সমূহকে সাধারণত ৬ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ খাবার সাধারণভাবে ছয় প্রকার। 

আরো পড়ুন: সম্পূরক খাদ্য কাকে বলে? 

খাদ্য কাকে বলে খাদ্য কি খাদ্য উপাদান কয়টি ও কি কি
খাদ্য কাকে বলে খাদ্য কি খাদ্য উপাদান কয়টি ও কি কি

খাদ্য কাকে বলে খাদ্যের কাজ কি

যে সকল  দ্রব্যসমূহ আহারের  ফলে তা হজমের মাধ্যমে শরীরে শক্তি উৎপাদন করে ওই সকল দ্রব্যসাম্যকে খাদ্য বলা হয়। খাদ্যের কাজ এবং গুরুত্ব এবং এর তাৎপর্য অপরিসীম। 

খাদ্যের বিভিন্ন কাজ হলো:

১. দেহ গঠন করা এবং দেহের বৃদ্ধি সাধন করা। 

২. দেহের ক্ষয় পূরণ করা। 

৩. দেহে প্রয়োজনীয় তাপশক্তি উৎপাদন করা এবং কর্মশক্তি প্রদান করা জলাচলের ক্ষেত্রে। 

৪. দেহের অভ্যন্তরীণ যে সকল শক্তি বা কার্যদি রয়েছে সে সকল কার্যদি নিয়ন্ত্রণ করা। 

৫. সর্বোপরি, দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা এবং বৃদ্ধি করা। 

৬. শরীরে তাপমাত্রা ঠিক রেখে কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। 

৭. দেহের যে সকল কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঐ সকল স্কুলগুলোকে মেরামত করতে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সহযোগিতা করে। 

৮. সর্বোপরি শরীরে পানির ভারসাম্যতা বজায় রাখে।

৯. সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও অন্যতম কাজ হলো শরীরে শক্তি উৎপাদন করা। 

১০. জৈবিক কার্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে সকল শক্তি এবং পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন ওই সকল পুষ্টি উপাদান তৈরি করে। 

স্বাস্থ্য রক্ষায় যে সকল প্রয়োজনীয় উপাদান প্রয়োজন ওই সকল প্রয়োজনীয় উপাদান খাদ্যের মধ্যে বিদ্যমান। কারণ খাদ্যের প্রধান কাজ হলো দেহের সার্বজনীন শক্তি উৎপাদন করা এবং দেহের উৎপাদন ও বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা। 

দেহ কাটামো এবং দেহের সর্বোপরি উৎপত্তি এবং প্রয়োজনীয় হিসেবে অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে খাদ্য। শরীরে কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ এর উপর রয়েছে খাদ্যের অপরিসীম ভূমিকা। 

অর্থাৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে সকল পণ্য বা উপাদানগুলো দেহের প্রয়োজন সেই সকল উপাদান গুলো হল দেহের জন্য কার্যকরী ও প্রয়োজনীয় খাদ্য হিসেবে পরিচিত উপাদান। 

হজমের মাধ্যমে শরীরের সার্বিক প্রয়াস এবং উন্নতি মূলক কাজের ক্ষেত্রে এবং খাবার হজমের মাধ্যমে শরীরের উৎপাদনের ক্ষেত্রে এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সকল বস্তু আহার করা হয় সেগুলোকে খাবার বলা হয়। 

আরো পড়ুন: মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা

সুষম খাদ্য কাকে বলে?

খাদ্যের প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ অর্থাৎ ধার দিয়ে ছয়টি প্রধান উপাদান যে সকল খাদ্যে পরিমিত পরিমাণে রয়েছে ওই সকল খাদ্যগুলোকে সুষম খাদ্য বলে। 

  • প্রোটিন,
  • ভিটামিন ও মিনারেল,
  •  আমিষ,
  • স্নেহ ও চর্বি জাতীয় খাবার,

শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি এই ছয়টি উপাদানসমূহ যে সকল খাদ্যে সঠিক অনুপাতে বিদ্যমান ওই সকল খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলা হয়। 

সাধারণভাবে বলতে গেলে দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য তালিকায় যে প্রধান ছয়টি উপাদান রয়েছে ওই সকল ছয়টি উপাদান যে সকল খাদ্যের মধ্যে পরিমিত পরিমানে বিদ্যমান রয়েছে ওই সকল খাবারগুলোকে সুষম খাদ্য বলা হয়। 

অর্থাৎ ঐ সকল খাবারগুলোকে সুষম খাবার বলা যাবে যে সকল খাবারগুলোতে খাবারের প্রয়োজনীয় যে ছয়টি উপাদান রয়েছে ওই ছয়টি উপাদান বিদ্যমান থাকবে। 

দৈনন্দিন জীবনে খাবারের অর্থাৎ খাদ্য তালিকার যে আকৃতিতে রয়েছে তা হচ্ছে পিরামিড ভাত্রিবুজ আকৃতির। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য খাদ্য তালিকার উঁচু থেকে নিযুক্ত হওয়ার পর্যন্ত সুষমা খাদ্যগুলোকে বিন্যস্ত আকারে সাজিয়ে দেখানো হয়। 

মানুষের স্বাভাবিক রোগমুক্ত জীবন ও সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে সুষম খাদ্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। দেহকে সুস্থ সবল রাখতে এবং কাজের ক্ষেত্রে পরিণত পরিমাণে সময় ব্যয় ও শক্তি ব্যয় করার ক্ষেত্রে, 

পাশাপাশি বিভিন্ন রূপ দেখে মুক্তি পেতে এবং রোগ যেন আক্রমণ করতে না পারি এই সকল ক্ষেত্র বিবেচনায় প্রয়োজনীয় যে সকল খাবার গ্রহণ একজন মানুষের জন্য প্রয়োজন ওই সকল খাবারে পরিণত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান, 

এরূপ খাদ্যের প্রধান যে ছয়টি উপাদান রয়েছে এই ছয়টি উপাদান যে সকল খাদ্যে রয়েছে ওই সকল খাদ্যগুলোকে সুষম খাদ্য বলা হয়। 

  • শাক সবজি, 
  • ফলমূল, 
  • চর্বি জাতীয় খাবার, 
  • দানাদার খাবার, 
  • আমিষ জাতীয় খাবার, 
  • মিনারেল অথবা পানি রয়েছে এরকম খাবার, 

এ সকল খাবারগুলোকে খাদ্য তালিকায় বিবেচনার স্বরূপ সুষম খাবার হিসেবে বলা হয়ে থাকে । যাদের প্রয়োজনীয়তা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিসীম। 

খাদ্যে যে সকল পুষ্টিগুণ আগুন থাকা প্রয়োজন ওই সকল পুষ্টি গুনাগুনের মধ্যে প্রদান ও অন্যতম যে সকল ছয়টি উপাদান রয়েছে এবং এই ছয়টি উপাদান যে সকল খাবারে বিদ্যমান রয়েছে ওই সকল খাবারগুলোকে সুষম খাবার বলা হয়। 

কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা | কোলেস্টেরল কমাতে লেবু

কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে হবে এবং খাদ্য তালিকার নিয়ম অনুযায়ী ফুল স্ট্রো কমানোর চেষ্টা করতে হবে। 

১. খাদ্য তালিকায় রয়েছে সবজি : দেহে শক্তি যুক্তি এবং কোলেস্ট্রল এর পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে সবজি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

২. জলপাইয়ের তেল : দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে মনো-আনসেচুরেটেড ফ্যাটি এসিড একটি উপকারী মৌল হিসেবে কাজে লাগে। এবং এ এসিটি জলপাইয়ের তেলে অথবা অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে দেহের কোলেস্ট্রল কমানোর ক্ষেত্রে জলপাইয়ের তৈরি খাবার অবশ্যই খাওয়া যে অথবা জলপাইয়ের তেল। ফলে কোলেস্ট্রল কমানো যাবে।

৩. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট-সম্বৃদ্ধ ফল ও সবজি:-ভিটামিন সি বা বিটাকের সমৃদ্ধ ফলমূল এবং সবজি এছাড়াও যে কোন সবজি দেহের কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। 

৪. দুগ্ধ  জাতীয় খাদ্য :যদি কেউ তার শরীরের রক্তে যে কোলেস্টেরল রয়েছে তার পরিমাণ কমাতে চায় তাহলে ওই ব্যক্তিকে অবশ্যই দুগ্ধ যার জাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে। তবে শরীরের উন্নতির জন্য দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং তা অবশ্যই জাতীয় ছাড়া।। 

৫. লেবু :-রক্তের কোলেস্টর কমানোর ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্ট্রল কমে এবং ওই সকল ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের মধ্যে লেবু হচ্ছে একটি অন্যতম। 

কারণ লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। এছাড়াও ভিটামিন সি এর অন্যতম একটি উৎস হিসেবে মরিচ পরিচিত যা কোলেস্টেরল  কমানোর ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। 

৬. বিটা ক্যারোটিন :-গারো হলুদ রংয়ের যে সকল খাবার রয়েছে ওইগুলোতে কোলেস্টেরল রয়েছে। 

  • আর মধ্যে হলো:
  • কুমড়া,
  •  মিষ্টি আলু, 
  • কাঠবাদাম, 
  • গাজর, 
  • এছাড়াও 
  •  সবুজ সবজি,
  •  যেমন : ব্রকোলি, 
  • পাতাকপি 

ইত্যাদি। 

খাদ্য তালিকায় বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ উক্ত খাবারগুলো খাওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজন এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এগুলো খাদ্য তালিকার জাতীয় একটি অন্যতম খাবারের তালিকা। 

৭. মাছ:-গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল ব্যক্তিগণ তিন সপ্তাহের মধ্যে মাত্র তিন দিন মাছ অর্থাৎ আমিষ জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে তাদের শরীরে কোলেস্ট্রল-এর পরিমাণ কমে যায়। তাই কোলেস্টরল কমাতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। 

অর্থাৎ উপরোক্ত খাদ্যের তালিকাটি হল কোলেস্টেরল জাতীয় কাদের তালিকা এবং এর মাধ্যমে জানা যায় যে কোন কোন খাবার কিভাবে খেলে শরীরে কোলেস্ট্রল এর পরিমাণ বাড়তে পারে এবং কমতে পারে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত। 

উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি

উদ্ভিদ বেড়ে উঠার জন্য অথবা বৃদ্ধির জন্য মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। এদের মধ্যে তিনটি প্রধান পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেগুলো হলো :- 

  •  নাইট্রোজেন,, 
  •  ফসফরাস,,
  • পটাশিয়াম,, 
  • তবে উদ্ভিদের মুখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে মোট ১৬ টি। 
  • এই শোনো কি পোস্ট উপাদানকে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় মুখ্য এবং প্রধান পুষ্টি উপাদান বলা হয়। 
  • এই 16 টি মুখ্য পুষ্টি উপাদান নিম্নে দেয়া হলো :-
  • নাইট্রোজেন,,
  •  পটাসিয়াম,,
  • ফসফরাস,,
  • ক্যালসিয়াম,,
  • ম্যাগনেসিয়াম,,
  • কার্বন,,
  • হাইড্রোজেন ,,
  • অক্সিজেন,,
  •  আয়রন,,
  • জিংক,,
  • ম্যাঙ্গানিজ,,
  • মেলাবোডেনিয়াম,,
  • বোরন,,
  • কপার,,
  • ক্লোরিন,  ইত্যাদি। 

তবে পটাশিয়াম ফসফরাস এবং নাইট্রোজেন মিলে একটি ত্রয়ী অবস্থা তৈরি করে যাকে একসাথে NKP বলা হয়। এ সকল ১৬ টি মৌল অর্থাৎ পুষ্টি উপাদান কি আলাদা আলাদা ভাবে দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়। 

এর মধ্যে কিছু মৌলকে ম্যাক্রোমলো বলা হয় এবং কিছু মৌলকে মাইক্রো মোলও বলা হয়। যে সকল পুষ্টি উপাদান গুলো উদ্ভিদের দেহের জন্য অত্যাবশ্যকে হারে প্রয়োজন ওই সকল পুষ্টি উপাদান গুলোকে মেক্রো মৌল বলা হয়। 

আবার এমন কিছু মৌল রয়েছে যে মূল সময় উদ্ভিদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বা অধিকারের প্রয়োজন হয় না ওই সকল মৌলসমূহকে মাইক্রো মৌল বা পুষ্টি  উপাদান বলা হয়। 

এর মধ্যে কার্বন এবং অক্সিজেন যা উদ্ভিদ বায়ু থেকে গ্রহণ করে থাকে। আবার এমন কিছু পোস্ট উপাদান রয়েছে যা উদ্ভিদ তার মূলরুমের সাহায্যে গ্রহণ করে। 

উদ্ভিদের পাতা হলুদ হওয়া থেকে রক্ষা করতে এবং গাছটির সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদানটি অত্যাবশক। তবে উদ্ভিদ মাটি থেকে পুষ্টি উপাদানটি অধিকারী বা বেশি হারে গ্রহণ করে ঐটি হলো নাইট্রোজেন। 

  • উদ্ভিদের মূলের বৃদ্ধি কমে যায়, 
  • শাখার শীর্ষ মরে যায়, 
  • ফুলের কুড়ির জন্ম ব্যাহত হওয়া,,

উদ্ভিদের এ সকল সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্রণ একটি কার্যকরী মৌল হিসেবে ভূমিকা পালন করে। 

অর্থাৎ উদ্ভিদ বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিটি অর্থাৎ এখানে উল্লেখিত ষুলোটি উপাদান বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

উদ্ভিদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠার জন্য এবং নতুন প্রজন্মের উদ্ভিদগুলোর জন্য সঠিক পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তাই উদ্ভিদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠার জন্য উদ্ভিদের জন্য রয়েছে ১৬ টি মাইক্রো এবং মাইক্রো মিশ্রিত পুষ্টি উপাদান। 

আরো পড়ুন: গো খাদ্য কাকে বলে? সম্পূরক খাদ্য কাকে বলে

আমিষ কাকে বলে আমিষের উৎস ও মানবদেহে এর কাজ
আমিষ কাকে বলে আমিষের উৎস ও মানবদেহে এর কাজ

আমিষ কাকে বলে? আমিষের উৎস ও মানবদেহে এর কাজ

চারটি প্রদান ও অন্যতম উপাদান নিয়ে গঠিত খাদ্যকে আমিষ বলা হয়। আমি যে সকল চারটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত সেগুলো হলো :-

  •  কার্বন, 
  • হাইড্রোজেন, 
  • অক্সিজেন 
  • এবং নাইট্রোজেন।

এছাড়াও আবার অনেকে লৌহ এবং অন্যান্য মৌল সমন্বয়ে গঠিত উপাদান নির্মিত খাদ্যকে আমিষ বলে। তবে চারটি প্রধানমূল নিয়ে গঠিত খাদ্য হলো আমিষ। 

খাদ্য পিরামিডের সুষম খাদ্য হিসেবে আমরা ছয়টি খাদ্য কি নির্দেশ করে থাকি। এ সকল ছয়টি খাদ্যকে সুষম খাদ্য বা খাদ্য তালিকার মৌলিক উপাদান হিসেবে ধরা হয়। 

এবার খাদ্য তালিকায় যে ছয়টি খাদ্য রয়েছে ওই সকল খাদ্য তালিকা উপাদান গুলো নিয়ে নির্মিত বা গঠিত যে সকল খাবার রয়েছে সে খাবার গুলোকে আমিষ জাতীয় খাবার বলা হয়। 

আমিষের  কিছু কাজ হলো:-

১. বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করে। 

২. পাশাপাশি রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। 

৩. স্বাভাবিকভাবে বাচ্চাদের সহ বড়দের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে নতুনভাবে তৈরি করে এবং বিকাশের সহযোগিতা করে। 

৫. শিশুদের দৈহিকভাবে বৃদ্ধি বড় হতে এবং মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে আমিষ এর উপাদান মুখ্য। 

৬. দেহের কঙ্কাল কে দৃঢ়তা প্রদান করা এবং শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম উপাদান হিসেবে আমেরিকার কার্যকরী। 

৭. দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যে সকল অঙ্গ ছোটবেলা থেকে বড় হওয়ার সাথে সাথে ধীরে দিয়ে বড় হয় এবং তাই তো লাভ করে ওই সকল অঙ্গগুলোকে মজবুতভাবে তৈরি করার ক্ষেত্রে ভূমিকা মুখ্য। 

৮. শারীরিকভাবে শরীরে অস্থির সময় এবং পেয়েছি সময়ে সংকোচন প্রচলন বৃদ্ধি এবং দৃঢ়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আমি একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করি। 

মানুষের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক যে সকল ছয়টি উপাদান রয়েছে তার মধ্যে চারটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয় আমিষ। 

অর্থাৎ আমি জাতীয় খাবারের চারটি প্রধান ও অন্যতম উপাদান রয়েছে তাই প্রতিটি মানুষের দেহের দৈহিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম ও মুখ্য পালন করে আমিষ জাতীয় খাদ্য সমূহ। 

আমিষ জাতীয় খাবার কি কি?

আমি জাতীয় খাবারের তালিকায় অনেকগুলো আমি জাতীয় খাবার রয়েছে। নিম্নের বিভিন্ন ধরনের আমি জাতীয় খাবারের তালিকা এবং নামসমূহ তুলে ধরা হলো :-

  • মাছ,,,
  • মাংস,,,
  •  দুধ,,,
  •   ডিমের সাদা অংশ,,
  • ডাল,,,
  •  বাদাম,,,
  •  সয়াবিন তেল,,,
  •  মটরশুঁটি,,,
  • শুটকি মাছ,,,
  • শুটকি জাতীয় খাবার,,ইত্যাদি।

এছাড়াও সমুদ্রের যে সকল মাছ রয়েছে ঐ সকল থেকে আমরা আমেজ পেয়ে থাকি। এছাড়াও আরো বেশ কিছু আমিষ  রয়েছে। 

  • দুধ, 
  • দুগ্ধজাত খাদ্য,,, যেমন-
  • (ছানা, পনির ইত্যাদি),,
  • শিম,,,,
  • বরবটির বীজ,,
  • , বিভিন্ন প্রকার ডাল ,,,,

ইত্যাদি হলো আমের জাতি ও খাদ্য তালিকার অন্যতম। এছাড়াও খেসারি লাল নামে একটি ডাল রয়েছে যাতে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড যা আসলে ল্যাথারাইজম রোগের জন্য দায়ী। 

তাই আমিষ খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দেহের গঠন উপাদান বৃদ্ধির জন্য কোন কোন আমেজ প্রয়োজন এবং কোনগুলো অপ্রয়োজন তা জেনে এবং খেতে হবে। 

উপরোক্ত খাবারগুলো হলো আমিষ জাতীয় খাবার। দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য এবং কার্যকারিতা সহ মানসিক বিকাশে ও সৃজনশীলতা বিকাশের ক্ষেত্রেও খাদ্য তালিকা একটি প্রয়োজনীয় ও অন্যতম অংশ। 

তাই যেসব ক্ষেত্রে আমিষের জন্য দেহের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারি ওই সকল ক্ষেত্রে বিবেচনায় সকলকে আমি জাতীয় খাবার প্রয়োজন অনুসারে খেতে হবে। 

এছাড়াও শাকসবজির মধ্যে যে সকল আমিষ রয়েছে সেগুলো সবজি জাতীয় এবং ভিটামিন সি জাতীয় এর এবং পাশাপাশি আমিষ এর খয় পূরণ করে। 

তাই শাক সবজি ছাড়া অন্যান্য সকল আমিষ জাতীয় যে খাবারগুলো রয়েছে যেমন মাছ-মাংস থেকে শুরু করে ইত্যাদি ইত্যাদি এর সকল কিছু পরিমিত পরিমাণে শিশুসহ ও নানু যে কোন বয়সের মানুষের জন্য প্রয়োজন এবং তা খাওয়া উচিত। 

বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তালিকার মধ্যে অথবা খাদ্যে যে প্রধান ছয়টি উপাদান রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম উপাদান হলো আমিষ। 

দেহের রূপ প্রতিরোধের জন্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আমিষের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। হাই সকলকে আমিষ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে কোন খাবারগুলো আমি জাতীয় খাবার এবং আমি জাতীয় খাবার এর তালিকা দেখে নিয়মিত অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। 

অতি পুষ্টি কাকে বলে?

প্রতিটি মানুষের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য এবং বেড়ে উঠার জন্য পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। তবে মানুষের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার বা পুষ্টির অধিক পরিমাণে যদি কোন পুষ্টি প্রয়োগ করা হয় বা পুষ্টি থেকে থাকে তাহলে ওই সকল পোস্টগুলোকে অতি পুষ্টি বলে। 

প্রয়োজনীয় তুলনায় শরীরে বাজে কোন কাজের ক্ষেত্রেও অধিকারী যা প্রয়োগ করা হয় তার ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষণীয় হয়। ঠিক তেমনি মানুষের শরীরের জন্য যে সকল খাবার বা উপাদানগুলো প্রয়োজন নয় বা প্রয়োজনীয়তার ঘাটতি নেই ওই

সকল উপাদান গুলো আরো বেশি আরে প্রয়োগ করলে বা নেয়া হলে তাতে স্বাস্থ্য সচেতনতার ঝুঁকি দেখা দেয়। অতিরিক্ত হারে বা অতিপুষ্টি যদি কোনো খাবারে থাকে তবে তা সাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, বরং অপকারী।

এর ফলে-

  • ব্যক্তির বুকে ব্যাথা হতে পারে,,
  • চর্বির পরিমান বেড়ে হ্দপিন্ড ব্লক হয়ে যেতে পারে,,,
  • স্বাস্থ্যের অবনতি তথা,
  • কিছু সময় পর পর বাথা ব্যথা,  মাথা ঘুরানে ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে,,,,
  • শরীরিক অসস্থি, পাশাপাশি শারিরীক ওজন বেড়ে যেতে পারে।
  • এছাড়াও  গ্যস্টিক সহ বিভিন্ন রোগের  আশংকা বেড়ে যায়,,
  • পরিপাক কালে পরিপাক স্তরের শক্তি কমে যায়,
  • এবং হজম শক্তি ও কমে যায়। 
  • রেগী শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, ফলে রক্ত চাপ বেড়ে  যেতে পারে।
  • চর্বি জমে শারীরিক ভাবে স্বাস্থ্য অবনতি লক্ক্য করা যায়।

অর্থাৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পুষ্টি তে ভরপুর খাবার যেরকম অনেক প্রয়োজন ঠিক তেমনি পুষ্টি প্রয়োজনের তুলনায় অধিক হারে থাকলে তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব বয়ে আনে। 

যেকোনো কাজে ক্ষেত্রে অথবা খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। ঠিক তেমনি শাস্তির জন্য যে সকল পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন ওই সকল পোস্টে উপাদান তুলনামূলকভাবে বেশি হারে প্রয়োগ বা ব্যবহার করা হয় তাহলে তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অর্থাৎ ওদের ঘরে কোন পুষ্টি প্রয়োগ বা ব্যবহার করা হলে ওই পুষ্টিটিকে অতিপুষ্টি বলা হয়। 

আমরা আপনাদেরকে উক্ত পোস্টের মাধ্যমে খাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যেমন খাদ্য কি খাদ্য কাকে বলে খাদ্য কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আপনি যদি খাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান অথবা আপনার খাদ্য সম্পর্কে যেকোনো তথ্য বা প্রশ্ন থাকে এবং তার সমাধান আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে সুন্দরভাবে পেয়ে থাকেন, 

এছাড়াও যদি আপনি আমাদের পোস্টের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এছাড়াও খাবার সম্পর্কে আপনার যে কোন তথ্য জানা থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

আমাদের পোস্ট রিলেটেড আরো কিছু প্রশ্নের সমাধান দেয়া হলো :-

১.খাদ্য কি বা কাকে বলে?

= দেহ বৃদ্ধি বিকাশ এবং ক্ষয় পূরণের জন্য যে সকল জৈবিক উপাদান এর প্রয়োজন হয় ওই সকল জৈবক উপাদান গুলো হজমের মাধ্যমে শরীরের শক্তি উৎপাদন করে এ সকল জৈবিক উপাদান গুলোকে খাদ্য বলা হয়। 

২. খাদ্য কাকে বলে কত প্রকার?

= দেহের শক্তি উৎপাদন এবং বিকাশের জন্য যে সকল হজমযোগ্য বস্ত অথবা জৈবিক উপাদান গুলোকে গ্রহণ করা হয় ওই সকল জৈব উপাদান সমূহকে খাদ্য বলে। পুষ্টির উপর ভিত্তি  করে খাদ্য কিছু ভাগে ভাগ করা যায়। 

৩.খাদ্য ও পুষ্টি বলতে কী বোঝায়?

= যে প্রক্রিয়ায় জিবার্য আহার্য বস্তু সমূহ পরিপাকের মাধ্যমে শরীরে শক্তি উৎপাদন করে ওই সকল প্রক্রিয়ার ফলে শক্তি উৎপাদনের ব্যাপারটি গটায়ে যা তাকে সাধারণত পুষ্টি বলা হয়ে থাকে। 

এছাড়া পোস্টটি উৎপাদনে যে সকল বস্তু সমূহ বা জৈবিক উপাদানসমূহ ব্যবহার করা হয় বা আহার করা হয় ওই সকল উপাদান গুলো হলো খাদ্য। 

৪.খাবার বলতে কি বুঝায়?

= মানুষের জৈবিক ক্রিয়াকলাপের জন্য এবং হজমযোগ্য যে সকল দ্রব্য রয়েছে যা গ্রহণের মাধ্যমে এবং হজমের মাধ্যমে শক্তি এবং পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে পারে ওই সকল দ্রব্যাদিকে খাবার বোঝায়।

৫. শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট কি?

= কার্বন হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ হলো কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। 

৬.বেশিরভাগ মানুষ নির্দিষ্ট খাবার পছন্দ করে এমন এক নম্বর কারণ কি

= বেশিরভাগ মানুষ বিশেষ কিছু নির্দিষ্ট খাবার পছন্দ করি এর এক নম্বর কারণ হলো মানুষের স্বাদপ্রিয়তা।ছাদের উপর ভিত্তি করে মানুষ খাবার নির্বাচন করে এবং নির্দিষ্ট খাবার পছন্দ করে থাকেন। অর্থাৎ মানুষের খাবার পছন্দ তার মুখের স্বাদ এর উপর নির্ভর করে। 

৭.খাদ্যের গুরুত্ব ও কি?

= বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অপরিসীম। মানুষের শরীরে পুষ্টি যোগায় এবং মানুষকে দৃঢ়তা ও কর্মকম ও শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থাৎ মানুষের স্বাস্থ্যের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস হিসেবে খাদ্যের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য। 

৮. ডিম কোন গ্রুপের খাদ্য?

= খাদ্য তালিকার একটি অন্যতম শাখা বা প্রধান অংশ হল প্রোটিন জাতীয় খাদ্য। আর ডিম হল প্রোটিন জাতীয় খাদ্য তালিকার একটি অংশ। অর্থাৎ ডিম হলো প্রোটিন গ্রুপের একটি খাদ্য। 

৯.খাদ্য শক্তির চারটি মৌলিক উৎস কি কি?

=প্রোটিন, আমিষ,ভিটামিন, খনিজ লবণ। 

১০.খাদ্যের তিন প্রকার কি কি?

=শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট,,,

আমিষ বা প্রোটিন,,,

 স্নেহপদার্থ বা ফ্যাট বা লিপিড।

১১. প্রাথমিক ৪ এর পুষ্টি কি?

= প্রোটিন,,

 কার্বোহাইড্রেট,,

ভিটামিন,,

 খনিজ পদার্থ।

১২. স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন কেন প্রয়োজন class 12

=দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভিটামিন প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি দ্বারা জাতকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ভিটামিন একটি অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে। 

দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা রোগে আক্রান্ত হয়েছে এরকম লোক সমাধান করার ক্ষেত্রে ভিটামিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও চোখের দৃষ্টির জন্য ভিটামিন এ এর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্য। 

১৩. বিপাক নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখতে কোন পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন?

= বিপাক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পোস্টটি উপাদানের পাশাপাশি একটি অন্যতম পোস্টের উপাদান হিসেবে ম্যাগনেসিয়াম পরিচিত। 

এছাড়াও –

 বিশেষত ফ্যাট,, 

প্রোটিনের সাথে। 

যা 

হরমোন, 

ইমিউন, 

কার্ডিওভাসকুলার,,

 নিউরোমাসকুলার,,

এবং অন্যান্য কাজ যদি নিয়ন্ত্রণ করে এবং দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকর এর কার্যকারিতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button