সমাজসাধারণ জ্ঞান

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি? এর অবস্থান কোথায়?

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি: বর্তমান সময়ে বিপুল আকারে ব্যবহৃত হয়েছে গ্যাস ক্ষেত্র সমূহ। এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র সমূহ। 

অর্থাৎ বর্তমানে যে সকল গ্যাস ক্ষেত্রসমূহ রয়েছে তার মধ্যে কোনটি বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র অথবা বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন। 

তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বাংলাদেশের প্রথম  গ্যাসক্ষেত্র কোনটি কোথায় অবস্থিত এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাচ্ছি। 

বাংলাদেশ ক্রমধারায় উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে বিপুল পরিমাণে গ্যাস ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র তৈরিও হচ্ছে। 

তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ যে গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে তাহলে তিতাস গ্যাসক্ষেত্র। এছাড়াও বাংলাদেশের যে সকল গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয়েছে সেই সকল প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের সংখ্যা হলো মোট ২৯ টি। 

এই ২৯ টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে প্রথম যে গ্যাস ক্ষেত্রটি তৈরি করা হয়েছে সেটি হচ্ছে সিলেটের হরিপুরে অবস্থিত গ্যাসক্ষেত্রটি। 

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি

সময়ের ধারাবাহিকতার কারণে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনেকগুলো গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। তাছাড়া পাশাপাশি গ্যাস চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে ক্রমান্বয়ে এবং তার বিপুল আকারে ব্যবহার হয়ে আসছে। 

তবে বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র সকলের কাছে পরিচিত এবং এটি হলো সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র। 

তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রটির সর্বপ্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তান সেক অয়েল কোম্পানি কর্তৃক ১৯৬২ সালে আবিষ্কার করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে ১৯৬২ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিতাস গ্যাসক্ষেত্র  সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে। অর্থাৎ একটি অন্যতম ও বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশের তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রটির বিপুল আকারে পরিচিত। বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্রটি। 

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্রের অবস্থান কোথায়

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাস হিসেবে পরিচিত হলো তিতাস গ্যাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত। তিতাস গ্যাস অথবা বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য বর্তমান সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ডিসু পরিচিত এবং বিখ্যাত। 

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহারকৃত গ্যাস কে অন্যতম গ্যাস বা বৃহত্তম গ্যাস হয় তার মধ্যে তিতাস হলো অন্যতম বা বৃহত্তম গ্যাস। 

এছাড়াও পাশাপাশি এই গ্যাসটির কারণে বাংলাদেশের উন্নতি সাধন করতে সম্ভব হচ্ছে। সাধারণভাবে তিতাস গ্যাসের প্রায় ৮.১৩ গনো ফুট গভীর হয়ে থাকে এবং সেখান থেকে গ্যাস উৎপন্ন হয় উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছি এভাবেই গ্যাস উৎপাদন করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস কেন্দ্র  থেকে। 

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান হল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। 

তিতাস গ্যাসক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত

তিতাদ গ্যাস কেন্দ্র হল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র। উক্ত গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত। 

তাছাড়া উক্ত স্থান হতে অর্থাৎ গ্যাসক্ষেত্র হতে প্রতিদিন ৩০০ মিলিয়ন ঘন ফুট  গ্যাস  উৎপন্ন করা হয়। এছাড়াও তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রটির অন্যতম গ্যাস বেল্টস কোম্পানি লিমিটেড করতে এভাবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। 

তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই অঞ্চলের গ্যাসক্ষেত্র এলাকার বোকাটা মুখ প্রায় অনেকটা গম্বুজ আকারের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উক্ত আয়তন হলো প্রায় ৬৪ বর্গ কিলোমিটার। তিতাস গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত। 

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি এর অবস্থান কোথায়
বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি এর অবস্থান কোথায়

বাংলাদেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র কয়টি

বাংলাদেশের যে সকল গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে মোট গ্যাসক্ষেত্রের পরিমাণ হল ২৯ টি। এবং এই ২৯ টি গ্যাস ক্ষেত্র বর্তমান সময়ে চলমান রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে। 

মোট ২৯ টি চলমান প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে প্রথম যেই গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়েছে সিলেটের হরিপুরে, এবং তা 1955 সালে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল। তাছাড়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে যে গ্যাসক্ষেত্রটি পরিচিত তার নাম হলো তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র। 

বাংলাদেশের মোট গ্যাস ক্ষেত্রের সংখ্যা হল ২৯ টি যা বর্তমান সময়ে প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র হিসেবে চলমান রয়েছে। 

বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি

বাংলাদেশে যে সকল গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে ১৯৫৫ সালে সর্বপ্রথম একটি গ্যাস ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে গ্যাসক্ষেত্রের বিপুল ব্যবহার এবং চাহিদার উপর লক্ষ্য করে ক্রমান্বয়ে গ্যাসক্ষেত্র এর পরিমাণ বাড়ছে এবং জলজাতভাবে উন্নয়ন তুরান্বিত হচ্ছে। 

তবে এ সকল গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে সর্বপ্রথম যে গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করা হয়েছে সেটি অবস্থিত  রয়েছে সিলেটের হরিপুরে।

সিলেটের হরিপুরে যেই গ্যাস ক্ষেত্রটি রয়েছে সেটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করা হয়েছে এবং তার আবিষ্কারের সময়কাল হল ১৯৫৫ সালে। 

পরবর্তীতে ওই সময়ের পর থেকে এই গ্যাস ক্ষেত্রটির আকারে ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়াও চাতকসহ এবং তিতাসহ আর বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ক্ষেত্র বর্তমান সময়ে বিপুল আকারে ব্যবহারে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রথম গ্যাস ক্ষেত্রটি হচ্ছে সিলেটের হরিপুরের অবস্থিত গ্যাস ক্ষেত্রটি। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বাংলাদেশের গ্যাস ক্ষেত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের কোন গ্যাসক্ষেত্র এটি বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র এবং সর্বপ্রথম কোন গ্যাসক্ষেত্রটি তৈরি করা হয়েছে

এবং বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত এছাড়াও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মোট গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা কতটি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা উক্ত পুত্রের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আপনি যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্যাস ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে চান এবং আমাদের পোস্টের মাধ্যমে তা জানতে পারেন অর্থাৎ উপকৃত হতে পারেন তাহলে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। 

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস

আমাদের পোস্ট রিলেটেড  আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে তুলে ধরা হলো 

১. আয়তনে দেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?

= আয়তনে দেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রটি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা নবীগঞ্জ উপজেলার  অবস্থিত। 

২. বাংলাদেশের 29 তম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি?

= বাংলাদেশের ২৯ তম গ্যাস ক্ষেত্রটি হলো ভোলা উত্তর-১ গ্যাসক্ষেত্র।

৩. নতুন গ্যাসক্ষেত্র কোনটি?

= নতুন গ্যাস ক্ষেত্রটি হল ভোলা জেলার উত্তর -১ গ্যাসক্ষেত্র। 

৪. হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?

= হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button