শিক্ষাবিজ্ঞান

উদ্ভিদের দেহে কত ভাগ পানি

উদ্ভিদের দেহে কত ভাগ পানি: সাধারণত, একটি উদ্ভিদের দেহের প্রায় 70% থেকে 90% পর্যন্ত পানি থাকে। পানিটি বিভিন্ন অংশে উপস্থিত থাকতে পারে, যেমন পাতা, গাছের শাখা, গোঁফ, ফল এবং শরীরের সংকীর্ণ অংশগুলি।

উদ্ভিদের দেহে কত ভাগ পানি

উদ্ভিদের দেহে বিভিন্ন অংশে পানির মাত্রা ভিন্ন হতে পারে, কারণ এটা উদ্ভিদের প্রকৃতি, জাত, বয়স, সম্পূর্ণ পরিবেশ এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে।

সাধারণত, একটি উদ্ভিদের দেহের প্রায় 70% থেকে 90% পর্যন্ত পানি থাকে। পানিটি বিভিন্ন অংশে উপস্থিত থাকতে পারে, যেমন পাতা, গাছের শাখা, গোঁফ, ফল এবং শরীরের সংকীর্ণ অংশগুলি।

মাটির উদ্ভিদগুলি সাধারণত অধিক পানি ধরে রাখে, কারণ মাটিতে পানির সরবরাহ বেশ ভালো থাকে। সামান্য উদ্ভিদগুলি বা সূক্ষ্ম উদ্ভিদগুলি একটি স্থলে বা অন্যত্র থাকতে পারে যেখানে পানি অল্প থাকতে পারে। সমুদ্রের উদ্ভিদগুলি সাধারণত অধিক পানি ধরে রাখে, কারণ সমুদ্র বা খারাপ পানি উদ্ভিদের জন্য প্রাকৃতিক সম্ভাবনা সৃষ্টি করে তার মাধ্যমে একটি উচ্চ পানিস্তর প্রদান করে।

উদ্ভিদের দেহে পানির উপস্থান নিশ্চিত করার জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো পরিবেশে উপস্থিত জাল ক্ষোভণক্ষম হলো দৃঢ়ত্ব বা পানির অধিকাংশ ধরতে ক্ষমতা থাকা। এক্ষেত্রে, পানির পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, ক্ষারপাতি উদ্ভিদের দেহে পানি হারানোর হার অনেক বেশি হতে পারে, কারণ এদের পাতায় অনেক চারবিশ ছোট চোখপুলী থাকে যা পানির ক্ষতিকারক প্রবেশকে সীমাবদ্ধ করে। সম্পূর্ণ অপুষ্পবৃন্তের ক্ষেত্রেও পানির পরিমাণ অধিক হতে পারে কারণ ফুলের পালক ও পুষ্পকেন্দ্র একই জলপূর্ণ বা হাইড্রোফিলিক চট্র হিসাবে কাজ করে।

উপরোক্ত মতে, পানির উপস্থানের মাত্রা উদ্ভিদের প্রকৃতি, জাত, বয়স এবং পরিবেশের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে। 

মানব দেহে পানির পরিমাণ কত লিটার।মানব দেহে কত ভাগ পানি থাকে 

মানব দেহে পানির পরিমাণ বেশ ভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, সাধারণত বলা হয় যে একজন পুরুষ ব্যক্তির দেহে প্রায় ৬০% পর্যন্ত পানি থাকে এবং একজন মহিলা ব্যক্তির দেহে প্রায় ৫০% পর্যন্ত পানি থাকে।

একজন সাধারণ পুরুষের সর্বাধিক প্রায় ৬০-৭০ কিলোগ্রাম ও মহিলার সর্বাধিক প্রায় ৫০-৬০ কিলোগ্রাম ওজন থাকতে পারে। অতিরিক্ত পানি দ্বারা ওজন বৃদ্ধি হলেও, সাধারণত এই সীমা মানের ভেতরে পানি থাকে।

তাই একজন সাধারণ পুরুষের দেহে প্রায় ৪০-৪৫ লিটার পানি থাকে এবং একজন সাধারণ মহিলার দেহে প্রায় ৩০-৩৫ লিটার পানি থাকে।

এই মানগুলো আপেক্ষিক হতে পারে এবং ব্যক্তির উম্মুক্ত অবস্থা, আক্রমণের ধরণ, শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনা করে পরিবর্তিত হতে পারে।

পানি মানুষের শরীরে মূলত তিনটি রূপে থাকে: প্রকাশ্য (যা চোখ, মুখ, অন্তর্গত অংশে থাকে), প্রতিস্থানিক (ক্ষেত্রে হৃদয়, পেট, হাড় ইত্যাদি), এবং অস্থায়ী (ক্ষেত্রে কল্পনা করা হৃদয়, স্থানীয় শরীরের অংশ ইত্যাদি)। প্রতিস্থানিক ও অস্থায়ী পানি মেশানো হয় রক্তের মাধ্যমে।

প্রতিদিন মানুষ বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে পানি হারাচ্ছে এবং পানি পান করছে। উপসর্গ, শ্বাসক্রিয়া, পক্ষাঘাত, প্রজনন ইত্যাদি ক্রিয়াকলাপে পানির প্রয়োজন হয়।

শ্বাসক্রিয়া দ্বারা প্রতিমিনিটে প্রায় ২-৪ মিলিলিটার পানি হারায়। একজন স্বাস্থ্যবান মানুষ প্রতিদিন প্রায় ২০০-৩০০ মিলিলিটার পানি হারায়।

আরো পড়ুন: উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য

উদ্ভিদের দেহে কত ভাগ পানি

রক্তে কত ভাগ পানি থাকে 

মানুষের শরীরে রক্তে পানি একটি অত্যন্ত মৌলিক উপাদান। রক্তে পানির পরিমাণ মানুষের বয়স, লিঙ্গ, ওজন এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।

সাধারণত, মানুষের শরীরে প্রতি কিলোগ্রাম ওজনে প্রায় ৬০-৭০ মিলিলিটার পরিমাণ রক্ত পানি থাকে। তাই একজন সাধারণ মানুষের পূর্ণ শরীরে প্রায় ৪-৫ লিটার রক্ত থাকে এবং তার মধ্যে প্রায় ২৮০-৩৫০ মিলিলিটার পানি থাকে।

বিশেষ শরীর অবস্থার ক্ষেত্রে এই পরিমাণ পরিবর্তন করতে পারে। মানুষের রক্তে পানির পরিমাণটি ভার্যমাণ রেখা নয় এবং প্রতিটি ব্যক্তির জন্য এটি বিভিন্ন হতে পারে।

1.রক্তে পানি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তরল যা সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলির জন্য শরীরে রক্তের পরিমাণ প্রয়োজন। কিছু পরিস্থিতিতে রক্তে পানির পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে, যেমন:

2.জলাতঙ্কের জন্য রক্তের পরিমাণ বাড়তে পারে। জ্বর, সর্দি, দীর্ঘমেয়াদী বা অত্যধিক প্রস্রাব ইত্যাদি শরীরের জলাতঙ্কের ফলে রক্তের পরিমাণ বা পানিসহ তরল পদার্থ কমতে পারে। এই সমস্যাগুলির সাথে সাথে রক্তে পানি পূরণ করতে হয়।

3.শরীরে তাপমাত্রা বা তাপগতির পরিবর্তনের জন্য রক্তের পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে। শরীরে গরম থাকলে রক্তে পানির পরিমাণ কমতে পারে এবং ঠান্ডা থাকলে রক্তে পানির পরিমাণ বাড়তে পারে। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার একটি পদ্ধতি।

আরো পড়ুন: আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে

আমাদের দেহকোষের প্রায় শতকরা কত অংশ পানি 

মানব দেহের প্রায় 60-70% অংশ পানি হয়। এটি অনুমানিত পরিমাণ এবং ব্যক্তিগত শরীরের অবস্থান এবং বয়সের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন করতে পারে। শিশুদের দেহে পানির পরিমাণ বেশি হয় যেখানে প্রায় 75-78% হতে পারে, যেখানেই বয়সে পরিবর্তন হয় সেটি স্বাভাবিক হয়ে যায় প্রায় 60-70% হতে পারে।

মানুষের দেহে থাকা পানি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজ করে, যেমন শরীরের সারসংক্রান্ত কাজ, পুষ্টি সরবরাহ, পাচন পদার্থগুলি পরিবহন ইত্যাদি। পানি দেহের প্রয়োজনীয়তা সঠিকভাবে পূরণ করে এবং সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পানি মানব দেহে একটি প্রাথমিক উপাদান হিসাবে প্রয়োজনীয়। পানি দেহের বিভিন্ন অংশে রয়েছে এবং এর মধ্যে কাছাকাছি বিভিন্ন পরিমান পানি থাকে।

1.ক্রোমোসোম: মানব দেহে অসংখ্য ক্রোমোসোম রয়েছে যা সমানুপাতিক গঠনে আছে এবং অন্য গঠনে রয়েছে। ক্রোমোসোমের গঠনে পানির উপস্থিতি জরুরি। এছাড়াও, ক্রোমোসোম যখন তার বিভিন্ন কাজকে পালন করতে পারে, যেমন জেনেটিক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে উপাদান সামগ্রী নির্মাণ এবং সেগুলি পরিবহন করতে হয়, সেই সময় পানি প্রয়োজন হয়।

2.প্রোটিন: মানব দেহে প্রোটিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রোটিনের গঠনে পানির অংশ থাকে এবং সঠিক পানির উপস্থিতি ছাড়াও প্রোটিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

আরো পড়ুন: ভেষজ উদ্ভিদ কাকে বলে 

মানব দেহে প্রতিদিন কতটুকু পানির প্রয়োজন 

মানব দেহে প্রতিদিন পানির প্রয়োজন বিভিন্ন পরিবেশ এবং শারীরিক শর্তাদির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন – WHO) মান বজায় রাখা হয় যে, একজন প্রায়শই স্বাস্থ্যকর পুরুষ ও মহিলা প্রতিদিন প্রয়োজন হয় প্রায় ২ লিটার পানি। এটা মূলত একটি আদর্শ মান এবং ব্যক্তিগত পানির প্রয়োজনগুলি ভিন্নভাবে পরিবর্তন হতে পারে।

একটি ব্যক্তির পানির প্রয়োজন পরিবেশ, কার্যক্রমের শিথিলতা, উষ্ণতা, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, শারীরিক ক্ষমতা, স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থান ইত্যাদি অনেক উপাদানের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন করে। শারীরিক পরিস্থিতি, যেমন উষ্ণতা, সামান্যতম পানির প্রয়োজন বৃদ্ধি পায়। 

পানির প্রয়োজন সামান্যতম পরিমাণ নির্ধারণে প্রাকৃতিক উষ্ণতা, শারীরিক কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে পানির প্রয়োজন হতে পারে নিম্নলিখিত কারণগুলোর জন্য:

1.উষ্ণতা এবং আর্দ্রতা: উষ্ণতা বা আর্দ্রতা বেশি হলে শরীর প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। উষ্ণতায় শরীর স্বাধীনভাবে তাপগুলি হারায় এবং শরীরের আর্দ্রতা বাড়ায়।

2.কার্যক্রমের শিথিলতা: শারীরিক কার্যক্রম যেমন শারীরিক শ্রম, ব্যায়াম, সাধারণ চলাচল ইত্যাদি পানির প্রয়োজনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই কার্যক্রমগুলি শরীরের শুষ্কতা ও পানিসংক্রান্ত প্রয়োজন বৃদ্ধি করে।

3.উষ্ণতার প্রভাব: গরম আবহাওয়া, জ্বর, তাপমাত্রার বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে শরীর অতিরিক্ত পানি প্রয়োজন হতে পারে। উষ্ণতা বাড়ালে শরীরের তাপগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরও পানির প্রয়োজন হয়।

4.ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যক্রম: ব্যায়াম, কঠোর শ্রমশীল কার্যক্রম বা দুর্বলতা মিলিত কাজ করলে পানির প্রয়োজন বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের কার্যক্রমগুলির ফলে শরীর তাপগুলি হারায় এবং শরীরের সামান্যভাবে আর্দ্রতা কমে যায়।

5.শারীরিক অবস্থা: কিছু অসুস্থতা বা শারীরিক অবস্থার জন্য পানির প্রয়োজন বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, ক্ষুধামন্দা, ব্যাধি, পদাঘাত, অতিস্রাব ইত্যাদি কারণে শরীরের অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যাই।

আরো পড়ুন: অভিযোজন কি? অভিযোজন কাকে বলে

হাড়ে শতকরা কত ভাগ পানি থাকে

হাড়ে শতকরা পানিতে প্রায় 70-75% পানি থাকে। হাড়ের মধ্যে পানি একটি অস্থায়ী সংরক্ষণাগার হিসাবে কাজ করে, যা সেলসিয়াসে আরও 2-4 ডিগ্রি বাড়তি তাপমাত্রায় গুলিয়ে ফেলে। এছাড়াও হাড়ে পানি অপরিবর্তিত থাকলেও, নিয়মিত দৌড় বা গতিবিধি চালাতে পানি হাড়ে থেকে হারায় যেতে পারে।

হাড়ে পানির পরিমাণ বিভিন্ন অংশে ভিন্ন হতে পারে। একটি সাধারণ প্রমাণসহ কিছু উদাহরণ দেওয়া হলে আপনি বুঝতে পারবেন হাড়ে পানির প্রকারভেদ এবং তার প্রমাণগুলো সম্ভবত কত হতে পারে।

1.শুকনো হাড়ের পরিমাণ: শুকনো হাড়ে পানির পরিমাণ প্রায় 20-25% হতে পারে। শুকনো হাড় হলেও, হাড়ে পানির অবদানটি আরও বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

2.মজানো হাড়ের পরিমাণ: মজানো হাড়ে পানির পরিমাণ প্রায় 50-60% হতে পারে। মজানো হাড় হলে আপনি পানির সহিষ্ণুতা বা অনুপাত প্রয়োগ করতে পারেন।

এটি শুধুমাত্র একটি সাধারণ উদাহরণ, এই পরিমাণগুলো পরিবর্তন হতে পারে সময়ের প্রবাহে এবং এটি ব্যবহারকারীর আহ্বানের উপর নির্ভর করে।

পৃথিবী পৃষ্ঠের কত ভাগ পানি

পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি ৭১ ভাগ পানি আছে। এই পানির একটি অংশ মহাসাগরের মতো বৃহত জলসাগরে রয়েছে, যা পৃথিবীর ৭০.৮৪% জমির উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

অতিরিক্ত পানি সব তালিকাভুক্ত অঞ্চলের সমুদ্র, নদী, হিমান্ত গলাচ্ছ ও বিভিন্ন জলাশয়ের রূপে পাওয়া যায়। মাত্র ২.১৬% পানি আছে যা ক্ষণিকভাবে গ্যাস বা জমিতে থাকে সমুদ্র ও জলাশয়ের মধ্যে অবস্থান করে।

এছাড়াও, পৃথিবীর পৃষ্ঠে অধিকাংশ জল মধ্যমায় বিদ্যমান থাকে। এটি বিভিন্ন রূপে থাকতে পারে, যেমন নদী, হিমান্ত গলাচ্ছ, হিমান্ত বরফ,

জলাভূমি, ঝিনুক ও বিভিন্ন জলাশয়। এছাড়াও, ভাপের রূপে বা আকাশে উড়ে চলতে পারে পানি। পৃথিবীর পৃষ্ঠের মধ্যে পানি অত্যন্ত বিভিন্ন ধাতু ও খনিজ রয়েছে যা জমি বা পানির সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে থাকতে পারে।

প্রস্তুত উপাদান দ্বারা দেখা যায় যে পৃথিবীর পৃষ্ঠের বেশি অংশ পানিতে আবদ্ধ রয়েছে, যা মহাসাগর, নদী এবং জলাশয়ের রূপে থাকে।

প্রকৃতি বিজ্ঞানে এই পরিমাণ পানির সম্পর্কে সঠিক উপায়ে জানা বহুল কঠিন, কারণ মহাসাগর ও নদী নির্দিষ্ট সীমানায় থাকে না এবং পৃথিবীতে প্রচুর জল চলে আসে ও চলে যায় প্রতিষ্ঠানের সাথে।

আরো পড়ুন: পদার্থ কি? পদার্থ কাকে বলে? 

উদ্ভিদের পুষ্টি শোষণের জন্য কোনটি প্রয়োজন

উদ্ভিদের পুষ্টি শোষণের জন্য নিম্নলিখিত উপাদানগুলির প্রয়োজন রয়েছে:

1.মাটির পুষ্টি: উদ্ভিদের জন্য উপযুক্ত পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য মাটি পরীক্ষা করতে হয়। মাটিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি যেমন নাইট্রোজেন, ফসফরাস, কালসিয়াম, পটাশ ইত্যাদি উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। পুষ্টি মানে একটি সম্পূর্ণ পুষ্টি পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য এই উপাদানগুলির সঠিক পরিমাণ এবং অনুপাত সরবরাহ করতে হয়।

2.জলের পুষ্টি: পানিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি যেমন জৈব পদার্থ, মিনারেল পদার্থ ইত্যাদি উপস্থিত থাকতে হয়। উদ্ভিদের পানি শোষণ পূর্ণ করতে জল অবশ্যই পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে হয়।

3.আলো: উদ্ভিদের পরিক্রমায় আলো প্রয়োজন হয়। আলোর সাহায্যে অনেক উদ্ভিদ তাদের খাদ্য তৈরি করে।

4.কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2): উদ্ভিদগুলি ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড অথবা CO2 অন্তর্ভুক্ত করে শক্তি উত্পাদন করে। CO2 একটি মূল কারক যা উদ্ভিদের অক্সিজেন প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয়।

5.মিনারেল পদার্থ: উদ্ভিদের প্রায়শই প্রয়োজনীয় মিনারেল পদার্থগুলি যেমন নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ ইত্যাদি। এই পদার্থগুলি সাধারণত মাটিতে পাওয়া যায় না এবং উদ্ভিদের পুষ্টি শোষণের জন্য এগুলির সঠিক পরিমাণ সরবরাহ করতে হয়।

6.উপাদানিক সামগ্রী: উদ্ভিদের পুষ্টি শোষণের জন্য উপাদানিক সামগ্রী যেমন জৈব পদার্থ, পরিশোধিত জৈব কার্বন, মাটির পানি রাখার জন্য কম্পোস্ট, মাটির উর্বরতা ইত্যাদি।

7.জৈব সামগ্রী: উদ্ভিদের পুষ্টি শোষণের জন্য জৈব সামগ্রীর প্রয়োজন রয়েছে। জৈব সামগ্রী উদ্ভিদের গিলে বা রেজার্জ করে সাম্প্রতিক অক্সিজেন প্রস্রাব করে এবং উদ্ভিদের সাধারণ স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। জৈব সামগ্রী যেমন কোম্পোস্ট, নাইট্রোজেন-প্রাপ্ত উদ্ভিদের জৈব সার, খাদ্য পানি ইত্যাদি সরবরাহ করতে হয়।

8.পানি: পানি উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভিদের পুষ্টি ও প্রসারণের জন্য পানি প্রয়োজন হয়। উদ্ভিদের শাখার মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে সেই পানিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান অবশ্যই থাকতে হয়। সাধারণত সঠিক জলের পানির মান এবং পুষ্টি উপাদানগুলি প্রদান করতে হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button