ফরজ অর্থ কি? ফরজ কাকে বলে? ফরজ কত প্রকার ও কি কি?
প্রতিটি মুসলমানের উপর আল্লাহতালা কিছু কাজ ফরজ করেছেন। ওই ফরজ গুলো প্রত্যেকের উপর কর্তব্য এবং দায়িত্বশীল ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
তাই প্রতিটি মুসলমানকে ইবাদত করার ক্ষেত্রে কোনগুলো ফরজ ইবাদত ফরজ ইবাদতের অর্থ কি ফরজ এবাদত কাকে বলে ফরজ ইবাদত কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে ফরজ ইবাদত সম্পর্কে জানানো হলো।
মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি মুসলমানের উপর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়কে ফরজ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
এছাড়াও এমন আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক নরনারী অথবা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ হিসেবে ধার্য করেছেন।
তাই প্রতিটি মুসলমানের ফরজ ইবাদতগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে ফরজ ইবাদত অর্থ কি ফরজ কাকে বলে ফরজ সম্পর্কে বিস্তারিত এবং ফরজ কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি জানা প্রয়োজন।
ফরজ অর্থ কি?
ফরজ শব্দটির অর্থ হল বাধ্যতামূলক বা কর্তব্য।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের প্রথম আয়াতের মাধ্যমে ফরজকে উল্লেখ করেছেন।
আল্লাহতালার ইবাদতের মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হল ফরজ ইবাদত।
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যে সকল কাজগুলো করার জন্য সরাসরি ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন এবং যে সকল কাজগুলো না করার বা অবহেলা করার কোনো সুযগ নেই ঐ সকল কাজগুলোকে ফরজ বোঝায়।
ফরজ বলতে সাধারণত ফরজ ইবাদতগুলোকে বোঝানো হয়ে থাকে।
কি ফরজ ইবাদত গুলোর মধ্যে আলো তারা যে ইবাদতগুলো করার জন্য সরাসরি ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন এবং কর্তব্য বলে উল্লেখ করেছেন এবং না করলে তা শাস্তির যোগ্যব্যবস্থা রেখেছেন ওই সকল কাজগুলো হচ্ছে ফরজ।
ফরজ কাকে বলে?
পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহ এর আলোকে ইসলামী পরিভাষায় যে সকল কাজগুলোকে অত্যাবশক হিসেবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঐ সকল কাজগুলোকে ফরজ ইবাদত বা ফরজ বলা হয়।
অর্থাৎ যে সকল কাজ সমূহ মহান আল্লাহ তা’আলা নিজে
- অবশ্য কর্তব্য,
- পালনীয়,
- অপরিহার্য,
- আবশ্যক,
- মূল উপাদান,
অলঙ্ঘনীয় বলে উল্লেখ করেছেন ঐ সকল কাজগুলোকে ফরজ বলা হয়।
যেমন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পালন করা কি আল্লাহতালা ফরজ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ তাআলা যে সকল কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করার জন্য এবং পরিহার না করার সুযোগ দিয়েছেন ঐ সকল কাজগুলোকে ফরজ কাজ বলা হয়।
ফরজ ইবাদত হলো সর্ব উৎকৃষ্ট ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত যা আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক নর-নারীর উপর ফরজ করেছেন।
ফরজ কত প্রকার ও কি কি?
সাধারণভাবে ফরজ পালনের উপর ভিত্তি করে ফরজকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১. ফরজে আইন,,
২. ফরজে কিফায়া,,
১. ফরজে আইন:
আল্লাহতালা যে সকল কাজগুলোকে প্রত্যেক অর্থাৎ সকল সৃষ্টি সৃষ্টি করলেন ওই সকল কাজগুলোকে ফরজে আইন বলা হয়।
প্রতিটি বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের উপর পর যে আইন ইবাদত গুলোকে আল্লাহতালা ফরজ করেছেন।
২. ফরজে কিফায়া:
আবার আল্লাহ তাআলা যে সকল কাজগুলো একজনে করলে বা কিছু সংখ্যক লোকে করলে সকলেই তার সোয়াব পেতে পারি এরকম ব্যবস্থা রেখেছেন ওই সকল কাজগুলোকে অর্থাৎ সমষ্টিগতভাবে ফরজ কাজ হিসেবে যাকে উল্লেখ করেছেন সে কাজগুলোকে ফরজে কিফায়া বলা হয়।
একজন খাঁটি ও সত্য মুমিন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে এটি তার জন্য ফরজ।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক নর-নারী উপর সালাতকে ফরজ করেছেন।
এই ফরজ সালাত টি কখনো আল্লাহতালা প্রতিটি মানুষের উপর কিছু সংখ্যক কাজ ফরজ হিসেবে তুলনা করেছেন আবার এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো একজন বা কিছু সংখ্যক লোকে করলে সকলে তার সওয়াব পেতে পারে।
ফরজ ইবাদতের কোন বিকল্প নেই। ফরজ ইবাদত প্রতিটি মুসলমানকে পালন করতেই হবে।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ফরজ ইবাদত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি।
সম্পর্কে আপনার যে সকল তথ্য জানা ছিল তা যদি আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।