পরিসংখ্যান কি? পরিসংখ্যান কাকে বলে
পরিসংখ্যান কি: বিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া যা আসলেই ঘটকগুলির প্রকৃতি, প্রবণতা এবং সম্পর্ক নির্ধারণ করে।এটি তথ্য বিজ্ঞানের একটি উপশাখা হিসাবে পরিচিত।
পরিসংখ্যান কি।পরিসংখ্যান কাকে বলে
পরিসংখ্যান বলতে বুঝায় সংখ্যাগত তথ্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা,
বিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া যা আসলেই ঘটকগুলির প্রকৃতি, প্রবণতা এবং সম্পর্ক নির্ধারণ করে।এটি তথ্য বিজ্ঞানের একটি উপশাখা হিসাবে পরিচিত।
পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা তথ্যের প্রতিষ্ঠান করতে এবং তাকে বিশ্লেষণ করতে পারি এবং তথ্য দিয়ে নির্দিষ্ট ধারণা, প্রবণতা বা নিয়মিত প্রবণতা পেতে পারি।
পরিসংখ্যান একটি প্রশাসনিক সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয়, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে জনসংখ্যার পরিসংখ্যান প্রয়োগ করা হয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন বায়োলজি, পরিবেশবিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যিক প্রশাসনে পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয়।
পরিসংখ্যান একটি পরিবেশনামূলক বিজ্ঞান যা আসলেই তথ্য বিশ্লেষণ, প্রক্রিয়াবদ্ধ তথ্য প্রবণতা, এবং সম্পর্কাত্মকতা নির্ধারণ করে।
পরিসংখ্যান দ্বারা আমরা বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাই এবং নির্দিষ্ট সংখ্যাগত উপাত্ত বা আবদ্ধতা নির্ধারণ করতে পারি।
এটি সাধারণত মানুষের সঙ্গে সংখ্যাগত সম্পর্কের উপর নির্ভর করে এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যানিক টুল এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য বিশ্লেষণ করে।
পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য
পরিসংখ্যান বিজ্ঞানের পরিচয় বা পরিসংখ্যান বিদ্যা হলো এমন একটি অনুশাসনিক মানসম্পন্নতা যা সম্পূর্ণ ভৌগোলিক বা তাত্ত্বিক
একটি প্রশ্নের জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, ব্যবহার এবং ব্যখ্যা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এটি একটি পরীক্ষাযোগ্য বিজ্ঞান যা নিজের ধারণা, ব্যবহার এবং ফলাফলের জন্য কাঠামো উপস্থাপন করে।
পরিসংখ্যানের কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
১. পরিসংখ্যান একটি সম্পূর্ণ পরীক্ষাযোগ্য বিজ্ঞান যা তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর বিবেচনা করে।
২. পরিসংখ্যান সংখ্যাত্ব, গাণিতিক অপারেশন এবং পরিসংখ্যানের উপস্থাপন সহ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তথ্য সংগ্রহ করে।
৩. পরিসংখ্যান বিদ্যা বিভিন্ন শ্রেণীতে ব্যবহার করা হয়, যেমন ব্যবসা, অর্থনীতি, জনসংখ্যা ইত্যাদি।
৪. পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে বলে ধারণা, আদান-প্রদান এবং বিশ্লেষণে সহায়তা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিসংখ্যানিক কাজ সহজে করা যায়।
৫. পরিসংখ্যান বিদ্যায় পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সময়ের গবেষণা করা হয়।
এটি কোনও পরিস্থিতি বা ঘটনার সময়সূচী নির্ধারণ করতে পারে এবং ভবিষ্যতের প্রবালতা বা ঘটনা পূর্বাভাস করতে সাহায্য করে।
৬. পরিসংখ্যান প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত ফলাফলের জন্য পরীক্ষাযোগ্য।
এটি যত্ন সহকারে তথ্য সংগ্রহ করে, প্রসেস করে এবং ফলাফল প্রদান করে তাতে ফলে আসা ত্রুটির সম্ভাবনা কম হয়।
৭. পরিসংখ্যান বিদ্যায় আপাততামূলক সম্পর্ক অনুশীলন করা হয়।
৮. পরিসংখ্যান বিদ্যা সাধারণত বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এটি সামাজিক বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, মার্কেটিং বিজ্ঞান ইত্যাদি বিভাগে ব্যবহৃত হয়।
৯. পরিসংখ্যান বিদ্যা দ্বারা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সময়সূচী নির্ধারণ, প্রতিবেদন তৈরি করা এবং সময়ের প্রভাব সনাক্ত করা যায়।
১০. পরিসংখ্যান বিদ্যায় ব্যবহৃত সাংখ্যিক পর্যায়ে তথ্য ব্যবস্থাপনা করা যায়,
যা গবেষণা, নিয়োগপত্র, কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যবসা এবং রাজনৈতিক নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
১১. পরিসংখ্যান দ্বারা ভৌগোলিক, সামাজিক এবং আর্থিক মানদণ্ডগুলো সনাক্ত করা যায়। এটি বিভিন্ন পর
পরিসংখ্যান অংক করার নিয়ম
পরিসংখ্যান অংক বা পরিসংখ্যা সাধারণত ইংরেজি বর্ণমালায় লিখা হয়।
তবে, পরিসংখ্যান অংক করার নিয়ম সাধারণত ইংরেজিতেই ব্যবহার করা হয়।
পরিসংখ্যান অংক করার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করা হয়:
পরিসংখ্যান অংক শুরু হয় 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, বা 9 দিয়ে। ইংরেজি বর্ণমালায় বর্ণগুলোও একই হতে হবে (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, অথবা ৯)।
পরিসংখ্যান অংক মূলত দশমিক সংখ্যা হিসাবে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি হতে পারে একটি পূর্ণসংখ্যা বা দশমিকাংশ বা অনিশ্চিত সংখ্যার পরিবর্তে।
পরিসংখ্যান অংক করার সময়, অংকগুলো মাঝখানে দশমিকা (.) ব্যবহার করে ছেটে দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২৩.৪৫ বা ৮.১২।
পরিসংখ্যান অংক ব্যবহার করতে হলে পূর্বের সাধারণ সংখ্যা অংক বুঝতে হবে।
সাধারণ সংখ্যাগুলোর পরিবর্তে পরিসংখ্যা অংক ব্যবহার করে দেখতে হবে।
পরিসংখ্যান অংকের মাঝখানে দশমিকা (.) ব্যবহার করতে হয়। দশমিকা আংশিক সংখ্যাগুলোর পরের অংকগুলো পরিসংখ্যান অংক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
পরিসংখ্যান অংক ব্যবহার করার সময়, অংকগুলো ভিন্ন ভিন্ন দশমিকাংশে বিভক্ত করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ২৩.৪৫ হলে দশমিকাংশ হচ্ছে ৪৫ এবং পূর্ণসংখ্যা হচ্ছে ২৩।
পরিসংখ্যান অংকে কমা ব্যবহার করা যায় না। দশমিকা (.) হলেই যথাযথ অংক ব্যবহার করা যাই।
পরিসংখ্যান এর জনক কে
পরিসংখ্যানের জনক হিসেবে প্রথমবারের কাজী নজরুল ইসলাম এবং ফর্মাল উপনাম হিসেবে চলেছেন “সৈয়দ রেজাউল হক”।
তিনি বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রথম পরিচালক ছিলেন।
বাংলাদেশে তিনি পরিসংখ্যানের ব্যাপক কাজ করেন এবং তাঁর সংগ্রহশালা বই “পরিসংখ্যানের মূল সিদ্ধান্ত” পরিসংখ্যান শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সৈয়দ রেজাউল হক একজন বিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
পরিসংখ্যানের জনক হিসেবে সৈয়দ রেজাউল হক ছাড়াও আরও কিছু ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন যারা পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তাদের মধ্যে কিছু জনপ্রসিদ্ধ ব্যক্তির নাম নিম্নরূপ:
1.আল্বার্ট এইনস্টাইন: আল্বার্ট এইনস্টাইন একজন প্রখ্যাত সৈদ্ধান্তিক ভৌতবিদ ছিলেন এবং পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন।
তিনি সময়, দূরত্ব, গতি, কক্ষপথ ব্যাপিততা ইত্যাদি পরিসংখ্যানিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেছিলেন।
2.রনাল্ড এ. ফিস্টার: রনাল্ড এ. ফিস্টার হিসেবেও পরিচিত একজন পরিসংখ্যানিক ছিলেন।
তিনি ফিস্টার পরিসংখ্যান উপপাদ্য নিয়ে কাজ করেছিলেন এবং পরিসংখ্যানের বিভিন্ন মডেল এবং উদাহরণ তৈরি করেছিলেন।
3.রণনীতি রমজান বোস: রণনীতি রমজান বোস একজন পরিসংখ্যানিক ছিলেন।
4.রনাল্ড ফিশার: রনাল্ড ফিশার ব্রিটিশ একজন পরিসংখ্যানিক ছিলেন এবং সংগঠনগত পরিসংখ্যানের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত।
তিনি পরিসংখ্যানের মধ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেছিলেন, যেগুলো আজও ফিশারের সিদ্ধান্ত বলে চিহ্নিত হয়।
তাঁর ব্যাপারিক উপযোগীতায় অন্তর্নিহিত সংখ্যা (Hidden Markov Model) এবং ফিশারের উপপাদ্য প্রচারিত হয়েছে।
5.আলেক্স পেয়াড্র: আলেক্স পেয়াড্র একজন ব্রিটিশ পরিসংখ্যানিক ছিলেন এবং বায়োইনফরমেটিক্স এবং জেনোমিক্সের জন্য সংখ্যামূলক প্রচারিত হয়েছিলেন।
তিনি প্রজন্মের স্থায়ী সংখ্যামূলক প্রতিনিধিত্ব (Probabilistic Finite State Representation)।
পরিসংখ্যান ব্যুরো
পরিসংখ্যান ব্যুরো (আইনকরণ সংশোধন বিধেয়ক, ২০০০ সনের মাধ্যমিক আইন) হল বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ও তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত সরকারী প্রতিষ্ঠান।
এটি পরিসংখ্যান বিভাগের অধীনে কাজ করে এবং পরিসংখ্যান বিভাগ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত আছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মূল উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশের সঠিক ও আপডেটেড পরিসংখ্যানিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশের জন্য কাজ করা।
এটি সরকারের নীতিমালা তৈরির সাথে প্রযুক্তিগত এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সাথেও সহযোগিতা করে।
এছাড়াও পরিসংখ্যান ব্যুরো বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকল্প অনুষ্ঠান করে এবং সাধারণ জনগণের জন্য পরিসংখ্যানিক তথ্য সরবরাহ করে।
পরিসংখ্যান বিভাগ অনেকগুলি কাজ সম্পাদন করে, যা একটি বিস্তারিত তালিকায় নিম্নলিখিত হতে পারে:
১. জনগণের তথ্য সংগ্রহ: পরিসংখ্যান বিভাগ জনগণের ব্যক্তিগত, আর্থিক, সামাজিক, শিক্ষাগত এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে।
এই তথ্য প্রকাশ করে এবং সরকারের নীতিমালা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়।
২. জনগণের সংখ্যাগত বিশ্লেষণ: পরিসংখ্যান বিভাগ বিভিন্ন পরিসংখ্যানিক বিশ্লেষণ করে যা জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে।
উদাহরণস্বরূপ, জনসংখ্যা, মানব বিকাশ, শিক্ষাগত স্থিতি, আর্থিক সামরিকতা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়।
৩. পরিসংখ্যানিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পরিসংখ্যান বিভাগ বাংলাদেশের পরিসংখ্যানিক তথ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এটি মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিক ও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
৪. জনগণের সংখ্যাগত তথ্য প্রকাশনা: পরিসংখ্যান বিভাগ বাংলাদেশের সংখ্যাগত তথ্য সংগ্রহ করে এবং এটি প্রকাশ করে যাতে সরকার, গবেষক এবং সাধারণ জনগণ এই তথ্য ব্যবহার করতে পারে।
এটি পরিসংখ্যানিক তথ্যের বিভিন্ন রিপোর্ট, বিজ্ঞাপন এবং বাংলাদেশের জনগণের সংখ্যাগত বিবরণী প্রকাশ করে।
৫. গবেষণা ও প্রকল্প: পরিসংখ্যান বিভাগ বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প অনুষ্ঠান করে যাতে বাংলাদেশের সংখ্যাগত ও আর্থিক প্রগতি পর্যালোচনা করা যায়।
এটি গবেষণা প্রকল্পে অংশ নেয়, তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
৬. তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্লেষণ কার্যক্রম: পরিসংখ্যান বিভাগ তথ্য প্রযুক্তি এবং বিশ্লেষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ করে।
পরিসংখ্যান মধ্যক নির্ণয়
পরিসংখ্যান একটি গবেষণা পদ্ধতি যা তথ্য সংগ্রহ করে, সংগঠন করে, প্রকাশ করে এবং তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করে।
পরিসংখ্যানের মাধ্যমে আমরা পর্যটন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্যিক ব্যবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করি এবং পর্যবেক্ষণ করি।
পরিসংখ্যান ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে পারি, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশ দেখতে পারি এবং দেশগুলির তথ্য প্রকাশ দেখতে পারি।
পরিসংখ্যানে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেমন ম্যাথস্ট্যাটিক্স (যাদের মধ্যে বিভিন্ন ডেটা পরিস্থিতির গণনা,
মান মূল্যায়ন এবং প্রতিস্থাপনের গণনা পর্যবেক্ষণ থাকে), সামাজিক বিজ্ঞান (যেমন বিভিন্ন সামাজিক ব্যবহার অনুসন্ধান, মতামত পর্যালোচনা করা)।
পরিসংখ্যান মাধ্যমে আরও কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
1.আর্থিক পরিসংখ্যান: এটি অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত তথ্য পরিসংখ্যানের উদাহরণ।
এটি অর্থনৈতিক সূচকগুলি বিশ্লেষণ করে, যেমন ব্যক্তিগত আয়, জনসংখ্যা, বিনিয়োগের প্রবণতা ইত্যাদি।
2.স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান: এটি স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের উদাহরণ।
এটি জনসংখ্যার বয়স, জীবনযাপন প্রতিষ্ঠানের তথ্য, রোগ এবং মৃত্যু হার, প্রজনন স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করে।
3.শিক্ষা পরিসংখ্যান: এটি শিক্ষাগত তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের উদাহরণ।
এটি বিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য, শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হার।
4.পর্যটন পরিসংখ্যান: এটি পর্যটন এবং ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের উদাহরণ। এটি পর্যটক আবদ্ধতা,
ভ্রমণকারীদের উচ্চতর গন্তব্য, হোটেল বুকিং ও পর্যটন সেবা প্রদানের পরিস্থিতি, পর্যটন উদ্যোগ এবং অনুমানিত আয় বিশ্লেষণ করে।
5.পরিবেশ পরিসংখ্যান: এটি পরিবেশ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের উদাহরণ। এটি জনসংখ্যার জন্য পরিবেশের প্রতিষ্ঠান,
জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য, মানব কার্যক্রম এবং পরিবেশ সংরক্ষণ প্রদানের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে।
6.বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান: এটি ব্যবসায় এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের উদাহরণ।এটি বাজার পরিস্থিতি, উৎপাদন এর সঠিক গণনা করা।
পরিসংখ্যান সূত্র
পরিসংখ্যান সূত্র বা সাধারণতঃ স্ট্যাটিস্টিক্যাল ফরমুলা (Statistical formula) হল এমন একটি সূত্র বা মানগুলো যা ব্যবহার করে পরিসংখ্যান
বা পরিসংখ্যানিক তথ্য বিশ্লেষণে বিভিন্ন গণিতিক পরিচিতি বা পরিকল্পনা ব্যবহার করা হয়।
এগুলো সাধারণতঃ সাধারন বৈজ্ঞানিক মানগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে থাকে যা সাহায্য করে আমরা পরিসংখ্যানিক ডেটা সম্পর্কে সুসংক্ষেপে ধারণা পাই এবং তা বিশ্লেষণ করতে পারি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান সূত্রের উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
গড় সংখ্যা (Mean):
গড় সংখ্যা হল একটি সংখ্যার সমষ্টির মানের সমষ্টি দিয়ে ভাগ করা যা ডেটা সেটের সর্বাধিক ব্যবহৃত মান হলো।
গড় সংখ্যা বের করতে পারলে প্রথমে সমস্ত মান যোগ করে তারপর সেই যোগফলকে মান সবগুলো সংখ্যা দিয়ে ভাগ করতে হবে।
মধ্যমা (Median):
মধ্যমা হল একটি ডেটা সেটের মানগুলো সাজানো হলে যে মান মাঝের মানটি হয়।
মধ্যমা বের করতে হলে প্রথমে ডেটা সেটটিকে সাজিয়ে বড় থেকে ছোট ক্রমে বাছাই করে মাঝখানের মানটি নির্বাচন করতে হবে।
মানদণ্ড (Variance):
মানদণ্ড হল একটি পরিসংখ্যানিক ডেটা সেটের ভিন্নতা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়।
মানদণ্ড হল মানগুলোর মাধ্যমিক পার্থক্যের বর্গের সমষ্টি বা সর্বাধিক মানের সমান্তরালকে বলা হয়। মানদণ্ড নির্ণয়ের সূত্রটি হল:
Var(X) = Σ((X – μ)^2) / n
এখানে, Var(X) হল মানদণ্ড, X হল ডেটা সেট, μ হল ডেটা সেটের গড় মান, Σ হল যোগফল চিহ্নিত করছে এবং n হল ডেটা সেটের সর্বাধিক ব্যবহৃত মানের সংখ্যা।
সম্পর্কপরম বা করেলেশন কোইফিসিয়েন্ট (Correlation Coefficient):
সম্পর্কপরম হল দুটি পরিসংখ্যানিক পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সম্পর্কপরম মানের মানের মধ্যবর্তী মানটি হয় এবং সেটি একটি -1 থেকে +1 এর মধ্যে মান নিতে পারে। সম্পর্কপরমের মান যদি +1 হয়,
তবে দুটি পরিমাণ পূর্ণভাবে ধর্মগতভাবে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হয়। আরও, যদি সম্পর্কপরমের মান -1 হয়, তবে দুটি পরিমাণ পূর্ণভাবে উল্লম্বভাবে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হয়।
একইভাবে, যদি সম্পর্কপরমের মান 0 হয়, তবে দুটি পরিমাণের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই বলে ধারণা করা হয়।
নির্বাচিত সম্ভাব্যতা (Probability Distribution):
নির্বাচিত সম্ভাব্যতা হল পরিসংখ্যানিক পরিমাণের একটি