শিক্ষাসাধারণ জ্ঞান

কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান – এর দৈর্ঘ্য, অনুচ্ছেদ, উপকারিতা, উদ্বোধন

বাংলাদেশের একটি অন্যতম টানেল হলো কর্ণফুলী টানেল। কর্ণফুলী টানের সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান- এর দৈর্ঘ্য, অনুচ্ছেদ, উপকারিতা,  উদ্বোধন সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি পড়া জরুরী। কর্ণফুলী টানেলটি বঙ্গবন্ধু টানেল নামে পরিচিত এবং চট্টগ্রামে অবস্থিত। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আর কর্ণফুলী টানেল এর বিভিন্ন তথ্যাদি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। কর্ণফুলী টানের সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে তা জানতে পারবেন। 

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর স্থাপিত  কর্ণফুলী টানেলটি  সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান – এর দৈর্ঘ্য, অনুচ্ছেদ, উপকারিতা, উদ্বোধন, এবং বিস্তারিত তথ্য জানা জরুরী। 

বাংলাদেশে এই পর্যন্ত স্থাপিত বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে এই টানেলটি একটি অন্যতম। উক্ত টানেলটি নদীর নিচ দিয়ে সুরঙ্গ আকারে তৈরি করা হয়েছে। 

কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত রয়েছে কর্ণফুলী টানেল অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।

কর্ণফুলী নদীতে অবস্থিত এই টানেলটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরকে একত্রিত করেছে। 

কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য হল ৩.৪৩ কিলোমিটার। 

নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে সুরঙ্গের মাধ্যমে চলে। 

২০১৯ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী টানেলটি নির্মাণ করা শুরু হয়েছে। বর্তমান সময়ে এটি এখনো নির্মাণ করা হচ্ছে এবং ধারণা করা যায় যে,  ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর এটি উন্মুক্ত হবে। 

তবে এদের কার্যক্রম এখনো অব্যাহত। যদিও ধারণা করা হয়েছে,  ২০২৩ সালের ২৮ তারিখে এটি উন্মুক্ত করা হবে তবে তা করা শেষ হয়নি।  ভারী  যানবাহন চলাচলের জন্য এটি একটি অন্যতম টানেল। 

কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন

আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমান সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি এবং পাশাপাশি মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত কর্ণফুলী টানেল যেটি কর্ণফুলী নদীর উপর অবস্থিত। কর্ণফুলী টানেলটি উদ্বোধন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। 

ইতিমধ্যে জানানো গিয়েছে যে কর্ণফুলী টানেল টি ২০২ সালে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই উদ্বোধন করা হবে। 

বাংলাদেশ সরকারের সৌরভ পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 

চট্টগ্রামে অবস্থিত কর্ণফুলী নদীটির তলদেশ দিয়ে তৈরিকৃত কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু সেতুটি ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর উদ্বোধন করা হবে। 

হবে ২০০৩ সালের অক্টোবর মাস পেরিয়ে সেপ্টেম্বর মাস পেরিয়ে চল চলার পরেও এশুটি এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। 

কর্ণফুলী টানেল এর উপকারিতা

১. কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। 

২. নদীটির পূর্ব পাড়াতে অবস্থিত শিল্প এলাকাটি উন্নয়ন তুরান্বিত হবে। 

৩. টানের দিয়ে ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ে এর সাথে সংযোগ স্থাপিত করতে পারবে। 

৪. গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ এবং চট্টগ্রামের শিল্পের ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন হবে। 

৫. সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জানা যায় –এটিকে চীনের সাংগ্রাই  শহরের সাথে তুলনা করা হবে। 

৬. সাংগ্রাই  শহরের আদলে  চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলটিকে পরিপূর্ণভাবে নির্মাণের ফলে “এক শহর দুই নগর” বা “ওয়ান সিটি টু টাউন”  এর মডেলের অনুরূপ গঠিত করা হবে। 

৭. কর্ণফুলী টানেলটি নির্মাণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিকভাবে অল্প সময়ে যাত্রাপথে কম সময় অতিবাহিত করে অধিক পরিমাণ বৈদেশিক কার্যক্রম এবং যাতায়াতকে সুবিধা করবে।

কর্ণফুলী টানেল এর দৈর্ঘ্য

বর্তমান সময়ে প্রকল্প করা হয়েছে এরকম বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ একটি অন্যতম প্রকল্প হিসেবে পরিচিত। 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নদীর দুই বন্দর অথবা 25 কে একত্রিত করতে এবং যাচাইয়ের সুবিধার ক্ষেত্রে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। 

২০১৯ সাল থেকে কর্ণফুলী নির্মাণ শুরু হচ্ছে এবং ধারণা করা যায় এটি ২০২৩ সালে কাজ সম্পন্ন করা হবে তবে তার কাজ এখনো অব্যাহত চলছে। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার মহাসড়কের নির্মাণ করা হচ্ছে। 

কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে সুরঙ্গ আকারে তৈরি ভেতর এই কর্ণফুলী টানেলটির দৈর্ঘ্য হল ৩.৪৩ কিলোমিটার। 

কর্ণফুলী টানেতে বঙ্গবন্ধু টানের নামেও পরিচিত। 

কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান - এর দৈর্ঘ্য, অনুচ্ছেদ, উপকারিতা, উদ্বোধন
কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান – এর দৈর্ঘ্য, অনুচ্ছেদ, উপকারিতা, উদ্বোধন

কর্ণফুলী টানেল নিয়ে প্রশ্ন

১. কর্ণফুলী টানেল  অন্য কি নামে পরিচিত?  

= বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। 

২. কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য কত? 

= ৩.৪৩ কিলোমিটার। 

৩. কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ শুরু হয় কবে? 

= ২০১৯ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি। 

৪. কর্ণফুলী টানের কোন নদীর উপর অবস্থিত? 

= চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর উপর। 

৫. কর্ণফুলী টানেল এর পরিচালক কে?

= জনাব হারানোর রশিদ চৌধুরী। 

৬ কর্ণফুলী টানেলের প্রস্থ কত? 

= ১০ মিটার।

৭. কর্ণফুলী টানেলের রাস্তা কত লেন বিশিষ্ট? 

= ২ লেন।

৮. কর্ণফুলী ট্যানেলে বায়ু চলাচল ফ্রেন্ড রয়েছে কতটি? 

= ৮ টি।

৯. কর্ণফুলী টানেলে প্রতি ঘন্টায় কতটি যানবাহন চলাচল করতে পারবে? 

= ৮০০০ টি। 

১০. কর্ণফুলী  ট্যানেলে মোট কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে? 

= প্রায় ১০,৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

১. কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে বাংলাদেশ সরকার কত টাকা ব্যয় করেছে? 

= ৪ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ।

২. কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব কতটুকু কমিয়েছে? 

= ৪০ কিলোমিটার। 

৩. টানেলটি নির্মাণের সহযোগিতা করেছে? 

= বাংলাদেশ ব্যাংক এবং চীনের এক্সিম ব্যাংক। 

৪. কর্ণফুলী টানেলটি কত সালে নির্মাণ শেষ হবে? 

= ২০২৩ সালে। 

৫. কর্ণফুলী টানেলের প্রবেশপথ কোথায়? 

= চট্টগ্রামের এয়ারপোর্টে। 

৬. কর্ণফুলী টানেলের অপর একটি নাম কি? 

= Two towns – one city.

৭. চালুর প্রথম বর্ষে কর্ণফুলী টানেলে কত পরিমান যানবাহন চলাচল করতে পারবে? 

= ৬৩ লাখ।

৮. কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের তারিখ কত? 

= ২০২০ সালে উদ্বোধন করা হবে এমন বলা হয়েছে কিন্তু এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। 

৯. টানেলটি কর্ণফুলী নদীর কতটুকু গভীরে রয়েছে? 

= মধ্যপ্রান্তে অথবা মধ্য অংশে ১৫০ ফুট। 

১০. কর্ণফুলী টানেলটি কি কি নামে পরিচিত? 

= বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল,,,

বঙ্গবন্ধু টানেল,,,

 বঙ্গবন্ধু সুড়ঙ্গ,,, 

কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ। 

শেষ কথা :প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাদের বলতে চাই যে, কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান – এর দৈর্ঘ্য, অনুচ্ছেদ, উপকারিতা, উদ্বোধন ইত্যাদি সম্পর্কে যে সকল তথ্য ছিল তা আমরা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

কর্ণফুলী টানেলটি চট্টগ্রাম ঢাকা এবং কক্সবাজারকে একটি মহাসড়কে পরিণত করবেই। কর্ণফুলী টানেরজি একদিকে যেমন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে অপরদিকে এটি অন্যান্য দেশের সাথে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে রপ্তানি খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হয়। 

তাছাড়া আপনার কর্ণফুলী টানের সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানার ছিল তা যদি আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন  তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। 

আমাদের পোস্ট রিলেটেড প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর –

১. কর্ণফুলী টানেল চালু হবে কবে?

= কর্ণফুলী টানেলটি উদ্বোধন করার আনুমানিক বা সম্ভবতার হচ্ছে ২৮ শে অক্টোবর ২০২৩, এবং উদ্বোধন করার পরপরই এটি চালু করা হবে। 

২.কর্ণফুলী সুড়ঙ্গের নাম কি?

= কর্ণফুলী সুরঙ্গের নাম হল কর্ণফুলী রিভার টানেল। 

৩. বঙ্গবন্ধু টানেল এর প্রস্থ কত?

  • = বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রশ্ন হল ১০ মিটার। 
  • ৪. কর্ণফুলী টানেলের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি কি প্রভাব পড়তে পারে?
  •  কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। 
  • অর্থনৈতিক খাতে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। 
  • জিডিপিতে অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী ইহা।মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং পাশাপাশি ইতিবাচক প্রভাব লক্ষণীয় হবে। 
  • আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এবং দরিদ্র দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। 

৫. কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য কত?

= ৩.৪৩ কিলোমিটার। 

৬. বঙ্গবন্ধু টানেল এর দৈর্ঘ্য প্রস্থ কত?

= বঙ্গবন্ধু টানেল এর দৈর্ঘ্য :-৩.৪৩ কিলোমিটার এবং প্রস্থ :- ১০ মিটার।

৭.কর্ণফুলী টানেল এর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার?

= কর্ণফুলী টানেল এয়ার দৈর্ঘ্য হলো ৩.৪৩ কিলোমিটার। 

৮.কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে বিস্তারিত

= কর্ণফুলী টানেল হল বাংলাদেশের একটি অন্যতম টানেল। চানজির নির্মাণ কাজ এখন পর্যন্ত চলছে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে এটি উদ্বোধন করা যেতে পারে। 

কর্ণফুলী টানের বঙ্গবন্ধু টানের অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নামে পরিচিত। 

কর্ণফুলী টানেলটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে সুরঙ্গ আকারে তৈরি করা হচ্ছে। 

বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করলে অন্য দেশ থেকেও এর কার্যক্রমের জন্য সাহায্য নিচ্ছে। 

আরো পড়ুন: শবল শব্দের অর্থ কি

দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও অন্যান্য কাঠামোতে দ্রুত উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

“দুই নগর এক শহর” এরকম একটি টানেল  হিসেবে ভবিষ্যতে এটি এশিয়ার মধ্যে  অন্যতম টানের হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button