সম্পদ কাকে বলে – সম্পদের বৈশিষ্ট্য
সম্পদ: সম্পদ বস্তুগত বা মানসিক অবস্থার একটি সাধারণ পরিচয় দেয়,যেমন সম্পত্তি এবং অর্জনশীলতার সাথে সম্পর্কিত।
সম্পদ কাকে বলে সম্পদের বৈশিষ্ট্য
সম্পদ বস্তুগত বা মানসিক অবস্থার একটি সাধারণ পরিচয় দেয়,যেমন সম্পত্তি এবং অর্জনশীলতার সাথে সম্পর্কিত।
এটি আমাদের জীবনে পরিচয় করায় একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করে এবং ব্যক্তির অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিকে প্রতিষ্ঠা করে।
সম্পদের বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত সম্পর্কিত অংশগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:
আর্থিক মানসিকতা: সম্পদ অর্জন করা একটি আর্থিক পদক্ষেপ, কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো সম্পদের সাথে সঙ্গতি রাখা এবং এটি উপযুক্ত ভাবে ব্যয় করা।
এটি আর্থিক পরিবেশে দক্ষতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নত করতে পারে এবং নির্ণয় গ্রহণ করতে সহায়তা করতে পারে।
আর্থিক স্বাধীনতা: সম্পদ স্বাধীনতা দেয় যেমন আর্থিক বিচারে নির্ধারিত নিয়ম এবং প্রতিষ্ঠানের কাঠামো অনুযায়ী।
এটি ব্যক্তিগত অনুভব প্রদান করে এবং একজন ব্যক্তির পরিবার এবং সামাজিক কর্তৃত্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে।
অর্থনীতি ও আর্থিক বৃদ্ধি: সম্পদের উচ্চতর মাত্রা এবং অর্থনীতির সম্পর্কে ধারণা দেয়।
সম্পদ অর্জন এবং ব্যয়ের মাধ্যমে আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে এবং এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আর্থিক স্থায়িত্ব ও সুরক্ষা: সম্পদ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি এবং ব্যবস্থা প্রদান করে।
এটি আর্থিক ঝুঁকিগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম গঠন করতে সহায়তা করতে পারে।
সামাজিক প্রভাব: সম্পদ পরিমাপ করা যায় একজন ব্যক্তির সামাজিক প্রভাবের মাধ্যমে।
সম্পদ থাকা একটি ব্যক্তি সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারে এবং সামাজিক পরিবেশে পরিবর্তন উৎপাদন করতে পারে।
এগুলি হলো কয়েকটি উদাহরণ সম্পদের বৈশিষ্ট্যের, তবে মনে রাখবেন যে এটি একটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিচয় বিশেষত্ব এবং সম্পদের বৈশিষ্ট্য অনেকগুলি বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন উপায়ে পরিভাষিত হতে পারে।
সম্পদ কাকে বলে সম্পদের বৈশিষ্ট্য | সম্পদ কাকে বলে কত প্রকার
সম্পদ কয়েকটি প্রকারে পরিভাষিত করা যেতে পারে। সাধারণত সম্পদগুলি নিম্নলিখিত প্রকারে বিভক্ত হয়:
আর্থিক সম্পদ (Economic Assets): এই প্রকারের সম্পদ মূলত আর্থিক মানে গণ্য হয়।
অর্থনৈতিক সম্পদের উদাহরণ হতে পারে মুদ্রার সম্পদ, স্টক বা শেয়ার, ব্যাংক হিসাব, সম্পদসমূহ ইত্যাদি।
পণ্যসম্পদ (Physical Assets): এই প্রকারের সম্পদ পরিবার, সাম্প্রদায়িক বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন ভবন, জমি, গাড়ি, পাঠাগার, পুস্তক, শয়নের সামগ্রী ইত্যাদি।
আবর্জনা সম্পদ (Intangible Assets): এই প্রকারের সম্পদ নকল, কপিরাইট, পটেন্ট, ট্রেডমার্ক, লাইসেন্স ইত্যাদি হতে পারে।
এটি আবাসিক প্রমাণ প্রদান করতে পারে এবং নিয়মিত আয় উত্পন্ন করতে পারে।
মানসিক সম্পদ (Intellectual Assets): এই প্রকারের সম্পদ মানসিক প্রক্রিয়া, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা, সৃজনশীলতা, সংশ্লিষ্টতা, পরামর্শ ইত্যাদির মধ্যে পরিচয় করায়।
এগুলি কৌশল এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা বিকাশ করতে সহায়তা করে।
এগুলি হলো কিছু প্রধান প্রকারের সম্পদের উদাহরণ, তবে মনে রাখবেন যে এই বিভাগীকরণ সম্পূর্ণ নয় এবং আরও অনেক প্রকারের সম্পদ থাকতে পারে।
অবস্তুগত সম্পদ কাকে বল
অবস্তুগত সম্পদ হলো সাধারণত বস্তুগত প্রকাশ পায় এমন সম্পদ বা সম্পত্তি, যা প্রাকৃতিক রূপে বিদ্যমান থাকে এবং এটি পরিমাপযোগ্য, চোখে দেখা যায় এবং স্পর্শ করা যায়।
এই ধরণের সম্পদের উদাহরণ হতে পারে ভবন, জমি, গাড়ি, পরিবহন যন্ত্রপাতি, পশু-পাখি, স্থানসমূহ ইত্যাদি।
এগুলি আপেক্ষিকভাবে স্পর্শ করা এবং পরিবেশে অবস্থান করায় আপনাকে তাদের মালিকানা করতে পারে।
সম্পদ সংরক্ষণ কাকে বলে
সম্পদ সংরক্ষণ বা সংরক্ষণাগার বলতে বোঝায় সম্পদের সঠিকভাবে পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করার পদ্ধতি ও পদ্ধতিগুলি।
এর মাধ্যমে সম্পদের লস প্রতিরোধ, মান সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার, সুরক্ষা এবং দূর্নষ্ট হতে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠান করা হয়।
সম্পদ সংরক্ষণ একটি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি যা নিম্নলিখিত কর্মসমূহ করে থাকে:
সঠিক স্থানে সংরক্ষণ: সম্পদগুলি সঠিক ও উপযুক্ত ভাবে সংরক্ষণ করার জন্য সঠিক স্থানে স্থাপন করা হয়।
এটি ভবনের ভেতরে সংরক্ষণাগার, কাঠামো পরিস্কার এবং মেয়াদপূর্তি নির্দেশ পরিপত্র প্রদানের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে।
উপযুক্ত পরিচর্যা: সম্পদগুলির উপযুক্ত পরিচর্যা করা হয় যাতে তা ক্ষতিগ্রস্থ হতে না পারে এবং সেটির ব্যবহারযোগ্যতা বজায় রাখা যায়।
এটি মাসপাতায় সংরক্ষণ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রাতে অবস্থানের পরিচয় প্রদান এবং উচ্চ মান স্থাপনের মাধ্যমে করা হতে পারে।
বিনিয়োগের পরিচর্যা: সম্পদের বিনিয়োগের সময় সঠিক পরিচর্যা করা হয় যাতে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়।
এটি মধ্যবর্তী বা পরিবহনের সাথে সঠিক যোগাযোগ, পুনর্বিক্রয়ার জন্য উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ মাধ্যমে করা হতে পারে।
সম্পদ সংরক্ষণ প্রধানত সম্পদ বিনিয়োগের প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রমগুলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং
সম্পদের মান এবং ব্যবহারযোগ্যতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থা, নীতি এবং পদ্ধতিগুলি সংজ্ঞায়িত করে।
অর্থনীতিতে সম্পদ কাকে বলে
অর্থনীতিতে সম্পদ হলো একটি মানসম্পন্ন উপাদান বা সম্পদ্যক যা আমাদের অর্থনীতিক কার্যক্রম ও সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়।
এটি আমাদের আয়, স্বাধীনতা, ব্যবসা, বাণিজ্য, সামরিক সম্পদ ইত্যাদি সহ বিভিন্ন রূপে প্রদর্শিত হতে পারে।
অর্থনীতিতে সম্পদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে যেমন নির্মাণ, উৎপাদন, বিনিয়োগ, ব্যবস্থাপনা, আয় এবং বাণিজ্যিক প্রস্তুতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
এটি প্রতিষ্ঠানগুলির সামরিক ও মানবসম্পদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান পালনকারী সাধারের হিসাবে বিবেচিত হয়।
অর্থনীতির দৃষ্টিতে সম্পদ প্রাথমিকভাবে আয় ও সম্পদের উৎপাদনের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়।
তারপরে এই সম্পদের বিনিয়োগ, ব্যবস্থাপনা এবং বাণিজ্যিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে পরিণত হয়। সম্পদ তাই অর্থনৈতিক প্রগতি ও উন্নয়নের মূল চালিকা হিসাবে পরিচিতি পায়।
অর্থনীতিতে সম্পদের বৈশিষ্ট্য কয়টি
অর্থনীতিতে সম্পদের বৈশিষ্ট্য একাধিক হতে পারে, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য মাঝে মাঝে নিম্নলিখিত হতে পারে:
১. সম্পদের মান: সম্পদের মান সম্পদের গুরুত্ব ও মান্যতা নির্ধারণ করে। মান উন্নয়ন করলে সম্পদের বিনিয়োগকারী,
বা ব্যবহারকারী সম্পদটি পছন্দ করবে এবং তার জন্য বেশি মূল্য পরিশোধ করতে সম্ভব হবে।
২. সম্পদের সৃষ্টিকর্তৃপক্ষের অন্তর্ভুক্তি: সম্পদের বৈশিষ্ট্য হিসাবে সম্পদের সৃষ্টিকর্তা বা মালিক পক্ষের অন্তর্ভুক্তি গণ্য হয়।
অর্থনীতিতে মালিকের উদ্ভাবনী ভূমিকা, ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগে প্রদান করা সুবিধা এবং অন্যান্য মালিক সম্পর্কিত সুযোগগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
৩. সম্পদের আয়কর ও ব্যবস্থাপনা: সম্পদের আয়কর ও ব্যবস্থাপনা সম্পদের বৈশিষ্ট্য হিসাবে গণ্য হয়।
এটি সম্পদের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়, যা সম্পদের অর্থনৈতিক পরিচালনা ও উন্নয়নের সুযোগ প্রদান করে।
৪. সম্পদের ব্যবহারযোগ্যতা: সম্পদের ব্যবহারযোগ্যতা তার উপযোগিতা ও সংগ্রহ করার সহজতা নির্ধারণ করে।
এটি সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে।
৫. সম্পদের প্রদর্শনশীলতা: সম্পদের প্রদর্শনশীলতা সম্পদের বৈশিষ্ট্য হিসাবে গণ্য হয়।
এটি সম্পদের পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, যা সম্পদের প্রকাশ, প্রদর্শন ও বিনিয়োগ পরিচালনার উপকারিতা বৃদ্ধি পায়।
এগুলি মাত্র কিছু উদাহরণ, এবং অর্থনীতিতে সম্পদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি থাকতে পারে যা বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক পরিবেশে পরিবর্তিত হতে পারে।
খনিজ সম্পদ কাকে বলে
খনিজ সম্পদ হলো পৃথিবীর উপগ্রহণযোগ্য অঙ্গ বা পদার্থগুলোর সমষ্টি।
এগুলো পৃথিবীর আবশ্যিক আবাসিক এবং শিল্পগত ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানব সংস্থান গঠন করে।
খনিজ সম্পদ অবধারণা করে সাধারণত পৃথিবীর উপগ্রহগুলোর মধ্যে যে পদার্থগুলো রয়েছে যা মানবজাতির কাজে ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত মাটির উপর অবস্থিত খনিজগুলোকে খনিজ সম্পদ বলা হয়।
খনিজ সম্পদ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন পাথর, মাটি, রঙ, স্যান্ড, গ্রেভেল, ক্লে, খনকপত্র, ম্যাটাল, মিনারল,বিভিন্ন ধরনের তেল, খনিজভূত খাদ্য সম্পদ, রাসায়নিক তত্ত্বাবধানের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজগুলো ইত্যাদি।
খনিজ সম্পদ এসব পদার্থগুলোর সমষ্টির মাধ্যমে অনেক মানবজাতিকে সেবা ও আর্থিক উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করে।
সম্পদ কাকে বলে ভূগোল
ভূগোলে সম্পদ বিভিন্ন প্রকারের পৃথিবীর উপাদানগুলোর সংস্থানগুলোকে বুঝায়।
ভূগোল বিজ্ঞানে সম্পদ হলো সমষ্টির মধ্যে প্রাকৃতিক এবং মানবিক সম্পদগুলোর অবস্থান, বিতরণ, সংরক্ষণ, ব্যবহার এবং পরিবর্তনের
বিষয়ে কার্যকরী জ্ঞান বা উপাদান সংগ্রহ ও বিজ্ঞান বিষয়ের সম্পর্কে ভূমিকা পালন করে।
সম্পদের পরিচিতি করার জন্য ভূগোলে প্রাকৃতিক অবস্থান অনুসারে তাদের উপস্থিতি ও বিতরণের অধ্যয়ন করা হয়।
পৃথিবীতে খনিজ সম্পদের বিতরণ, নদীর পথ, জলাশয় সম্পদ, জলমালিন্য ও মানবিক সম্পদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূগোল পরিবেশন করে।
ভূগোলের মাধ্যমে সম্পদের অবস্থান, পরিমাণ, মান এবং বিতরণের বিষয়ে জ্ঞান সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ করা হয়।
ভূগোলের মাধ্যমে সম্পদের বৈশিষ্ট্য, সম্পদের মান এবং মানসম্পদের উপযোগিতা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়াও ভূগোলের মাধ্যমে সম্পদের বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পরিকল্পনা ও প্রবাহন করা হয়।
ভূগোলের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল সম্পদ সংগ্রহ ও ব্যবহারের পরিবেশনা হয় যা মানবিক উন্নয়নে কার্যকরী হতে পারে।