আল আকসা মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
প্রতিটি মুসলমান বিভিন্ন মসজিদ বা নিদর্শন সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম মসজিদ হিসেবে তাদের কাছে পরিচিত আল আকসা মসজিদ।
তাই আর সম্মানের সহিত এই আল আকসা মসজিদ কোথায় অবস্থিত এবং আল আকসা মসজিদ নির্মাণের ঘটনা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাই।
তাই উঠতে পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে আল আকসা মসজিদ কোথায় অবস্থিত এবং আল আকসা মসজিদ নির্মাণের ঘটনা সম্পর্কে জানাচ্ছি।
পবিত্র মক্কা নগরীর মক্কাকে প্রধান ও অন্যতম মুসলিমদের নিদর্শন হিসেবে পরিচিতি লাভ করলে বলা হলে আল আকসা মসজিদ কে দ্বিতীয় হিসেবে স্থান দেয়া হয়।
তবে বাস্তবিকভাবে প্রথমত মদিনা তারপর মক্কা এবং তৃতীয় অবস্থানে অবস্থিত রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই আল আকসা মসজিদ টি।
একজন আদর্শ মুমিন হিসেবে আল আকসা মসজিদ সম্পর্কে সকলে জানতে চাই তাই আমরা আমাদের প্রশ্নের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করছি।
প্রকৃতপক্ষে আল-আকসা এই মসজিদটি একটি ধর্মীয় মসজিদ এবং তাজ জেরুজালেমের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থান হিসেবে রয়েছে।
আল আকসা মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
আল আকসা এই মসজিদটি জেরুজালেম এ অবস্থিত।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী প্রতিটি মুসলমানের জন্য দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে আল-আকসা এ স্থানটি পরিচিত।
ফিলিস্তানের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে জেরুজালেমে আল আকসা এ মসজিদটি অবস্থিত।
হযরত সুলাইমান আলাই সালাম এর প্রাচীন অন্যতম মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
মুসলমানের কাছে মক্কা শরীফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান ও অন্যতম ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
গুরুত্বের দিক দিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফের পরে রয়েছে আল আকসা এই মসজিদটি।
মুসলমানদের কাছে দ্বিতীয় বৃহত্তম ও অন্যতম ধর্মীয় স্থান হিসেবে আল-আকসা পরিচিত। তাই আল আকসা পূর্ব জেরুজালেমের পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে।
এই স্থানটি ইহুদের কাছে টেম্পল মাউথ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
আরো পড়ুন: ইসলামিক সাধারণ জ্ঞান
আল আকসা মসজিদ নির্মাণের ঘটনা
হযরত ইয়াকুব আঃ সর্বপ্রথম আল-আকসা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।
হযরত ইব্রাহিম আসালাম যখন কাবা ঘর নির্মাণ করেন ঠিক তার চল্লিশ বছর পর এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তবে জ্বীনদের মাধ্যমে এই পবিত্র স্থানটি পুনরায় নির্মাণ করেছিলেন হযরত সোলাইমান আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
সময়টা ছিল ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দ, যখন সমগ্র বায়তুল মুকাদ্দাসের এলাকা মুসলমানদের অধীনে চলে আসে।
তৎকালীন সময়ে সমগ্র সিরিয়া ও ফিলিস্তানিদের হাতে মুসলিম শাসকদের সহায়তায় ১০৯৯ সালের ১৫ জুলাই স্থানটি দখল করা হয়ে যায়।
২৩শে মার্চ ১৯৬৯ সালের, কেন্দ্রীয় খলিফার নির্দেশে ফাতেমি খিলাফতের, সালাহউদ্দিন আইয়ুও রহমতুল্লা গভর্নর ও সেনাপ্রধান হয়ে মিশরে আগমন ঘটেন।
মিশরে আগমন ঘটার কিছুদিন পরে অর্থাৎ 20 এ সেপ্টেম্বর ১১৮৭ সালের যুদ্ধের মাধ্যমে এই মুসলিম অন্যতম এই স্থানটি জেরুজালেমের শহর মুসলমানদের অধীনে নিয়ে আসেন এবং তারপর থেকে এটি,
সমগ্র মুসলমানদের মদিনা এবং মক্কার পর তৃতীয় ধর্মীয় ও অন্যতম স্থাপত্য শিল্প হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
জেরুজালেমে অবস্থিত ঐতিহাসিক এই মসজিদটি পবিত্র নগরী জেরুজালেমের ইহাতে রয়েছে দুইটি বড় এবং দশটি ছোট গম্বুজ।
মসজিদটি নির্মাণের শীশাসন এবং মার্বেল সহ বিভিন্ন রকমের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
মসজিটিতে একসাথে প্রায় ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।
অর্থাৎ এভাবে তৎকালীন সময়ে জেরুজালেম নামক পবিত্র স্থানে আল আকসা মসজিদ স্থাপন করা হয়েছিল।
বর্তমান সময়ে মদিনা এবং মক্কার তৃতীয় একটি অন্যতম ধর্মীয় জায়গায় হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পবিত্র আল আকসা মসজিদ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
যদি আপনি আল আকসা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান এবং তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এছাড়াও আল-আকসা ছাড়াও অন্যান্য যে কোন মসজিদ বা অবস্থান কোথায় অবস্থিত ইত্যাদি সম্পর্কে যদি জানতে চান তাও আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।