গনিত

বিয়োগ কাকে বলে? বিয়োগ অংক করার নিয়ম

বিয়োগ: সংখ্যার বিয়োগ করার জন্য সাধারণ বিয়োগের সূত্র ব্যবহার করা হয়। এটি মানে যে, দুটি সংখ্যা এবং তাদের বিয়োগ ফলাফল নিয়ে আমরা সংখ্যাটি পাব। উদাহরণস্বরূপ, ৫ এবং ৩ এর বিয়োগ হবেঃ ৫ – ৩ = ২।

বিয়োগ কাকে বলে 

বিয়োগ অংককে একটি মাত্রক সংখ্যা বলা হয়, যা দুটি সংখ্যার মধ্যে বিয়োগের পরিমাণকে প্রকাশ করে। এটি মূলত একটি অংকের আকার বা সংখ্যা হয়, যা বিভিন্ন গণিত ক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। বিয়োগ অংকটি সাধারণত মাইনাস (-) চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

বিয়োগ অংকটি সাধারণত দুটি সংখ্যার মধ্যে বিয়োগের ফলাফল প্রদর্শিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন, ৫ এবং ৩ দুটি সংখ্যার বিয়োগ ফলাফল ৫ – ৩ = ২ হয়। এখানে “৫” এবং “৩” হচ্ছে উভয় সংখ্যা এবং “২” হচ্ছে বিয়োগ অংক।

বিয়োগ অংকটি গণিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন অ্যালজেবরা, গাণিতিক সমীকরণ, সাধারণ মান গণনা ইত্যাদি। এটি সংখ্যার বিয়োগ প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং ক্ষেত্রে দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বিয়োগ কাকে বলে 

বিয়োগ অংক

বিয়োগ অংক বলতে মানে হল দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্যকে প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত একটি সংখ্যা। বিয়োগ অংকটি সাধারণত মাইনাস (-)

চিহ্ন দ্বারা প্রকাশিত হয়। যেমন, ৫ এবং ৩ এর মধ্যে পার্থক্যটি বিয়োগ অংক ৫ – ৩ = ২ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এখানে ৫ এবং ৩ হচ্ছে উভয় সংখ্যা এবং ২ হচ্ছে বিয়োগ অংক। বিয়োগ অংক সাধারণত গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন অ্যালজেবরা, গাণিতিক সমীকরণ, সাধারণ মান গণনা, মানচিত্র কাঠামো পরিকল্পনা ইত্যাদি।

বিয়োগের সূত্র | বিয়োগ এর সূত্র

বিয়োগের সূত্র হলেঃ

সংখ্যার বিয়োগ করার জন্য সাধারণ বিয়োগের সূত্র ব্যবহার করা হয়। এর সূত্র হলঃ

যদি আমাদের দুটি সংখ্যা হয় a এবং b, তবে তাদের মধ্যে বিয়োগের ফলাফল হবেঃ a – b

এটি মানে যে, দুটি সংখ্যা এবং তাদের বিয়োগ ফলাফল নিয়ে আমরা সংখ্যাটি পাব। উদাহরণস্বরূপ, ৫ এবং ৩ এর বিয়োগ হবেঃ ৫ – ৩ = ২।

এটি মাত্র একটি সাধারণ উদাহরণ এবং বিয়োগ এর সূত্র আরও সম্প্রসারিত হতে পারে প্রকাশিত কন্টেক্সট অনুযায়ী। গণিতের বিভিন্ন অংশগুলোতেও বিয়োগ এর নিয়ম ও সূত্র ব্যবহার হয়।

বিয়োগ করি | বিয়োগ করার নিয়ম | বিয়োগ অংক করার নিয়ম

সংখ্যার বিয়োগ করার নিয়মগুলো নিম্নলিখিত:

১.একই সংখ্যা থেকে একই সংখ্যা বিয়োগ করলে ফলাফল সদিচ্ছন্দ হয়। যেমন: ৫ – ৫ = ০, ২০ – ২০ = ০।

২.মাইনাস (-) চিহ্ন দ্বারা সাংখ্যিক ভ্যালুকে নগদ করা হয় এবং তারপর বিয়োগ করা হয়। যেমন: ৭ – ৩ = ৪, -২ – (-৫) = ৩।

৩.সংখ্যার মান বরাদ্দ হলে সংখ্যার বিয়োগ করলে সংখ্যাটি কমে যায়। যেমন: ১০ – ৩ = ৭, ৬০ – ২৫ = ৩৫।

৪.সংখ্যার মান বৃদ্ধি হলে সংখ্যার বিয়োগ করলে সংখ্যাটি বাড়ে যায়। যেমন: ৩ – ৫ = -২, ১০ – ২ = ৮।

৫.দুটি সংখ্যার বিয়োগ করলে ফলাফল সংখ্যার মান একই চিহ্নে থাকবে যদি তাদের মান সমান হয়। যেমন: -২ – (-২) = ০, ৭ – ১০ = -৩।

এই নিয়মগুলো বিয়োগ অংক করার সাধারণ নিয়মগুলো হিসাবে প্রয়োগ করা হয়। এছাড়াও গণিতের বিভিন্ন বিভাগগুলোতে আরও নিয়ম ও উদাহরণগুলো আছে যা বিয়োগ অংক করার জন্য ব্যবহার হয়।

বিয়োগ ফল কাকে বলে

বিয়োগ ফলকে সাধারণত বলা হয় “বিয়োগের ফলাফল”। এটি দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় মান বা সংখ্যা হয়। বিয়োগ ফলাফল হল উভয় সংখ্যার মধ্যে বিয়োগ করার ফলে প্রাপ্ত সংখ্যা। যেমন, ৫ এবং ৩ এর বিয়োগ ফল হল ৫ – ৩ = ২। এখানে ২ হচ্ছে বিয়োগ ফল।

বিয়োগ ফলটি অন্যান্য গণিতিক ক্রিয়ায়, যেমন সমীকরণ সমাধান, সাধারণ মান গণনা, উচ্চতা ও দৈর্ঘ্য বিশ্লেষণ, পরিমাপ ভুক্তি, অ্যালজেবরা ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়। বিয়োগ ফল কে সমাধানের একটি অংশ হিসাবে ব্যবহার করা হয় যাতে দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।

বিয়োগ যোগের কোন প্রক্রিয়া

বিয়োগ এবং যোগের মধ্যে প্রক্রিয়াগুলো সাধারণত একই নয়। বিয়োগ এবং যোগ দুটি গণিতিক ক্রিয়া হলেও তাদের ক্রিয়া এবং প্রক্রিয়া বিশেষভাবে ভিন্ন হয়।

যোগের প্রক্রিয়াঃ

যোগের প্রক্রিয়ায় দুটি সংখ্যা একসাথে যোগ করা হয় যার ফলে একটি সংখ্যা পাওয়া যায়। যেমন, ৩ এবং ৪ এর যোগ ফল হল ৩ + ৪ = ৭। এখানে ৭ হচ্ছে যোগ ফল।

বিয়োগের প্রক্রিয়াঃ

বিয়োগের প্রক্রিয়ায় দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য বিচ্ছিন্ন করা হয়। প্রথমে বিয়োগ করতে হয় এবং তারপর একটি সংখ্যা পাওয়া যায়।

যেমন, ৮ থেকে ৩ বিয়োগ করলে পাওয়া যায় ৮ – ৩ = ৫। এখানে ৫ হচ্ছে বিয়োগ ফল।

তাই, যোগ এবং বিয়োগের প্রক্রিয়া একে অপরের সাথে ভিন্ন হলেও তারা সংখ্যার পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় এবং মান পাওয়ার ক্ষেত্রে একই হতে পারে।

যোগ বিয়োগ কাকে বলে

যোগ এবং বিয়োগ হলো দুটি গণিতিক প্রক্রিয়া বা অপারেশন, যার মাধ্যমে সংখ্যাগুলোর মধ্যে সংযোগ বা পার্থক্য নির্ণয় করা হয়।

যোগ:

যোগ হলো দুটি সংখ্যা একসাথে যোগ করার প্রক্রিয়া। এটি সংখ্যাগুলোর মানগুলো যোগ করে একটি মান পাওয়া যায়।

যেমন, ৩ এবং ৪ যোগ করলে পাওয়া যায় ৩ + ৪ = ৭।

এখানে ৭ হচ্ছে যোগ ফল। যোগ প্রক্রিয়াটি সংখ্যাগুলোর মাঝে একটির চেয়ে বেশি মান পাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়।

বিয়োগ:

বিয়োগ হলো একটি সংখ্যা থেকে আরেকটি সংখ্যা বিয়োগ করার প্রক্রিয়া। এটি সংখ্যাগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে একটি মান পাওয়া যায়।

যেমন, ৮ থেকে ৩ বিয়োগ করলে পাওয়া যায় ৮ – ৩ = ৫। এখানে ৫ হচ্ছে বিয়োগ ফল। বিয়োগ প্রক্রিয়াটি সংখ্যাগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার হয়।

সুতরাং, যোগ এবং বিয়োগ হলো দুটি আলাদা গণিতিক অপারেশন যা সংখ্যাগুলোর মধ্যে সংযোগ এবং পার্থক্য নির্ণয় করে।

যোগ বিয়োগ গুন ভাগ

যোগ, বিয়োগ, গুন, এবং ভাগ হলো চারটি গণিতিক প্রক্রিয়া। এগুলো ব্যবহার করে সংখ্যাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন গণিতিক সম্পর্ক নির্ণয় করা হয়।

যোগ (Addition): যোগ হলো দুটি সংখ্যার মধ্যে সংযোগ করার প্রক্রিয়া। এটি সংখ্যাগুলোর মানগুলো যোগ করে একটি মান

পাওয়া যায়। উদাহরণঃ ৩ + ৪ = ৭।

বিয়োগ (Subtraction): বিয়োগ হলো একটি সংখ্যা থেকে আরেকটি সংখ্যা বিয়োগ করার প্রক্রিয়া। এটি সংখ্যাগুলোর মধ্যে

পার্থক্য নির্ণয় করে একটি মান পাওয়া যায়। উদাহরণঃ ৮ – ৩ = ৫।

গুন (Multiplication): গুন হলো দুটি সংখ্যার গুনফল বের করার প্রক্রিয়া। এটি সংখ্যাগুলোর মানগুলো গুণ করে একটি

মান পাওয়া যায়। উদাহরণঃ ৩ × ৪ = ১২।

ভাগ (Division): ভাগ হলো একটি সংখ্যা থেকে আরেকটি সংখ্যা ভাগ করার প্রক্রিয়া এটি সংখ্যাগুলোর মধ্যে ভাগফল নির্ণয়

করে একটি মান পাওয়া যায়। উদাহরণঃ ১২ ÷ ৪ = ৩।

এই চারটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আমরা সংখ্যাগুলোর মধ্যে সংযোগ, পার্থক্য, গুনফল, এবং ভাগফল নির্ণয় করতে পারি।

বিয়োগের সংক্ষিপ্ত রূপ কি

বিয়োগের সংক্ষিপ্ত রূপ হলো “-“. এটি হলো বিয়োগ প্রক্রিয়ার চিহ্ন বা প্রতীক। যখন আমরা দুটি সংখ্যার মধ্যে বিয়োগ করতে চাই,

তখন সাধারণত এই সংক্ষিপ্ত রূপটি ব্যবহার করে সংখ্যাগুলো পৃথক্করণ করতে পারি। উদাহরণঃ ৭ – ৩ = ৪। এখানে “-” চিহ্নটি বিয়োগ প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

বিয়োগ অর্থ কি

বিয়োগ শব্দের অর্থ হলো দুটি বা একাধিক সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা বা প্রত্যেকটি সংখ্যাকে থেকে অন্যটি বিয়োগ

করা। বিয়োগ প্রক্রিয়াটি সংখ্যাগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

যেমনঃ

৮ থেকে ৩ বিয়োগ করলে পাওয়া যায় ৮ – ৩ = ৫।

এখানে ৮ হচ্ছে মিনুয়েন্ড (minuend), ৩ হচ্ছে সাবট্রাহেন্ড (subtrahend), এবং ৫ হচ্ছে বিয়োগফল (difference)। বিয়োগ করা হলো মিনুয়েন্ড থেকে সাবট্রাহেন্ড বিয়োগ করে বিয়োগফল পাওয়া।

বিয়োগ ব্যবহার করে আমরা সংখ্যাগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারি, উদাহরণস্বরূপ:

দুই তারিখের পার্থক্য নির্ণয় করার জন্য।

কোনও পরিমাণ পণ্য কিনতে পারা যায় কি না।

একটি সংখ্যার বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য।

সাধারিতত, বিয়োগ শব্দটি সংখ্যাগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বিয়োগ meaning in english

The word “বিয়োগ” translates to “subtraction” in English.

যে সংখ্যাকে বিয়োগ করা হয় তাকে কি বলে

যে সংখ্যা থেকে বিয়োগ করা হয়, তাকে “বিয়োগকৃত সংখ্যা” বলা হয়। যেমনঃ ৫ হলো ৮ থেকে বিয়োগকৃত সংখ্যা, কারণ ৮

– ৫ = ৩। এখানে ৫ হলো বিয়োগকৃত সংখ্যা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button