বিজ্ঞান

বিজ্ঞান কি? বিজ্ঞান কাকে বলে? বিজ্ঞানের অর্থ, সংজ্ঞা, শাখা এবং আবিষ্কারক

বিজ্ঞান কাকে বলে: এই মহাবিশ্বের অর্থাৎ ভৌত জগতে যা কিছু গবেষণাযোগ্য এবং বিশ্লেষণযোগ্য তার ফলাফল সম্পর্কিত জ্ঞানসমূহ এবং সুশৃংখল নিয়ম তান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিজ্ঞান বলে। 

অন্যভাবে বলতে গেলে বিজ্ঞানী মূলত প্রাকৃতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও ব্যাখ্যা করা হয়। আলোচনা এবং ব্যাখ্যা শেষে প্রাপ্ত ফলাফল কে যে জ্ঞান বা পুস্তকে পাঠ করা হয় তাকে বিজ্ঞান বলা হয়। 

বিজ্ঞানের শাখা কয়টি ও কি কি

বিজ্ঞানের মোট শাখা রয়েছে তিনটি। 

১. সামাজিক বিজ্ঞান। 

২. প্রাকৃতিক বিজ্ঞান। 

৩. সাধারণ বিজ্ঞান। 

আরো পড়ুন: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি? 

১. সামাজিক বিজ্ঞান : সমাজ এবং সমাজকর্ম ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত বিজ্ঞানের যে শাখাটি রয়েছে তাকে সমাজবিজ্ঞান শাখা বলা হয়। 

সামাজিক বিজ্ঞান এর শাখাটি অনেক প্রসারিত। এর মধ্যে রয়েছে- জনস্বাস্থ্য, মনোবিজ্ঞান, আইন ভাষাবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মানবীয় ভূগোল,  প্রত্নতন্ত্র, যোগাযোগ বিদ্যা, ইতিহাস, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান ইত্যাদি । 

২. প্রাকৃতিক বিজ্ঞান সাধারণত প্রকৃতির গতিধারার বর্ণনা করে এবং ভবিষ্যৎবাণী করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ইহার মাধ্যমে গবেষণামূলক কার্যক্রম করা হয় এবং তা প্রস্তুত করা হয়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এর মধ্যে রয়েছে দুটি শাখা। 

* জীববিজ্ঞান: যার মধ্যে রয়েছে ,  প্রাণ রসায়ন, জীববিজ্ঞান,  উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণীবিজ্ঞান, আণবিক বিজ্ঞান প্রকৃতি। 

* ভৌত বিজ্ঞান: পরীক্ষা নিরীক্ষা ও গাণিতিক প্রমাণ হিসেবে বিজ্ঞানের কার্যাবলী এখানে সমাধান করা হয়ে থাকে। ভৌত বিজ্ঞানে রয়েছে, জ্যোতি বিজ্ঞান, ভূবিদ্যা,  রসায়ন বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি। 

৩. সাধারণ বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের এ শেখায় বিজ্ঞানের মৌলিক ভিত্তি এবং গণিত নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

সাধারণ বিজ্ঞানের মধ্যে যে শাখা সমূহ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো : পরিসংখ্যান,  কম্পিউটার বিজ্ঞান, গণিত,  যুক্তি ইত্যাদি। 

বিজ্ঞান কাকে বলে

বিজ্ঞান কি বিজ্ঞান কাকে বলে বিজ্ঞানের অর্থ, সংজ্ঞা, শাখা এবং আবিষ্কারক
বিজ্ঞান কি বিজ্ঞান কাকে বলে বিজ্ঞানের অর্থ, সংজ্ঞা, শাখা এবং আবিষ্কারক

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানীর নাম কি?

পাশ্চাত্যের অন্যতম বিজ্ঞানী হলেন বিজ্ঞানী থ্যালিস। ৫৮৫ অব্দে ঘোষনা অনুযায়ী সর্বপ্রথম এই বিজ্ঞানী টি সূর্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত কার্যক্রম দেখিয়েছিলেন। 

পৃথিবীতে সর্বপ্রথম বিজ্ঞানের কার্যক্রম বা আবিষ্কার হিসেবে বিজ্ঞানের সূর্যগ্রহণ দেখিয়েছিলেন। 

এজন্য বিজ্ঞানী পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী বলা হয়ে থাকে। 

তাছাড়া প্রাচীন ভারত এবং মিশরীয় সভ্যতায় বিভিন্ন ধরনের নিদর্শন দেখা যায় সেই মোতাবেক অনুযায়ী প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে বলা যায় না তবে কার্যক্রমের ভিত্তিতে তাকে প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে স্থিকিত দেওয়া হয়েছে। 

আরো পড়ুন: আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে

বিজ্ঞানের আবিষ্কার আমাদেরকে যে যে বিষয় গবেষণা করতে অনুপ্রেরণিত করেছে?

১. মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং তার লিপিবদ্ধকরণ পাশাপাশি তা গবেষণা করার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করেছে। 

২. সমুদ্রের গভীরতম ইতিহাস সমূহ এবং  সমুদ্র গবেষণা করার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করেছে। 

৩. সভ্যতা নির্মাণে এবং তার ধ্বংস করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। 

৪. জীবের সৃষ্টি এবং ধ্বংস আবার নতুন করে ধ্বংস বা সৃষ্টির যে সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম সম্পাদিত হয় তা গবেষণা করার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করে। 

৫. মানুষের চক্ষু দ্বারা কতটুকু কার্যক্রম করতে সক্ষম এবং কতটুকু কার্যকরী তা সম্পর্কে গবেষণা করার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করে। 

৬. আকাশের বিভিন্ন তথ্যাদি এবং ভূগর্ভের তথ্যাদি সম্পর্কে গবেষণা করার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করেছে। 

৭. নতুন ও আধুনিক তথ্যাদি ও যন্ত্রাদি তৈরির ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করে। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button