মেয়েদের কোমর ও তলপেটে ব্যথার কারণ ও প্রতিকার – মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কিসের লক্ষণ
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য রিলেটেড মেয়েদের কোমর ও তলপেটে ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম।
উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদেরকে মেয়েদের কোমর ও তলপেটে ব্যথার কারণ,, সহবাসের পর তলপেটে ব্যথা হয় কেন,, মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হলে কি করনীয়,, মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর ঔষধ,, মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কিসের লক্ষণ,,, ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অথবা বিভিন্ন সময় মেয়েদের তলপেটে ব্যাথা হতে পারে। মেয়েদের তলপেটে বা কোমরে ব্যাথা হলে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং বিভিন্ন রোগের লক্ষন হিসেবে ধরা হয়।
সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ এবং যে সকল ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে হবে এমনকি ব্যাথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কেও জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য।
মেয়েদের কোমর ও তলপেটে ব্যথার কারণ
মেয়েদের কোমর ও তলপেটে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মেয়েদের কোমর ও তলপেটে ব্যথা হওয়ার কারণ সমূহ নিয়ে তুলে ধরা হলো :-
১. মেয়েদের প্রস্রাবের সংক্রমণ হলে তলপেটে ব্যাথা হতে পারে। পাশাপাশি প্রস্রাবের সময় ব্যাথা, জ্বর জ্বর ভাব এমনকি প্রস্রাবে জ্বালা অনুভূত হতে পারে।
২. মেয়েদের মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হওয়া সাধারণত ১০ জনের মধ্যে একজনের খুব বেশি ব্যথা হতে পারে। ফাইব্রয়েড, টিউমার ইত্যাদি থাকলে ব্যাথা হয়।
৩. এপেন্ডিসাইড হলে সাধারণত প্রথমে শুরু হয় নাভির চারদিকে এবং তার দীর্ঘস্থায়ী হয়ে তলপেটে ডান দিকে ব্যথা অনুভূত হয়।
৪. অনেক সময় মেয়েদের ব্রণ জরায়ুতে স্থাপিত না হওয়ার ফলে ডিম্বা নালীতে স্থাপিত হয় এক্ষেত্রে ডিম বানালি ফেটে যেতে পারে। যার ফলে পেটে প্রচন্ড রকমের ব্যথা হতে পারে এমনকি রক্তক্ষরণও হয়ে যেতে পারে।
৫. জরায়ুর আশেপাশে যদি সংক্রমণ হয় তাহলে তাকে প্যালব্যাক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ বলা হয়। এ সমস্যা হলে প্রস্রাব নির্গত হওয়ার জ্বর এবং তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের ফলেও হতে পারে।
৬. মূত্রথলিতে পাথর, আইবিএস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ও তলপেটে ব্যাথা সৃষ্টি হয়।
সহবাসের পর তলপেটে ব্যথা হয় কেন
সহবাসের পর অনেক অনেক সময় অনেক নারীদের তলপেটে ব্যথা হয়। মেডিকেলের বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে ছয়টি কারণ সম্পর্কে জানা যায়। যে ছয়টি কারণে ফলে সহবাসের পর তলপেটে ব্যথা হয়ে থাকে, সেগুলো নিম্নরুপ :-
১. অর্গাজমের সময় পেলভিক ফ্লোরের মাংসপেশির সংকোচন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বৃহদান্তের শেষ অংশ প্রথমে সংকুচিত হয় এবং পরবর্তীতে দাসি তোর হয়ে মাংসপেশির শীতলতা হতে পার। এ ক্ষেত্রে এ সংকুচিত পুরো পরিচিতির নাম হতে পারে তবে সহবাসের পর পেট মোচড় দেয়ার কারণে এ ব্যাথা হতে পার।
২. পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে সহবাস করলে সহবাসের পর পেট মোচার দিতে পারে। এমন অনেক নারী রয়েছে যাদের মাসিক চক্রের বিভিন্ন সময় বেশি বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। তাদের তাদের জন্য স্পর্শকতার স্থানে পেনিসের অতিরিক্ত খোঁচা বা দেখার ফলে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে। ফলে এদের পেটে ব্যথা অনুভূত হয়ে মাসিক চক্রের যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা অধিকাংশ থেকে থাকে।
৩. অন্ত্রের মধ্যে ক্রন্দস বাট ডিজিজ এর মত আন্তরিক সমস্যা সহবাসের পর পেট মোচার কিংবা পেট ব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে।
৪. পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন অর্থাৎ সহবাসের পর কিংবা সহবাসের সময় যদি ব্যথা অনুভূত হয় এমন ৯০ শতাংশ নারীদের এ সমস্যাটি হয়ে থাকে।
৫.ইউটেরাইন ফাইব্রোয়েড ও ওভারিয়ান সিস্ট, যা সাধারণত ক্যান্সার যুক্ত বিভিন্ন ক্যান্সারমুক্ত টিউমারের ফলে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন উপসর্গ বিহীন ভাবেও জরায়ুতে ক্যান্সার যুক্ত টিউমার বা অন্যান্য কারণে ব্যাথা হতে পারে।
৬. অনেক সময় সহবাসের পর ব্যথা হলে মারাত্মক মেডিকেল সমস্যার লক্ষণ দেখা দেয় যাদেরকে অবহেলা করা যাবে না। কারণ এগুলো হলো এন্ডোমেট্রিয়োসিস। যা তল পেট ব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে।
মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হলে কি করনীয়
মেয়েদের তলপেটে যদি তীব্র ব্যাথা হয় তাহলে তা অবহেলা করা উচিত নয়। কেননা মেয়েদের তলপেটে যদি ব্যথা হয় তাহলে ব্যাপার স্থায়িত্ব কিংবা তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে পারে ফলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিমনালীতে ব্রণ বা গর্ববাদের ব্যাথা ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কখনোই প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না। অবশ্যই প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে প্রস্রাব করে মূত্রথলি খালি করতে হবে এবং ব্যক্তিগত সকল পরিছন্নতা করা জরুরী।
মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর ঔষধ
মেয়েদের তলপেটে ব্যাথা হলে বেকার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন চিকিৎসক বিভিন্ন ব্যথার ওষুধ প্রদান করে থাকে। তবে তলপেটে ব্যথা ট্যাবলেট বা ওষুধ এর ক্ষেত্রে মাসিকের সময় যদি প্রচন্ড তলপেটে ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে এলজিন একটি কার্যকরী ঔষধ।
এছাড়াও রয়েছে প্যাসিফিক ফার্মা লিমিটেডের, → HPR-DS Tablet-টি (500 mg),,
মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হলে আপনারা উক্ত ওষুধটি সেবন করতে পারেন। ঔষধ টি সেবন করার সাথে সাথে গ্যাসের ট্যাবলেটও খেতে হবে।
মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কিসের লক্ষণ
মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হলে তা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হলে সেটাকে মাসিকের কিংবা সহবাসের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হিসেবে বলা যায়।
➡তলপেটে ব্যথা প্রস্রাবের সংক্রমের লক্ষণ,,,
➡তলপেটে ব্যাথা ফাইব্রয়েড কিংবা টিউমারের লক্ষণ হতে পারে,,
➡তলপেটের ব্যাথা অ্যাপেন্ডিসাইডের লক্ষণ হতে পারে,,
➡মেয়েদের জরায়ুতে বিভিন্ন সমস্যা বা ব্রণ চরাইতে ডিমোনালি ইত্যাদিও সমস্যার কারণে রক্তক্ষরণ এবং তলপেটে ব্যাথা হতে পারে,,
➡তলপেটে ব্যথা প্যালবেট ইনফ্লামেটরি ডিসিস বা জরায়ুর সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে,,,
➡তলপেটে ব্যাথা কোষ্ঠকাঠিন্য আইডিএস মূত্রথলির পাথর ইত্যাদি রোগের লক্ষণ হতে পারে,,,
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে মেয়েদের কোমর ও তলপেটে ব্যথার কারণ,,, সহবাসের পর তলপেটে ব্যথা হয় কেন,, মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হলে কি করনীয়,,, মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর ঔষধ,,, মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কিসের লক্ষণ,,,, ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে মেয়েদের কোমর এবং তলপেটে ব্যাথা হওয়ার কারণ, করণীয়, লক্ষণ, ঔষধ,, ইত্যাদি সম্পর্কে যথাযথভাবে জানার মাধ্যমে আপনার উপকৃত হতে পেরেছেন।