সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়,, সর্দি হাঁচি থেকে মুক্তির উপায়,, নাকের সর্দি কমানোর উপায়,, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ঋতু পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময়ে সর্দি কাশি সহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়দের ও সর্দি কাশি হয়ে থাকে।
তাই সর্দি কাশি থেকে মুক্তির উপায়, সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়,, ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে। এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে, তা অবলম্বন করে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
গ্রীষ্ম বর্ষা এবং শীত মৌসুমে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। সর্দি থেকে মুক্তির জন্য ঘরোয়া উপায় হলো উৎকৃষ্ট উপায়। সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সমূহ নিম্নরূপ :-
দুধ ও হলুদ :- সাধারণত যে কোন বয়সেই দুধ সমান উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে তা পান করুন। হলুদের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এর গুন এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণ, যার ফলে খুব সহজে সংক্রমণ রোধ করা যায়। এর ফলে সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আদা চা :- সর্দি কাশি দূর করার জন্য আদা চা হলো একটি উৎকৃষ্ট পন্থা। আদা কচি গরম পানির সাথে কিংবা গরম চায়ে দিয়ে আপনি পান করতে পারেন। এর ফলে সর্দি-কাশির সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে।
লেবু ও মধু :- মধু এবং লেবুর মিশ্রণটি আদা চায়ের মত খুবই উপকারী। আপনি এক গ্লাস পরিমান গরম পানিতে ২ চা চামচ পরিমাণ মধু এবং এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সর্দি কাশি থেকে রেহাই পাবেন।
তুলসী পাতা ও আদা :- এক কাপ পরিমাণ পানিতে কয়েকটা তুলসী পাতা এবং তার সাথে আদা কুচি ফেলে দিয়ে ফুটাতে থাকুন। পানি অর্ধেক পরিমাণ ফোটে গেলে তখন নামিয়ে নিন এবং সেটি অন্তত দুইবার পান করলে আপনার সর্দি-কাশি কমে যাবে ।
রসুন:- রসুনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ফলে এটি সর্দি-কাশির মোকাবেলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে এন্টিফাঙ্গা, এন্টি ভাইরাল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। যা সংক্রমণ রক্তে সহযোগিতা করে।
সর্দি হাঁচি থেকে মুক্তির উপায়
সর্দি হাঁচি থেকে মুক্তির বিভিন্ন উপায় গুলোর মধ্যে ঘরোয়া উপায়ে রয়েছে। এছাড়াও কিছু চিকিৎসাও রয়েছে। নিচে সর্দি হাঁচি থেকে মুক্তির উপায় গুলো তুলে ধরা হলো :-
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন।
২. আপনার শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখুন।
৩. প্রচুর পরিমানে পানি খান। পানি খাওয়ার পাশাপাশি আপনি তরল জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেতে পারেন। যেমন :- চিড়া পানি, ফলের জুস, ডাবের পানি,, ইত্যাদি। যার ফলে আপনার শরীরে রক্তশূন্যতা দূর হবে।
৪. হাঁচি উপশমের জন্য আপনি মধু খেতে পারেন। তবে এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ পরামর্শটি প্রযোজ্য নয়।
৫. এছাড়াও এ সময় গলা ব্যথা হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনি লবণ মেশানো কুসুম গরম পানি দিয়ে গড় গড় করুন। ছোট শিশুরা ঠিকমত গড়গড় করতে পারে না তাই তাদের ক্ষেত্রে উক্ত পরামর্শটি প্রযোজ্য নয়।
৬. অনেকে মনে করেন ভিটামিন সি রসুন ও একনেশিয়া নামের হারবাল সমৃদ্ধ ওষুধ খেলে সর্দিহাটি প্রতিরোধ করা যায়। তবে এর পক্ষে তেমন কোন প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
নাকের সর্দি কমানোর উপায়
নাকের সর্দি কমানোর উপায় গুলো হলো :-
১. আপনি এক লিটার পরিমাণ পানি ভালো করে ফুটিয়ে তার সাথে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে নিন। এরপর আপনি তোয়ালে দিয়ে মুখ দেখে ভাপ নিন। এই কাজটি করার ফলে আপনি কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার নাকের বন্ধ খুলে যাবে তারা পাশাপাশি মাথা ব্যাথা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উপশম হবে।
২. আপনি এক গ্লাস পরিমাণ পানির সাথে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এবার আপনি নাক দিয়ে পানিটি ডেলের ভিতরে প্রবেশ করাতে পারে। যদি আপনি চান তাহলে দিনে দুইবার কিংবা তিনবার এ কাজটি করতে পারেন ।
এছাড়াও আপনি চাইলে ড্রপ এর মাধ্যমে এটি ব্যবহার করতে পারেন, তবে পরিমাণ হবে দুই থেকে তিন ফোঁটা তার বেশি নয়। এভাবে আপনার নাকের নিয়ে কাজ পদার্থগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন টক্সিন দূর হওয়ার মাধ্যমে সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩. যেকোনো একটি পাত্রে আপনি গরম পানি নিয়ে তার সাথে মাইক্রো ফাইবার তোয়ালে কিংবা রুমাল ডুবিয়ে ভালো করে চিপে নিন। এরপর আপনি রুমালটি নাকে বা মুখে দিয়ে 5 থেকে 10 মিনিট রেখে দিন। উক্ত প্রক্রিয়াটি তিন অথবা চার বার করুন। এক্ষেত্রে আপনার নাকের বন্ধ বাপ কেটে যাবে এবং স্বস্তি ফিরে পাবেন পাশাপাশি নাকের সর্দি কমে যাবে।
৪. গরম পানির সাথে আপনি একটা চামচ পরিমাণের আপেল ফিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। ভিনেগার থাকার ফলে এসিটিক এসিড ও পটাশিয়াম বন্ধ না খুলতে এবং বুকের কফ দূর করার ক্ষেত্রে এমনকি ভাইরাল দূর করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে।
৫. সর্দি থেকে মুক্তির অন্যান্য উপায়ের সাথে রয়েছে গরম পানির সাথে মিশ্রিত করে পুদিনা পাতার একটি অন্যতম ব্যবহার। একটি পাত্রে গরম পানি এবং তার সাথে কিছু পরিমাণ পুদিনা পাতায় নিয়ে পাত্রটি কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। পরবর্তীতে আপনি তোলার কম আঁচে ব্যবহার করে পাঁচ থেকে দশ মিনিট সেদ্ধ করে পানি টি গরম করুন।
এই পানিতে আপনি দিনে দুইবার চায়ের মত করে খেতে পারেন। ইয়ার ফলে পুদিনা পাতার উক্ত পানীয়টি আপনার বুকের প্রভাব আমার বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করে এবং সর্দির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট উপাদান হিসেবে সহযোগিতা করে।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়, সর্দি হাঁচি থেকে মুক্তির উপায় এবং নাকের সর্দি কমানোর উপায়,, ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি। আশাকরি,, আমাদের পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এ সম্পর্কে জেনে উপকৃত হতে পারবেন।