জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদ, জলবায়ু পরিবর্তনের মানবসৃষ্ট কারণ,
জলবায়ু পরিবর্তন কি ?
জলবায়ু পরিবর্তন হলো পৃথিবীর জলবায়ু সিস্টেমে ঘটমান পরিবর্তনগুলির মোটামোটি সমগ্র প্রভাব।
জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষত পৃথিবীর জলের পরিমাণ, জলের উপস্থিতি এবং জলের গতি সহ পৃথিবীর জলবায়ু সিস্টেমে ঘটমান পরিবর্তনের সমস্ত ক্ষেত্রে ঘটমান পরিবর্তনের বর্ণনা করে।
এটি বিভিন্ন কারণে প্রভাবিত হতে পারে, যেমন অর্থনৈতিক, প্রাকৃতিক এবং মানববিজ্ঞানী কারণগুলি।
জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রমুখ কারণ হলো পারমাণবিক ও জৈব উৎসগুলির ব্যবধান বা সংখ্যার পরিবর্তন।
উদাহরণস্বরূপ, জাগতিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হিমনদের ক্ষেত্রে শীতল জলের উপস্থিতি কমে যায়।
এবং মরুভূমির জলের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এছাড়াও পারমাণবিক উৎস মহানগর জীবাশ্ম ফোসিল ইত্যাদির
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রাকৃতিক এবং মানবিক পরিবেশে একটি ব্রড রেঞ্জ অধীনে ঘটে। এর মধ্যে কিছু প্রধান প্রভাব নিম্নলিখিত হতে পারে:
তাপমাত্রা পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের একটি মুখ্য প্রভাব হলো তাপমাত্রার পরিবর্তন। সেলসিয়াস্টে জলবায়ু পরিবর্তন বিন্যাসের মাধ্যমে এলোমেলো তাপমাত্রা পরিবর্তন ঘটায়।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা পরিবর্ধনের ফলে হিমনদের ক্ষেত্রে জলের উপস্থিতি পরিবর্ধিত হতে পারে, যেমন হিমনদ গলন ও হিমনদ বিস্থাপন।
সমুদ্রী স্তরের উচ্চতা: গ্লেশিয়ার উচ্চতা পরিবর্ধিত হলে মহাসাগরের সমুদ্রী স্তরের উচ্চতা পরিবর্ধিত হয়।
এটি উপনগরীয় অঞ্চলগুলির জলস্তরে পরিবর্ধিতি আরও ভারী অন্তর্ভুক্ত করে।
এটি পৃথিবীর তল স্তরের জলের পরিমাণের পরিবর্ধনের ফলে জলের উপস্থিতি ও জলের বিভিন্ন বান্ধব প্রভাব পায়।
বন্যার পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তন বন্যার ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রা, মেঘলা পড়া, বৃষ্টির পরিমাণের পরিবর্তন ইত্যাদি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা ও নদীর প্রবাহে পরিবর্তন হয়ে উঠতে পারে।
এটি অস্বাভাবিক জলপ্রবাহ, প্রবাহের পরিবর্তন, জলাবদ্ধতা পরিবর্তন এবং অপ্রাকৃতিক বন্যাপ্রবাহের উৎপত্তির কারণ হতে পারে।
জৈববৈপ্লব: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জৈববৈপ্লব পরিবর্তিত হয়।
উচ্চ তাপমাত্রা ও অতিরিক্ত বৃষ্টি জৈবিক প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত হয়ে জৈব জগতে পরিবর্তন সৃষ্টি করে।
পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে জলবায়ুসংক্রান্ত রোগ, পোকা এবং উদ্ভিদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
অধিকতম পানির উচ্চতা ও অপ্রাকৃতিক জলবায়ু পরিবর্তন: পানিতে প্রাকৃতিক ও মানবিক প্রভাবের ফলে সমুদ্র স্তরের আরও উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
এটি উপনগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রী পানির অনুপাতে পরিবর্ধিতি সৃষ্টি করে।
এছাড়াও মানবিক কারণে জলের অপ্রাকৃতিক প্রবাহ যেমন স্বর্ণসিন্ধু, জলাপৃষ্ঠের বাধা বা ডিমবন্ধক ইত্যাদি পরিবর্তনের ফলে প্রভাবিত হয়।
এগুলি মানবজনিত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখায়।
এদের মধ্যে কয়েকটি পরিবর্তন হতে পারে বিশেষত আন্তর্জালিক পরিবেশের জীবজগতে মারাত্মক প্রভাবে।
জলবায়ু পরিবর্তন সাধারণত তাপমাত্রা বৃদ্ধি, মহাসাগরের সমুদ্রী স্তরের উচ্চতা,
জৈববৈপ্লব, বন্যা, জলাবদ্ধতা ও অপ্রাকৃতিক প্রবাহের রূপে প্রকাশ পায়।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (প্রবপ) বাংলাদেশের সরকারী একটি মন্ত্রণালয় যা পরিবেশ বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে নীতি নির্ধারণ ও নৈতিক নির্দেশনা প্রদান করে।
এটি প্রধানত পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু প্রশাসন, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, এক্সপ্লোরেশন এবং পরিবেশ ও বন সম্পদের মানবিক ও অর্থনৈতিক মানদণ্ড সংগ্রহ ও উন্নয়ন সম্পর্কিত কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যালয় ঢাকা শহরে অবস্থিত। মন্ত্রণালয়টি দ্বারা বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন সম্পদের মানদণ্ড নির্ধারণ,
পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন, বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু সংক্রান্ত পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ, বন সংগ্রহ ও সংরক্ষণ।
জলবায়ু পরিবর্তনের সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ, পরিবেশ সংযোগপ্রতিরোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়তা,
পরিবেশ বিষয়ক বিশ্বব্যাংক বা অন্যান্য আন্তঃস্থানিক এবং আন্তঃসরকারী সংস্থা সংগঠনে সহায়তা ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু সম্পদের মানদণ্ড নির্ধারণ এবং বাণিজ্যিক,
আবাসিক, সমাজসেবা ও পরিবেশ সংরক্ষণের উন্নয়নের জন্য নীতি, পরিকল্পনা, নৈতিক নির্দেশনা ও কার্যক্রম তৈরি ও প্রচালনা করা।
এটি পরিবেশ বন ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার ও সমস্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর, প্রতিষ্ঠান,
বিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা সংযোজন করে।
জলবায়ু পরিবর্তন হলো পৃথিবীর জলবায়ু সিস্টেমে ঘটমান পরিবর্তনগুলির মোটামোটি সমগ্র প্রভাব।
জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীর তাপমাত্রা, বাতাসের পরিমাণ ও দিক, বৃষ্টির পরিমাণ ও নিম্নতা, মেঘলা, সমুদ্রী স্তরের উচ্চতা, জলাবদ্ধতা,
ওজন ও সামান্য অপরিবর্তিত পরিমাণ জলের উপস্থিতি সহ অনেক উপাদানের পরিমাণ ও উপস্থিতি পরিবর্তিত হয়।
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীপথ, বন্যা, জৈবিক বৈপ্লব, ওষুধ ব্যবসায়, মানব সমাজের জীবনপ্রণালী,
খাদ্য সৃষ্টিকর্তা সমূহের সংখ্যা ও উত্পাদন সহ অনেক সেক্টরে পরিবর্তন ঘটতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ দুটি উদাহরণ হলো গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং সমুদ্রী স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিরিক্ত গ্রীষ্মকাল এবং তাপমাত্রার বৃদ্ধির ফলে হিমনদের গলন ও হিমনদ বিস্থাপনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
এর ফলে বৃষ্টির পরিমাণ ও বিন্যাস পরিবর্তিত হয় এবং সমুদ্রী স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
গ্লেশিয়ার উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে মহাসাগরের সমুদ্রী স্তরের উচ্চতা পরিবর্ধিত হয় এবং উপনগরীয় অঞ্চলে জলের উপস্থিতি পরিবর্ধিত হয়।
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন বন্যার ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে এবং বন্যাপ্রবাহের পরিমাণ, পথ ও অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে।
এছাড়াও প্রাণিসমূহের জীবনপ্রণালী, জলপ্রবাহ বাণিজ্য ও পরিবেশের অন্যান্য সম্পদের প্রভাব পায় জলবায়ু পরিবর্তন।
জলবায়ু পরিবর্তনের মানবসৃষ্ট কারণ
জলবায়ু পরিবর্তনের মানবসৃষ্ট কারণগুলি একাধিক।
- মানব কার্যকলাপ,
- প্রযুক্তির উন্নয়ন,
- উদ্ভাবনী কারখানা,
- বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক কর্মকান্ড,
- পরিবহনের ব্যবহার,
- বিদ্যুৎ উৎপাদন,
- উর্বরতা ও বাসস্থান নির্মাণ,
জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও আবাসভূমি নির্মাণ এবং কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি এমন
কারণগুলি যেগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে মানবের প্রভাব বিস্তারিত করে।
নিচে কিছু মানবসৃষ্ট কারণ উল্লেখ করা হলো:
ফোসিল ইতিহাসের পাতা প্রক্রিয়া: ফোসিল ইতিহাসে অতিরিক্ত কার্বন উদ্ধার এবং বিষাক্ত জীবনশৈলীর সংক্রমণের ফলে,
কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন গ্রীষ্মকালীন অ্যারোসোল মিশ্রণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন হয়।
বাংলাদেশে অনেক অংশে তৈরি হওয়া পেট্রোলিয়াম এবং ন্যাচারাল গ্যাসের খননও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
বন্যা বন্ধন: বন্যাপ্রবাহের পথ পরিবর্তন হয়ে থাকলে বন্যার ঘটনা বৃদ্ধি পায়।
বন্যাপ্রবাহ পরিবর্তনের মাধ্যমে নদীর পাথর পথের পরিবর্তন, চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় শিপগুলোর মুখের পরিবর্তন ও পুনঃনির্মাণ,
অব্যবহিত ভূমিতে উদ্ভাবিত উপকরণ ও বিন্যাস এবং অভিশাপক অস্থায়ী বন্যা বাঁধ নির্মাণ সম্ভব।
জলবায়ু
বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পানির ব্যবস্থা: পানির নির্যাতন বা অপব্যবহার, কলেজ ও বিদ্যালয় স্থাপনের ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর অস্থায়ী উপকরণ ব্যবহার,
প্রয়োজনীয় পানির অভাব এবং পানির নদী এবং উপনগরের জলাবদ্ধতার নিয়ন্ত্রণহীনতার জন্য বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।
উদ্ভাবিত বাণিজ্যিক কারখানা: কারখানা, শিপগুলি, পানির পাম্প স্টেশন, পানির পাম্প স্টেশন, শহর নির্মাণ ও বাসস্থান নির্মাণ এবং পানিতে রাসায়নিক পদার্থের পাওয়ার সংক্রমণের ফলে ব্যবসায়িক কারখানা উদ্ভাবিত হলে জলবায়ু পরিবর্তন হতে পারে।
পরিবহনের ব্যবহার: মার্গের বিপরীত পথ ব্যবহার, যাতাযাতে পরিবহনের ব্যবহার, যাতাযাত সংস্থাগুলির অন্যতম বিপজ্জনক উপকরণ ব্যবহার এবং পরিবহন যন্ত্রপাতি
এবং ইঞ্জিনের কারণে বিষাক্ত গ্যাসের সারিয়ে গেছে বা বিজ্ঞানসহজীকরণের ফলে গ্রীষ্মকালীন অ্যারোসোল এবং পরিবাহ পানি সম্পর্কিত ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
এগুলো কেবলমাত্র কিছু উদাহরণ, যেসব মানবসৃষ্ট কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রভাবিত হতে পারে।
এছাড়াও আরও অনেক উপাদান এবং কারণ আছে যা এই তথ্যের বাইরে পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি
জলবায়ু পরিবর্তন অনুশীলনে পরিবেশ বিজ্ঞান, জলবায়ু বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং বায়োলজি সম্পর্কিত অনেক অনুশীলন এবং গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন হলে পৃথিবীর জলের ওপর বা জমিতে ঘটা পরিবর্তন যা আমাদের পরিবেশ ও মানবজীবনে প্রভাব ফেলে।জলবায়ু পরিবর্তন অন্যান্য পরিবর্তনের সাথে মিশে মানবসম্প্রদায়, প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব ফেলে।