রেখা কাকে বলে- নিরপেক্ষ, সমান্তরাল, সরল, লম্ব রেখার বৈশিষ্ট্য এটি উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের মাধ্যমে ধার্য হয় এবং উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে কোণের সাপেক্ষে অর্ধেক সরায় যায়।
রেখাংশ কি
রেখাংশ (অক্ষাংশ) হল ভূমির উপর গড়ে তুলে থাকা একটি প্রান্তরেখা যা ভূমিকে পূর্ণভাবে দ্বিপদী সমতলে অবস্থান করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এটি উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের মাধ্যমে ধার্য হয় এবং উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে কোণের সাপেক্ষে অর্ধেক সরায় যায়।
রেখাংশ উত্তর থেকে দক্ষিণ গোলার্ধের মাধ্যমে মাপা হয়, যার উপরে উত্তর ও দক্ষিণের পরিমাণগুলি মাপা হয় এবং অন্যান্য মাপের সাথে তুলনা করে নেওয়া হয়।রেখাংশ মূলত ব্যবহার হয় মানচিত্রের স্থানাঙ্ক নির্ধারণে এবং নৌ-নির্দেশক এলাকায় নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুন: সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র
রেখা কাকে বলে | রেখা ও রেখাংশ কাকে বলে
রেখা হল সীমিত দুটি বিন্দুর মধ্যে সরল সংযোজিত সরলরেখা।
রেখা কেবল দুটি বিন্দুর সংযোগ দ্বারা গঠিত হয় এবং সরলতা বজায় রাখা হয়।
রেখা দুই বিন্দুর মধ্যে একটি সরল স্থানাংক সমবেগে যেতে পারে।
আরেকটি পরিভাষা হল রেখাংশ। রেখাংশ হল ভূমির উপর গড়ে তুলে থাকা একটি প্রান্তরেখা যা ভূমিকে পূর্ণভাবে দ্বিপদী সমতলে অবস্থান করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এটি উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের মাধ্যমে ধার্য হয় এবং উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে কোণের সাপেক্ষে অর্ধেক সরায় যায়।
রেখাংশ উত্তর থেকে দক্ষিণ গোলার্ধের মাধ্যমে মাপা হয়, যার উপরে উত্তর ও দক্ষিণের পরিমাণগুলি মাপা হয় এবং অন্যান্য মাপের সাথে তুলনা করে নেওয়া হয়। রেখাংশ মূলত ব্যবহার হয় মানচিত্রের স্থানাঙ্ক নির্ধারণে এবং নৌ-নির্দেশক এলাকায় নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুন: সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র
রশ্মি ও রেখাংশ কাকে বলে
রশ্মি হল আলোর প্রকাশ বা বিকিরণের একটি অংশ বা চিহ্নিত বায়ুমণ্ডল থেকে অন্য মধ্যমে প্রবেশ করতে পারে,
এবং তার পথ প্রকাশ বা বিকিরণের উত্সর্গ এবং প্রবেশের দিক অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
রশ্মি অনেক রকমের হতে পারে, যেমন সূর্যের রশ্মি, বৈদ্যুতিক রশ্মি, রেডিও রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ রশ্মি, গামা রশ্মি, ইত্যাদি।
আরেকটি পরিভাষা হল রেখাংশ। রেখাংশ হল ভূমির উপর গড়ে তুলে থাকা একটি প্রান্তরেখা যা ভূমিকে পূর্ণভাবে দ্বিপদী সমতলে অবস্থান করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এটি উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের মাধ্যমে ধার্য হয় এবং উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে কোণের সাপেক্ষে অর্ধেক সরায় যায়।
রেখা কত প্রকার ও কি কি
রেখা বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত হতে পারে এবং সাধারণত নিম্নলিখিত প্রকারে বিভক্ত হয়:
- সরল রেখা: এটি সরল এবং অসীমিত দুটি বিন্দুর সংযোগে গঠিত হয়। এটি কেবল একটি মাপ আরেকটি বিন্দুর সাথে সংযোগ করে।
- বিন্দু রেখা: এটি সরল রেখার একটি বিশেষ মাধ্যমিক প্রকার। এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর উপর উপস্থিত হয়।
- অন্তর্ভুক্ত রেখা: এটি একটি সরল রেখার একটি অংশ যা দুটি বিন্দুতে এক্সপ্লিসিটলি অন্তর্ভুক্ত হয়।
- সেক্টর রেখা: এটি দুটি বিন্দুর সংযোগ দ্বারা গঠিত হয় এবং একটি সেক্টরের সীমানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
- বিকম্ব রেখা: এটি সরল রেখার একটি অংশ যা দুটি বিন্দুতে বিকম্বিত হয়। এটি একটি বক্র রূপ ধারণ করে।
- সমান্তরাল রেখা: এটি সরল রেখাদ্বয়ের উপর উপস্থিত হয় এবং এদের মধ্যে কোনো বিন্দু সংযোগ করে। এই রেখাগুলি একই দিকে এবং সমান দূরত্বে অবস্থিত থাকে।
- আঁকা রেখা: এটি পরিসরের সীমানা হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি একটি বাঁকানো রূপ ধারণ করে।
এগুলি হল কেবল কিছু সাধারণ রেখা প্রকার। অন্যান্য বিশেষ রেখা প্রকারগুলি ও উল্লেখযোগ্য।
ভৌগোলিক রেখাগুলি রয়েছে যেমন বৃহত্তম রেখাংশ, ব্যাক্তিগত রেখাংশ, উচ্চতম রেখাংশ, কার্যকর রেখাংশ ইত্যাদি।
রেখার বৈশিষ্ট্য | রেখার তিনটি বৈশিষ্ট্য
রেখাংশের বৈশিষ্ট্য
রেখাংশের কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত ভাবে উল্লেখযোগ্য:
- দৈর্ঘ্য: রেখাংশের দৈর্ঘ্য হল দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব। এটি প্রকাশ করা হয় সরল মাপ এককে যেমন সেমিটার (m) বা ফুট (ft)।
- উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধ: রেখাংশ উত্তর গোলার্ধ থেকে দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে অবস্থান করে। উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে কোণের সাপেক্ষে সরায়।
- বিভক্ত কর্ণ: রেখাংশ দুটি বিন্দুকে অনুবন্ধ করে এবং বিন্দুর উপর উপস্থিত করা হয়। এই কর্ণগুলির উপর রেখাংশ সমান্তরাল হয়।
- নিউমেরিক মান: রেখাংশ উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের মাধ্যমে মাপা হয়। এই মানগুলি অন্যান্য মাপের সাথে তুলনা করে নেওয়া হয়।
- উপযুক্ততা: রেখাংশ মানচিত্রে ব্যবহার করা হয় স্থানাঙ্ক নির্ধারণে, নৌ-নির্দেশক এলাকায় নির্দেশ দেওয়ার জন্য, রেখাগুলির মধ্যে কোণের মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিকের তাল মাপার জন্য ইত্যাদি।এগুলি হল কিছু প্রায়শই মাপিত বৈশিষ্ট্যগুলি, যা রেখাংশ নির্দেশ করে।
আরো পড়ুন: আয়তক্ষেত্রের নির্ণয়ের সূত্র
নিরপেক্ষ রেখার বৈশিষ্ট্য
নিরপেক্ষ রেখা বা সমান্তরাল রেখা এমন রেখা যা আরেকটি রেখার সাথে সমান দূরত্বে এবং একই দিকে অবস্থিত থাকে। নিরপেক্ষ রেখার কিছু বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নলিখিত:
- সমান দূরত্ব: নিরপেক্ষ রেখা একটি রেখার সাথে সমান দূরত্বে অবস্থিত থাকে। মানে, যখন আমরা একটি রেখা থেকে দূরত্ব মাপবো, তখন আরেকটি রেখা থেকে দূরত্বও একই হবে।
- সাপেক্ষে সমান কোণ: নিরপেক্ষ রেখার সাপেক্ষে রেখাগুলি পরস্পরের সাথে সমান কোণ উপস্থাপন করে।
- অসীমিত: নিরপেক্ষ রেখার দৈর্ঘ্য সমান্তরাল রেখাদ্বয়ের মধ্যে অসীমিত। এটি কোনো পরিমাণ দৈর্ঘ্য নিয়ে সীমাবদ্ধ নয়।
- সমান দিকে স্থানান্তর: নিরপেক্ষ রেখা একই দিকে অবস্থান করে এবং সাপেক্ষে সমান দূরত্বে একে অন্যের সাথে স্থানান্তর করে।
- সমান্তরাল প্রকাশ করে: নিরপেক্ষ রেখা সমান্তরাল রেখাদ্বয়ের সাথে সমান্তরাল ব্যবস্থাপন করে এবং তাদের মধ্যে কোনো বিন্দুতে ছেড়ে যায় না।
নিরপেক্ষ রেখাগুলি গোলার্ধের পরিপাক সম্পর্কে কোনও বল্লব নেই।
এটির উপযুক্ততা ভৌগোলিক মানচিত্র নির্মাণ, জ্যামিতি, প্রোগ্রামিং, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্প এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলিতে প্রযোজ্য।
সমান্তরাল রেখার বৈশিষ্ট্য
সমান্তরাল রেখা গুলির কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত:
- সমান দূরত্ব: সমান্তরাল রেখা গুলি পরস্পরের সাথে সমান দূরত্বে অবস্থিত থাকে। যেমন, যখন আমরা একটি সমান্তরাল রেখা থেকে একটি বিন্দুতে দূরত্ব মাপবো, তখন আরেকটি সমান্তরাল রেখা থেকে সেই বিন্দুতেই দূরত্ব হবে।
- সাপেক্ষে সমান কোণ: সমান্তরাল রেখা গুলি পরস্পরের সাথে সমান কোণ উপস্থাপন করে। এটি বুঝায় যে সমান্তরাল রেখাগুলি একই দিকে সমান উচ্চতায় অবস্থিত থাকে।
- অসীমিত: সমান্তরাল রেখাগুলির দৈর্ঘ্য একই হলেও এগুলি কোনো পরিমাণ দৈর্ঘ্য নিয়ে সীমাবদ্ধ নয়। এটি অসীমিত দৈর্ঘ্য ধারণ করে এবং সমান্তরাল রেখা গুলি একটি অপরকে ছেড়ে যায় না।
- সমান দিকে স্থানান্তর: সমান্তরাল রেখা গুলি একই দিকে অবস্থান করে এবং সাপেক্ষে সমান দূরত্বে একে অন্যের সাথে স্থানান্তর করে।
- অপরিবর্তিত: সমান্তরাল রেখা গুলি কোনো পরিবর্তন না করে সরাসরি একটি সরল পথে অবস্থিত থাকে। এটি অপরিবর্তনশীল এবং যেকোনো বাঁকাবাজী করে না।সমান্তরাল রেখাগুলি গোলার্ধের পরিপাক সম্পর্কে কোনো বল্লব নেই।
এগুলির উপযুক্ততা জ্যামিতি, গণিত, ইঞ্জিনিয়ারিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কম্পিউটার গ্রাফিক্স এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলিতে প্রযোজ্য
আরো পড়ুন: সন্নিহিত বাহু কি
সরল রেখার বৈশিষ্ট্য
সরল রেখা বা সরাসরি রেখা গুলির কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত:
- নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য: সরল রেখা একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যে অবস্থিত থাকে। এটি কোনো পরিমাণ দৈর্ঘ্য নিয়ে সীমাবদ্ধ হয় এবং সেই দৈর্ঘ্য ধারণ করে।
- স্থিতিশীল: সরল রেখা সরাসরি একটি সরল পথে থাকে এবং যেকোনো বাঁকাবাজী করে না। এটি একটি স্থিতিশীল আদর্শ রেখা হয়।
- সমান কোণ: সরল রেখা গুলি পরস্পরের সাথে সমান কোণ উপস্থাপন করে। এটি বুঝায় যে সরল রেখা গুলি একই দিকে সমান উচ্চতায় অবস্থিত থাকে।
- অসীমিত: সরল রেখা গুলির দৈর্ঘ্য অসীমিত হতে পারে। এটি কোনো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নিয়ে সীমাবদ্ধ নয়।
- নির্দিষ্ট অবস্থান: সরল রেখা একটি নির্দিষ্ট অবস্থায় অবস্থিত থাকে। এটি নির্দিষ্ট একটি মানচিত্রিক অথবা স্থানিক পয়েন্টে শুরু হতে পারে।
সরল রেখাগুলি জ্যামিতি, গণিত, পুরক গণিত, ভৌতত্ত্ব, প্রোগ্রামিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কম্পিউটার গ্রাফিক্স এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলিতে ব্যবহার হয়।
আরো পড়ুন: বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে
লম্ব রেখার বৈশিষ্ট্য
লম্ব রেখা বা সেমিপারাল রেখা গুলির কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত:
- লম্বতা: লম্ব রেখা একটি সরল রেখা হয় যা অন্য একটি রেখার সাথে লম্ব কোণে ছেড়ে যায়। লম্ব রেখার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে লম্ব উপরের বা নীচের দিকে পরিলক্ষিত করা হয়।
- স্থিতিশীল: লম্ব রেখা সরাসরি একটি সরল পথে থাকে এবং যেকোনো বাঁকাবাজী করে না। এটি স্থিতিশীল হয় এবং সরল রেখাগুলির মধ্যে সমান দূরত্ব বজায় রাখে।
- সমান কোণ: লম্ব রেখা গুলি পরস্পরের সাথে সমান কোণ উপস্থাপন করে। এটি বুঝায় যে লম্ব রেখাগুলি একই দিকে সমান উচ্চতায় অবস্থিত থাকে।
- স্থানান্তর: লম্ব রেখাগুলি একটি রেখার সাথে সমান দূরত্বে স্থানান্তর করে। এটি সরল রেখাগুলির মধ্যে অবস্থান পরিবর্তন সম্পর্কে স্পষ্টতা রয়েছে।
লম্ব রেখাগুলি জ্যামিতি, গণিত, ইঞ্জিনিয়ারিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, পুরক গণিত, সম্পদ গণিত, কম্পিউটার গ্রাফিক্স এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলিতে ব্যবহার হয়।
মূল কথা: রেখাংশ একটি গঠিত অংশ বা উপাদান যা সরল রেখার দৈর্ঘ্যকে বিভক্ত করে। অর্থাৎ, একটি সরল রেখার উপর অন্য একটি সরল রেখা সংযুক্ত থাকলে সেই সংযোগকে রেখাংশ বলে। রেখাংশ হল সরল রেখার একটি অংশ বা খণ্ড।