কুলম্বের সূত্র কি
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে কুলম্বের সূত্র কি? সে সম্পর্কে জানতে পারবেন, আপনি যদি এ সম্পর্কে জানতে চান,তবে অবশ্যই পোস্টটি শেষ অব্দি পড়তে থাকুন।
কুলম্বের সূত্র কি
প্রাচীন ভূ-মধ্যসাগরীয়রা ভাবতো যে,রডের আম্বর নিশ্চিত বস্তু, যা বিড়ালের লোমের সঙ্গে ঘর্ষন করার মাধ্যমে পালকের মতো বস্তুকে আকর্ষণ করে থাকে।
মিলিটাসের বিজ্ঞানী থেলাস ৬০০ শতাব্দির সময় স্থির তড়িৎ এর ধারা তৈরী করার এক পর্যবেক্ষণ শুরু করেন ও তিনি বিশ্বাস করতেন যে ঘর্ষণ অনুষ্ঠিত আম্বর চুম্বকীয়।
অন্যভাবে খনিজ পদার্থ চুম্বকীয় তবে যার ঘর্ষণের দরকার নেই। থেলাস এর ধারণা এক দম ভুল ছিল, সে বিশ্বাস করত যে এমন আকর্ষণের ফলে হল চুম্বকীয় প্রভাবের কারণে।
কিন্তু, আবার পরবর্তীতে বিজ্ঞান চুম্বক তারপর তড়িৎ এর দ্বারা সম্পর্ক প্রমাণ করে থাকে। ১৬০০ শতাব্দীতে তড়িৎ ছিল সহস্র বছরের কল্পনা ছিলো, ইংরেজ বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবা্র্ট তড়িৎ আবার চুম্বকের সতর্ক জনক ভাবে এক বিশেষ পরীক্ষা করেছিলেন।
এমন এই পরীক্ষায় তিনি আম্বরের ঘর্ষণের মাধ্যমে স্থির তড়িৎ থেকে প্রভাবিত করায় পার্থক্য করেছিলেন। তিনি ‘ইলেক্ট্রিকাস’ নামক এক ল্যাটিন শব্দ আবিষ্কারের জন্য (আম্বরের অথবা আম্বরের মতো গ্রীক শব্দ আম্বর)।
যার মানে ঘর্ষণের পর বস্তুর আকর্ষণী ধর্মকে বুঝাতে থাকে।এই সমিতি দুটি ইংরেজি শব্দ ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রিসিটি দেই।যেটা ১৬৪৬ সালে থমাস ব্রাউনের সেউডক্সিয়া এপিদেমিকার (Pseudopodia Epidemica) প্রায় প্রথম মুদ্রণে প্রকাশ পেয়ে থাকে।
কুলম্বের সূত্র (Coulomb’s Law) হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞানের একটি সূত্র যেটা দুটি স্থির, বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত এক একটি কণার মধ্যে শক্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকে।
অর্থাৎ কুলম্বের সূত্র হচ্ছে আধানযুক্ত ২ টি বস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তির ১টি গাণিতিক বর্ণনা। ১৮ শতকে ফরাসি পদার্থবিদ হলেন চার্লস-অগাস্টিন ডি কুলম্ব সূত্রটি প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি তড়িৎ চুম্বকত্বের অনেক উন্নতি সাধন করেন।
কুলম্বের সূত্রানুসারে, ২টি চার্জযুক্ত বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ অথবা বিকর্ষণ শক্তি তাদের চার্জের গুণফলের সরাসরি সমানুপাতিক ও তাদের মধ্যকার দূরত্বের বর্গক্ষেত্রের বিপরীতভাবে ব্যস্তানুপাতিক আবার বল চার্জদ্বয়ের সংযোগ সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে থাকে।
কুলম্বের সূত্র
দ্বিতীয় সূত্র: ২ টি স্থির বিন্দু আধানের মধ্যে কার্যকর আকর্ষণ অথবা বিকর্ষণ বল আধান দ্বয়ের কিছু পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক ও তাদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক ও এই বল চার্জদ্বয়ের সংযোগ সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে থাকে।
অর্থাৎ F ∝ q1q2২টি আধানের মধ্যবর্তী এই আকর্ষণ এবং বিকর্ষণের বলের মান নির্ভর করে মূলত আধান দুটির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে।
# আধান ২টির মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর।
# আধান ২টি যেটির মাধ্যমে অবস্থিত সেটির প্রকৃতির উপর।
আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে কুলম্বের সূত্র কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন, আপনি যদি এই পোস্টটির মাধ্যমে উপকারী হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।