শিক্ষা

কম্পিউটার বাস কি? কম্পিউটা এর প্রকার, কার্যাবলী

কম্পিউটার বাস কি :- সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা রিলেটেড প্রযুক্তিভিত্তিক উক্ত পোস্টে  আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের উক্ত পোস্টে আমরা কম্পিউটার ভারসাম সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করব। এছাড়া উক্ত পোস্ট দিতে আমরা আপনাদেরকে— 

কম্পিউটার বাস কি,, এর প্রকারভেদ,, কার্যাবলী,,, ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

কম্পিউটার প্রযুক্তিতে কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি কম্পিউটারের কিছু আধুনিকায়ন পদ্ধতি রয়েছে। যার মধ্যে কম্পিউটার বাসের অন্যতম একটি ব্যবস্থা।

উক্ত ব্যবস্থাটি প্রয়োগ করার মাধ্যমে  কম্পিউটার বাসে যে তারগুলো রয়েছে, একত্রে মিলিত করার মাধ্যমে হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এর কাজ বিভিন্ন তথ্য সমূহ আদান-প্রদানে ব্যবহার করা হয়। এজন্য কম্পিউটার বাস সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

কম্পিউটার বাস কি

সাধারণভাবে বাস বলতে যোগাযোগের মাধ্যমকে বুঝানো হলেও কম্পিউটারের বাস হল, তেমন একগুত্র তারের সমষ্টি যেখানে শুধুমাত্র  ডিজিটাল সংকেত হিসেবে শূন্য (০) এবং ১  চলাচল করতে পারে। বাসের সাহায্যে সাধারণত কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়ার সমূহ একে অন্যের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য এবং উপাত্ত সমূহ আদান-প্রদান করে।

মূলত কম্পিউটারে বাস ব্যবস্থা হলো একটি সাংগঠনিক বিভিন্ন অংশ, যেখানে একটি আউটপুট অংশ, ইনপুট অংশ, মাদারবোর্ড, রেজিস্টার বা মেমোরি, মাইক্রোপ্রসেসর ইত্যাদি বিভিন্ন অবস্থানরত চিপসমূহের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে পারস্পারিক যোগাযোগ এবং তথ্য উপাত্তসমূহ আদান-প্রদান করে থাকে। 

কম্পিউটারের বাস মূলত বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনে সাহায্যে গঠিত হয়। যার ফলে সেখানে  কম্পিউটারের একটি ডিভাইস থেকে অন্য একটি ডিভাইসের তথ্য সমূহ, প্রোগ্রাম বা নির্দেশনা, সিগনাল ইত্যাদি আদান-প্রদানের কাজ সম্পন্ন করা হয়। তবে একই সময় যদি কম্পিউটারের বাসের মধ্য দিয়ে যতগুলো বিড় চলাচল করে তাহলে ওই বিট গুলোকে প্রশস্ততা বা উইডথ  বলা হয়। 

 যেমন :- কোনো বাসের উইডথ ৩০ বিট বলতে বাসের মধ্যে দিয়ে একই সাথে ৩২টি বিট চলাচল করতে পারে,, এমন বুঝানো হয়েছে । সাধারণত বাসের মাপার হয় মেগাহার্জে,, তবে তা গিগাহার্জ এ ও মাপা যায়।

যেমন :-  ১৩০মেগাহার্টজ,,,  ২২০  মেগাহার্টজ,,,  ২৪০  মেগাহার্টজ ইত্যাদি

কম্পিউটার বাস এর প্রকারভেদ

কম্পিউটার বাস কে  প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো হলো :- 

১. (System Bus) সিস্টেম বাস  বা প্রধান বাস,,,, 

২.  (Expansion Bus)এক্সপানশন বাস বা সম্প্রসারিত বাস,,,

১. (System Bus) সিস্টেম বাস  বা প্রধান বাস:- সাধারণত যে সকল সিপিইউ বা মাইক্রোপ্রসেসর, বা মাদারবোর্ডের সাথে বাসসমূহ সরাসরিভাবে যুক্ত থেকে আউটপুট ইনপুট এবং মেমরি সহ অন্যান্য ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং তথ্য আদান প্রদান করে সে সিস্টেমকে সিস্টেম বাস বা প্রধান বাস বলা হয়। এছাড়া ও সিস্টেম বাস্কে ইন্টারনাল বাস ও বলা হয়ে থাকে। 

ব্যবহারিক দিক অনুযায়ী সিস্টেম বাঁচে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো যথাক্রমে :- 

  • → ডেটা বাস (Data Bus ),,,
  • → অ্যাড্রেস বাস (Address Bus),,,
  • → কন্ট্রোল বাস (Control Bus),,,

২.  (Expansion Bus)এক্সপানশন বাস বা সম্প্রসারিত বাস :- যে সকল বাস প্রধান বাসের সাহায্যকারী বাস হিসেবে কাজ করে থাকে তাদেরকে (Expansion Bus)এক্সপানশন বাস বা সম্প্রসারিত বাস বলা হয়।

সাধারণত এই বাসগুলো কম্পিউটারের ইনপুট অথবা আউটপুটের যে পেরিফেরিয়াল ডিভাইস রয়েছে সেগুলোর যোগাযোগ রক্ষা করে। 

একটি কম্পিউটারের বর্ধিত সুবিধা পাওয়ার জন্য মাদারবোর্ডের বিভিন্ন ডিভাইস সম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যমে যে প্লট তৈরি করে তাকে এক্সপানশন প্লট বলে 

কম্পিউটারে প্রযুক্তির ক্রোমও দ্বারা এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক ধরনের এক্সপানশন বাস আবিষ্কৃত হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বাস হলো :-

  • →আইএসএ বাস (ISA-Industry Standards Architecture),,,
  • → ইআইএসএ বাস (EISA Extended Industry Standards Architecture),,,
  • → লোকাল বাস (Local Bus),,,
  • → ভেসা (VESA-Video Electronic Standard Architecture),,,
  • →পিসিআই (PCI- Peripheral Component Interconnect ),,,
  • → ইউএসবি (USB. Universal Serial Bus),,,
  • → ফায়ারওয়্যার বাম (Firewire Bus) IEEE,,,,  
  • → এজিপি (AGP Accelerated Graphics Port),,, ইত্যাদি

কম্পিউটার বাস কি কম্পিউটা এর প্রকার, কার্যাবলী

কম্পিউটার বাসের কার্যাবলী

কম্পিউটার বাসের কিছু কার্যাবলী রয়েছে। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো :-

১. ডেটা ভাগ করে নেওয়া :- কম্পিউটার বালগুলো সমান্তরালে বাস সিরিয়াল ভাবে সানা তোর হওয়ার মাধ্যমে একটি পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তর বা প্রেরণ করি। এ পদ্ধতিটি একেবারেই ১,২,৪ বা ৮ বাইটের বিভিন্ন ডাটা আদান-প্রদান করে। ফলে এ বাসগুলো একসাথে কতগুলো বিল চলতে পারে তা তার বৃত্তির উপর ভিত্তি করে বাসিনি বন্ধ করা হয়।

২. অ্যাড্রেসিং:- বাসের যে এড্রেস লাইন রয়েছে সেগুলো প্রসেসরের জন্য উপযুক্ত। এটি সাধারণত মেমোরির বিভিন্ন স্থান থেকে ডাটা গুলোকে স্থানান্তর করতে দেয়। 

৩. শক্তি:- একটি বাস বিভিন্নভাবে পেরিফেরার গুলোতে শক্তি সরিয়ে সংযুক্ত থাকে। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কম্পিউটার বাসে কার্যাবলী এবং কম্পিউটার বাসের প্রকারভেদ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি। 

আশা করি,, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা কম্পিউটার বাক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও কার্যাবলী সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button