নেটওয়ার্ক ডিভাইস কি? প্রকার ও উদাহরণ
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের প্রযুক্তি রিলেটেড শিক্ষামূলক উক্ত পোস্টটিতে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদেরকে, নেটওয়ার্ক ডিভাইস কি,, নেটওয়ার্ক ডিভাইসের প্রকার,,ইত্যাদি সম্পর্কে জানাচ্ছি।
প্রযুক্তির অববাহিকা এবং উন্নয়নের ফলে বর্তমানে মানুষের জীবন প্রযুক্তি রিলেটেড বা প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। যার কারনে একটি জায়গা থেকে অন্য জায়গায় একজন মানুষ অন্য একটি মানুষের সাথে কম্পিউটার ভিত্তিক বা
ডিজিটাল প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে সারা বিশ্ববাসীকে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারছে। এক মূল কারণ হলো নেটওয়ার্ক সিস্টেম।
নেটওয়ার্ক সিস্টেম বিভিন্ন উপকারিতা বা নেটওয়ার্ক সিস্টেমের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে পাশাপাশি একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস বা অন্য একটি ডিভাইস থেকে ক্লান্ত করে একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
নেটওয়ার্ক ডিভাইস কি
যে হার্ড ওয়ার্ডের ডিভাইসমূহ কে ফ্যাক্স মেশিন, প্রিন্টার, কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো ওকে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয় তাকে বলা হয় নেটওয়ার্ক ডিভাইস।
অর্থাৎ যে সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইস রয়েছে সেগুলো কম্পিউটারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক তৈরি করার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সমূহ একটি অন্যটি যন্ত্রাংশের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে এবং এই সংযুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া এবং সকল যন্ত্রাংশকে নেটওয়ার্ক ডিভাইস বলা হয়।
এছাড়াও একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস সমূহ বিভিন্ন বা একই নেটওয়ার্ক এ নিরাপদ, দ্রুত এবং সঠিক উপায়ে ডাটা গুলো স্থানান্তর করার কাজে ব্যবহার করা হয়। ফোনে নেটওয়ার্ক সিস্টেম সমূহের প্রথম উদ্দেশ্য হল একটি নেটওয়ার্কের রাতে যে সংযুক্ত ভাবে হার্ডওয়ার গুরু রয়েছে সেগুলোকে মসৃণ ভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম করা।
নেটওয়ার্ক ডিভাইসের বিভিন্ন উদাহরণ সমূহ হলো:-এক্সেস পয়েন্ট, রিপিটার, মডেম, গেটওয়ে, রাউটার, হাব, সুইচ ইত্যাদি।
নেটওয়ার্ক ডিভাইসের প্রকার
নেটওয়ার্ক ডিভাইসের বিভিন্ন প্রকার ভেদ রয়েছে। সেগুলো যথাক্রমে :-
- →হাব (Hub),,,
- →সুইচ (Switch),,,
- →রাউটার (Router),,,
- →ব্রিজ (Bridge),,,
- →গেটওয়ে (Gateway),,,
- →মডেম (Modem),,,
- →রিপিটার (Repeater),,,
- →এক্সেস পয়েন্ট (Access Point),,,,
- →ল্যান কার্ড,,,
১. হাব :-যে ডিভাইস ব্যবহার করার মাধ্যমে নেটওয়ার্কের কম্পিউটার সমূহ একে অন্যের সাথে পরস্পর ক্রেন দিয়ে ভাবে যুক্ত থাকে তাকে হাব বলা হয়।
হাবের মধ্যে অনেক গুলো পোর্ট বিদ্যমান থাকে। ফলে একটি হবে ঠিক কতগুলো ডিভাইস সংযুক্ত করা যাবে তা একটি হাভের সংখ্যার উপর নির্ভর করে থাকে। সচরাচর অধিকাংশ হাব ৪ পোর্ট,, ৮ পোর্ট,, কিংবা ১৬ ফুট বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
একটি হাব সাধারণত এনালগ অথবা ডিজিটাল উভয় ডাটার সাথে ব্যবহার করা হয়। যেমন :-যদি ইনকামিং ডাটা ডিজিটাল ফরমেটে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে হাবকে অবশ্যই একটি প্যাকেট হিসেবে পাস করতে হবে। ফলে যদি ইনকামিং দ্যাট এনালগ হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে হাব একটি সংকেত আকারে পাশ হয়।
২. সুইচ:-একটি বহু পোর্ট বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক ডিভাইসের সাথে অন্য একটি নেটওয়ার্কের কম্পিউটার সমূহ পরস্পর যেভাবে কেন্দ্রীয় আকারে যুক্ত থাকে তা হল একটি সুইচ।
যার মাধ্যমে একটি সুইচ এ অনেক গুলো ডিভাইস সংযুক্ত করা যাবে ফলে উক্ত সুইচ এর পোর্ট সংখ্যার উপর ভিত্তি করে। সাধারণত সুইছে পোর্ট সংখ্যা হয়ে থাকে ৪, ১৬, ৩৪ থেকে ৪৮ পর্যন্ত।
৩. রাউটার:-একটি প্রটোকল যে নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মাধ্যমে দুই বা তার অধিক নেটওয়ার্কের সংযুক্ত করতে পারে তাকে রাউটার বলে। ফলে এটির মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে রাউটার সমূহকে একাধিক নেটওয়ার্ক কে পরস্পর সংযুক্ত করে থাকে।
৪. ব্রিজ:-যদি একাধিক নেটওয়ার্কের সংযুক্ত করার মাধ্যমে একটি বৃহৎ নাটোর গঠন করা হয় তাহলে বৃহৎ নেটওয়ারক তৈরি করতে যে ডিভাইসটি ব্যবহার করা হয় তাকে ব্রিজ বলা হয়। সে ক্ষেত্রে ব্রিজ একাধিক ছোট নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে যার মাধ্যমে একটি বৃহৎ নেটওয়ারক তৈরি করা হয়।
৫. মডেম:-মডুলেশন পদ্ধতিতে যদি একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্যসমূহ কে আদান প্রদান করা হয় তাহলে তাকে মডেম বলে।
৬. রিপিটার:-যদি দূরত্ব অধিক হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কেবলে প্রবাহিত সিগন্যাল সমূহ দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য প্রবাহিত সিগন্যাল সমূহকে যদি পুনরায় শক্তিশালী এবং আরও অধিক দূরত্বের অতিক্রম করানো যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে যে ডিভাইসটি ব্যবহার করা হয় তাকে রিপিটার বলে।
৭. গেটওয়ে:-যে সকল প্রটোকলে দুই বা তার অধিক নেটওয়ার্কের (LAN, MAN, WAN) সংযুক্ত করার মাধ্যমে WAN তৈরি করা হয়, তার প্রক্রিয়াকে গেটওয়ে বলা হয়। সাধারণত এটি বিভিন্ন আকারে প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সমূহকে একসঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে।
৮. নেটওয়ার্ক এডাপ্টার বা ল্যান কার্ড:-বিভিন্ন নেটওয়ার্ক এ কম্পিউটার সমূহ কে নেটওয়ার্ক মুক্ত করার জন্য যে সকল প্লাগ ইন কার্ড ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা ল্যান কার্ড অথবা নেটওয়ার্ক এডাপ্টার বলা হয়।
সেক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করতে যে ডিভাইসটি থেকে আরেকটি ডিভাইসে ডাটা পাঠাতে বা গ্রহণ করার জন্য এ কার্ডটি প্রয়োজন হয়।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনা দেরকে নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং নেটওয়ার্ক ডিভাইসের বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে জানানো চেষ্টা করেছি।
আশা করি,, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা নেটওয়ার্ক ডিভাইস রিলেটেড যে সকল তথ্য বা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তা আমাদের পোস্টে যথাযথভাবে জানতে পারার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন।