ইসলামিকশিক্ষা

হজ্জ কাকে বলে? হজ্জ করার নিয়ম

হজ্জ কাকে বলে: হজ হলো মুসলমানদের জন্য এইটা হলো পবিত্রতম শহর সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত এমন একটি বার্ষিক ইসলামি এক তীর্থযাত্রা।[২] হজ মুসলমানদের জন্য এমন একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় ইবাদত। 

শারীরিক এবং আর্থিকভাবে সক্ষম আবার এই তীর্থযাত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পরিবার নিজেদের অবস্থান ভরণপোষণ করতে সক্ষম হন তহলে সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের এই জীবনে অন্তত একবার করতে হয় ।

হজ্জ কাকে বলে

ইসলামি পরিভাষায়, হলো হজ্জ সৌদি আরবের পবিত্র এই শহর মক্কায় অবস্থিত “আল্লাহর ঘর” আবার কাবার উদ্দেশ্যে করা একটি এই তীর্থযাত্রা। এটি শাহাদাহ এবং (আল্লাহর কাছে শপথ), সালাত ও (প্রার্থনা), যাকাত (দান) ।

আবার সাওম (রমজানের রোজা) এর পাশাপাশি ইসলামের ইতিহাসে পাঁচটি স্তম্ভের একটি স্তম্ভ। হজ হলো মুসলিম জনগণের কাছে সংহতি এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি (আল্লাহর) কাছে তাদের আত্মসমর্পণের একটি এমন বাহ্যিক প্রকাশ।

প্রতি বছর কত মানুষ হজ করে

২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আবার সরকারিভাবে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে বলা হয় ,[১৫][১৬][১৭] প্রতি বছর প্রায় উপস্থিতির গড় সংখ্যা ২,২৬৯,১৪৫; যার মধ্যে আবার ১,৫৬৪,৭১০ জন সৌদি আরবের বাইরে থেকে অনেক আসেন

এবং বাকি প্রায় ৬৭১,৯৮৩ জন স্থানীয়। ৩,১৬১,৫৭৩ জন এমন হজপালনকারী নিয়ে নানা ভাবে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বড় বেশি ছিল ২০১২ সালে।

২০২০ সালের জুন মাসে, প্রকাশিত সরাসরি হজ বাতিল না করে, এবং সৌদি সরকার ঘোষণা করেছিল এই ভাবে তারা বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অনেক সময় শুধুমাত্র সৌদি আরবের সর্বোচ্চ বাসিন্দাদের মধ্য থেকে নানা ভাবে “খুব সীমিত সংখ্যক” হজযাত্রীদের স্বাগত ও জানাবে।

হজ্জ কাকে বলে হজ্জ করার নিয়ম
হজ্জ কাকে বলে হজ্জ করার নিয়ম

হজ্জ কত প্রকার

উভয়ই ইসলামি তীর্থ-অনুষ্ঠান,আবার প্রধান পার্থক্য হল তাদের মধ্যে গুরুত্বের স্তর এবং পালনের এমন পদ্ধতি।[৮২]হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের এমন একটি। এটা প্রত্যেক এমন মুসলমানের জন্য তাদের মধ্যে জীবনে একবার ফরজ ।

 আবার যদি তারা শারীরিকভাবে সুস্থ আবার এমন আরও আর্থিকভাবে সক্ষম হয়।[৮৩]একটি মনোনীত ইসলামি আবার এমন মাসে নির্দিষ্ট দিনে হজ ও করা হয়। তবে যে কোনো সময় বলা হয় ওমরাহ করা যায়।

হজ্জ করার নিয়ম

হজযাত্রীরা যখন ইহরাম এমন অবস্থায় প্রবেশ করে তখন থেকে তাদের কিছু কাজ থেকে বিরত ও থাকতে হয়।[৪৯] ইহরাম অবস্থায়, আবার পুরুষদের দুটি সাদা ও সেলাইবিহীন কাপড় পরতে হয়,এবং যার একটি কোমরের চারপাশে ও মুড়ে হাঁটুর নিচে আবার অন্যটি বাম কাঁধের উপর দিয়ে ডান পাশে ও বাঁধতে হয়। 

মহিলাদের জন্য এর মধ্যে থাকা সাধারণ পোশাক পরতে হয় এবং হাত ও মুখ খোলা রেখে নানা ভাবে সর্বজনীন পোশাকের ইসলামি এমন কিছু শর্ত পূরণ করে।

হজ্জ কি ও কেন

৮ জিলহজ্জ তারিখে প্রকাশিত সকালের নামাযের পর, এই হজযাত্রীরা মিনায় চলে যান যেখানে তারা সারা দিন কাটান আবার যোহর (দ্রষ্টব্য: মিনায় শুক্রবার জুমার এই নামাজ যোহরের আবার নামাজের পরিবর্তে আদায় করা হয়),এবং আসর, মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করেন।

  • পরদিন সকালে আবার ফজরের নামাজের পর তাই তারা আরাফাতের উদ্দেশ্যে এই মিনা ত্যাগ করেন।

হজ্জ সম্পর্কে আলোচনা

আধ্যাত্মিকতার জগতে নিমগ্ন করে,এবং যেহেতু পোশাক ব্যক্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্য প্রদর্শন করে আবার ব্যক্তিকে আলাদা করে আবার এমন বাহ্যিক বাধা সৃষ্টি করে বলে তাই বিশ্বাস করা হয়। ইহরামের এমন পোশাককে সেই ব্যক্তিত্ববাদের এমন ভাবে বিরোধী হিসেবে দেখা হয়। 

  • তাই ইহরাম-এর পোশাক মৃত্যুর পর পরা এই কাফনকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।

হজ্জ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

তাওয়াফের সময়, হজযাত্রীরা নানা ভাবে হাতীমে কাবার উত্তর দিকের একটি এলাকা- এমন ভাবে কে তাদের পথের ভিতরে ও অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রতিটি আবর্তন করে এমন কালো পাথরের চুম্বন এবং নানা ভাবে স্পর্শ দিয়ে শুরু হয়। 

হজযাত্রীরা এই পাথরের দিকে ইশারা করে ও একটি প্রার্থনা (তালবিয়া) পাঠ ও করে।[৫৪] যদি ভিড়ের কারণে এমন পাথরটিকে চুম্বন করা ।

হজ্জ ২০২৩ আপডেট বাংলাদেশ

২০২৩ সালের হজ মৌসুম এই ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এই এম আবদুল লতিফের এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, এই ২০০৯ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর এমন কোটা ছিল প্রায় ৫৮ হাজার ৬২৮ জন।

  • তাই ২০১৯ সালে তা প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে বৃদ্ধিও পেয়েছিল। 

হজ্জের ইতিহাস

তাওয়াফ এমন ভাবে সমাপ্তির পর মসজিদের এমন একটি অভ্যন্তরে কাবার কাছে অবস্থিত এই ইব্রাহিমের স্থানে (মাকামে ইব্রাহিম)এবং  দুই রাকাত নামাজ আদায়ও করা হয়।[৫৪][৫৫] তবে এই হজের দিনগুলিতে প্রচুর ভিড়ের কারণে আবার তারা এর পরিবর্তে এমন কিছু মসজিদের যে কোনও জায়গায় নামাজও পড়তে পারেন।

নামাজের এমন পরে হজযাত্রীরা জমজম কূপ থেকে আবার পানি পান করেন, যা পুরো মসজিদ জুড়ে নানা ভাবে কুলারের সাহায্যে উপলব্ধ করা হয়।

হাজীদের আরাফাতে এই  তাদের মাগরিব (সূর্যাস্ত) নামায না আবার পড়েই সূর্যাস্তের পর এই ভাবে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে জন্যে আরাফাত ত্যাগ করতে হয়।আবার মুজদালিফা আরাফাত এবং মিনার মধ্যবর্তী একটি এলাকা। আবার সেখানে

পৌঁছে,এবং হজযাত্রীরা মাগরিব ও ইশার নামায যৌথভাবে কাজ আদায় করেন, আবার খোলা আকাশের নিচে মাটিতে ও নামাজ পড়েন ।

আরো পড়ুন: মুহাজির অর্থ কি

হজ্জ কত প্রকার ও কি কি?

হজ হলো তিন প্রকার। যথা: ইফরাদ, কিরান এবং তামাত্তু। শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন ভাবে করলে একে ‘ইফরাদ হজ’ অথবা একক হজ বলা হয়।

হজ্জ করতে কত টাকা লাগে ২০২৩?

বাংলাদেশ থেকে এই ২০২৩ সালে হজের জন্য সরকারিভাবে হজ প্যাকেজও ধরা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা।

ইসলামে হজ্জ কি

হজ্জ ইসলামের অন্যতম রুকন এবং ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। এটি একটি ফরয এমন ইবাদত। যা সামর্থ্যবান এমন ব্যক্তিদের উপর ফরয।

মুসলমানরা কেন হজ্জ করে 

হজ বিচার দিবসের এক একটি অনুস্মারক হিসাবেও কাজ করে, যখন মানুষ আল্লাহর কাছে এবং সামনে দাঁড়াবে বলে মুসলমানরা ও বিশ্বাস করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button