স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে? স্থিতিস্থাপকতা সূত্র কি?
স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে :- আমাদের পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের ওয়েবসাইটের উক্ত পোস্টে করার মাধ্যমে আপনারা যে সকল তথ্য জানতে পারবেন তা হল :-
👉স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে ও উদাহরণ,,
👉 সূত্র কি?
👉অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে? ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সমূহ।
পদার্থের বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে স্থিতিস্থাপকতা একটি অন্যতম আলোচ্য বিষয়। পাশাপাশি কয়েকজন পদার্থবিজ্ঞানী অর্থাৎ বিজ্ঞানী হুক পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা করার মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে সূত্র প্রণয়ন করেন।
তবে অর্থনীতিতে অস্থিতিস্থাপকতা একটি বিরাট আলোচ্য বিষয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে জানার মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থিতিস্থাপকতা সূত্র ও অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে উদাহরণ দাও
কোন একটি বস্তুর বউ তো ধর্ম হলো স্থিতিস্থাপকতা। তবে বল প্রয়োগের কারণে যদি কোন পদার্থ বিকৃত হয়ে যায় তবে যদি বস্তুর বলকে পুনরায় সরিয়ে নেওয়ার ফলে বস্তুটি আগে অবস্থানে ফিরে যাওয়া সব ক্ষমতা দেখায় তবে পদার্থের উক্ত ধর্মটিকে পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা স্থিতিস্থাপকতা বলা হয়।
পৃথিবীতে এরকম অনেক অসংখ্য বস্তু রয়েছে যে বস্তু সমূহে বল প্রয়োগ করলে সেগুলোর বিকৃত ঘটে এবং পুনরায় সে বল কে অপসারণ করলে বস্তুটিও তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। বস্তুটির এই অবস্থা ঘটার কারণ হলো বস্তুটির স্থিতিস্থাপকতা।
উদাহরণ :-
→যদি একটি তুলার পুতুলকে চেপে ধরা হলে সেটির বিকৃতি ঘটে তবে চাপ উঠিয়ে নিলে অর্থাৎ বল অপসারণ করলে পুতুলটির আকার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। যা স্থিতিস্থাপকতার ফলে ঘটে।
→ মানুষের ত্বকে যদি আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে ধরা হয় অর্থাৎ বল প্রয়োগ করা হয় তাহলে একটু বিকৃতি দেখা যায়, তবে কিছু সময় পর সেই আঙ্গুলটি তুলে নিলে অর্থাৎ বলটি অপসারণ করার ফলে ত্বকের অবস্থা পূর্বের মতো হয়ে যায়। যা স্থিতিস্থাপকতার ফলে ঘটে।
স্থিতিস্থাপকতা সূত্র কি?
১৬৭৫ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী রবার্ট হোল স্থিতিস্থাপকতা সূত্র প্রদর্শন করেন।
স্থিতিস্থাপকতার সূত্রটি নিম্নরুপ:-
পীড়ন বিকৃতির সমানুপাতিক।
অর্থাৎ কোন একটি বস্তু বল প্রয়োগের কারণে বিকৃতি হলে বস্তুর উপর প্রকৃত বল যদি সরাসরি বিকৃতির পরিমাপের সমানুপাতিক হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে একটি দ্রবণীতিতে হকের সূত্র লেখা হয় বা বলা হয়।
উক্ত সূত্রে, বল, F= -Kx
যেখানে F, প্রকৃত বল এবং x হলো সরণ এবং k হল হুকের সূত্রের ধ্রুবক।
এক্ষেত্রে ইয়াংয়ের গুণাঙ্ক হিসেবে স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক হিসেবে ধ্রুবকটি থাকে।
পরিস্থাপকতার সূত্রটি হলো:
পীড়ন = বিকৃতি।
অর্থাৎ পীড়ণ বিকৃতির সমানুপাতিক, যেখানে K হলো ধ্রুবক।
অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে?
অর্থনীতিতে আপেক্ষক কে চলরাশির পরিবর্তনের কারণে অপেক্ষ চলো রাশির যে পরিবর্তনের হার বোঝায় তাকে স্থিতিস্থাপকতা বলা হয়।
তবে এক্ষেত্রে একটি পৌনে চাহিদা যদি ওই পণ্যের মূল্যের উপর নির্ভর করে তবে মূল্যের পরিবর্তনের কারণে চাহিদার সংবেদনশীলতা হলো চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা।
অর্থাৎ একটি পণ্যের চাহিদার উপর আয় বা স্থিতিস্থাপকতা যদি (+)৩ বলা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে বুক তার আয়েশাপেক্ষ চাহিদাস স্থিতিস্থাপক এবং আয়ের ঊর্ধ্বগামী পরিবর্তনের জন্য চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এরকম বোঝানো হয়। যেখানে এক শতাংশ বৃদ্ধি পেলে চাহিদা ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতার তিনটি রূপ রয়েছে। সেগুলো হলো :-
- স্থিতিস্থাপকতার মূল্যমান = ১ ,,,
→ এর অর্থ একক স্থিতিস্থাপকতা।
- স্থিতিস্থাপকতার মূল্যমান > ১ ,,,
→ এর অর্থ সম্পর্কটি স্থিতিস্থাপকতা।
- স্থিতিস্থাপকতার মূল্যমান < ১ ,,,
→ এর অর্থ চলরাশিদ্বয়ের সম্পর্ক অস্থিতিস্থাপক।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে স্থিতিস্থাপক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য যেমন পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রকারভেদ পাশাপাশি অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি স্থিতিস্থাপত্য রিলেটেড যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।