সুন্নাহ শব্দের অর্থ কি | সুন্নাহ কাকে বলে এর প্রকারভেদ
সুন্নাহ শব্দের অর্থ: ইসলামে শরীয়তের প্রধান দুইটি অংশের মধ্যে একটি অংশ হল সুন্নাহ, এবং আরেকটি অংশ হল আল কুরআন।
সুন্নাহ কাকে বলে
ইসলামে শরীয়তের প্রধান দুইটি অংশের মধ্যে একটি অংশ হল সুন্নাহ, এবং আরেকটি অংশ হল আল কুরআন।
- হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মতে সুন্নাহ হলো আল হাদিস।
- যেখানে ইসলামিক জীবন ব্যবস্থার বিভিন্ন পরিধি দেয়া রয়েছে।
- বলা যায় রাসূল সা: বিভিন্ন রীতিনীতি ও নিয়ম কানুনকে সুন্নাহ বলা হয়।
- রাসূল সা: এর এই নিয়ম কানুন গুলো হল আসল সুন্নাহ বাতরিকা সমূহ।
- যা মানুষের জীবনে কাজে লাগানো জরুরী।
সুন্নাহ ও হাদিসের প্রকারভেদ
সুন্নাহ ও হাদিস তিন প্রকার।
ইসলামে হাদীসুমুকে বিভিন্নভাবে জানার জন্য ও মানুষের কে হাদিস সম্মান সম্পর্কে ব্যক্ত করার জন্য হাদিস সমূহকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করা হয়েছে।
আখিরাতে কিয়ামতে এবং,, আমাদের প্রাথমিক জীবনে হাদিসের প্রকারভেদ সমূহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা অত্যাবশক।
এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সম্পর্কে দারুন অর্জন করে সৎ পথে জীবন পরিচালনা করতে পারি।
হাদিসের প্রকারভেদ সমূহের তিনটি হল যথাক্রমে :
- ১.কাওলি হাদিস
- ২.ফি’লি হাদিস
- ৩.তাকরির হাদিস
কাওলি হাদিস
যে সকল হাদিস সময়ে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর বিভিন্ন কথা প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলোকে কাউলি হাদিস বলা হয়।
অর্থাৎ কাওলি হাদিস সময়ে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর বিভিন্ন বাণী প্রকাশ পেয়েছে।
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের বিভিন্ন বিবৃতি এখানে উল্লেখ করা রয়েছে,, যা উল্লেখ করেছেন মুহাম্মাদ সা:।
ফি’লি হাদিস
যে সকল হাদিস সমূহে হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর বিভিন্ন কাজকর্ম ও কাজের ধরন রীতিনীতি ইত্যাদি প্রকাশ করা হয়েছে।
সে সকল হাদিসগুলোকে ফিলি হাদিস বলা হয়।
এ হাদিসগুলোতে মহানবী সাল্লাহু সাল্লাম এর কর্মের ধরন গুলো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে রচনা করা হয়েছে।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে সকল ভাল ও গুণাবলি সম্পন্ন কাজগুলো করতেন তা এখানে উল্লেখযোগ্য।
তাকরির হাদিস
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাহাবীগণের সমন্বয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম এখানে প্রকাশ পেয়েছে,,
এ কাজসমূহগুলো যে হাদিসে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে সেগুলোকে তাকরির হাদিস বলা হয়।
শরীয়তের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কাজগুলোর ব্যাখ্যা এ হাদিসগুলোতে সুস্পষ্টভাবে বিদ্যমান।
হযরত মুহাম্মদ সা: এর সময়কালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা ও তাজের উল্লেখযোগ্য তথ্য ও প্রমাণাদি এ হাদিসগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিভিন্ন রাবির ব্যাখ্যা অনুযায়ী হাদিস তিন প্রকার সে গুলো ব্যাখ্যা
বিভিন্ন রাবির ব্যাখা অনুযায়ী হাদিসগুলোকে বিভিন্ন তিন প্রকারে বিভক্ত করা হয়েছে।
- ১.খবরে মুতাওয়াতির।
- ২.খবরে মাশহুর
- ৩.খবরে ওয়াহেদ বা খবরে আহাদ।
১. খবরে মুতাওয়াতির:
অধিক সংখ্যক রাবি মিলে যে হাদিসগুলো বর্ণনা করেছেন সেগুলোকে খবরে মোতাওয়াতির বলা হয়।
হাদিস গুলোতে কোন মিথ্যে থাকা অসম্ভব কারণ অনেকগুলো রাবির সমন্বয়ে ও বিবেচনার মাধ্যমে এ হাদিসগুলো ব্যক্ত করা হয়েছে।
২.খবরে মাশহুর:
- প্রত্যেক যুগে কম হলেও তিনজন রাবির রেওয়ায়েত করেছেন,,
- কম তিনজন রাবির সমন্বয়ে ও বিবেচনার মাধ্যমে গঠিত হাদীসসমূহ কে খবর এ মাসুর বলা হয়।
- খবরে মাসহুর কে মোস্তাফিজ ও বলা হয়।
৩.খবরে ওয়াহেদ বা খবরে আহাদ:
প্রকার হাদিসের সমন্বয়ে এই হাদিস সমূহ গুলো রচিত করা হয়।
কবরে মাছ হুর এবং গরিব আজিজ হাদিস সমূহের অন্তর্ভুক্ত তিন প্রকারের হাদিস কি একত্রে খবরে আহাদ বলা হয়।
এ হাদিস সমূহ কে প্রতিটি কে পৃথক পৃথকভাবে খবরে ওয়াহিদ বলা হয়।
এছাড়াও বেশ কিছু হাদিস রয়েছে,, যে হাদিস সমূহ দুই জনের সমন্বয়ে গঠিত করা হয় অর্থাৎ এই হাদিসগুলো দুইজন রাবি বর্ণনা করেন তা সেগুলোকে গরিব হাদীস বলা হয়।
আবার প্রত্যেক যুগে যে রাবিগুলো অর্থাৎ যে দুজন রাবি রেতায়াত করেন এবং হাদিস বর্ণনা করেন তাকে আযীয হাদীস বলা হয়।
তাছাড়া বিভিন্ন রাবিদের সিলসিলা হিসেবে তিন প্রকারের হাদিস রয়েছে। ইসলামে প্রতিটি হাদিসের গুরুত্ব ও মূল্য রয়েছে। হাদিস সমূহের মাধ্যমে মানুষকে ইসলাম ও জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে অবগত করা হয়।