সাওম কাকে বলে | সাওম কত প্রকার ও কি কি
সাওম কাকে বলে: আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সুবিধারী থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে এবং ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা কি সাওম বলা হয়।
রমজান মাসে দীর্ঘ একমাস ব্যাপী সমস্ত মুসলমানদের উপর আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন।
প্রাপ্তবয়স্কদের উপর রমজান মাসে রোজা পালন করা আল্লাহতালা করতে ফরজ করা হয়েছে।
আরবি ১২ মাসের মধ্যে রমজান মাসটি সর্বোত্তম মাস।
এ মাসে আল্লাহ তাআলা তার বান্দা কর্তৃক ধৈর্য পরীক্ষা করেন।
সাওমের পরিচয়
মহান আল্লাহ তা’আলা বিভিন্ন গ্রন্থ কুরআন মাজিদ এবং হাদিসের আলোকে মানুষকে বা রোজা সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
১. সাওম শব্দটির একটি প্রতিশব্দ হলো রোজা।
সাওম আরবি শব্দ হলেও রোজা শব্দটি হচ্ছে ফারসি শব্দ।
২. তবে সাওম আরবি এই শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে বিরত থাকা অর্থাৎ পানাহার থেকে বিরত থাকা।
৩. রমজান মাসে রোজা পালনের মাধ্যমে পানাহার থেকে আল্লাহতালার সন্তুষ্টি আদায়ের একটি রাস্তা।
৪. শরীয়তের পরিভাষা ইসলামে মোট পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে যার মধ্যে পঞ্চম স্তম্ভটি হলো সাওম।
৫. মহান আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক মুসলমানের উপর দীর্ঘ একমাস রমজান সাওম পালনের জন্য ফরজ হিসেবে ধার্য করেছেন।
৬. আল্লাহ তাআলার প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়া অর্জনের জন্য সাম হছে সর্ব উত্তম একটি ইবাদত ব্যবস্থা।
রোজা পালনের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহতালা কর্তিক নৈকট্য লাভ পেয়ে থাকেন।
সাওম কত প্রকার ও কি কি
ইসলামীর নিয়ম-কানুন অনুযায়ী ও শরীয়ত মোতাবেক সাওমকে পাঁচটি বিভাগে ভাগ করা যায়।
- ১. সুন্নত রোজা,,
- ২. ফরজ রোজা,,
- ৩. নফল রোজা,,
- ৪. ওয়াজিব রোজা,,
- ৫.মুস্থাহাব রোজা,,
১. সুন্নত রোজা :
- আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: সর্বদা সুন্নত রোজাগুলো পালন করতেন।
- সুন্নত রোজা করল প্রিয় নবীর ছিল অন্যতম পছন্দের রোজার সমূহ।
- নবীর পথে অর্থাৎ নবীর দেখানো পথে অনুসরণকারী সকলের সুন্নত রোজা পালন করা উচিত।
২. ফরজ রোজা :
- ফরজ রোজার সময় আল্লাহতালা সমস্ত মুসলিমের উপর ফরজ করেছেন।
- প্রাপ্তবয়স্ক সকল মুসলিমের এ রোজাগুলো থাকা আবশ্যক।
- আল্লাহতালা প্রত্যেক বান্দার উপর আদায় করার জন্য ফরজ রোজাগুলো প্রদান করেছেন।
৩. নফল রোজা:
লোফার উদ্ধার সমূহ আদায় না করলে তার জন্য কোনরূপ গোনাহ হয় না,, হবে কোন ব্যক্তি যদি নফল রোজা সময় আদায় করেন তাহলে তার জন্য সোয়াব অর্জন করা যায়। সওয়াব অর্জন করার জন্য নফল রোজার গুরুত্ব রয়েছে।
সাওম কাকে বলে
৪. ওয়াজিব রোজা :
ওয়াজিব রোজা,, যা হল ফরয রোজার সমতুল্য রোজা।
কাজি প্রজা পালন করে বান্দা গন ফরজ রোজার সমতুল্য সওয়াব লাভ করতে পারেন।
৫.মুস্তাহাব রোজা :
- মুস্তাহাব রোজার সময় ফরজ বা ওয়াজিব এর মত নয়।
- এ রোজা সমূহ সুন্নত রোজার মত।
- এ রোজা সমূহ পালন করলেন ন্যাক অর্জন করা যায়।
- মুস্তাহাব রোজা সমূহ প্রিয় নবীর পছন্দের রোজা ছিল।
সাওম কাকে বলে, সাওম কত প্রকার ও কি কি,সাওম কাকে বলে, সাওমের পরিচয়,সাওম কত প্রকার ও কি কি