বিজ্ঞানশিক্ষা

সরণ কাকে বলে? আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে

সরণ কাকে বলে,আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে নিচে।সরণ হলো দুটি বিন্দু বা বস্তুর মধ্যে সরলরৈখিক দুরত্বকে বুঝায় সাধারণ ভাবে ভালো আরো বুঝিয়ে দেওয়া হবে এই পোস্টে। 

সরণ কাকে বলে,আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে,সরণ হলো একটি বস্তু বা কণা যেভাবে সময়ের সাথে পরিবর্তন করে তা দেখানো হয়। সরণের সাথে সময় ও দূরত্বের পরিবর্তন মেলে থাকে, এবং এটি সরলরৈখিক দুরত্বের পরিবর্তন বোঝায়। 

সরণ সময়, দূরত্ব, এবং দিকের সাথে যোগসূচকের সাথে সংযোগিত থাকে। এটি একটি কণা বা বস্তুর গতির বর্ণনা করে এবং কোন দিকে বা একটি দিকে চলে যাচ্ছে তা প্রদান করে। সরণ এককটি স্কেলার মাত্রার একটি পরিমাপ যা আপনার বস্তু বা কণার গতির পরিমাপ করে।

দূরত্ব ও সরণ কাকে বলে

১.দূরত্ব (Distance) একটি স্কেলার পরিমাপ হয়, যা দুটি বিন্দু বা বস্তুর মধ্যে কত দূরে আছে তা দেখায়। দূরত্বটি এককভাবে মিটার, ফুট, সেন্টিমিটার, কিমিটার ইত্যাদি হতে পারে। দূরত্ব সময়ের সাথে পরিবর্তন না করে, এটি একটি স্থির পরিমাপ হয়।

২.সরণ (Displacement) হলো একটি ভেক্টর পরিমাপ, যা দুটি বিন্দু বা বস্তুর মধ্যে সরলরৈখিক দুরত্ব এবং দিক দুটির সাথে সম্পৃক্ষ্য করে। সরণ এককভাবে মিটার, ফুট, সেন্টিমিটার, কিমিটার ইত্যাদি হতে পারে, এবং এটি সময়ের সাথে পরিবর্তন করে থাকে। সরণ দেখায় যে দুটি বিন্দু বা বস্তু মধ্যে কত দূরত্ব আছে এবং দুটি বিন্দুর মধ্যে প্রাথমিক বিন্দু থেকে শেষ বিন্দু দিকে যেমন চলেছে তা দেখায়।

সংক্ষেপে, দূরত্ব মাত্র দুই বিন্দুর মধ্যে যে দূরত্ব আছে তা দেখায়, আর সরণ দেখায় যে দুই বিন্দুর মধ্যে সরলরৈখিক দূরত্ব এবং এই দূরত্ব মধ্যে কোন দিকে বা দুই বিন্দুর মধ্যে বস্তু বা কণাটি কেমন চলেছে তা দেখায়।

আরো পড়ুন: পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে

সরণ কাকে বলে আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে
সরণ কাকে বলে আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে

দ্রুতি কাকে বলে

দ্রুতি (Speed) হলো একটি স্কেলার মাত্রা, যা একটি বস্তু বা বস্তুর প্রতি সময়ের সাথে তার সরণের পরিবর্তন নির্দেশ করে, তবে এটি কোনও দিক নির্দেশ করে না। 

অর্থাৎ, দ্রুতি একটি সময়ের সাথে মিলিত মান, যেমন, মিটার প্রতি সেকেন্ড (m/s), ফুট প্রতি সেকেন্ড (ft/s) ইত্যাদি। দ্রুতি শুধুমাত্র মান দ্বারা প্রদান করা হয় এবং এটি কোনও দিকে সম্পৃক্ষ্য করে না।

দ্রুতি আমাদের বস্তুর গতির মাত্রা দেখায়, তবে এটি বস্তু যে দ্বারা এবং কত দ্রুতির সাথে চলছে তা দেখায় না। এটি একটি স্কেলার মান মাত্রা হয় এবং এটি বেগের মানের অংশ, মানে এটি বেগের মধ্যবর্তী মৌলিক পরিমাপের একটি বিশেষ ক্ষেত্র হলো।

বেগ কাকে বলে

বেগ (Velocity) হলো একটি ভেক্টর মাত্রা যা একটি বস্তু বা বস্তুর প্রতি সময়ের সাথে তার সরণের পরিবর্তন নির্দেশ করে। অর্থাৎ, এটি একটি ভেক্টর হয় যা দুটি মুখ্য বৈশিষ্ট্যের সাথে বর্ণিত হয়:

মান (Magnitude): বেগের মান হলো তার গতির পরিমাপ, সময়ের সাথে মিলিত এককে যেমন, মিটার প্রতি সেকেন্ড (m/s), ফুট প্রতি সেকেন্ড (ft/s) ইত্যাদি। এটি বেগের মানের অংশ।

দিক (Direction): বেগের দিক হলো বেগের গতির দিক বা চলাচলের দিক নির্দেশ করে। দিক সাধারণভাবে কৌণিক মাত্রায় (ডিগ্রী বা রেডিয়ান) বা আপেক্ষিক স্থানের সাথে নির্ধারণ করা হয়।

বেগ আমাদের বস্তুর গতি সম্পর্কে জানায়, অর্থাৎ এটি বস্তু যে দিকে এবং কত দ্রুতির সাথে চলছে তা দেখায়। এটি মাত্রা দুই মানে বর্ণিত হয় এবং সাধারণভাবে একটি স্কেলার মান (গতি) এবং একটি ভেক্টর দিকে পরিণত হয়।

ভেক্টর কাকে বলে

ভেক্টর (Vector) হলো একটি মাত্রা যা দুটি মুখ্য বৈশিষ্ট্যের সাথে বর্ণিত হয়:

মান (Magnitude): ভেক্টরের মান হলো এই ভেক্টরের পরিমাপ, অথবা অসমীকরণে বর্ণিত হলে এর মানের অংশ। মান সাধারণভাবে ধ্রুবকের দ্বারা প্রদান করা হয় এবং এককে মাপা হয়, যেমন, মিটার, ফুট, সেন্টিমিটার, ইত্যাদি।

দিক (Direction): ভেক্টরের দিক হলো এই ভেক্টরের আপেক্ষিক স্থান বা অবস্থানের সাথে সম্পৃক্ষ্য করে যেতে হয়। দিক সাধারণভাবে কৌণিক মাত্রায় (ডিগ্রী বা রেডিয়ান) বা আপেক্ষিক স্থানের সাথে নির্ধারণ করা হয়।

ভেক্টর একটি দুটি বৈশিষ্ট্য সহ একটি মাত্রা হয়, এবং এটি সাধারণভাবে গুণফল বা যোগফলের মাধ্যমে অথবা এই মাত্রার সাথে সম্পৃক্ষ্যে প্রদান করা হয়। ভেক্টরের উদাহরণ হতে পারে গতি, বল, বস্তুর স্থান, তীর্থস্থানের দিক, সম্প্রসারণের দিক, বেগ, তাপমাত্রা, ইত্যাদি।

ভেক্টরের মান এবং দিক সাধারণভাবে একটি ভাস্কর বা ত্রিবৃত দ্বারা দ্বারা প্রদান করা হয়, এবং এটি সাধারণভাবে এককে মাপা হয়।

আলোর প্রতিসরণ (Reflection of Light) হলো আলোর একটি ঘটনা যেখানে আলো একটি মাধ্যম থেকে অপর মাধ্যমে প্রবেশ করতে গিয়ে অপরভাবে প্রতিসরণ করে এবং মাধ্যমে প্রতিসরণ হয়। 

এটি আলোর বিক্রয় বা বিকেন্দ্রীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয় এবং এটি আলোপ্রতিসরণ আপটেক্স, দর্শনীয় অবস্থানের জন্য ব্যবহার করা হয়।

আলোর প্রতিসরণ হলো একটি মহাজাগতিক আববোধন যেখানে আলো একটি উপাত্তের মাধ্যমে প্রবেশ করে, তারপর একটি আলোর গুণফল উপাত্তের সাথে সম্পৃক্ষ্যে পরিবর্তিত হয় এবং মাধ্যম থেকে প্রতিসরণ হয়। আলোর প্রতিসরণে আলোর প্রবাহ মাধ্যমে নতুন দিকে প্রচলিত হয়, সাধারণভাবে একটি আলোর বাতির মাধ্যমে প্রতিসরণ নিশ্চিত হয়।

এই প্রতিসরণের নির্দেশ বেগ হতে পারে এবং প্রতিসরণের কৌণিক ব্যবস্থা নির্ধারণ করা যেতে পারে, যা কোনও আলোর কৌণিক বিক্রয়ে বা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন: ভেষজ উদ্ভিদ কাকে বলে 

সরণ এর সূত্র

সরণ (Displacement) এর সূত্র নিম্নলিখিত হতে পারে, যেখানে S সরণ, Δx সরলরৈখিক দূরত্ব (প্রাথমিক বিন্দু থেকে শেষ বিন্দু), x_f শেষ বিন্দুর স্থান, এবং x_i প্রাথমিক বিন্দুর স্থান নির্দেশ করে:

S = x_f – x_i

এই সূত্রটি সরণ বের করতে ব্যবহার করা হয়। এটি দুটি বিন্দুর স্থানের পর্যাপ্ত পরিবর্তন নির্দেশ করে এবং প্রাথমিক বিন্দু থেকে শেষ বিন্দু যেতে হলে কত দূরত্ব প্রয়োজন তা দেখায়।

এই সূত্র প্রয়োগ করে, আপনি একটি বস্তুর চলন্ত বা সরণের মাত্রার অনুমান করতে পারেন, এবং এটি বস্তুর স্থানের পরিবর্তন নির্ধারণ করতে সহায়ক হতে পারে।

সরণ ভেক্টর কাকে বলে

সরণ ভেক্টর (Displacement Vector) হলো একটি ভেক্টর যা দুটি বিন্দুর মধ্যে সরলরৈখিক দূরত্ব এবং দিকের সাথে সম্পৃক্ষ্য করে। এই ভেক্টর তিনটি মুখ্য মান বা গুণফল সহ বর্ণিত হতে পারে:

মান (Magnitude): সরণ ভেক্টরের মান তার দুই বিন্দুর মধ্যে সরলরৈখিক দূরত্ব হয়। এই মান সাধারণভাবে এককে (যেমন, মিটার) মাপা হয়।

দিক (Direction): সরণ ভেক্টরের দিক বা দিকের সম্পৃক্ষ্য দুই বিন্দুর মধ্যে সরণের দিক নির্ধারণ করে। দিক সাধারণভাবে কৌণিক মাত্রায় (ডিগ্রী বা রেডিয়ান) বা দিকের সাথে সম্পৃক্ষ্যে পরিস্থিতির সাথে নির্ধারণ করা হয়।

সাথ (Sense): সরণ ভেক্টরের সাথ নির্ধারণ করে যে দিকে সরণ ঘটে তা সম্পৃক্ষ্যে নির্ধারণ করে। সাধারণভাবে, সম্পূর্ণ সরণ বা তার প্রতিনিধিতা নির্ধারণ করতে এই মৌলিক মান এবং দিক সাথে সাথে সাথ নির্ধারণ করা হয়।

সরণ ভেক্টর সাধারণভাবে একটি গুণফল যা একটি স্থান থেকে অপর স্থানে বা বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন নির্দেশ করে এবং একটি দিকে চলার পরিবর্তন দেখায়।

কৌণিক সরণ কাকে বলে

কৌণিক সরণ (Angular Displacement) হলো একটি পরিমাপ যা কোন বস্তু বা পদার্থের কৌণিক পরিবর্তন নির্দেশ করে। এটি দুটি কৌণিক স্থানের (যেমন, একটি চক্রের উপরে একটি বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন) মধ্যে কোন কৌণিক পরিবর্তন ঘটানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

কৌণিক সরণ সাধারণভাবে ডিগ্রী (degree), রেডিয়ান (radian) ইত্যাদি ইউনিটে মাপা হয়, যেটি বস্তুর উল্লম্ব স্থান থেকে যে কৌণিক পরিবর্তন সাপেক্ষ হয় তাকে নির্দেশ করে।

এটি মোটর গাড়ির চক্রের ঘোরানোর সময়, একটি কণা বা বস্তুর আক্রমণ বা কোন কৌণিক প্রতিবর্তন নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতে পারে।

আরো পড়ুন: প্রশমন বিক্রিয়া কাকে বলে

সরণ এর একক কি 

সরণ (Displacement) এর একক একটি দূরত্ব এবং এটি সাধারণভাবে এককে মিটার (meter) বা ইউনিট সংখ্যা (unit length) হয়। অন্যান্য ইউনিট সংখ্যা এটিও হতে পারে, তাতে সহজে সরণের মাত্রা বোঝা সম্ভব নয়।

মাত্রা: [দূরত্ব] = [একক]

সাধারণভাবে সরণটি মিটারে মাপা হয়, তবে যে দেশে এককটি সরণ মাপার স্থানীয় ইউনিট সংখ্যা ব্যবহৃত হয় সেটি নির্ভর করে।

সরণ কাকে বলে এর একক কি?

সরণ একটি স্কেলার রাশি হয়, এর একক সময়ে স্থানে প্রকাশ করা হয়। এর একক মাত্র দূরত্ব হয়।

সরণ কে কী দ্বারা প্রকাশ করা হয়?

সরণ সমীকরণ  দ্বারা প্রকাশ করা হয়:

সরণ (s) = |প্রাথমিক অবস্থান (x1) – অন্তিম অবস্থান (x2)|

কাজ কি স্কেলার রাশি?

কাজ একটি স্কেলার রাশি হয়, যেটি দূরত্বের মাত্র পরিমাণ নির্দেশ করে, এবং এটির কোন দিকে বা দ্বিমুখী বা একমুখী দিক নেই।

সরণ শূন্য হয় কখন?

সরণ শূন্য হয় যখন প্রাথমিক অবস্থান এবং অন্তিম অবস্থান একই হয়, অর্থাৎ x1 = x2।

নিঃসরণ কাকে বলে?

নিঃসরণ বা বেগ কাকে বলে, এটি সময়ে স্থানে পরিবর্তনের প্রাথমিক ও অন্তিম অবস্থান এবং সময়ের মাধ্যমে পরিবর্তন করার মাধ্যমে দূরত্বের পরিমাণ নির্ধারণ করে, এর একক মাত্র দূরত্বের মাধ্যমে দেখায় না। নিঃসরণ কে মৌখিকভাবে বেগ বলা হয়।

আলোর প্রতিসরণ বলতে কী?

আলোর প্রতিসরণ এটি একটি মৌখিক সংখ্যার মাধ্যমে দেখায়, যা সম্যক্তান্ত্রিক আলোক তরঙ্গের কোণ দ্বারা নির্ধারিত হয়। প্রতিসরণের একক ডিগ্রি বা রেডিয়ানে মাপা হয়।

আলোর প্রতিসরণ অপরিবর্তিত থাকে কি?

আলোর প্রতিসরণ সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকে যখন আলো একটি একই মাধ্যমে প্রপাগেট হয় এবং কোন মাধ্যমে পরিবর্তন না করে।

 প্রতিসরণ এর একক কি?

প্রতিসরণের একক রেডিয়ান (radian) হয়।

প্রতিসরণ কোণের মান কত?

প্রতিসরণের কোণের মান প্রতি অবস্থানে পরিবর্তিত হতে পারে এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট সময়ে স্থিত নয়, তাহলে এর মান নির্দিষ্ট নয়।প্রতিসরণের কোণের মান প্রতিবার অবস্থান পরিবর্তনে নির্ধারণ করতে পারবেন যখন আপনি প্রতি বার্তা দেওয়া হয় যে বস্তু বা কণা কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট কোণে প্রতিসরণ করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button