সংখ্যাবাচক শব্দ কি? সংখ্যাবাচক শব্দের প্রকারভেদ ও উদাহরণ
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষা রিলেটেড সংখ্যা বাচক শব্দ সম্পর্কিত উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের উক্ত পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা সংখ্যা বাচক শব্দ কি এবং সংখ্যা বাচক শব্দের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
বাংলা ভাষায় বিভিন্ন শব্দ আসার পাশাপাশি সংখ্যাকে গণনা করার সুবিধার্থে অথবা মানুষের মুখোমুখি প্রচলিত অর্থে বলার সুবিধার্থে সংখ্যাবাচক শব্দকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এজন্য সংখ্যাবাচক শব্দ কি এবং সংখ্যা বিচক শব্দের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে সংখ্যাবাচক শব্দের প্রচলিত ধারার পাশাপাশি অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য।
তবে পাঠ্যপুস্তক বইয়ে শব্দের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানার জন্য সংখ্যাবাচক শব্দ এবং শব্দের প্রকার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানো হয়।
সংখ্যাবাচক শব্দ কি
যে সকল শব্দ দিয়ে সংখ্যাকে বোঝানো যায় তাকে সংখ্যা বাচক শব্দ বলা হয়। যেমন : বিভিন্ন ধরনের অংকে, পূরনে, তারিখ নির্দেশ করায় এবং গণনার ক্ষেত্রে এসব সংখ্যা বাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন : ১০ টাকা, এক টাকা। যদি এক টাকাকে এক এক এভাবে দশ বারো গণনা করা হয় তাহলে তা দশ টাকা হয়।
এছাড়াও সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য যে সকল শব্দ সমূহ কে ব্যবহার করা হয় সেগুলো সংখ্যা বাচক শব্দ। অন্যভাবে বলা যায় যে, যে সকল শব্দ দ্বারা গণনা করা হয় কিংবা যে সকল শব্দগুলোর দ্বারা সংখ্যাকে বোঝানো হয় তাকে সংখ্যা বাচক শব্দ বলে। উদাহরণ : ৩, ৪, ৫, ৬,, অথবা তেসরা, চৌঠা, পঞ্চম, ষষ্ঠ, অথবা তিন, চার, পাঁচ, ছয়,,, ইত্যাদি।
সাধারণভাবে পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষার মতো বাংলা ভাষাতেও কিছু সংখ্যাবাচক শব্দ বিদ্যমান রয়েছে। সংখ্যাবাচক শব্দের ক্ষেত্রে বাংলায় যে সকল শব্দগুলো রয়েছে সেগুলো অধিকাংশ তদ্ভব.। তবে এর মধ্যেও যে সকল শব্দগুলো তদ্ভব নয়, তা বিদেশি বাসা থেকে কিংবা দেশি বাসা থেকে আগত।
যেমন :কুড়ি অর্থাৎ ২০,, এই শব্দটি কোল ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে, ১০০০, এই শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় আগত একটি শব্দ।
সংখ্যাবাচক শব্দের প্রকারভেদ
সংখ্যাবাচক শব্দের প্রকারভেদ করলে চারটি শব্দ পাওয়া যায়। সেগুলো যথাক্রমে :-
১) অঙ্কবাচক শব্দ,,,
২) পরিমাণ বা গণনাবাচক শব্দ,,,
৩) ক্রম বা পূরণবাচক শব্দ,,,
৪) তারিখবাচক শব্দ,,,
১) অঙ্কবাচক শব্দ:-যে সকল শব্দ দ্বারা বিভিন্ন ধরনের অংক বাচক শব্দকে নির্দেশ করা হয় সে শব্দগুলোকে অঙ্কবাচক শব্দ বলে। সাধারণত আমরা যখন ভাষায় একক হিসেবে ‘এক’ বলে থাকি। সে ক্ষেত্রে শব্দটিকে ভাঙার ক্ষেত্রে এক সংখ্যাটিকে একক হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
যেমন : ৩ টাকা এই শব্দটি বলতে এক টাকার তিনটি একক বা এককের সমষ্টিকে বোঝানো হয়। অতএব তিন সংখ্যাকে আমরা ভাঙতে পারি এবং এভাবে লিখতে পারি যে, এক + এক +এক,,,এভাবে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে একের পর এক গণনা করা যায়।
২) পরিমাণ বা গণনাবাচক শব্দ:- যে সকল সংখ্যাকে প্রয়োগ করার মাধ্যমে পরিমাণ নির্ণয় করা যায়, সে সকল সংখ্যাকে পরিমাণ বা গণনা বাচক শব্দ বলা হয়। এছাড়াও বলা যায় যে, একাধিক বার যদি একই এককে গণনা করা হয় সে ক্ষেত্রে সমষ্টি পাওয়া যায় এবং তাকে গণনা বাচক কিংবা পরিমাণবাচক শব্দ বলে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে :এক সপ্তাহ এই কথাটি বলতে আমরা সাত দিনের সমষ্টিকে বুঝাই। যেমন: সপ্ত অর্থাৎ (সাত) + অহ অর্থাৎ ( দিনক্ষণ) = সপ্তাহ ,,,, এক্ষেত্রে শব্দটিতে একক হিসেবে দিন রয়েছে। যেখানে সাত দিন কিংবা একক মিলনে এক এক বলে সাত দিনের সমষ্টি বোঝানো হয়েছে।
৩) ক্রম বা পূরণবাচক শব্দ:-যদি এক শ্রেণীতে বা একদল শাড়ি অবস্থিত কোন বস্তুর সংখ্যা বা ব্যক্তির সংখ্যা বোঝায় তাহলে তাকে ক্রমবাচক বা পূরণবাচক সংখ্যা বলা হয়। যেমন :-চতুর্থ জনকে খবরটি জানাও। এখানে গণনার জন্য একের পর এক এভাবে লুক লোকটিকে বোঝানো হয়েছে, ফলে প্রথম লোকের পরবর্তী দ্বিতীয় এবং দ্বিতীয় এর পরবর্তী তৃতীয় এভাবে ক্রমান্বয়ে প্রমতার আগে বোঝানো হয়েছে।
৪) তারিখ বাচক শব্দ:-সাধারণত তারিখ বুঝানোর জন্য যে সকল শব্দ ব্যবহার করা হয় সেই শব্দ গুলোকে এক কথায় বা একত্রে তারিখ বাচক শব্দ বলে।সাধারণত বাংলা ভাষায় যে সকল তারিখ বাচক শব্দ রয়েছে বা প্রচলিত রয়েছে সেগুলো বাংলায় প্রতিদিনের তারিখ হিসেবে নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ : বাইশে শ্রাবণ, পহেলা বৈশাখ, পহেলা মাঘ, একুশে ভাদ্র, ইত্যাদি। এছাড়াও উল্লেখ করা যায় যে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তারিখবাচক শব্দ গুলোর মধ্যে ১ থেকে ৪ পর্যন্ত যে শব্দগুলো রয়েছে সেগুলো হিন্দি নিয়ম অনুযায়ী সাধিত হয়।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং সংখ্যা বাচক শব্দের প্রকারভেদ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা সংখ্যা বাচক শব্দ সম্পর্কিত যে সকল তথ্য বা প্রশ্ন সম্পর্কে জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।